চোখ

জাহামজেদ এর ছবি
লিখেছেন জাহামজেদ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ৩০/০৮/২০১০ - ৪:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০১.
কীন ব্রীজের নিচের যে জায়গাটা এখন পাশ্চাত্যের মতো অনেক আধুনিক একটা নদীর পাড় হিসেবে শিক্ষিত মানুষ ছাড়াও আম জনতার কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে, যেখান থেকে দাঁড়িয়ে সোজা সার্কিট হাউসটা দেখা যায়, অথবা লাল নীল আলো ভেসে আসে ছোট শহর থেকে ক্রমশ বড় এক নগর হয়ে যাওয়া সিলেটের জিরো পয়েন্ট থেকে, ঠিক সেই জায়গায় কোনো এক বিকেলে হাওয়া খেতে খেতে ফারহানার সাথে আমার প্রথম দেখা। মনে পড়লে এখনো অবাকই লাগে, আমি বসে বসে বাদাম খাচ্ছিলাম, বাদাম খাচ্ছিলাম না ঠিক, বাদামের উপরের ধূসর রঙের খোসা ছাড়িয়ে ভিতরে দ্বিতীয় পর্যায়ে যে বাদামী রঙের খোসা পাওয়া যায়, আমি সেই খোসাগুলোই ফুঁ দিয়ে বাতাসে উড়াচ্ছিলাম, ঠিক তখনই আমার চোখে ধরা পড়ে ফারহানার অদ্ভূত মায়াবী দুটো চোখ। আমি প্রথম তার চোখই দেখেছিলাম, সত্যিই তার চোখগুলো অসাধারণ, যেন পৃথিবী শ্রেষ্ঠ ভাস্কর মাইকেল এঞ্জেলো নিজের হাতে চোখ দুটো কারুকাজ করে দিয়েছেন অথবা পিকাসো কোনো এক বিষন্ন বিকেলে শ্বেত শুভ্র পায়রা আঁকতে গিয়ে তার তুলিতে মূহুর্তের টানে এঁকে ফেলেছিলেন মায়াবী এই দুটো চোখ । আমি তখন বাদামের খোসা উড়ানোর মুগ্ধতা থেকে বেরিয়ে এসেছি, হয়তো বাদামের খোসা বাতাসে উড়াচ্ছি এটাও ভুলে গেছি, আমি তাকিয়ে আছি মেয়েটার অদ্ভূত মায়াবী দুটো চোখে, চোখের পাতা নড়ছে আমি দেখছি, পাপড়ি’র নৃত্য দেখছি, পৃথিবীর সব ভুলে যেন ধ্যানমগ্ন হয়ে বসেছি চোখের প্রার্থনায়। প্রার্থনা ভেঙ্গে যায়, সব উলটপালট হয়, মেয়েটার কথায়, কখন যে মেয়েটা আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তা আমি বুঝতে পারিনি, আমার ধ্যান অথবা তার চোখ নিয়ে অজানা এক গন্তব্যে হারিয়ে যেতে যেতে যখন থমকে দাঁড়িয়েছি বাস্তবে, বাস্তবে মানে মেয়েটার কথায়, তখন দেখি মেয়েটা তার সামসাং বারো মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাটা ধরে আছে আমার দিকে।

আমি কি আপনার একটা ছবি তুলতে পারি ?

মেয়েটার এই প্রশ্নে আমি বিব্রত বোধ করি, না আমার মধ্যে অন্য কিছু কাজ করে এটা বুঝতে পারি না। অন্যদিকে মেয়েটা আমার অনুমতির অপেক্ষায় বসে থাকে না, সে একের পর এক তুলে যাচ্ছে আমার ছবি। তার ছবি তোলাটাও আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি, ভাবি, তবে কি আমি ছবি তোলারও সাবজেক্ট হয়ে গেলাম। না না, এই মেয়ে পেশাদার আলোকচিত্রী না, পেশাদার আলোকচিত্রী হলে তার অনেক বড় একটা ক্যামেরা থাকতো, সাথে নানা ধরণের ল্যান্স থাকতো, আর অবশ্যই কাঁধে বড় একটা ব্যাগ ঝোলানো থাকতো। যেহেতু সে ছোট একটা ঘরোয়া ক্যামেরায় ছবি তুলছে, তখন আমি এটাই মনে করি, মেয়েটা এমনিতেই আমার ছবি তুলছে, হয়তো আমাকে বসে থাকতে দেখে তার মনে ছবি বাসনা জেগে উঠেছে, অথবা এমনও হতে পারে আমার বসে থাকার ভঙ্গিটাই তার মনে দাগ কেটেছে।

আপনি আবার বাদামের খোসাগুলো উড়ান না, আগে যেমন বাতাসে উড়াচ্ছিলেন ?

