(পূর্বকথা) উল্টোচাঁদ

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: রবি, ২৩/১১/২০০৮ - ৩:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি কালের ভেতরে লুকোনো অনেকগুলো কাল, সেকালের মধ্যে একাল সেকাল, একালের মধ্যে সেকাল একাল। আমরা সবাই রাজা আর আমাদের সবারই অন্ধদের হাতিদর্শনের গল্পটা জানা। সেকালের চিরকালীন অন্ধরা ঠিকই হাতি দেখতে বের হতেন। তো হাতি দেখতে গিয়ে তাদের একজন হাতির ন্যাজে হাতিকে দেখে সাপের মত ধ্যান করলেন তো আরেকজন কানটা ধরেই বুঝলেন যে হাতি হলো গিয়ে ছাই ঝাড়া কুলোর মতো । যেন তলোয়ারের ফলা, হাতির দাতের স্পর্শে অনুভব করেন অন্যজন। একালের সেকেলে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা তা নিয়ে বিদ্রুপ আর ঠাট্টায় মশগুল আড্ডায় মেতে ওঠে আর সেকালের সেকেলের মতই অন্যান্য বিষয়ে তর্ক করতে করতে থাকে। একালের একেলে ব্যক্তি এনিয়ে মাথাও ঘামায় না। যার যার দুনিয়া তার তার কাছে, এত মাথা ঘামানোর সময় কোথা। একাল এবং সেকালের অন্তকালীন প্রান্তজনেরা ভাবে দুনিয়া আসলে হাতির মত এক সঙ্গে অনেকরকম। এতো গেলো একটা, আবার অন্যগল্পও আছে।
আমরাতো আলসেমীর নিপুন উদাহরণ হিসেবে পিপু ফিশো বলে কতবার নিজেদের গাল দিয়ে উঠেছি। ঘর পোড়া আগুন পিঠ স্পর্শ করলেও আলসেমীর তন্দ্রা ভাঙে না, কেবল অস্ফুট স্বরে বলে ওঠা যায় পিপু মানে পিঠ পুড়ছে। আর এক আলসের পৃথিবী থেকে তার চেয়েও ক্ষীণ ধ্বণি ওঠে- ফিশো মানে ফিরে শো। কেমন আলসের আলসে, এটা বোঝা গেল- কিন্তু এই যে পিপু মানে যে পিঠ পুড়ছে তার উত্তরে ফিশো মানে যে ফিরে শো এটা কিন্তু তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। ঈর্ষনীয় বোঝাপড়া!
এই বুঝে নেওয়া আর বুঝাতে চাওয়ার আকুতি নিয়ে আমাদের হাতি দেখতে গিয়ে মনের মধ্যে কি সব উকি ঝুকি দিয়ে গেল তারই ছবি আকার চেষ্টা - আমাদের সব কথা।


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

কর্ণের কিনারা দিয়ে গেলরে ভাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।