অনন্ত দ্যা গ্রেট

জাহামজেদ এর ছবি
লিখেছেন জাহামজেদ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৫/০৯/২০১২ - ৬:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বর্তমান সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা অনন্ত দেশ এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশী মানুষের কাছে ক্যারিয়োরের শুরু থেকেই আলোচনার শীর্ষে 'নানা কারণেই' ! খোঁজ দ্যা সার্চ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা চলচ্চিত্র নায়ক অনন্ত একের পর এক আলোচনায় এসেছেন-আসছেন। একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এই পরিচয়ের বাইরে অনন্ত এখন জনপ্রিয়তায় কোটি টাকা দামের ঢাকাই চলচ্চিত্র তারকা সাকিব খানকেও পেছনে ফেলেছেন। অনন্তের এই জনপ্রিয়তা হয়তো বক্স অফিসে কার্যকরী না-ও হতে পারে। তবে শাকিব খান যেখানে শুধু একটা শ্রেণীর কাছে হিরো এবং সুপারস্টার হিসেবে নিজস্ব একটা অবস্থান তৈরি করে ঢাকাই চলচ্চিত্রের একমাত্র তারকা হয়ে দিনের পর দিন রাজত্ব করছেন, সেখানে অনন্ত শুধু একটা শ্রেণীর কাছে নয়, দেশে ও দেশের বাইরের নানা শ্রেণীর মানুষরে কাছে কোনো না কোনো ভাবে নিজের একটা অবস্থান করে নিয়েছেন। এখন অনন্তকে আমরা এক নামেই চিনি। যেখানে শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্র দেখতে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মধ্যে নাক সিটকানির একটা ভাব আছে সেখানে অনন্তকে নিয়ে হাসাহাসি করার পরও দেশের সব শ্রেণীর মানুষ অনন্ত অভিনীত চলচ্চিত্র সিনেমা হলে গিয়ে দেখছেন। শুধু তাই নয়, অনন্তের এইসব চলচ্চিত্র দেখার জন্য দীর্ঘ লাইনে থেকে টিকেট কিনছেন, কেউ কেউ কাউন্টারের সামনে 'টিকেট শেষ' এমন লেখা দেখে অগ্রীম টিকেটও কিনছেন অনন্ত অভিনীত চলচ্চিত্র দেখার জন্য। অনন্তের সাফল্য হয়তো এখানেই...