মেয়েটার এই কথাটাই আমার চিন্তায় জল ঢেলে দেয়, আমি খুব সহজেই বুঝে ফেলি আমি কেন তার ছবি তোলার সাবজেক্ট হয়ে গেলাম। মেয়েটা তাহলে বসে বসে আমার বাদামের খোসা বাতাসে উড়ানো দেখছিলো। দেখছিলো-ই তো, না দেখলে কি করে বলে, ‘আপনি আবার বাদামের খোসাগুলো উড়ান না, আগে যেমন বাতাসে উড়াচ্ছিলেন ?
আমি আবার বাদামের ধূসর রঙের ময়লা জড়ানো খোসা ছাড়িয়ে ভিতরের বাদামী রঙের খোসা বাতাসে উড়াতে শুরু করি, এবার যেন আগের থেকে একটু বেশি, একটু যেন দ্রুত, অন্যদিকে মেয়েটা আমার, না বাতাসে ভেসে যাওয়া বাদামের খোসার ছবি তুলছে তা আমি বুঝতে পারি না। কিন্তু তারপরও কেন যেন আমার এটা বুঝতে ইচ্ছে করে না, মনে হয় মেয়েটা ছবি তুলছে তুলুক, প্রশ্ন করার কি আছে। আমার চারপাশ জুড়ে, কানের কাছে, মস্তিস্কে অথবা শরীরের সব শিরা উপশিরায় যেন ছুটে যাচ্ছে শুধু একটা শব্দ- ক্লিক ক্লিক। অথচ আমি অবাক হয়ে দেখি মেয়েটার হাতের ক্যামেরায় কোনো ক্লিক ক্লিক শব্দ হওয়ার মতো কিছুই নেই, অথচ আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়েই যেন ছুটে চলেছে এই ক্লিক ক্লিক শব্দটা।

‌আপনার বাড়ি বুঝি এখানেই ?

মেয়েটার আচমকা প্রশ্নে আমার ভাবনায় আবার ছেদ পড়ে। ঠিক তখনই আমি হারিয়ে ফেলি ক্লিক ক্লিক শব্দের ছন্দ। আবার মন্ত্রমুগ্ধের মতো আমি হারিয়ে যেতে চাই তার অদ্ভূত সুন্দর চোখে। কিন্তু আমি হারিয়ে যেতে পারি না, চোখ নিয়ে নতুন কোনো স্বপ্ন ডালপালা মেলার আগেই আবারো মেয়েটা প্রশ্নটা করে বসে আমাকে।

আপনার বাড়ি কি এখানেই ?

