শিক্ষক

গৃহবাসী বাউল এর ছবি
লিখেছেন গৃহবাসী বাউল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৮/১২/২০১৬ - ৬:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই গেদাকালে পড়ালেখা শুরু করেছি; ঠিক কবে মনেও নেই। শুধু মনে আছে ওই বছর আমাদের বাসার সামনে একটি নারকেল গাছ লাগানো হয়েছিল। একতলা বাসা ভেঙ্গেছে সেই কবে, এখন সেখানে ছয়তলা, নারকেল গাছের পাশের বহুবর্ষী শিউলি গাছটি হয়ত এখন কারো বাসার চেয়ার, টেবিল বা সোফা আর নাহলে পুড়ে গিয়ে কয়লা। ছয়তলা বিল্ডিংএর ছাদ থেকে নারকেল গাছের পাতা ধরা যায়। আর আমি, তখনও ছাত্র ছিলাম, আল্লাহর রহমতে এখনো আছি। এতদিনে ওই নারকেল গাছের অর্জন অনেক, একেতো তরতর করে বেড়ে উঠেছে আকাশের দিকে, তার উপর পয়দা করেছে লাখখানেক নারকেল, যার কিছু চোরে খেয়েছে, কিছু গিয়েছে পিঠাপুলিতে কিছু আবার তৃষ্ণার্তের প্রাণ জুড়িয়েছে। আর আমার অর্জন, গুটিকয় ডিগ্রি, আর সর্বসাকুল্যে দুটি পাবলিকেশন। নারকেল গাছের পিছনে খরচ বলতে গেলে কিছুই না, কেউ একজন লাগিয়ে দিয়েই খালাস, সে তার নিজের দায়িত্বে বেড়ে উঠেছে, আর আমার পেছনে ....... থাক আর ফর্দ না করি।

যাই হোক, শুরু করেছিলাম কোথায়, আর এসে ঠেকলাম কোথায়! ভেবেছিলাম লিখবো যাদের মাথার ঘাম পায়ে আসার কারণে আমার সব অর্জন, সেই সব মহামানব শিক্ষকদের কথা, আর গিয়ে ঠেকলাম নারকেল গাছে। গল্পের গরু এভাবেই গাছে উঠে। বাদ দেন; আসেন আবার গোড়া থেকে শুরু করি, ...... "সেই গেদাকালে পড়ালেখা শুরু করেছি; ঠিক কবে মনেও নেই। প্রথম স্কুলের ক্লাসটিচার কে ছিলেন খেয়াল নেই, থাকার কথাও না, আমার যেই স্মৃতিশক্তি, তারউপর আবার মাথার চুলেও পাক ধরেছে। সময়ের আবর্তনে পরের বছর নতুন শিক্ষক; যতদূর মনে পরে একজন ম্যাডাম ছিলেন; যাকে আপা বলে ডাকতাম। মনে হয় ভালোই ছিলেন, গাধা লেভেলের ছাত্র হওয়ার পরও কখনো মার খেয়েছি বলে মনে পড়ে না। উনার কথা যখন উঠলোই, একটা ঘটনা মনে পড়লো, একবার কোনো এক কাজে আপার স্বামী এলেন স্কুলে, ক্লাসে এলে আপা ওনাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন যেহেতু উনি ওই স্কুলের সাথে জড়িত ছিলেন না, তাই আমরা তাকে চিনতামও না। কি বলেছিলেন তা আর মনে নেই, তবে আমি বাসায় গিয়ে আম্মুকে গল্প বললাম,"আম্মু জানো আজকে স্কুলে কে এসেছিলো?" "কে"? "দুলাভাই এসেছিলো"। আম্মুর চোখ তো কপালে, "তুই দুলাভাই কৈ পেলি? কোন দুলাভাই? এই শহরে তোর তো দূরের কথা, তোর বাপেরও কোনো দুলাভাই নাই? আমি তখন আমার সিলি আম্মুকে বুঝাই, "আরে ক্লাসের আপার জামাই এসেছিলো, আর আপার জামাই কি হয় আমাদের? দুলাভাই হয় না?" আমার মা'র মনে হয় ততক্ষনে তার ছেলের বুদ্ধিবৃত্তিক সুকুমার ও সুকোমল গুণাবলীর বিকাশ ও বিন্যাস নিয়ে সংশয় শুরু হয়েছে।