আই এম পম গানা

আই এম পম গানা- অনন্তকে নিয়ে হাস্যরসের এটা সবর্শেষ সংযোজন। অনন্তের ইংরেজী উচ্চারণে নানা ভুল আছে, তিনি অনেক সময় বাংলায়ও ঠিকমতো সংলাপ দিতে পারেন না। কিন্তু আমরা যারা সমাজের নানা শ্রেণীর মানুষ তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছি তারা একবারও ভেবে দেখছি না অনন্ত ছাড়াও আমাদের চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন শিল্পে অনেক তারকা আছেন যারা অনন্তের মতো সংলাপও দিতে পারেন না। তারপরও তারা দিনের পর দিন চলচ্চিত্র অথবা টেলিভিশন মাধ্যমে অভিনয় করেই যাচ্ছেন। অনন্তের আগেও অনন্তের মতো করে আরো অনেক ব্যবসায়ী নিজ টাকা বিনিয়োগ করে বাংলা চলচ্চিত্রের হিরো হওয়ার চেষ্টা করেছেন। ডিপজল তো প্রথমদিকে হিরো হওয়ার চেষ্টা করে কোনো সফলতা না পেয়ে কিছুদিন বিরতি নিয়ে আবার চলচ্চিত্রে ফিরে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করে সাফল্যের সুখ দেখেছিল। এছাড়া বাংলা চলচ্চিত্রের নায়করাজ বলে খ্যাত রাজ্জাক নিজের টাকা বিনিয়োগে যে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন তাতে হিরো হিসেবে নিজের ছোট ছেলে সম্রাটকে দিয়ে অভিনয় করাচ্ছেন, যাতে সম্রাট ঢাকাই চলচ্চিত্রে একটা অবস্থান তৈরি করতে পারে। এই দুই উদাহরণ ছাড়াও বাংলা চলচ্চিত্রে নিজের টাকা বিনিয়োগ করে চলচ্চিত্রের 'চ'-ও জানেন না এমন অনেক ব্যক্তি হিরো, পরিচালক হয়েছেন। আমরা কেউ কিন্তু ক্যাম্পাসে, অফিসে, চায়ের দোকানে, ড্রয়িংরুমের আড্ডা অথবা অনলাইনে এসব নিয়ে কথা বলিনি। কিন্তু অনন্তের বেলায় আমরা কথা বলছি, হাসাহাসি করছি এবং ফেসবুক-টুইটার-ব্লগে 'আই এম পম গানা'র ঝড় বইয়ে দিচ্ছি। কিন্তু কেউ একবার ভেবে দেখছি না এভাবেই আলোচনা আর হাস্যরসের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে অনন্ত একটা অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছে ! অথচ আমরা যদি অনন্তের এমন ইংরেজি জ্ঞান একটু ভিন্নভাবে দেখি তাহলে কিন্তু অনন্তকে নিয়ে হাসাহাসি করে অনন্তকে আমরা এনটারটেইনমেন্ট বানাতাম না। ঢাকাই চলচ্চিত্র নিজেই যেখানে একটা এনটারটেইনমেন্ট, সেখানে অনন্ত আজ ঢাকাই চলচ্চিত্রের থেকেও বড় এনটারটেইনমেন্ট ! এটাই তো তার সফলতা। অভিনয় এবং অভিণয়ের বাইরেও সে মানুষকে বিনোদিত করছে ! একজন ব্রিটিশ যদি আজ বাংলায় কথা বলে তাহলে তা শুনতে কেমন লাগবে ? যে ব্রিটিশ জাতি দীর্ঘদিন শাষণ ও শোষণ করেছে আমাদের, সেই জাতির ভাষা ভুলভাবে উচ্চারণ করায় আমরা হাসাহাসি করছি অনন্তকে নিয়ে। অথচ আমাদের তো এটা নিয়ে আরো বেশি খুশি হওয়ার কথা ছিল, একজন মানুষ ভুল ইংরেজিতে তো অন্তত ইংরেজদেরকে ঠাট্টা করছে। চলচ্চিত্র শিল্প যেখানে পুরোটাই বিনোদন সেখানে অনন্তের এই ভুল ইংরেজিতে আমরা কিন্তু তার অভিনীত চলচ্চিত্র না দেখেও বিনোদিত হচ্ছি শতভাগ ! বাংলা চলচ্চিত্রে হিরো হিসেবে যারা প্রতিষ্টিত তারাও কিন্তু অনন্তের থেকে খুব একটা ভালো না। ফেরদৌস-রিয়াজ চলচ্চিত্র থেকে পালিয়ে গিয়ে টেলিভিশনের নাচা-গানা না রিয়েলিটি শো করে বেড়ান। তারা কি করেছেন মৃতপ্রায় এই শিল্পের জন্য। চলচ্চিত্র থেকে পালিযে রিয়াজ হয়েছেন নব্য রিয়েল এস্টে ব্যবসায়ী আর ফেরদৌস এখানে বাজার খুইয়ে বিদেশের মানুষকে বিনোদিত করছেন ! কারণ, পাশে বসে থাকা প্রেমিকাকে সেইসব তথাকথিত হিরোরা এখনো প্রেম নিবেদন করে চিৎকার করে ! অথচ দেশের ১% মানুষও কি সত্যি সত্যি এভাবে প্রেম নিবেদন করে ? অনেক ভালো অভিনয় জানা হিরোদের চলচ্চিত্রেও অশ্লীলতায় ভরপুর থাকতো। অনন্তকে নিয়ে হাসাহাসি চলছে, চলুক। কিন্তু তার অভিনীত চলচ্চিত্র অশ্লীলতায় ভরপুর এমন কথা তো এখনো কাউকে বলতে শোনা যায়নি ! অনন্তের হয়তো ইংরেজি ভুল, উচ্চারণ ভুল, অভিনয় ভুল- সেখানে আরো যারা বাংলা চলচ্চিত্রে হিরো হিসেবে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের সবকিছু কতটুকু শুদ্ধ ?

অনন্ত যেখানে সম্ভাবনাময়

প্রিন্ট, অ্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফী, স্পেশাল এফেক্টস- এসব কারণে অনন্ত অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো এককথায় অসাধারণ। অনন্ত বাংলা চলচ্চিত্রে আসার আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি এত কম সময়েই বাংলা চলচ্চিত্র টেকনিক্যালি টেকনিক্যালি এত এগিয়ে যাবে। যারা আজ অনন্তকে নিয়ে হাসাহাসি করছেন তারা একেবারেই অজ্ঞ কি দূরাবস্থার মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্রে অনন্তের আবির্ভাব। হিন্দি সিরিয়াল আর ডোরেমন-পোকেমন নিয়ে ব্যস্ত উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণী বাংলা চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে স্যাটেলাইটের প্রবল প্রতাপে। চলচ্চিত্র শিল্পে তখন একমাত্র ভরসা ছিল দেশের নিম্নবিত্ত গোষ্ঠী। বাংলা চলচ্চিত্রে তখন একমাত্র হিরো শাকিব খান, আর হিট ছবিগুলোর নাম- রিকশা ড্রাইভারের প্রেম, বস্তির শাহেনশাহ, এক টাকার বউ ইত্যাদি !

