জেনেসিস ৪১-৪৯

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০২/০৭/২০০৭ - ২:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৪১.

তেলের ছিটা সামলে আনকোরা পিঁয়াজু ছেড়ে কান থেকে নামানো কারিকর বিড়ি ধরিয়ে স্টোভে ঠেলা দিয়ে ভুস করে ধোঁয়া ছাড়লেন ওয়াহিদুর রহমান ইউসুফ জাই সাহেব। এই মনে করেন ডাইল বাইট্টা পিঁয়াজ রসুনে মাখাইয়া ত্যালে ছাড়লেই পিঁয়াজু, যতক্ষণ কড়কড়া থাকে ততক্ষণ আরাম,পোতাইয়া গেলে ভুদাই পাবলিক খুঁজি

৪২.

তলানির বুদবুদের শে...৪১.

তেলের ছিটা সামলে আনকোরা পিঁয়াজু ছেড়ে কান থেকে নামানো কারিকর বিড়ি ধরিয়ে স্টোভে ঠেলা দিয়ে ভুস করে ধোঁয়া ছাড়লেন ওয়াহিদুর রহমান ইউসুফ জাই সাহেব। এই মনে করেন ডাইল বাইট্টা পিঁয়াজ রসুনে মাখাইয়া ত্যালে ছাড়লেই পিঁয়াজু, যতক্ষণ কড়কড়া থাকে ততক্ষণ আরাম,পোতাইয়া গেলে ভুদাই পাবলিক খুঁজি

৪২.

তলানির বুদবুদের শেষ ছিটে শুকিয়ে এলে গভীর মনোযোগে অ্যাম্পুল টেনে প্রশ্বাস টুকে রেখে দমের দমকায় দেশলাই শলাকা খাসী করে দুশ সত্তর ডিগ্রীতে কড়ে আঙ্গুল পাকড়ে দাড়িয়ে থাকি;বাকিটা ধ্বসে পড়ে তামাশা দেখে আর নিবন্ধিত অবসরে কাঁটা কম্পাস খুঁচিয়ে দেখে রেডিয়ান কোণ কতটা নশ্বর

৪৩.

পেন্সিল কম্পাসে কেঁচো আঁকার পেজগীতে গেঁথে গেলাম ইরাতোস্থেনিসের মাস্তুলে, সুতরাং প্রতিভান্ড সরণী টিপে টিপে প্রকান্ড হাঁচি গুলো আঙ্কিক তড়িকায় টুকে রাখার মতো ছেনালিতে টিপ সই দিতে হয় দিয়ে যাই; মাই দেখে হাই তোলা মুস্তাহাব

৪৪.

আরেকটু ডানে তারপর সোজা তারপর বামদিকে হেলে খানিক ইচিং-বিচিং খেলতে থাকুন যতক্ষণ উস্টা খেতে খেতে টাল সামলে না নিতে পারেন । তবে মনে রাখবেন এইসব বালছাল মনে রাখা না রাখা মোটেও সমান নয়

৪৫.

কাঁটা কম্পাস দিয়ে ব্যাসার্ধ্য মাপামাপি অনেকদিন বাদ দিয়েছি এখন বিঘৎ মেপে চারপায়ে ঘুরঘুর করতে থাকি গুড়া দুধ খাইনা থুক্কু পান করিনা চুকচুক করে সীমাবদ্ধ মশক চেটেপুটে খেতে হয় কারণ ধোয়া-পাকলাতে বাড়তি শ্রম আর ঘাম খরচ দিনকাল বরবরের মতোই টিপে টিপে খরচ হবার

৪৬.

তিমিমাছ বলল বাঘের মাংসে আশ বেশী কুমিরের শুটকি ভালো কুমির বলল আলাদা করে কারো পুটকিটা না খাওয়ার পাপ লেগে থাকায় দহ গান্ধা হয় প্রতিদিন মোটাতাজা সাপ ডাঙায় যাতায়াত করে আমারে আরেকটু অ্যাক্সেস দিলেই কিন্তু ভাঙ্গন ঠ্যাকাইতে পারি আর চর খালি পাইলে সাদা মাংসও পাওন যাইবো ছোটখাট খোসাসহ তবে খোসা ফালাইয়া দেওয়াই ভালো আমার মোটে দুইপাটি দাত

৪৭.

আজেবাজে কথা বরাবরই ভালো লাগে কারণ সামলে সুমলে শুধু মিছা কথা কওয়া যায় - সামাল দিতে দিতে ডানা হবার আগেই হাত দুটো খসে পড়ে ফলত: পাখীদের বহুগমণ ছ্যা ছ্যা করে বুক ছ্যাচা আক্ষেপে

৪৮.

ধরা যাক মানে এমন একটা কিছুই ভেবে দেখি যাতে এমনকি ভেবে দেখার শ্রমটাও বেঁচে যাবার একটা ছোটখাট সম্ভাবনা থাকতে পারে যেখানে তম্বুরা বৃক্ষের অবয়ব নানারকম ভূতপদার্থের কেসহিস্ট্রি ধারণ করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে

৪৯.