বছর ঘুরতেই স্কুল পরিবর্তন। সাজানো গোছানো সাত সকালে উঠে পিটি-প্যারেড করা কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে বন্ধনহীন জন্মস্বাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দুইতলা স্কুল, মাঠ নেই, টয়লেট নেই, স্কুলের পাশেই মসজিদ, তার টয়লেটেই প্রয়োজনীয় কাজ সারা হয়। ড্রেসের কোনো বালাই নেই, খালি পায়ে এক হাঁটু ধুলো নিয়ে ক্লাসে না গেলে মান ইজ্জত থাকে না, মাথার চুল যদি আঁচড়ানো থাকে তাহলে তো রক্ষা নেই, আর আরো মজা হলো, এখন আর সকাল ছয়টায় স্কুলে উঠা লাগে না। এলাকার বড় ভাই (যারা ফাইভ সিক্সে পড়ে), তাদের মতো এগারোটায় যেয়ে বিকাল চারটা পাঁচটায় আসা যাবে। নিজের মধ্যে বেশ বড় বড় ফিলিং হচ্ছে, যদিও, আগের মতো দাদু তার নাতিকে একা ছাড়বে না কোনোমতেই, (স্কুলের দূরত্ব বাসা থেকে ৫ মিনিট, তখনকার হিসেবে)। আবার লেখার লাইন বেলাইনে এসে যাচ্ছে। কোনো কিছু লিখতে গেলে লাইনে থাকা খুবই কষ্ট. নতুন স্কুলে একেক পিরিয়ডে একেক শিক্ষক আসেন। কেউ এসেই আবার বের হয়ে যান, কেউ আবার টেবিলে বসে ঝিম মেরে থাকেন, আবার কেউবা এসে বিগত কোনো একদিনের বাকির হিসাব মিটিয়ে যান কারো পিঠের উপর। মনে পরে সবার কথাই। এই সব শিক্ষকদের মধ্যে একজন ছিলেন আমাদের ফার্স্ট বয়ের মা। উনার ছেলে স্কুলে কোনোদিন সেকেন্ড হয়নি, এইটা উনি বেশ গর্বভরেই প্রকাশ করতেন। পরীক্ষা আসলে বুঝলাম, ঘটনা কি। সেদিকে না যাই। আরো একজন ছিলেন, যার মেয়ে আমাদের ক্লাস্মেটনি। সেই মেয়ে আবার মেয়েদের মধ্যে প্রথম। সম্মিলিত মেধাতালিকা ওই দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ছিলেন আরেকজন শিক্ষক, যিনি যা বলতেন তার কিছুই বুঝতাম না। মনে পরে মিলিটারি থেকে ফিরে আসা একজন শিক্ষকের কথা, নাম মনে নেই, খুব ভালো লাগতো ওনাকে, আর ছিলেন একজন আপা, এতো ভালো, মনে হতো পাশের বাসার খালাম্মা। একই এলাকায় থাকার সুবাদে পরে আমাদের পরিবারের সাথে ওনার বেশ সুসম্পর্ক হয়,ওনার ছেলে আমাদের এক বছরের ছোট ছিল. এই আপা আমাকে খুব আদর করতেন, উনি এখনো আমার খবর নেন আব্বু আম্মুর কাছে। এই স্কুলে বছর ঘুরতেই এলেন এক জাঁদরেল হেডমাস্টার। যার নাম শুনলেই নাকি ছেলেপেলের প্যান্টের চিপা দিয়ে নদী বয়ে যায়। উনি মারা গেছেন বছর কয়েক আগে, আমি তখন কানাডায়, মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে স্যার আমাকে দেখতে চেয়েছিলেন. মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত ভুলেননি আমাকে আর আমার বোনকে (আমার বোন আবার ওই স্কুলের ষ্টার স্টুডেন্ট ছিল, আমি পাশ করে যাওয়ার পর, আল্লাহ বাঁচিয়েছেন, নইলে ঘরেও আর মান-ইজ্জত থাকতো না)। আজও ওনার চেহারাটা আমার চোখে ভাসে। খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমি ওই স্কুলে প্রথমবার ফার্স্ট হয়েছিলাম, যেবার স্যার এলেন, আর আমাদের পরীক্ষার গার্ড দিলেন, ফার্স্ট বয়ের মা গার্ড দিলেন আরেক রুমে।