যারা চলচ্চিত্র সম্পর্কে একটু খোঁজখবর রাখেন তারা বিষয়টি জানবেন, আর যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি- আমাদের দেশে চলচ্চিত্রের দৃশ্য ধারণ করা হয় ৩৫ এমএম ক্যামেরায়। টেলিভিশন ও বিজ্ঞাপনে ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ শুরু হলেও চলচ্চিত্রে ব্যাপকভাবে ডিজিটালে কাজ শুরু হয়নি। আর যারা ডিজিটালে চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন, তাদেরকেও সেটা ফিল্মে ট্র্যান্সফার করে নিয়ে আসতে হয় দেশের বাইরে থেকে। কারণ, ডিজিটাল মাধ্যমে চলচ্চিত্র তৈরি করা গেলেও তা দেখানোর সুযোগ একমাত্র স্টার সিনেপ্লেক্স ছাড়া আমাদের দেশের সিনেমা হলগুলোতে নেই। তাই অনেকেই ট্রান্সফার সংক্রান্ত ঝামেলা এবং এটা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে এই পথে হাঁটেন না। তাই চলচ্চিত্রের বাজেট কমানোর জন্য একশ্রেণীর প্রযোজক ও পরিচালক চলচ্চিত্র ধারণ শুরু করলেন বেটা ক্যামেরা দিয়ে। তারপর সেটাকে এডিট করে একটা প্রজেক্টরে চালিয়ে দিয়ে সেটা আবার ধারণ করা হতো ৩৫এমএম ক্যামেরা দিয়ে। এইসব চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করা হতো শুধু এক সাকিব খানের পেছনেই। বাকি সবকিছু টেনেটুনে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা ছিল বিনিয়োগকারী-পরিচালক সবার মধ্যেই। এছাড়া মানুষ যেখানে চল্লিশ-পয়তাল্লিশ বছর থেকেই কালার ব্লাইন্ড হতে শুরু করে সেখানে এফডিসির ল্যাবের কালারিস্টদের বয়স বেশিরভাগ ষাটের কাছাকাছি ! আর এসব কারণেই বেশিরভাগ দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রিন্ট ঘোলাটে দেখায়, সংলাপ অষ্পষ্ট শোনা যায়।

অনন্ত এখানেই সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যদের মতো বাঁকা পথে না হেঁটে হেঁটেছেন সোজা পথে। নিজের টাকা ব্যয় করেছেন ভালো অ্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফী, কালার এবং ভালো প্রিন্টের পেছনে। এখানে টাকা খরচের পরিমান অনেক। আমাদের অনেকের ধারণার বাইরেই পুরো বিষয়টি। এত বিনিয়োগ করে টেকনিক্যালি সমৃদ্ধ এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে অনন্তের লাভ হচ্ছে কিনা জানি না, কিন্তু এটুকু জানি লাভ হচ্ছে দেশের চলচ্চিত্রের। কারণ, এসব ক্ষেত্রে অনন্তের দেদারসে টাকা ঢালার কারণেই কিন্তু এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দেশের অন্যসব চলচ্চিত্র নির্মাতারা। তাই এখন ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য একটি গল্প আর যা তা নির্মাণ হলেই চলবে না, টেকনিক্যালি যেতে হবে অনন্ত অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর কাছাকাছি ! বিষয়টা এমন- হাজীর বিরিয়ানি খাওয়ার পর রাস্তার পাশের নাম জানা দোকানে বসে বিরিয়ানি খেতে কারো কি আর ভাল্লাগবে ?

অনন্তকে নিয়ে যাবতীয় হাসাহাসি, আলোচনা-সমালোচনা, কৌতুক চলতেই থাকুক। পৃথিবীর সর্বত্রই তারকাদের নিয়ে এমন হয়। কিন্তু অনন্তের কারণেই তো টেকনিক্যালি সমৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের চলচ্চিত্র- এটা কি কেউ একবারও ভেবে দেখেছেন ?

এই একটা কারণেই অনন্ত গ্রেট। খোঁজ দ্যা সার্চের মতো করে বললে- অনন্ত দ্যা গ্রেট !