আমি মেয়েটাকে বলতে চাই, আমার বাড়ি এখানে না, আমার বাড়ি একেবারে এই শহরের নাভিমূলে, সড়কমাপের পরিভাষায় যে জায়গাটাকে জিরো পয়েন্ট বলে, যেখানে সবসময় জ্যাম লেগে থাকে, সারাদিন রিকশার টুংটাং অথবা মোটরগাড়ির পিপ পিপ পপ পপ তো আছেই, অথচ আমি মেয়েটাকে কথাগুলো বলতে পারি না। আমি ইচ্ছে থাকলেও তাকে বলতে পারি না, আমার বাড়িতে মনকাড়া কিছু কৃষ্ণচূঁড়া ফুটে আছে, আকাশে তাকালেই মনে হয় যেন লাল শাড়ি পড়ে আছে এক গ্রাম্য বধূ, যেন নতুন গন্তব্যে সে আকাশেই দিবে উড়াল। আমার খুব করে বলতে ইচ্ছে করে, আমার বাড়িটা মূল শহরে হলেও এই নদীটা আমার খুব প্রিয়, এই অভিজাত সিমেন্ট বাঁধানো রূপালি রেলিংয়ের নদীর পাড়ের আভিজাত্য তোমাদের এখানে টেনে নিয়ে এসেছে ঠিকই, কিন্তু আমি এখানে এসেছি এই নদীর টানেই, নদীটাকে আমি আমার বিষন্নতার বন্ধু মনে করি, যখন একা থাকি, নিজেকে যখন সবার থেকে আলাদা এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনে হয়, তখন আমি এই নদীর পাড়ে এসে বসে থাকি, আমার সব বিষন্নতা আর একাকীত্ব আমি বাদামের খোসার মতো বাতাসে উড়িয়ে দেই, আর ভাবি, আমি যদি নদী হতাম, তাহলে রূপালি স্রোতের মতো আমিও ভেসে যেতাম। জানলে অবাক হবে, আমার সমুদ্র দেখার বড় শখ, অনেকদুরের সমুদ্র কিলোমিটারের হিসেবে আমার কাছে চারশো পয়শট্টি দুরে, কিন্তু আমি যদি নদী হই তাহলে সেই দুরত্ব আমার কাছে অনেক কাছের হয়ে যেত, স্রোত হয়ে ভেসে যেতাম সমুদ্রে, সব নদীর অন্তিম গন্তব্য সমুদ্রেই তো হয়!

আমি কথাগুলো মেয়েটাকে বলতে পারি না, দিতে পারি না তার প্রশ্নের উত্তরটাও। সে অবাক হয়ে আমাকে দেখে, আমাকে দেখে না আমার পাশে রাখা বাদামের খোসাগুলো দেখে, এটা ভেবেও আমি দ্বিধার এক জগতে ভাসি। আমার আবার মেয়েটাকে বলতে ইচ্ছে করে, বাদাম আমি খুব বেশি একটা খাই না, এখানে এসে বসলেই নিজেকে একা লাগে, কোন এক কবির লেখায় পড়েছিলাম- সমুদ্রে একা যেতে নেই, এখানে আসার পর আমার কাছে মনে হয় নদীর কাছেও একা যেতে নেই, এখানে আসার পর নিজেকে বিষন্ন লাগে, বড় একা লাগে। একাকীত্বের যে শেয়াল কুকুরেরা হররোজ গোগ্রাসে গিলে খাচ্ছে আমাকে, সেই একাকীত্বের দেয়াল ভাঙ্গতেই আমি এখানে এসে পড়ন্ত বিকেলে বসে থাকি, তারপর একমুঠো বাদাম কিনি, বসে বসে বাদামের খোসা ছাড়াতে আমার ভালো লাগে, বিষন্নতা এসে ভর করে না, বাদামের খোসা উড়িয়ে দিয়ে হয়তো আমার ভিতরে জমাট বেঁধে বসে থাকা বিষন্নতা উড়াতে চাই, একা একাই সময়টা উপভোগ করি, আবার একা একাই বাড়ি ফিরে যাই ।

কি ব্যাপার কথা বলছেন না কেন, আপনি কি কথা বলতে পারেন না ?

আমার এই চুপ করে বসে থাকাটা মেয়েটার কাছেও হয়তো অদ্ভূত লাগে, আমার কাছে যেমন অদ্ভুত লাগে তার চোখ। এজন্যই হয়তো সে আমাকে বোবা ভাবতে শুরু করে। অথচ তাকে চিৎকার করে আমার বলতে ইচ্ছে করে, এই শহরের যান্ত্রিকতা আমাকে বোবা বানিয়েছে, অথবা বলতে পারো তোমার অদ্ভুত সুন্দর দুটো চোখ দেখে আমি বোবা হয়ে গেছি। কিন্তু বরাবরের মতো আমি তাকে কিছুই বলতে পারি না...কিন্তু তাকে অনেক কিছুই আমার বলতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে বলি, এই রূপালি নদীর কথা, যাকে আমরা সুরমা বলে ডাকি। কিন্তু আমি বলতে পারি না, বলতে পারি না আমার প্রিয় নদীর কথা, বলতে পারি না নিজের কথা, বলতে পারি না আমার বাড়িতে থরে থরে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূঁড়ার কথা...বলা আর না বলার মাঝে এক জগতে আমি ভাসতে থাকি, ভাসতে থাকি বাদামের খোসার মতো, এক সুবিশাল দ্বিধার সাগরে।