আবার স্কুল পরিবর্তন। এইবার বিশাল স্কুল, এই স্কুল থেকে যারা পাশ করে তারা সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে আড্ডা মারতে পারে (যারা এস এস সি বা তখনকার ভাষায় মেট্টিক পাশ)। অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী। এই স্কুলের কয়েকজন স্যার এর কথা আমি কখনোই ভুলতে পারি না। একজন হচ্ছেন রমেশ স্যার, এতো ভালো, নরম মনের স্যার আমি আজো পাইনি। কোনোদিন কোনো ছাত্রকে আদর করেও একটি চড় দিয়েছেন, এমন ঘটেনি. আমাকে খুব আদর করতেন, বাংলায় কিঞ্চিৎ ভালো ছিলাম বলে। ছিলেন সুভাষ স্যার, যিনি আমাকে ১২ বছর পর মাছের বাজারে দেখে নামধামসহ চিনে ফেলেছিলেন। ছিলেন আহমেদ স্যার, খুব সুদর্শন, অংক করাতেন। ছিলেন শিবু স্যার, বিশালদেহী, অংকের শিক্ষক, ক্লাসে এসেই আমাকে বলতেন, “এই দশটা অংক করাইয়া দে”। বলেই দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। আর ক্লাস শেষের ঘণ্টা বাজলেই নামডাকার খাতাটা আস্তে করে তুলে নিয়ে হেঁটে বাইরে চলে যেতেন। ছিলেন জহির স্যার, যার জন্য আমি এখনো আমার উচ্চারণ করা প্রতিটি ইংরেজি শব্দ প্রতিটি বাক্য নিবেদন করি। মাঝে একবার জহির স্যার এর কথা খুব মনে হচ্ছিলো, ভেবেছিলাম দেশে গেলে স্যার এর সাথে দেখা করবো, কিন্তু পরে জেনেছি, স্যার মারা গেছেন অনেক আগে। স্যার এর সাথে শেষ দেখার (খুব সম্ভবত ১৯৯৫ সালে) কথা আমি এখনো ভুলিনি। চোখের সামনে ভাসছে, সাদা পাঞ্জাবি, সাদা পাজামা, সাদা টুপি পড়া শ্বেতশুশ্রুমন্ডিত জহির স্যার হেটে আসছেন, আর আমি দৌড়ে যেয়ে টুপ্ করে স্যার এর পায়ে ধরে সালাম করলাম, স্যার টেনে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমার চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে বললেন, "আমি জানতাম", আমার তখন বুক ফেটে কান্না আসছে, কারণ আমি এইটের বৃত্তি পেয়েছি, আমার মতো গাধাকেও স্যার বৃত্তি পাইয়ে দিয়েছেন। আহা! একবার যদি আবার স্যার কে দেখতে পেতাম।

বছর ঘুরতেই আবার নতুন স্কুল। এইবার সরকারি স্কুল। একশো বছর পুরোনো, এই স্কুলের ভাবই আলাদা। অনেকটা জেলা স্কুলের মতো। বিশাল চত্বর, মাঝে বিশাল মাঠ। বাঘা বাঘা সব শিক্ষক। তার উপর আবার বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক। এখন সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে সিদ্দিক স্যার এর কথা। বায়োলজি পড়াতেন; ক্লাসে এসে বলতেন, "পড়"। আমরা রিডিং পড়তাম। পড়তে ভুল হলে বলতেন, "হৈ বলদ, এইটা কি পড়লি, আবার পড়"। আমরা আবার পড়তাম। এই চক্র চলতেই থাকতো। অনেকদিন, অনেক বছর পর একদিন আমি স্যার কে স্বপ্নে দেখলাম। স্যার আমাকে বলছেন, "কিরে বলদ, তুই কি আমারে আর দেখতে আসবি না?" আমি তার কয়েকদিন পর ছুটিতে ভার্সিটি থেকে বাসায় এসেছি। এসে স্কুলের এক বন্ধুর সাথে আড্ডায় বসে বললাম, "সিদ্দিক স্যার এর সাথে দেখা করতে যেতে হবে", বন্ধু জানালো স্যার মারা গেছেন কয়েকদিন হলো, হিসেবে করে দেখলাম যেইদিন আমি স্যার কে স্বপ্নে দেখেছি, স্যার মারা গেছেন তার আগের দিন। কি কাকতাল! ছিলেন মহসিন স্যার, অংক করাতেন, খুব রাগী। ছিলেন পরেশ স্যার, যিনি টিচার্স রুম থেকে বের হলে চারতলার পোলাপান পর্যন্ত ভয়ে চুপ হয়ে যেত। স্যার এর গাট্টা যে খেয়েছে, তার জীবনেও আর কিছু খাওয়া লাগেনি সোজা হতে এই ধরণের কথা স্কুলে প্রচিলত ছিল। ছিলেন বোরহান স্যার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় পাশ করে মাত্রই স্কুলে যোগ দিয়েছেন, আমাকে অনেক পছন্দ করতেন। ছিলেন কেমিস্ট্রি ম্যাডাম, খুব সুন্দরী খুব শান্ত, এতো নরম করে পড়াতেন, আমার আজও উনার কণ্ঠ কানে বাজে। ছিলেন মেহেরুননিসা আপা, শুনেছি উনি এখন ঢাকার কোনো বড় স্কুলে খুব নামকরা শিক্ষক। সমাজবিজ্ঞানে শুধু '৭০ এর নির্বাচন নিয়ে লিখেই পাশ করেছিলাম, কারণ আর কিছু লেখার সময় ছিল না। ম্যাডাম ক্লাস এ বলেছিলেন, "তোমাকে পাশ করলাম কারণ, তুমি যা লিখেছো, ইতিহাস বইতেও এতো নাই"। ছিলেন ধর্ম স্যার যার মার না খেয়ে এই স্কুল থেকে পাশ করেছে এমন কোনো ছাত্র নেই। একথা একদিন উনি ক্লাসে বলছেন, এমন সময় কোনো এক ‘বদপুলা’ আমাকে দেখিয়ে দিয়ে বললো, "স্যার এইডা নতুন আইসে, এখনো খায় নাই". স্যার ক্যাপ্টেন কে বাদ দিয়ে আমাকে দেখিয়ে বললেন, "আমার চেয়ার মুইছা দে"। আমি হাত দিয়ে মুছতে গেলাম, এমন সময় পিঠের উপর ‘ধাম!’ বুঝলাম, স্যার কিল দিয়েছেন। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হতভম্ভ, স্যার বললেন, "হাত দিয়া কেন, রুমাল দিয়া মুছ"। আমি যন্ত্রচালিতের মতো রুমাল দিয়ে মুছে দিয়ে জায়গায় যেয়ে বসলাম, স্যার আবার শুরু করলেন, "বুঝলি তোরা, আমার মাইর না খাইয়া এই স্কুল থেকে কোনো ছাত্র বাইর হয় নাই এখনো"। সবাই একবাক্যে মাথা নেড়ে স্যার এর দাবি মেনে নিলো। আবার কার না কার পিঠের উপর পড়ে ওই জিনিস। এই সব স্যাররাই আমাকে ১৭ বছর পর স্কুলের ১৩০ বছরপূর্তি উৎসবে দেখে চিনেছেন এবং নির্দ্বিধায় নাম বলেছেন, যেখানে তাঁদের অনেকের নামই আমার বন্ধুদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে মনে করতে হয়েছে। তখনখার টগবগে তরুণ স্যার এখন মাঝবয়সী। আর কিছুদিন পড়ে হয়তো শুনবো অন্য কোনো একজন মহামানবের প্রয়াণ ঘটেছে। তার জায়গা নেবেন অন্য কেউ। থেকে যাবে সব স্মৃতি, যেমন আছে সেই নারকেল গাছটি।

