জেনেসিস ২৬-৪০

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: রবি, ০১/০৭/২০০৭ - ১১:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২৬.

ইনলাইন স্কেটিং এ ঝুঁকে পড়া উৎড়াই সমান্তরালে অদৃশ্য হলে খাঁটি সরিষার তৈল মেখে মৌচাকে ঘাঁটা ঘাঁটি, আঁটির স্তুপের পাশে হাসিমুখে পোজ দেন ইয়াজুস-নাজুস,ফুস করে ভেসে উঠে হাতের নাগালে ডিগবাজী খায় হাসুড়ে বুদ্ধ , যুদ্ধ এবং পায়ূপথ বিষয়ক অভিসন্দর্ভ সীলগালা করে পাতালে চালান করেন ভোজ্যতৈল কারিগর,হরিহর ঘটিরাম চামে চামে ঝেড়ে দেয় স্কোরবোর্ড

২৭.

আহির ভৈরবরে র‌্যান্দা কইরা শুরু হইলো আর একটা খাচ্চইরা দিন - তিন তালে বালের মনোটোন , তেহাই এর আগে টের পাই বায়া ঢ্যাপ ঢ্যাপ - আক্ষেপের জলসায় পাটাতনী বাঈ ; হাই তুলে ভুলি মাই এর দূরাশা , খাসা বন্দিশ - তাতেই স্বস্তি , মস্তি-কারিকা মৌসিকি ঘামে চুপচুপা ঝিকিমিকি তারা লাড়ালাড়ি করে পাত্রাপাত্র-গুষ্টি মাইরা

২৮.

দু-মুখো উকুন মারা চিরুনিতে অনিয়মিত দাড়ি আঁচড়ে কারিকর বিড়ি ধরালেন ওয়াহিদুর রহমান ইউসুফ জাই সাহেব বৈকালিক হাই সামলে ; হামলে পড়া রোদ ফু দিয়ে ঠান্ডা করে দাঁতে নখকাটা অস্থায়ী ক্রেতার আশু বিপদমুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বললেন বাকির নাম ফাকি

২৯.

মোটামুটি একটা হাই তুলে বাকিটা টিসু্যতে মুড়ে রেখে দেই - পরে কালচার করা যাবে কখনও যদি রাষ্ট্রপক্ষ গোয়ামারার বিল পরিশোধ করে, করবে কি ? গেলবার শুনানির সময় নেচে নেচে বলেছিল এইখানে ডাকে কেন বারে বারে? আমরা কি হোমো নাকি ? গোয়া মারলেই হোমো হয় ?

৩০.

এককামড়ে ভ্লাডিভোস্টক থেকে সিডনী পর্যন্ত চোকলাশুদ্ধ কচকচে ডিকনসট্রাকশানে ছ্যাড়াব্যাড়া , সুজলাং সুফলাং ডবকামি খুব রেয়ার - নদী-নালা থেকে খানা খন্দক গান্ধা করেছে প্লাস্টিক কারখানা - মাটি থেকে উঠে আসা আস্তবিচিওয়ালা এরকম একটা ফুরুটের সন্ধানে অনেক সন্ধ্যাজুড়ে অম্বলের ব্যাকগ্রাউন্ড নির্মাণ চলেছে,ফলেছে রাসায়নিক ফুলকপি!পরের পাথাইলা কামড়ে উঠে আসে আলাস্কা থেকে কেপ অফ গুড হোপ

৩১.

কঙ্কালে মাংশ-চর্বি-নাড়িভুড়ি বয়ে বেড়ানোর দায়মোচনে বহুকষ্টে ইনিংস পরাজয় ঠেকাই - ড্র তেই মুক্তি - সবরকম তালিকাভুক্তি পিছলে যাওয়া যাবে কিছুদিন ; তারপর কায়দা মতো ফায়দার কোটমুড়ি দিয়ে পাললিক সুড়সুড়ি , পুরিতে পুরাতন ঝোলের অমৃত

৩২.

যেমন ধরুন খর পানি আর মৃদুপানি কিম্বা চুলকানি আর কুলখানি , যেভাবেই বলা বা লেখা হোক অতলান্তের চিপায় চোখ মারবেই ! সুতরাং অ্যালবেট্রস ঠোকর দিয়ে পার পাবে না - সনাতন নাবিক পাটাতনে তুলবে বারবিকিউ ঢেঁকুর

৩৩.

বৃত্ত পিটিয়ে নানান কিসিমের ঘনক - কাঞ্চিটুকু টপকে বিদিশার মতোই গোলগাল , সুড়ুৎ করে সারবস্তু আত্মস্থ কব্জি ডুবিয়ে তোলা নলি্ল মুহুর্তেই ফুটোস্কোপ , আলজিভ দিয়ে চেটে নিয়েও থেকে যায় ছোপ ছোপ , লোপ পাওয়ার নেশা হ্রেষা তুলতেই ঘ্যাঁক ঘ্যাঁক করে হেসে ওঠে ছই এর উপর কোলা ব্যাঙ

৩৪.