পথের লিকোপ্লাস্টার সরিয়ে নিতেই গেরিলা গুল্মদের সমাবেশ ঝলকে ওঠে; বরাবর তামাকু প্রতিক্ষিত জল শুষে নেয় নিয়ান্ডার্থাল হেসে ওঠে সূর্যাস্তে নিহত নেকড়ের পিঠ চাপড়ে,তার চকমকি দাঁতে বেঁচে থাকে স্মৃতিশাস্ত্র - সত্ত্বায় ভবিষ্য নেকড়ের পাল


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

"পোতাইয়া " শব্দটার ব্যাখ্যা একবার 'বাতাসে মুড়ি রাখা' উদারহণ দিয়া বুঝাইছিলেন। মনে আছে? @ বদ্দা

সুমন চৌধুরী এর ছবি

দেঁতো হাসি
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সবুজ বাঘ এর ছবি

নিকারাগুয়া,
োহেদুর রকমান ইউসুফ জাই কিন্তু অন্য সিন। তিনডা ড্যাগা ড্যাগা পুলা থাকতেউ যে সুন্দর কইরা ইলশা মাছ কাটে আর পাক করে, তা দেইখা খুবই খাইতে ইচ্ছা করে। যদিউ উনি ডাকেন নাই, এত পিতলা খাতিরের পরো। দীর্ঘদিনের বিপত্মীক কি-না?

সবুজ বাঘ এর ছবি

আমাদের সকলেরই মুনে রাখা প্রয়োজন যে উনি কিন্তু যেইতেই লুক না। অত্যন্ত রয়াল ফ্যামিলির কতা বাদ দিলাম, যেৌবনে রণদাপ্রসাদ সাহা(আরপি সাহা) র মেয়ের নগে ঘুড়া পাল্লা দিয়া ফাস্ট হইছিল। আর ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে ভুটে খাড়াইছিল শাহ্ আব্দুল হামিদের বিপক্ষে। পরে হামিদের অনুরোধে আবার বইয়াো পড়েন। তাই সুমান চদ্রিরে এট্টু ইশাপ কইরা কতা কউয়ার জন্য অনুরুদ নিতাছি। শ্যাষে উনি কী না কী করব, আর আমরা পড়ুম ব্যাকে মিলা বিফদে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অয়েল ফ্যামিলি হইলে কি আর মুদী হইতারে না? পারে। যে ঘুড়া চালাইতারে সে দুকান্দারীও পারে
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ঝরাপাতা এর ছবি

এই কঠিন জিনিস দুইবার পড়লাম কেমনে? কিছু কিছু অবশ্য সহজ লাগছে।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হাসি
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

দৃশা এর ছবি

জিনিসটা বড় জটিল হইছে...তয় পেঁয়াজুর পার্টখানা আমার পছন্দ হইছে বেশী কারন আইজকা বিকালে পেঁয়াজু খামু আর গরম জিলাপী...
ইমানে লেখাটা খাসা হইছে......

দৃশা

ভাস্কর এর ছবি

ঝাক্কাস!


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সবুজ বাঘ এর ছবি

নয়াল ফ্যামিলির নুকেরা দোকান্দারি করার পর্যায়ে পেৌছাইলে দুহান্দারি করে না। কেউ পাগল হইয়া যায়,কেউ নঠিপাড়ায় পইড়া থাহে, কেউ আত্মহপ্তা চুদায়, কেউ ভুদাই হইয়া কোট পইড়া এনেহেনে লেচকার ঝাড়া চুদায়।
তাউ কেউ দুহান্দারি করে না। সুকে শান্তিতে মাইষ্যের নগাল মাইগ্যা অইয়া বাঁইচা থাকপার চায় না।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইটা একটা কবিতা
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

কারুবাসনা এর ছবি

দূর, বেশ ভাল লাগল, আর কবিতা করেন না।

দিসি।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পাইসি হাসি
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

অপালা এর ছবি

খ্যান্ত নাই!!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

না দেঁতো হাসি
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

আয়েশা আখতার এর ছবি

ভাল, তবে বাঙালির একদমে কবিতা পড়ার এনার্জি কদ্দূর এই ব্যাপারে একটু ভাবলে ভাল হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সামহোয়ারে এগুলা এক কিস্তি এক কিস্তি কৈরাই ছিল...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

দ্রোহী এর ছবি

বদ্দা, এইগুলির বঙ্গানুবাদ কবে নাগাদ পাবো?


কি মাঝি? ডরাইলা?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অ্যা!
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

দ্রোহী এর ছবি

অ্যা করেন কেন?

সামহোয়্যারে থাকতেও একই কথা জিজ্ঞাসা করেছিলাম। মানে আমি জানতে চাইছি আপনার এই জেনেসিস এর বঙ্গানুবাদ কবে নাগাদ পাবো?


কি মাঝি? ডরাইলা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।