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

লেখায় ব্যবহৃত ছবিদুটির সূত্র উল্লেখ করবেন প্লিজ।

স্বপ্নহীন এর ছবি

চলুক

প্রথম ছবিতে জিন্সের হাটুর নিচের অংশটুকু অনেক ভালো লেগেছে। লইজ্জা লাগে

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার মূল বক্তব্যটি কী?
একটু বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্বপ্নহীন এর ছবি

আর একটা বিষয়, এই সব হাসাহাসি নিয়ে আম জনতা যতটা উদ্বিগ্ন, জলিল ভাইয়া কিছু মনে করেন বইলা মনে হয় না, বরং এটাতে তিনি উৎসাহিত হন, এই ঈদে ইন্ডিপেন্ডেট টিভিতে দেখলাম সে নিজেকে দশে আট দিল অভিনয় পেতিভা তে (বর্ষাকেও আট দিছে, কিন্তু বর্ষা দিছে দশে দশ!)
এও বলেছে আজকে দেখেন ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ মানুষ 'মোস্ট ওয়েলকাম' নিয়ে রিভিউ লিখছে, কি লিখছে- পজিটিভ না নেগেটিভ তা সে পরোয়া করে বলে মনে হল না, এই যে আলোচনা হচ্ছে তাতেই সে আপ্লুত।

ধুসর জলছবি এর ছবি

একজন ব্রিটিশ যদি আজ বাংলায় কথা বলে তাহলে তা শুনতে কেমন লাগবে ? যে ব্রিটিশ জাতি দীর্ঘদিন শাষণ ও শোষণ করেছে আমাদের, সেই জাতির ভাষা ভুলভাবে উচ্চারণ করায় আমরা হাসাহাসি করছি অনন্তকে নিয়ে। অথচ আমাদের তো এটা নিয়ে আরো বেশি খুশি হওয়ার কথা ছিল, একজন মানুষ ভুল ইংরেজিতে তো অন্তত ইংরেজদেরকে ঠাট্টা করছে।

নায়ক অনন্ত কি ইংরেজদের ঠাট্টা করার জন্য এভাবে বলে ? ইয়ে, মানে... বাহ। তাহলে বাংলা উচ্চারণ ভুল করে কাদেরকে ঠাট্টা করার জন্য ? চিন্তিত
অনার্য এর মত আমিও লেখার মূল বক্তব্য ঠিক বুঝলাম না। তবে একটা কথা প্রযোজক অনন্ত কে নিয়ে কেউ হাসছে না, হাসছে ভুলভাল উচ্চারণে ( বাংলা, ইংরেজি দুটাই) কথা বলা নায়ক অনন্ত কে নিয়ে। কেউ যদি হাসির খোরাক হওয়ার মত কাজ করে তাকে নিয়ে মানুষ হাসবে এটা কি খুব অস্বাভাবিক ?
আমার যদি প্লেনে করে আকাশে ঘুরতে মন চায় এবং আমার যদি একটা প্লেন কেনার মত সামর্থ্য থাকে , কিন্তু আমি প্লেন চালাতে না জানি তাহলে আমার সামনে দুইটা রাস্তা খোলা থাকবে।১- পরিশ্রম এবং সাধনা দিয়ে প্লেন চালানোটা শিখে ফেলা অথবা একটা পাইলট ভাড়া করা। কিন্তু এই দুটার কোনটা না করে যদি আমি প্লেন নিয়ে আকাশে উড়ার চেষ্টা করি মানুষ আমাকে গর্দভই ভাববে, তাই না? অনন্ত হয় অভিনয় এবং উচ্চারণ, কথাবার্তা ঠিক মত শিখুক অথবা অন্য কাউকে নায়ক বানাক। তখন প্রযোজক অনন্ত কে আমি হাজার বার বাহবা দিবো।
আর আমার ব্যক্তিগত ভাবে সবচেয়ে খারাপ লেগেছে যে অনন্ত এর যখন টাকা খরচ করার মত সামর্থ্য এবং ইচ্ছে আছেই, তখন ভাল কাহিনী নিয়ে ( নায়ক কে মেরে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়ার পর সে ঘুম ভেঙ্গে দেখে ভাসতে ভাসতে মেক্সিকো উপসাগরে চলে আসছে, ইয়ে, মানে... দেঁতো হাসি অনন্তের একটা মুভির গল্প এটা ) ভাল অভিনয় দিয়ে ভাল একটা সিনেমা বানালে ক্ষতি কি ছিল। মন খারাপ

স্যাম এর ছবি

চলুক

তিথীডোর এর ছবি

প্রযোজক অনন্ত কে নিয়ে কেউ হাসছে না, হাসছে ভুলভাল উচ্চারণে ( বাংলা, ইংরেজি দুটাই) কথা বলা নায়ক অনন্ত কে নিয়ে। কেউ যদি হাসির খোরাক হওয়ার মত কাজ করে তাকে নিয়ে মানুষ হাসবে এটা কি খুব অস্বাভাবিক ?