আর আমি? আমি আজও ছাত্র। আজ আমার অনেক শিক্ষকের বদলে একজন মাত্র শিক্ষক। সে গল্প নাহয় অন্য কখনো করা যাবে।

(নারকেল গাছ, ছয়তলা বিল্ডিং আর শিউলি গাছ লেখকের মস্তিষ্কের উর্বরতার প্রমান)

ডিস্ক্লেইমারঃ লেখাটি আমার বর্তমান স্কুলের একটি সাময়িকীর জন্য লিখেছিলাম। ব্লগে দিব কি দিবনা নিয়ে সন্দেহ ছিল। সচল জাহিদ ভাই তার শিং দিয়ে গুতিয়ে লেখাটা সচলে দিতে বাধ্য করেছেন। লেখার মান “সচলাতিক্রম্য” না হলে দায় লেখকের নয়, গুতকের।


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আরে ক্লাসের আপার জামাই এসেছিলো, আর আপার জামাই কি হয় আমাদের? দুলাভাই হয় না?

হো হো হো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

চোখ টিপি ইয়ে, মানে...

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

সোহেল ইমাম এর ছবি

ভালো লাগলো এই স্মৃতিচারণ।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

কোলাকুলি

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

"বুঝলি তোরা, আমার মাইর না খাইয়া এই স্কুল থেকে কোনো ছাত্র বাইর হয় নাই এখনো"।

সাধারণত সব স্কুলেই এরকম একজন শিক্ষক থাকেন। আমাদের স্কুলে ছিলেন ছয়জন। ফেয়ারওয়েল এর দিনে এঁরাই আমাদের জড়িয়ে ধরে এমন কেঁদেছিলেন! ফাজিল বন্ধুরা বলে, আমরা ছিলাম মার খাওয়া ব্যাচ। এমন শিকার হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বলেই......। কিন্তু আমি জানি তাঁদের ভালোবাসার কোনো কমতি ছিলোনা। সবাই আসলে প্রকাশ করতে জানেন না।

বেতের ছোপ গুলো পিঠ থেকে মুছে গিয়েছে সে বহু বছর। কিন্তু জড়িয়ে ধরে শিক্ষকদের সেই কান্না, আহা!

----মোখলেস হোসেন

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কোলাকুলি

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর লিখেছেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।