আমার নাম ফারহানা। বাড়ি এই শহরে না, এখানে থেকে অনেক দুরে, আপনারা যে শহরটাকে প্রাচ্যের ডান্ডি নামে চিনেন, সেই নারায়ণগঞ্জে । এখানে আমি বেড়াতে এসেছি, থাকবো আরো দুদিন, তারপর চলে যাব। আপনার অনেক ছবি তুললাম, আগামীকাল বিকেলে যদি এখানে আসি তাহলে ছবিগুলো আপনাকে দিয়ে যাব। ভালো থাকবেন।

কথাগুলো শেষ করেই ফারহানা মেয়েটা হাঁটতে শুরু করে, আমার ইচ্ছে করে পেছন থেকে ডাক দিয়ে তাকে থামাই, কিন্তু ডাক দিতে পারি না, কেন যেন থমকে যাই। মায়াবী দুটো চোখ যেন আমার কন্ঠ কেড়ে নিয়েছে, যে চোখে আমি মুগ্ধ হয়ে হারিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, অজানা কোনো স্বপ্নের ডালপালা মেলতে চেয়েছিলাম...আমি তাকে আর কিছুই বলতে পারি না।

এরপর দিন বিকেল হওয়ার অনেক আগেই, সময় যখন প্রায় দুপুর তখন আমি গিয়ে বসি একই জায়গায়, যেখানে প্রতিদিন বসে বসে আমি বাতাসে বাদামের খোসা উড়াই। তবে আজকে এই তপ্ত দুপুরে এখানে এসেছি বিষন্নতাকে বাতাসে উড়িয়ে দিতে নয়, রূপালি নদীর স্রোতে ভেসে যেতেও নয়, এসেছি শুধু ফারহানার সাথে দেখা হবে এটা ভেবে। মেয়েটার অদ্ভুত সুন্দর দুটো চোখ আমাকে ঘুমোতে দেয়নি কাল সারারাত। আমি বিছানায় শুয়ে ভেবেছি তার কথা, এপাশে গিয়েছি একবার, ওপাশে একবার, তার মায়াবী চোখে হারিয়েছি ঘুমোবার আগে পর্যন্ত বারবার। সময় গড়িয়ে যায়, আমি বসে থাকি, সূর্য্যটাও পশ্চিম আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছে এটা দেখি। তারপর সন্ধ্যা নামার অনেক পরে যখন বুঝতে পারি ফারহানা আজ আর আসবে না তখন নীড়ে ফিরা পাখির মতো পৃথিবী সমান বিষন্নতা সাথে নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটতে শুরু করি। ফিরতি পথে অনেক চিন্তাই মাথায় এসে বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে, কেন আমি ফারহানার সাথে কথা বললাম না, কেন মেয়েটার কাছে আমার বাড়িতে থরে থরে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূঁড়ার গল্প করলাম না, কেন আমি তাকে রূপালি নদী হয়ে সমুদ্রে যাওয়ার উদ্ভট ইচ্ছের জানালাম না, কেন তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে কথাটা বললাম না, জানো, তোমার চোখ দুটো অসম্ভব সুন্দর, আমাকে কি এই চোখে হারিয়ে যেতে দিবে ?

০২.
ফারহানার সাথে দেখা হওয়ার দুই বছর দুইশো সাইত্রিশ দিন পার হচ্ছে আজ। আমি এই দুই বছর দুইশো সাইত্রিশ দিনের মধ্যে একদিনের জন্যও এই জায়গাটাতে আসতে ভুলিনি। প্রতিদিন এসেছি নিয়ম করে একই সময়ে, প্রতিদিন বসেছি এই রূপালি নদীর তীরে, কত কৃষ্ণচূঁড়া ফুটেছে, কত রাঁধাচূঁড়া ঝরে পড়েছে, একদিন একদিন করে দিনগুলোও পেরিয়ে গেছে, আর আমি অপেক্ষায় আছি, অপেক্ষায় বসে আছি, কোনো একদিন ফারহানা আসবে, এসে আমাকে বলবে, ‌‌এই নিন আপনার ছবি, ছবিগুলো দিতে অনেক দেরি হয়ে গেলো।