সেটাই।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

--- ঠুটা বাইগা

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
Debashish এর ছবি

"অথ্চ আমাদের তো এটা নিয়ে আরো বেশী খুশী হওয়ার কথা ছিল, একজন মানুষ ভুল ইংরেজীতে তো ইংরেজদেরকে ঠাট্টা করছে।" ----------------------একজন মানুষ ইংরেজী ভাষাটা না জানতে পারে, সেটা আপত্তিকর না। কিন্তু অনন্ত তার ভুল উচ্চারণের ইংরেজী দিয়ে ইংরেজ জাতটারে ঠাট্টা করতেছে, এই উপপাদ্যে আবিষ্কার করে বসলে সেটা অসুস্থ লোকের প্রলাপ বলে মনে হয়। তাহলে ভুলভাল হিন্দিতে কথা বলা সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদের অজুহাত হিসাবে জায়েজ হয়ে যায় নাকি কষ্ট করে উর্দু বললে পাকিদের একহাত নিলাম বলে ধরে নেয়া যায় ?

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
Masud এর ছবি

"আর ইউ পোম গানা" - এই বিখ্যাত ডায়ালগ নিয়ে আমরা যারা সমালোচনা করি, সেটা কিন্তু শুধু জলিল সাহেবের ইংরেজি উচ্চারণের জন্য না | এই ডায়ালগ টা ছিলো অসম্ভব রেসিস্ট, যারা এখনো বুঝতে পারছেন না তারা আবার দয়া করে ইউ টিউবে গিয়ে ভিডিওটা দেখে নিবেন | একটা লোকের চেহারা ভালো না তাই তাকে ইনসাল্ট করে জলিল এই কথাটা বলেছিল !

শোয়েব মাহমুদ সোহাগ এর ছবি

চলুক

guest_writer Atiq Rarri এর ছবি

আমি অনন্তর একটা ছবিও দেখি নাই। খোঁজ দ্যা সার্চ -নামটা শুনেই অনন্ত সম্পর্কে একটা ধারনা তৈরী হয়েছে, ধারনাটা সত্যিকার অর্থে ইতিবাচক নয় বরং বেশ খানিকটা কৌতুককর। এটা থেকে বের হবার চেষ্টায় আছি। মোস্ট ওয়েলকাম ছবিটা অবশ্যই দেখব। আপনাকে ধন্যবাদ।

নীলম এর ছবি

ধূসর জলছবি আপুর সাথে পুরোপুরি একমত।

অনন্ত যতটুকু ভালো কাজ করেছে তার ফলাফল সে পাচ্ছে সবাই হলে গিয়ে তার সিনেমা দেখছে। আর যতটুকু ভালো হচ্ছে না (দুর্বল কাহিনী, অভিনয়) তার জন্য সমালোচনা শুনছে। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।

খাইশুই এর ছবি

অনন্ত বাংলা চলচিত্রে নতুন মাত্রা (প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ) এনেছেন, অনন্ত দেশপ্রেমিক, অনেকের চাইতে শ্রেয়তর ইত্যাদি কারনে অনন্তকে নিয়ে হাসাহাসি করা যাবে না, এ ধরনের চিন্তায় আমার কিছুটা দ্বিমত আছে। যে খেলোয়াড় ক্যাচ্‌ ধরতে গিয়ে বারেবারে নাক ফাটিয়ে ফেলেন, তাকে নিয়ে হাসাহাসি হবেই। সমাধান একটাই-- খেলা শিখে মাঠে নামতে হবে। সম্ভব না হলে ভালো/চলনসই খেলোয়াড় ভাড়ায় খাটাতে হবে। এবং গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে হবে।

মানবিক কারনে হাসাহাসি থেকে বিরত থাকলে ঠিক আছে। এটা মহৎ হৃদয়ের লক্ষন।

সত্যপীর এর ছবি

মন্তব্যে পাঁচতারা দিলাম। শেষ লাইনে দশতারা দিলাম।

..................................................................
#Banshibir.

খাইশুই এর ছবি

হে হে। আপনের দেয়া পনেরটা থিকা চাইড্ডা তারা অনন্তরে দিয়া দিলাম, বলেন মারহাবা! বহুত মেহেনত করতাছে ভদ্রলোক।

কালো কাক এর ছবি

চলুক

হিমু এর ছবি

আপনার লেখাটা খুব দুর্বল হয়েছে। প্রচুর স্ববিরোধিতায় ভরা। আপনি এক বাক্যে জলিলকে নিয়ে হাসাহাসির সমালোচনা করছেন, পরের বাক্যে বলছেন জলিল যে দর্শককে বিনোদন দিচ্ছে সেটা যেন স্মরণ রাখা হয়। আরে ভাই জলিল তো বিনোদন দিচ্ছেই লোক হাসিয়ে। তাহলে আবার লোকে হাসলে চটেন কেন?

