'নিশান-ই পাকিস্তান' এবং বরাহ-বিয়োগ-বিরহ (পর্ব ১)

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/১১/২০১৫ - ৮:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুবাদ- (ভাঙ্গাচোরা অনুবাদ)

“আমার পাকিস্তানী-স্বত্বায় আজ রক্তের অশ্রু বয়ে যাচ্ছে”- আজ এই মুল্যবান উক্তি করেছেন মাননীয় মন্ত্রী জনাব চৌধুরী নিসার আলী খান সাহেব। এই উক্তির মর্মার্থ আপনারা স্বভাবতই বুঝতে পারছেন।

বাংলাদেশে জামাতে ইসলামের নেতাদেরকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। গতকাল যাকে ফাঁসি দেয়া হল- তিনি শহীদ কামারুজ্জামান; বাংলাদেশ সরকার, আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে ভারত নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ সরকার এই কাজ করেছে। এর আগে তারা আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে চড়িয়েছে। এর আগে জনাব গোলাম আজম, যিনি কিনা বেশ বৃদ্ধ ছিলেন, আশির উপরে ছিল তাঁর বয়স, তিনিতো হার্ট এটাকে মারা গেলেন জেল খানায় থাকা অবস্থায়। তাঁকেও তারা ফাঁসিই দিতে চেয়েছিল। এখনও এই তালিকায় রয়েছেন আরো কয়েকজন- মতিউর রহমান নিজামি, আব্দুস সোবহান, আজহারুল ইসলাম এখনও জেলে রয়েছেন। সম্ভবত এঁদেরকেও ফাঁসিতে চড়িয়ে দেয়া হবে।

এই বিষয়টি নিয়ে টুইটারে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিভিন্ন পত্রিকার কলামে আমি জনাব নওয়াজ শরীফের শাসন ব্যবস্থার অনেক সমালোচনা করেছি। কিন্তু আজ আমি তাঁকে প্রশংসাই করতে চাই, কেননা গতকাল জনাব কামারুজ্জামানের ফাঁসির বিষয়টি বর্তমান পাকিস্তান সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়েছেন।

আমিতো শুধুমাত্র এইটুকু পড়লাম, কিন্তু এতটুকুই যথেষ্ট নয়; এই বিষয়টিকে বুঝবার জন্য আমাদের আরো কিছু করণীয় আছে। দর্শকমণ্ডলী, এক মুহূর্তের জন্য আমার সাথে একাত্ম হয়ে একটু চিন্তা করে দেখুনতো আপনারা। বাংলাদেশ তৈরী হয়েছে ৪০ বছর আগে। অর্থাৎ তৈরী হওয়া বাংলাদেশের ৪০ বছর পার হয়ে গেছে। ৪০ বছর পর শুরু করা হয়েছে এই বিচার প্রক্রিয়া; আর আদালত তাঁদের ফাঁসির আদেশ দিচ্ছে। কিন্তু এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য- এই যে গতকাল যে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে চড়ানো হল, তাঁকে বলা হয়েছিল- ‘আপনি শুধু একটি ক্ষমাভিক্ষা চেয়ে পত্র লিখে দিন, লিখে দিন আমি ক্ষমা চাচ্ছি, লিখে দিন আমি ১৯৭১ এ পাকিস্তানের পক্ষে ছিলাম’। দর্শকমণ্ডলী, ৪০টি বছর অতিবাহিত হয়েছে, সে এখন বাংলাদেশেরই নাগরিক। তাঁর কীইবা আসতো যেতো ক্ষমা চাইলে। সেতো আর পাকিস্তানে থাকবার জন্য চলে আসতো না। বলে দিত- ‘মেনে নিলাম, ভুল হয়ে গেছে’। এতে করে অন্তত তাঁর জীবনটাতো বেঁচে যেত। তার সন্তান রয়েছে, সংসার রয়েছে। কিন্তু না দর্শকমণ্ডলী, তিনি ক্ষমা চাননি, কামারুজ্জামান ক্ষমা চাননি। এর আগে আব্দুল কাদের মোল্লাকে তিনবার ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এমনকি অন্তিমকালে ফাঁসিতে চড়ানোর ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাকে আরেকবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল- ‘ঠিক আছে, লিখবারও প্রয়োজন নেই, শুধু একবার মুখে উচ্চারণ করুন যে আপনি ক্ষমা প্রার্থী, বলুন যে আপনি পাকিস্তানকে সহায়তা করেছিলেন ১৯৭১ সনে’। তিনিও ক্ষমা চাননি। শহীদ হয়ে গেছেন পাকিস্তানের জন্য। দর্শকমণ্ডলী, এটি বিশাল একটি দৃষ্টান্ত।