ফারহানা আর তার অদ্ভূত মায়াবী চোখ দুটোর কথা ভাবতে ভাবতে বাড়ির ফিরতি পথ ধরি। তখন কীন ব্রীজের নিচে দিগন্তে মিশে যাচ্ছে আমার অপেক্ষার দুইশো সাইত্রিশতম সূর্য্যটা।


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

দারুণ গদ্য, জাস্ট দুর্দান্ত !!
এ গল্পটা অনেকদিন মনে থাকবে আমার..

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জাহামজেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

_______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ। আমারও একটা বিল্ডিং এর বারান্দাতে বসে থাকতে ইচছা করে, কিন্তু আমি অলস, প্রতিদিন পারি না।

জাহামজেদ এর ছবি

বারান্দাতে বসতে অলসতা ! বাহ্, অলসতা তাহলে দীর্ঘজীবি হোক...

_____________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার লাগল গল্পটা।

জাহামজেদ এর ছবি

ধন্যবাদ

______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

মগ্ন হয়ে পড়ছিলাম। তবে ব্রো, আজকাল এমন পাগল কি কেউ আছে যে মেয়েরা যেচে কথা বললে চুপ থাকবে বা তিন বছর ধরে দেখার অপেক্ষায় হোজ্জার মতো বুদ্ধি দেখাবে?

বর্ণনা সুন্দর লাগলো।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

জাহামজেদ এর ছবি

আজকাল এমন পাগল কি কেউ আছে যে মেয়েরা যেচে কথা বললে চুপ থাকবে বা তিন বছর ধরে দেখার অপেক্ষায় হোজ্জার মতো বুদ্ধি দেখাবে?

এমন কেউ আছে বলেই তো এমন গল্পের জন্ম হয় !

________________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

বেলাল আহমেদ [অতিথি] এর ছবি

অসাধারন ভাললাগলো গল্পটি।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক

_________________________________________

সেরিওজা

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনার গল্পচরিত্রের মগ্ন-জায়গাটাকে দুই-মেগাপিক্সেলে খুঁজছি- (বড় করে দেখতে চাইলে ছবিতে ক্লিক করুন)
auto

auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

জাহামজেদ এর ছবি

গল্প ভাবনাটা কিন্তু অ্যালুমিনিয়ামের এই ভাস্কর্যের পাথুরে ধাপে বসেই আমার মাথায় এসেছে। আমার স্কুল বেলা কেটেছে এই জায়গাটাতে, সার্কিট হাউজ আর কিন ব্রীজের পাশেই আমার স্কুল । সিলেটে যাওয়া হলে এই জায়গাটাতে একবার যাই, শৈশবের মতো জায়গাটা আর নেই, অনেক ঝা তকতকে, পুরোপুরি বিনোদন কেন্দ্র !

ছবি সংযুক্তির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

_____________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

তাসনীম এর ছবি

সুন্দর...

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমে দ্বিধায় ছিলাম-গল্পটা পড়ব কিনা। এতো বড় লেখা কে পড়ে?
পড়ে 'মুগ্ধ' হলাম। চমৎকর একটা গল্প পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ

জাহামজেদ এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ

______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

দেবজ্যোতি দাস দেবু এর ছবি

আমাদের শৈশবের সেই কিন ব্রীজের নিচের জায়গাটাকে আগে আমাদের গুরুজনেরা খুব একটা ভালো চোখে দেখতেন না ।এখনো অনেকে সন্ধ্যার পর ঐ জায়গায় থাকাটাকে তেমন একটা ভালো চোখে দেখেন না ।ঐ পরিবেশ নিয়ে যে ভালো কিছু চিন্তা করা যায় তা তোর এই লেখা পড়ে বুঝা যায় ।
ভালো লিখেছিস ।চালিয়ে যা বন্ধু ।

জাহামজেদ এর ছবি

যা, শেষ পর্যন্ত তাহলে তুই বলে সম্বোধন করলি, আমি তো আরো মনে করছিলাম, ভার্চুয়ালি তুই বন্ধুদেরকে আপনি বলিস কিনা !

______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।