অদেখা বন্ধুর জন্যে

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ৩:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)

গেল সপ্তাহে এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়েছিল, সামান্য রক্ত পরীক্ষার জন্যে। আমি অত্যন্ত ভীতু স্বভাবের মানুষ। সেবিকা মেয়েটি সুই ফুটানোর আগে আমি অন্তত তিনবার থাকে থামিয়ে দিয়েছি। সামান্য একটি সুই, অতি সামান্য একটু রক্ত।, আর তাতেই আমার ভয়ার্ত চিৎকার। সেবিকা বাংলাদেশী হলে টেবিলের উপর রাখা ফাইল দিয়ে মাথায় ধরাম করে একটি বাড়ি দিয়ে বসতো। এইদেশের সেবিকারা রোগীদের প্রতি মায়ের মত, ভগ্নীর মত স্নেহ করে বিধায় তেমন কিছু হয়নি। সুই বের করে, রক্ত মুছে ব্যান্ডএইড সেঁটে দিল সেখানটায়। আমার অবস্থা একটি আহত পাখির মত যেন। যদিও সামান্য সুই, সামান্য রক্ত আর অতি সামান্য ব্যাথা, তথাপি আমি নরম প্রকৃতির মানুষ। ভয়ই আমাকে কাবু করে ফেলে। বাইরে বৌ অপেক্ষা করছিল, চিৎকার শুনে ভিতরে চলে এসেছিল। সেই থেকে আমার মাথা কোলে নিয়ে রেখেছে। সেই আহ্লাদে আমার ব্যাথার পরিমান দ্বিগুণ বাড়লো। বাড়ী এসে প্রায় দু ঘণ্টা শুয়ে ছিলাম, এর মাঝে খাবার এল, কফি এলো, আদর এলো। উফ, কি ভয়ঙ্কর, একটা আস্ত সুই! সরসর করে বেরিয়ে এলো কুচকুচে রক্ত, তাকানো যায়? ভাবা যায়?

অভিজিৎ, ভাই আমার, আমি জানি না ঘাতকের ধারালো অস্ত্র যখন তোমার মাথার খুলি কেটে মগজ থেঁৎলে দিচ্চিল, তোমার তখন কেমন লাগছিল? তখনওতো বেঁচে ছিলে তুমি, বেঁচে ছিল তোমার প্রতিটি অনুভূতি। বন্যা এসে জাপটে ধরতে চাচ্ছিল তোমায়, প্রাণেশ্বরকে ঘাতকের ছুড়ির ফলার নীচে টুকরো টুকরো হতে দেখেছে সে। দৌড়ে গিয়ে হাত নেড়ে সরিয়ে দিতে চেয়েছে সেই অস্ত্র; তাতে কখন তার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি উড়ে গেছে সে জানে না তা, আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত সেও। মাত্র কয়েক মিনিটের ঘটনা, ফুটপাতে মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল তোমার নিথর শরীর, বন্যা তোমার রক্তাক্ত মাথাটি কোলে তুলে নিচ্ছিল; যেমন করে আমার স্ত্রী আমার মাথাটি কোলে তুলে নেয়- আদর করতে, ভালবাসা দিতে, আস্থা দিতে। অনুভূতি বেঁচে ছিল কি তখনও? খুব আদর পেতে ইচ্ছে করছিল বুঝি? তোমার ঐ শরীরটি নিয়ে যে ফটোসাংবাদিক সিএনজি করে হাসপাতালের দিকে ছুটছিল, তার দু হাতে, জামায় নাকি লেপটে গিয়েছিল তোমার ছড়ানো ছিটানো মগজ।

আমি আর কখনও সুইকে ভয় পাবোনা ভাই। কথা দিলাম, শরীর থেকে বের হতে থাকা রক্তের দিকে তাকিয়ে আমি তাচ্ছিল্য ভরে হাসবো। আমার যেকোনো ভয়ঙ্কর বিপদে তোমার অভিজ্ঞতা আমাকে সাহস জোগাবে আজীবন।

(২)

খুব ছোটবেলায় যখন পিপড়া দেখে হাত দিয়ে ডলে মারতাম, পায়ে পিষে আনন্দ পেতাম তখন আমাদের শেখানো হয়েছে যে পিপড়াগুলো লাল শুধু সেগুলোকেই মারতে, কালোগুলোকে নয়; কেননা কালো পিপড়া মুসলমান, আর লাল পিপড়া হিন্দু, অর্থাৎ বধযোগ্য।