জলিলকে নিয়ে হাসতে গেলে পদে পদে স্মরণ করতে হবে সে সিনামাজগতের একজন বুজুর্গ ব্যক্তি, এই হচ্ছে আপনার পোস্টের সারবক্তব্য। দুনিয়াতে কেউই স্যাটায়ারের ঊর্ধ্বে না। জলিল তো আরও না। তারে নিয়ে কোনো রকম চুলচেরা বিশ্লেষণ ছাড়াই পাবলিক ঘন্টার পর ঘন্টা হাসার অধিকার রাখে। সে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় রুস্তম হলেও কিছু এসে যায় না।

খাইশুই এর ছবি

তারে নিয়ে কোনো রকম চুলচেরা বিশ্লেষণ ছাড়াই পাবলিক ঘন্টার পর ঘন্টা হাসার অধিকার রাখে

দেঁতো হাসি

Kibria এর ছবি

সিনেমা তৈরী হয় একটা টার্গেট গ্রুপের জন্য |একটা ছবি সব শ্রেনীর দর্শকরা দেখবে তা না |জলিল ভাই যেই গ্রুপের জন্য ছবি বানাচ্ছেন তারা তো ছবিটাকে নিচ্ছে |
সে নায়ক হিসেবে সফল কি না তা বলার সময় এখন ই না |
সমালোচনা চলছে,চলুক .....
জলিল ততক্ষণ ফার্স্ট,যতক্ষণ না তাকে কেউ টপকে যায় |

ফাহিম হাসান এর ছবি

উপরে ধুসর জলছবি আর হিমুর মন্তব্যের সাথে একমত।
প্রিন্ট, অ্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফী, স্পেশাল এফেক্টস- এসব কারণে অনন্ত অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো এককথায় অসাধারণ।
- একটু বেশি হয় গেল না? অন্যান্য দেশী ছবির তুলনায় ভালো কিন্তু এক কথায় অসাধারণ বলার মত না। প্রিন্টের কথা বললে তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলামের ছবির প্রিন্ট যথেষ্ট ভাল। আর আমি খোঁজ দ্য সার্চ দেখেছি। সিনেমাটোগ্রাফি অতি জঘন্য লেগেছে।চলচ্চিত্রের একটা নিজস্ব ব্যাকরণ আছে। দেখতে চকচকে হওয়া মানেই সিনেমাটোগ্রাফি ভালো না।

কাজি_মামুন   এর ছবি

প্রিন্ট, অ্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফী, স্পেশাল এফেক্টস- এসব কারণে অনন্ত অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো এককথায় অসাধারণ।
- একটু বেশি হয় গেল না?

সত্যি বেশি হয়ে গেছে, যেখানে এমনকি 'অসাধারণ' বলাতে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে, সেখানে 'এক কথায় অসাধারণ' বড্ড বেশী প্রশংসা, অনেকটা উলু বনে মুক্তো ছড়ানোর মত।
আসলে অনন্তের ছবির 'প্রিন্ট, অ্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফী, স্পেশাল এফেক্টস' মোটেই মন ভরায় না, কৃত্রিমতার দৈন্যে প্রকটভাবে কাঁপতে থাকে রূপালি পর্দা, চকচকে অ্যাকশনের চোটে দর্শকদের চোখ ফেটে চৌচির হয়ে যেতে থাকে।

তবে অনন্তের দুর্বলতাগুলো যদি কোন সৃজনশীল তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাকে জাগিয়ে তোলে হলিউডের কাছাকাছি মানের কোন অ্যাকশন ছবি নির্মাণে, তাহলে সে কৃতিত্বের কিছুটা ভাগ অনন্ত পেতেই পারে।

ওয়াসি এর ছবি

দেখতে চকচকে হওয়া মানেই সিনেমাটোগ্রাফী ভালো না

চকচকে প্রিন্ট মানেই ভাল সিনেমাটোগ্রাফী এটা কি লেখার কোথাও বলা আছে ?