মেন সানা ইন করপোরেসানো স্থায়ী রূকুতে গেলে ঝরে পড়া উকুন প্রথমবারের মতো অসমান্তরাল কোষ্ঠির ফ্যাকরায় পড়ে , ঠিকানা দূরে থাক পা বাড়ালেই একেকটা পোলভোলট মাত্রান্ধ লেপমুড়ি দেয় - ঝাঁঝড়ি দিয়ে চাখে মেরামতখেকো বায়োস্কোপ

৩৫.

প্রাথমিক কড়ি-বরগার দৈনিক অপচিতি সংখ্যাতাত্তি্বক সতর্কতায় আরো একটা খুঁটি গাড়ে আপাত সমতলে; মাটির অংশবিশেষের দেবে যাওয়া দেখতে দেখতে সতর্ক ডাইভে খাড়াই সেঁধে যাওয়া মৌল মেরামতি - যতি চিহ্নের সর্বাত্মক ছেনালি আকণ্ঠ ঠেসে নেয় পরম ছাঁকুনির

৩৬.

কালচে ধুসর ফোম চিপড়ে নেমে আসছে বৃষ্টি, ভাবনা মানেই ছিষ্টি - তাই ঘটের জলেই ইষ্টি-কুটুম বিদায়; এই খুঁটি থেকে সব সমতল তাই মন্ডার বদলে পলটি দিয়ে পাটি সাপটা - বির্বতিত কচ্ছপ ঝুঁকি নিয়ে উঁকি মেরে খোঁজে ঝাঁড়ের আশেপাশে বংশের চিহ্ন

৩৭.

পাশাপশি পড়ে থাকায় আমি থাকলেই আমরা হয় ? সবাই নানারকম অন্যলোক । কোকশাস্ত্র সকলে পড়ে না । তাই বলে সবাই ধোনরাজ পিল্লাই নয় । ভাজিতে পাঁচফোড়ন না দিলেও চলে , তবে লবণ আর কাঁচামরিচ ফরজ ; আরজ গুজার তবারক প্রার্থী ।

৩৮.

পাটিসাপটা কায়দায় দ্বিমাত্রিক সঞ্চলন কিছুটা স্বস্তি আনে, হাইড্রা-কুন্ডলি নিরাপদ নয়, মাঝে কাঠি দেওয়া যায় ; আঁটিশুদ্ধ কাঁচাআম দন্তসাপেক্ষে সুস্বাদু - জাদুঘরের বিষ্ময় কেটে গেলে লিটমাস পেপারে জামাতে মুতামুতি ; তারপর ইতস্তত রৌদ্রে মুচমুচে কাঠামো কায়দা করে শুইয়ে দেওয়া, মেওয়া ঝোলাভর্তি - সবুরের নিকুচি করি ; আহলাল কবুরে বলে একগাল হেসে নেই

৩৯.

ঠা ঠা রৌদ্রের শব্দ করকরে কুমড়োফুল মনে পড়িয়ে দিলে কান দুটো নড়তে নড়তে ইনডোর অ্যান্টিনায় টিউনড হয়ে যায়, মানে হয়েছে হয়েছে একটা অনুকল্প হ্যান্ড গ্রেনেডের ঢাকনা খুলে টাকিলার মতো গিলে ফেলে, মানে গিলে ফেলে দেয় না স্লীপার বেয়ে ডুওডেনামের কাছাকাছি কোথাও পাততাড়ি পাতে - অর্থাৎ পাতে বলে মনে হয়। অভিধান চেটে দেখেছি 'হয়' মানে অশ্ব; সুতরাং ঘোড়দৌড়ের ইকো নিয়মিত দেশলাই এর বারুদে মাখানো জরুরি কারণ কটন বাডস সরাসর বাজে খরচ

৪০.

টিউনিং ফর্ক রোমাঞ্চ ফুরিয়ে এলে লাফিয়ে ওঠা কর্কে বিপরীতের ডিসকোর্স পরাবৃত্তের খোলসে ঝরে পড়ে ঝুর ঝুর করে গুর্দার ঝোলে খাস্তা বাখরখানি; ঘানিতে তৈরী প্রকৃত ভোজ্যতৈল তোলা রইলো নোনা মজমার যোগভ্রমে ক্লান্ত টান টান ভূজ বাঁকাতে; সাঁকোগুলো সরে যায় প্লবগ ফুঁচকিতে কুঁচকি বাঁচাতে


মন্তব্য

ঝরাপাতা এর ছবি

ঠিকাছে বদ্দাচল।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

উৎস এর ছবি

মুড়িভাজার মতো লাগলো।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ডাঙ্কে....
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এইবার ঠিকাছে। অল্পে পোষায় না। ক্ষুধা ধরে রেখে খাওয়া থেকে ওঠা সবসময় সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।