যেদিন আমাদের টুলবেঞ্চির সাথে সম্পর্ক শুরু হল, সেদিন নির্দিষ্ট একটি ফর্মে নির্দিষ্ট স্থানে লিখতে হয়েছে আমি মুসলমান, নাকি হিন্দু, নাকি...।

টুলবেঞ্চির দীর্ঘ পরিক্রমা শেষে যখন আমরা চাকরিতে ঢুকি, তখনও জানিয়ে দিতে হয় আমার ‘বাই ডিফল্ট’ অর্জিত ধর্ম।

আমাদের পাসপোর্টে উল্লেখ থাকতো আমার ধর্ম।

আমাদের বিয়ের সার্টিফিকেটে, জমির দলিলে প্রায় সব জাগাতেই এর উল্লেখ থাকে।

আমরা একে অন্য ধর্মকে শৈশব থেকেই ঘৃণা করতে শিখেছি এবং যাদের কোনো ধর্ম নেই অর্থাৎ যারা ধর্ম পালন করে না, মানে নাস্তিকদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো ভয়ঙ্কর। প্রতিটি বিভাজিত ধর্মের মানুষই তাদের ঘৃণা করে, তারা সবার কাছেই অগ্রহণযোগ্য, তারা সবারই শত্রু, তাদের জ্ঞানের ঝড়ে যদি আমাদের বিশ্বাসের ঘর উড়ে যায়, তাই তারা সর্বাগ্রে পরিত্যাজ্য।

এটা একটা লাইফ টাইম প্রসেস। যে প্রসেসে পড়ে আমরা বিভাজিত হয়েছি, আমরা একে অন্য থেকে দূরে যেতে যেতে ফিরে আসবার পথ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা ভুলে যেতে থেকেছি ‘মানুষ’ শব্দের অর্থটি। আমার ছোট বেলার সহপাঠী, খেলার সাথী পার্থ, মাইকেল কিংবা অমিত- আমরা এক সাথে বেড়ে উঠেছি, সেইসাথে পলে পলে বিভাজিত হয়েছি। সেই সাথে ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতা আর মৌলবাদের ডাল পালা।

অভিজিতের হত্যার চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষয় হল, এই হত্যাকে আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ ন্যায্য মনে করে। তাদের মতে অভিজিতের মত একজন নাস্তিকের পক্ষে এমনটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়। অভিজিতের হত্যাকাণ্ড তাদের কাছে ততটা ঘৃণিত নয়, কেননা কোনো ধর্মবিশ্বাসের উপর আঘাত হানার অধিকার তার নেই। একটি বই, একটি ব্লগ, একটি লেখা কাউরো ভাল নাই লাগতে পারে; আমরা সেটি কিনলাম না, পড়লাম না, এড়িয়ে চললাম; তা যদি সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার পরিপন্থী হয়, আমরা সেক্ষেত্রে লেখক আর প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামালাও করতে পারি; কিন্তু হত্যা! আর সেই হত্যার প্রতিবাদ করলে নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে তাকে ন্যায্য আখ্যা দেয়া! অর্থাৎ অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড মোটেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আমাদের সমাজের সিংহভাগ মানুষ অভিজিৎদের বধযোগ্য মনে করে। বিশ্বাস না হলে, জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন। আমাদের সমাজব্যাবস্থা, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, আমাদের বিভাজিত ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের এইখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। আবারও বলছি, অভিজিৎ যা লিখেছে তা তার অর্জিত জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ, নিছক বিশ্বাস নয়; সেটি লিখবার স্বাধীনতা তার আছে। সেই স্বাধীনতা যদি আপনার বিশ্বাসকে আঘাত করে সেক্ষেত্রে আপনারও অধিকার আছে সেই লেখাকে বর্জন করবার এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলা করবার। তাকে হত্যা করার অধিকার কাউরো নেই। আর এখন যারা এই হত্যার জন্যে অভিজিতের রচনাকে দায়ী করছেন, তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবেই হত্যা ও হত্যাকারীকে সমর্থন করছেন। এটি হত্যা, এটি অন্যায়; এই অন্যায়ের বিপক্ষে থাকুন।

(৩)