কি বলবো আমি (ভাষাহারা অভিব্যক্তি)? চৌধুরী নিসার বলেছেন- ‘আমার পাকিস্তান স্বত্বায় রক্তের অশ্রু বয়ে যায়’। তিনি যেন ঠিক আমার মুখের কথাটিই কেড়ে নিয়েছেন। অথচ আমাদের এখানে এই বিষয়টির কোনো গুরুত্বই যেন নেই। আজ ভারতের কোনো অভিনেতার জন্মদিন হলে আপনারা দেখতে পেতেন আমাদের প্রতিটি গণমাধ্যম নাচে-গানে মেতে উঠতো। অথচ এত বড় ত্যাগ আপনার দেশের জন্য, আমার জন্য আর আপনার জন্য, অন্য এক দেশে বসে! কিন্তু দেখুন কোনো খবর নেই, জিজ্ঞাস করবারও কেউ নেই। কেবলমাত্র আমাদের জামাতি ইসলাম তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিধায় আজ এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু আমার মতে- তেহরিক ইনসাফ, এএনপি, পিপিপি, এমকিউএম, লুনলিক, তথা পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক দল মিলে বলা উচিৎ ছিল- ‘এই ব্যাক্তি পাকিস্তানের জন্য শহীদ হয়েছেন, আমরা তাঁকে স্যালুট করি’; এটিই মূল বিষয় হওয়া উচিৎ ছিল। না কিছুই না, আমাদের এখানেতো কেউই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। পাকিস্তান সরকারের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ- (লিফলেট দেখিয়ে; লিফলেটে কাদের মোল্লা আর কামারুজ্জামানের ছবি এবং তাদেরকে ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ খেতাবে ভূষিত করবার আবেদন) এইযে দেখুন, আমার অনুরোধ পাকিস্তান সরকার এঁদেরকে ‘নিশান-ই পাকিস্তান’ এর খেতাব দিয়ে সম্মানিত করুক। যারা ৪০ বছর পরেও পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল এবং পাকিস্তানের প্রতি স্বীয় ভালবাসা প্রদর্শন করেছেন, তাঁরা প্রমান করেছেন ৪০ বছর পরও আমাদের জন্য, পাকিস্তানের জন্য আমাদের এই বাংলাদেশী ভাইদের হৃদয় এখনও উদ্বেলিত হয়। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই যে এই কথা সত্য। এই কথা অতীব সত্য। আর সারা পৃথিবীকে দেখানোরওতো এটি একটি সুযোগ। আমাদের গণমাধ্যম, সরকার কেউইতো গণমাধ্যমের সঠিক কার্যক্রম আর তার প্রয়োগে পারঙ্গম নয়। এই সুযোগে আমরা পৃথিবীকে জানিয়ে দিই যে ১৯৭১ এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কেমন ধারার আগ্রাসন হয়েছিল।

পাকিস্তানে সে সময়ে একটি নির্বাচন হয়েছিল, হয়তো কিছুটা ত্রুটিপূর্ণই ছিল সে নির্বাচন। তৃতীয় বিশ্বের দেশেতো এমনটা হয়েই থাকে। কিন্তু ভারতের কোনো অধিকার ছিল না তাতে নাক গলানোর। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নিজস্ব সীমানার অভ্যন্তরে তাঁদের ব্যারাকেই ছিল; সীমান্তেও ছিল না। বিনা উস্কানিতেই ভারত তাঁদের উপর হানা দিয়েছিল। দেশদ্রোহীদের, মুক্তিবাহিনীদের আমাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করায় ভারত। জোরপূর্বক একটি অংশকে পাকিস্তানের থেকে আলাদা করেছে তারা। দর্শকমণ্ডলী এটাইতো সময়, এটাইতো সুযোগ, আমরা আবার পৃথিবীকে স্মরণ করিয়ে দিই যে- ‘দেখুন (লিফলেট দেখিয়ে) এঁরা বাংলাদেশী হয়েও অত্যাচারের মুখে ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। এখনও এমনি হাজার হাজার বাংলাদেশী রয়েছে যারা পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান করে’। এই সুযোগে বিশ্ববাসীকে আমরা আমাদের অবস্থান আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে পারি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের এখানে কেউই তা করছে না। গনমাধ্যমও সম্পূর্ণ নিরব। কামারুজ্জামান একজন ভারতীয় অভিনেতা হলে পাকিস্তানী গণমাধ্যমে ঠিকই বিশাল অংশ জুড়ে স্থান পেতেন। এখনও সময় আছে এঁদেরকে ‘নিশান-এ পাকিস্তান’-এর সম্মানে সম্মানিত করা হোক। আর এই সম্মান নিঃসন্দেহে তাঁদের প্রাপ্য। এই বাংলাদেশী(লিফলেট) ভাইয়েরা পাকিস্তানের সত্যিকারের নায়ক। আমার নায়ক, আপনার নায়ক। বিলক্ষণ তাঁরা আমাদের হিরো। কিন্তু সরকারী পর্যায়েও আনুষ্ঠানিক ভাবে এঁদেরকে পাকিস্তানের হিরো হিসাবে মানতে হবে। শুধু বলতে চাই প্রশাসন আর সরকার ফাঁসির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে, এটুকুই যথেষ্ট নয়। আমার, আপনার, গণমাধ্যমের, যাদেরই উচ্চ পর্যায়ে অর্থাৎ সংসদে কিংবা সমপর্যায়ে কোনো যোগাযোগ আছে; আমাদের উচিৎ এই খেতাব দেয়ার বিষয়টিকে সেখানে তুলে ধরা। এই বিষয়টি নিয়ে সেখানে আলাপ করতে বলুন। অবিলম্বে এঁদেরকে ‘নিশান-ই পাকিস্তান’ খেতাব দেয়ার সিদ্ধান্ত যেন অবশ্যই নেয়া হয়।

