সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে আইসিএসএফ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে কিছু মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সাধনের উদ্দেশ্যে, এবং সামাজিক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সোচ্চার। ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামের আড়ালে জামায়াত ইসলামীসহ এই দুষ্টচক্র সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের মহান স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও
"Discuss - Analyse - Strategise - Get Active" এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্রাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর ধারাবাহিক কর্মশালার প্রথম কর্মশালাটি হয়ে গেল শনিবার ২৩শে মার্চ ২০১৩ লন্ডনের মন্টিফিওরি সেন্টারে। বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের সম্মানিত হাই কমিশনার জনাব মিজারুল কায়েস, লন্ডনের প্রিন্ট-বেতার-টিভি মিডিয়ার কর্মী এবং সঞ্চালকবৃন্দ, এবং নানা পেশা নানা বয়সের এক ঝাঁক কর্মী এবং সংগঠকের উপস্থিতি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথ্য ও বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ এই অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে আরও যোগ দেন জার্মানী, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের কর্মী ও সংগঠকবৃন্দ যারা শাহবাগ পরবর্তী বিভিন্ন উদ্যোগগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান নিজামুল হক এবং যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপের আলোচনা গোপনে রেকর্ড করে নানা মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই কথাবার্তায় বিচার বিঘ্নকারী কিছু ছিলো কিনা তা অন্য ব্যাপার, কিন্তু এর পরিণামে বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এই হ্যাকিং এর ঘটনাটি কীভাবে ঘটতে পারে, তা নিয়ে আলোকপাত করার জন্যই আমার এই লেখাটির অবতারণা।
[i]আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট জেয়াদ-আল-মালুম সম্প্রতি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েকজন সম্মানিত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সামনে একাত্তরের মানবতা বিরোধী বিচার সংক্রান্ত কর্মকান্ড নিয়ে একটি বক্তব্য পেশ করেন। তার বক্তব্যে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কিভাবে তদন্ত ও বিচারের উন্নত মানদন্ডের নীতিসমুহ পূঙ্খানুপূঙ্খ অনুসরণ করে তা বর্ণনা করেন। আইসিএসএফ এর অনুবাদ টিম ইংরেজিত