চলচ্চিত্রের একটা নিজস্ব ব্যাকরণ আছে

ফিল্ম যেহেতু একটা সৃষ্টিশীর ও সৃজনশীল কাজ তাই এটা কখনো ব্যাকরণ মেনে চলে না। একেকজন নির্মাতার কাছে ফিল্মের ব্যাকরণ একেকরকম। ফিল্ম'কেই তো আমরা এদেশে দু'ভাগে ভাগ করে ফেলেছি- বাণিজ্যিক ফিল্ম আর আর্ট ফিল্ম ! এখন এ দু'জায়গাতে কি একই ব্যাকরণ মানা হবে ?

এছাড়া আপনি দুজন ফিল্মমেকারের নাম বললেন। তাদের কিছু ফিল্মের নামও সংযুক্ত করে দেন। মানুষ তাদের কয়টা ফিল্ম দেখেছে এটাও আপনার জানা থাকা দরকার। ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রির বাইরে গিয়ে 'আর্ট ফিল্ম আর্ট ফিল্ম' করে বাংলা ফিল্মকে কিছু বেণিয়া-ধুরন্ধর-অশিক্ষিত মানুষের হাতে দিয়ে পুরো ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রি ধ্বংস করার পেছনে কিন্তু এদের অনেক অবদান আছ। এনারা কিন্তু ফিল্ম বানান আপনার আমার জন্য, আর কিছু পত্রিকার বাহবা পাওয়া জন্য, এনারা কখনো সাধারণ মানুষের জন্য ফিল্ম বানান না।

হিমু এর ছবি

সাধারণ মানুষের জন্য ফিল্ম বানানোর প্রসঙ্গ যখন উঠলোই, তখন আরেকটা ফ্যাক্টর বিবেচনা করুন। সাধারণ মানুষ যে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখেন, সেগুলোর কারিগরি হাল খুব করুণ। সাউন্ড সিস্টেম খারাপ, প্রোজেকশন ইউনিটের অবস্থা খারাপ। আপনি সেখানে অনন্তর সিনামা ছাড়লে যেমন দেখা আর শোনা যাবে, মন্তাজুর রহমান আকবেরর সিনামা ছাড়লেও একই রকম দেখা যাবে। একটা প্রসেস তার সবচেয়ে দুর্বল লিঙ্কের সমান শক্তিশালী। অনন্ত প্রোডাকশন এন্ডে কোয়ালিটি ঠেসে ভরে ফাটায়ে ফেললেও কোনো লাভ নাই যদি না প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে "সাধারণ মানুষের" কাছে সেই কোয়ালিটি পৌঁছানোর বন্দোবস্ত থাকে। এটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্য প্লেয়াররা জানে। জানে বলেই তারা কোয়ালিটির পেছনে খুব বেশি বিনিয়োগ করে না। সাধারণ মানুষের জন্য ফিল্ম বানাতে হলে প্রেক্ষাগৃহে সংস্কার করতে হবে সবার আগে।

স্যাম এর ছবি

সাধারণ মানুষের জন্য ফিল্ম বানাতে হলে প্রেক্ষাগৃহে সংস্কার করতে হবে সবার আগে

চলুক চলুক

ফাহিম হাসান এর ছবি

@ওয়াসি:

১। পোস্টের কোথাও সিনেমার কারিগরী দিক নিয়ে আলোচনা নাই। "সিনেমাটোগ্রাফি এক কথায় অসাধারণ" - এই বক্তব্যটা তাই প্রিন্ট কোয়ালিটি আর স্পেশাল ইফেক্টের উপর ভিত্তি করেই এসেছে। বিটুইন দ্য লাইন পড়লেই তা স্পষ্ট বোঝা যায়।

প্রিন্ট, অ্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফী, স্পেশাল এফেক্টস- এসব কারণে অনন্ত অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো এককথায় অসাধারণ। অনন্ত বাংলা চলচ্চিত্রে আসার আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি এত কম সময়েই বাংলা চলচ্চিত্র টেকনিক্যালি টেকনিক্যালি এত এগিয়ে যাবে। যারা আজ অনন্তকে নিয়ে হাসাহাসি করছেন তারা একেবারেই অজ্ঞ কি দূরাবস্থার মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্রে অনন্তের আবির্ভাব। - জাহামজেদ

২। এবার আসি ব্যাকরণের প্রসঙ্গে। ফিল্ম অবশ্যই একটা সৃজনশীল কাজ - কিন্তু এই সৃজনশীলতারও একটা কাঠামো আছে। ভারতীয় মেগা-সিরিয়ালগুলো দেখুন - হাই-এন্ড ক্যামেরায় শুট করা, এডিটিং, স্পেশাল ইফেক্টও বেশ ভালো - কিন্তু আদতে ঐ টেকনিকাল অ্যাস্পেক্ট শুধুই গার্বেজ। একটা ইউটিউব ফুটেজ দিচ্ছি -