অভিজিৎদা, তোমায় দেখিনি কখনও, পরিচয়টুকুও গড়ে ওঠেনি। ব্লগে ব্লগে তোমার সঙ্গে পরিচয়; অক্ষরে অক্ষরে তোমার সঙ্গে সখ্য। তুমি লিখতে, শুধুমাত্র এই অপরাধে তোমাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। যা লিখতে, তা তোমার স্বাধীনতা, সেই ‘স্বাধীনতা’ শব্দের অর্থ বুঝবার মত জ্ঞান আমাদের সমাজে নেই। না, এর কোনো সমাধান এই দেশে হবে না। গোটা পৃথিবী আজ মৌলবাদের উদ্ধত অসির তলায়। আমাদের বিচার ব্যবস্থায় তোমাকে হুমকি দিয়ে আসা চিহ্নিত অপরাধী জামিনে মুক্ত থাকে। এই বিচার ব্যবস্থায় তোমার হত্যার সুষ্ঠু বিচার হওয়া কতটুকু সম্ভব তা ভাবতে গেলে মস্তিস্ক ভার হয়ে আসে। যদিবা বিচার কখনও হয়ও, তাতেই কি সবকিছু শুদ্ধ হবে? না, এই বিভাজিত দেশে, বিভাজিত সমাজে তোমার মত আরো অনেককেই হয়তো রক্ত ঝরাতে হবে। তবে যে উদ্দেশ্যে ঘাতকেরা তোমাদের হত্যা করে, সেই উদ্দেশ্য তাদের কোনদিনই সাধিত হবে না। তোমরা কখনও নিঃশেষ হবে না, প্রতি ফাগুনে তোমাদের রক্তবীজে দ্বিগুণ হবে কলমের শক্তি। গতকাল সকালে তোমাকে হত্যার স্থানটিতে, সেই ফুটপাত ধুয়ে মুছে পরিস্কার করা হয়েছে। রক্তের দাগ মুছে যাবে শীঘ্রই, কালো ধোঁয়ার মত আকাশে মিলিয়ে যাবে তোমার স্মৃতি; শুধু মাত্র গুটিকয়েক প্রত্যয়ী যুবক যুবতীর বুকে তুমি প্রেরনার পিলসুজ হয়ে বেঁচে থাকবে।


মন্তব্য

ঈয়াসীন এর ছবি

যখন লিখছিলাম, ততক্ষণে কুলাঙ্গারটা গ্রেফতার হয়নি। আশায় রইলাম, কিছু একটা হবে।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

আশায় রইলাম

দেবদ্যুতি

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক চলুক

লজ্জায় নত হওয়া ছাড়া আর কিছু বলার নেই। মন খারাপ

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

তিথীডোর এর ছবি

অভিজিতের হত্যার চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষয় হল, এই হত্যাকে আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ ন্যায্য মনে করে। তাদের মতে অভিজিতের মত একজন নাস্তিকের পক্ষে এমনটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়। অভিজিতের হত্যাকাণ্ড তাদের কাছে ততটা ঘৃণিত নয়, কেননা কোনো ধর্মবিশ্বাসের উপর আঘাত হানার অধিকার তার নেই। একটি বই, একটি ব্লগ, একটি লেখা কাউরো ভাল নাই লাগতে পারে; আমরা সেটি কিনলাম না, পড়লাম না, এড়িয়ে চললাম; তা যদি সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার পরিপন্থী হয়, আমরা সেক্ষেত্রে লেখক আর প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামালাও করতে পারি; কিন্তু হত্যা! আর সেই হত্যার প্রতিবাদ করলে নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে তাকে ন্যায্য আখ্যা দেয়া! অর্থাৎ অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড মোটেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আমাদের সমাজের সিংহভাগ মানুষ অভিজিৎদের বধযোগ্য মনে করে। বিশ্বাস না হলে, জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন। আমাদের সমাজব্যাবস্থা, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, আমাদের বিভাজিত ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের এইখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। আবারও বলছি, অভিজিৎ যা লিখেছে তা তার অর্জিত জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ, নিছক বিশ্বাস নয়; সেটি লিখবার স্বাধীনতা তার আছে। সেই স্বাধীনতা যদি আপনার বিশ্বাসকে আঘাত করে সেক্ষেত্রে আপনারও অধিকার আছে সেই লেখাকে বর্জন করবার এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলা করবার। তাকে হত্যা করার অধিকার কাউরো নেই। আর এখন যারা এই হত্যার জন্যে অভিজিতের রচনাকে দায়ী করছেন, তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবেই হত্যা ও হত্যাকারীকে সমর্থন করছেন। এটি হত্যা, এটি অন্যায়; এই অন্যায়ের বিপক্ষে থাকুন।