------------------------------------------------------------

প্রতিক্রিয়া-

নাউ, কামওন ফ্র্যান্স; লেটস দিসকাস- হোয়াত ইজ দিস ‘নিশান-ই পাকিস্তান’ খেতাব!!!!
সুবিধার্থে এ সংক্রান্ত তথ্য

নিশান-ই পাকিস্তান হচ্ছে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব। প্রতিবছর তাদের স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ১৪ আগস্টে এই সর্বোচ্চ খেতাব প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান ভূখণ্ডের প্রতি সর্বোচ্চ (আই রিপিত মাই ফ্র্যান্স, ‘সর্বোচ্চ’) সেবা প্রদানকারীদের এই সম্মান জানানো হয়।

এখন এই অকালকুষ্মাণ্ড উপস্থাপকের বিষয়ে আসা যাক। তার বক্তব্যের শাখায় শাখায় যে অজ্ঞানতা বিরাজমান সে প্রসঙ্গে নাইবা গেলাম; নাইবা জানতে গেলাম অন্তিম মুহূর্তে কাদের মোল্লার গোপন কথা কি করে সে জানতে পেল; তবে একটি বিষয়ে এই উপস্থাপকের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। কাদের, কামারু সহ সকল রাজাকার বরাহ ‘নিশান-এ পাকিস্তান’ খেতাবের সুযোগ্য প্রার্থী। ‘নিশান-এ পাকিস্তান’ ইহারা না পাইলে কোন বরাহ পাইবে? অনতিবিলম্বে সকল রাজাকারকে এই খেতাবে ভূষিত করে তাদের ললাটে চিরস্থায়ী কালিমা লেপে দেয়া হোক। এই গেলমানছানা উপস্থাপকের নাম- আহমেদ কুরেশী। বাঁশ প্রদানে আগ্রহী হলে এই নেন- এফবি আইডি কিংবা @AQpk

প্রতিটি ফাঁসির আগেপরে এমন ধারার বেশ কয়েকটি মানপত্র পাওয়া যায়, যা ‘এই কাদের কোন কাদের’, ‘এই কামারু কোন কামারু’, এই সাকা কোন সাকা’- তা প্রমান করে। আমাদের ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ব্যবস্থা এবং রায় কোনো ভাবেই এইসব প্রমানের উপর যদিও নির্ভর করে না; তবুও পাকিদের এমন আহাজারি দেখতে, বরাহ-বিয়োগ-বিরহে এমন মাতম দেখতে মজাই লাগে। তাদের এই ধারা বজায় থাকুক।


মন্তব্য

রানা মেহের এর ছবি

জটিল কাজ করেছেন একটা। অভিনন্দন।

নিসার আলি সাহেবের সাথে একাত্ম হয়ে আমিও বলতে চাই সব যুদ্ধাপরাধী শুকর ছানাকে নিশানে পাকিস্তান খেতাবে ভূষিত করা হোক। তারা এইসব বরাহপুত্রদের কবর বাংলাদেশের পবিত্র মাটি থেকে তুলে নেয়ার ব্যবস্থা করলে আমি অবশ্যই সুযোগ পাওয়া মাত্র নিসার সাহেবের সাথে একটি সেলফি তুলবো।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ঈয়াসীন এর ছবি

সেলফি! হা হা হা! এইটা কঠিন বলছেন

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

নজমুল আলবাব এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। এটা ১, মানে আরো আসবে। আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।