সবটুকু বলে দিলেন! চলুক

অভিজিৎ রায়ের বাবার ছবিগুলোর দিকে তাকালে আর মাথাটাথা কাজ করে না...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ফারাবি আটক হয়েছে আজ। কিন্তু এই আটক হওয়া যেমন বিচার নিশ্চিত করে না, আশ্বস্ত করে না তেমনি পরবর্তী ঘটনাটি রোধ করা যাবে এমন কোনো চিহ্নও নির্দেশ করে না।

বলা হয়- মানুষের উপর আস্থা হারানো পাপ। কিন্তু এখন এই দেশে মানুষের উপর আস্থা রাখাটাই সবচেয়ে বড় অভিশাপ।

স্বয়ম

চরম উদাস এর ছবি

অভিজিতের হত্যার চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষয় হল, এই হত্যাকে আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ ন্যায্য মনে করে। তাদের মতে অভিজিতের মত একজন নাস্তিকের পক্ষে এমনটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

সবকথার বড় কথা, সব দীর্ঘশ্বাসের বড় দীর্ঘশ্বাস এটাই

অতিথি লেখক এর ছবি

সরকার ,"চোর কে বলে চুরি করো, আর গৃহস্থকে বলে সজাগ থাকো" । ফারাবির আটকের নাটকটাও সেই রকমই হবে।

-------------
রাধাকান্ত

এক লহমা এর ছবি

"অভিজিৎ যা লিখেছে তা তার অর্জিত জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ, নিছক বিশ্বাস নয়; সেটি লিখবার স্বাধীনতা তার আছে। সেই স্বাধীনতা যদি আপনার বিশ্বাসকে আঘাত করে সেক্ষেত্রে আপনারও অধিকার আছে সেই লেখাকে বর্জন করবার এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলা করবার। তাকে হত্যা করার অধিকার কাউরো নেই। আর এখন যারা এই হত্যার জন্যে অভিজিতের রচনাকে দায়ী করছেন, তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবেই হত্যা ও হত্যাকারীকে সমর্থন করছেন।"

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

চলুক
পত্রিকার মন্তব্যের ঘরে কিছু মানুষের বক্তব্য পড়ে চমকে যেতে হয় রীতিমত।
আমাদের(অধিকাংশ) ভেতরে জন্মগতভাবেই মনে হয় একজন মৌলবাদী ঘাপটি দিয়ে থাকে সময় আর সুযোগের অপেক্ষায়।

ঈয়াসীন এর ছবি

ঠিক তাই, আমাদের সার্বিক গঠন ব্যাবস্থা আমাদের (অধিকাংশ) কিছুটা হলেও মৌলবাদী করে তুলছে। এই যেমন ফিনল্যান্ডে রেসিজম তেমন নেই, তবে জরিপে দেখা গেছে 'হিডেন রেসিজম' এখানে অনেক। অর্থাৎ কেউ সরাসরি বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড না করলেও, মনে মনে বর্ণবাদকে সমর্থন করে। আমরা (অধিকাংশ, প্রায় ৯৫%) তেমনি 'হিডেন মৌলবাদী'।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অভিজিতের হত্যার চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষয় হল, এই হত্যাকে আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ ন্যায্য মনে করে। তাদের মতে অভিজিতের মত একজন নাস্তিকের পক্ষে এমনটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

ঠিক আছে। কলম চলুক।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ionic_neutron এর ছবি

আমার তার পরদিন পরীক্ষা ছিল পড়তেছিলাম আব্বু ডাক দিলো হঠাৎ টিভি তে দেখলাম নৃশংসতার চরম রুপ। বিশ্বাস করুন আমি আর পড়তে পারি নাই। আমি ভাবছিলাম বিষয়টা আমাকে যেভাবে আলোড়িত করছে আমার বন্ধু বান্ধবদেরও সেভাবে নাড়া দিবে পরদিন পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি হতবাক মানুষের মাঝে যে কিভাবে একটা করে পশু সত্তা লুকায়িত থাকে সেদিন বুঝলাম।
আপনার কথা সত্য ধর্ম নিয়ে কথা বললে ধর্মই আমাদের লাইসেন্স দেয় কতল করার । আর বিষয়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষের একমত।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।