কামারুর ঝুলান্তির পর প্রথম এসব শুনেছিলাম। এরপর গত ক্রিকেট সিরিজে নেশার মতো হয়ে গেলো। কী অমোঘ পাশবিক আনন্দের আশায় বার বার ঘুরে বেড়াই তাদের ইউটিউব চ্যানেলে। অসুস্থতার পর্যায়ে চলে গেছি। দেঁতো হাসি

হাসিব এর ছবি

ব‍্যাপক ট্রাজেডিমিশ্রিত বিনোদনমূলক। গঞ্জের যাত্রাপালায় বিবেকের পার্টে এই লোকরে মানাবে ভাল।

হিমু এর ছবি

কাদের: এ কাদের সে কাদের নয়।
(ফাঁসি)
নিসার: আরে, ঐটা কে ঝুলে রে, আমাদের "সে কাদের" না?

ফালতু প্রোগ্রামার  এর ছবি

ফির মউকা হেয় দুনিয়াকো দেখানে কে লিয়ে কে ৭১ মে কিস তারা বরাহগিরি কারতা থা... তো দেখাও ভাইলোগ, হামারাতো বরাহকি জাতিই হেয়...

মিলু এর ছবি

দারুণ এই জিনিসটা গোচরে আনবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা অনলাইন পিটিশন টাইপের কিছু খোলা যায় না? "কাদুয়া, কাম্রু, সাকা, মুজা এদের কে নিশান-ই-পাকিস্তান খেতাবে ভূষিত করা হোক"? টেকি ভাই রা কি বলেন? দুইটা পেজ খোলা যাইতে পারে, একটা ইংরাজি, আরকটা উর্দু ভার্শন।

অতিথি লেখক এর ছবি

শেয়ার করতেও যে এরকম পৈচাশিক আনন্দ হয় আগে জানতাম না! দেঁতো হাসি

ফারাসাত

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

যারা ফাঁসিতে ঝুলেছে তারা 'পাকিস্তানী' নাগরিক হিসেবে এই খেতাব পাওয়ার যোগ্য, আমি ঘেটুপুত্রকে জোর সমর্থন দিলাম। শুধু তাই না যেসব 'পাকিস্তানী' এখনো বাংলাদেশে বসে ঘোঁট পাকাচ্ছে, যেসব 'পাকিস্তানী' খোঁয়াড়ে আছে তাদের সবাইরে খেতাব দেয়া হোক। ফাঁসির পরে তাদের কফিনটাও পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হোক। বীরপুঙ্গবদের সমাধি তৈরী হোক সেখানে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

"নিশান-ই-পাকিস্তান" কে "তোয়াজ-ই-পাকিস্তান" ও বলা যাইতে পারে। খুবই হাই প্রোফাইল বিদেশী রাজা গজা খাজা ছাড়া এই খেতাব কখনও দেয়া হয় নাই। এই জাতীয় ফকিন্নির পুত্রদের তো দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না, নাকি পদকের পদাবনতি ঘটানো হয়েছে?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সাকারে ব্রাদার-এ-পাকিস্তান খেতাব দেওন যায় না? শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হি হি হি... রাজ্জক উকিল আর মাহবুব মোক্তার এত্ত খাইটা খুইটা এই অমুক সেই তমুক না প্রমাণে প্রাণাতিপাত করে, আর মার্খরগুলো তাতে জল ঢেলে জানিয়ে দেয় এইই সেই। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কমেডি কন্টিনিউড। যাক গিয়া, পাকিস্তানের আসল ভয় সম্ভবত এইটা নিয়া। দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

”অনতিবিলম্বে সকল রাজাকারকে এই খেতাবে ভূষিত করে তাদের ললাটে চিরস্থায়ী কালিমা লেপে দেয়া হোক।” হ!

অতিথি লেখক এর ছবি

শুয়োরের বাচ্চাটার ইনবক্সে মেসেজ দিসি। খুব ফুর্তি লাগতেছে।
ইসরাত

টিউলিপ এর ছবি

এবছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশ ক্রিকেটদল যখন পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল সাবান ছাড়াই, তখন খেলার আনন্দ পূর্ণ হত খেলাশেষে পাকিস্তানি স্পোর্টস চ্যানেলে ওদের মাতম দেখে। রাজাকারদের ফাঁসিও তেমনি, পাকিস্তানিদের মাতম না দেখলে আনন্দের পূর্ণতা আসে না। (আমি খেলায় জেতা রাজাকারদের বিচারের মত গুরুত্বপূর্ণ এটা বলছি না কিন্তু।)

দেশি শুয়োরগুলোর সাথে পাকি শুয়োরগুলোর বিচারের দাবি এখন থেকেই তোলা উচিৎ। আর সেই সাথে বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।