চড়-থাপ্পড়ের সিনটা দেখুন - ক্যামেরাইয় বেশ কসরত করে ড্রামা ফোটানোর চেষ্টা করা হয়েছে - কিন্তু পুরা ব্যাপারটাই হাস্যকর দেঁতো হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

@ওয়াসি:

এছাড়া আপনি দুজন ফিল্মমেকারের নাম বললেন। তাদের কিছু ফিল্মের নামও সংযুক্ত করে দেন। মানুষ তাদের কয়টা ফিল্ম দেখেছে এটাও আপনার জানা থাকা দরকার।

দ্বিপু নাম্বার টু বা আমার বন্ধু রাশেদ - এ ধরনের চলচ্চিত্র পত্রিকায় বাহবা পাওয়ার জন্য বা পুরস্কার জেতার জন্য বানানো হয়েছে বলে মনে হয় না।

ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রির বাইরে গিয়ে 'আর্ট ফিল্ম আর্ট ফিল্ম' করে বাংলা ফিল্মকে কিছু বেণিয়া-ধুরন্ধর-অশিক্ষিত মানুষের হাতে দিয়ে পুরো ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রি ধ্বংস করার পেছনে কিন্তু এদের অনেক অবদান আছ। এনারা কিন্তু ফিল্ম বানান আপনার আমার জন্য, আর কিছু পত্রিকার বাহবা পাওয়া জন্য, এনারা কখনো সাধারণ মানুষের জন্য ফিল্ম বানান না।

আপনার অভিযোগটা গুরুতর কিন্তু মূলত অর্থহীন। "সাধারণ মানুষ" এর সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। একজন নির্মাতার টার্গেট অডিয়েন্স থাকতেই পারে - এতে দোষের কিছু নাই। এমনভাবে "আর্ট ফিল্ম মেকার" বললেন যে ওনারা রীতিমত ক্রিমিনাল। এরাই কিন্তু যে ঘন্টার পর ঘন্টা এফডিসির অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের সাথে আলোচনা করে একটা অবস্থানে আসতে চেয়েছিল - পারে নাই সেটা তাদের ব্যর্থতা। তারেক মাসুদ ব্যবসা করতে চান নাই (এজন্য তার ছবি রানওয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় প্রথম মুক্তি পায় নাই, পেয়েছিল সিরাজগঞ্জে)।

আর্ট ফিল্ম বলে নাক সিঁটকানোর কিছু নাই। যে যার জায়গায় দাঁড়িয়ে বেস্ট এফোর্ট দেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যক্রিগতভাবে আমি মনে করি তারেক মাসুদ, মোরশেদুল ইসলাম, তানভীর মোকাম্মেলের কাজ তরুণ চলচ্চিত্রকারদের রূচি, দক্ষতা আর আগ্রহ - এই তিন ক্ষেত্রেই বিশাল ইম্প্যাক্ট ফেলেছে। আপনার ক্ষোভটা বুঝতে পারছি কিন্তু এই দিকটাও চিন্তা করে দেখুন।

(আগ্রহ থাকলে আলোচনা চলতে পারে)

সুমাদ্রী এর ছবি

চলচ্চিত্র যে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্যই এমনটা হবে কেন? চলচ্চিত্র একটা শিল্প মাধ্যমও বটে। চলচ্চিত্র দর্শকের ভাবনার জায়গাটাকে একটা নাড়াও দেয় কিন্তু। আর বিনোদনেরও রকম ফের আছে। অশ্লীলতায় ভরপুর ফিল্মগুলোও দর্শকদের বিনোদিত করত কিন্তু। এখনও করে। তবে সেটাকে সুস্থ বিনোদন বলা যাবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। আমাদের মূলধারার বাংলা ছবিগুলো দর্শকদের সংবেদনশীল করতে ব্যর্থ, সুস্থ বিনোদনও দিতে পারেনা। জলিলের ছবির বিনোদনটাও খুব একটা উচ্চাঙ্গের না। অনন্ত স্রেফ ব্যবসা করতেই এই লাইনে এসেছে বলে মনে হয়। তার চলচ্চিত্রগুলো হাস্যকর। তবে এরকম মার-দাঙ্গা আর নাচ-গানে ভরপুর ছবি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পটার কতটুকু মান পরিবর্তন করতে পারবে সেটা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দিহান আমি। তারেক মাসুদের ছবি কিন্তু ব্যবসা অসফল ছিল না।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কারিগরি দিক দিয়ে নিয়মিত ও ক্রমাগত উন্নতির ক্ষেত্রে সহমত।

তবে হাসাহাসিতে ছাড় নাই দেঁতো হাসি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অনন্তকে নিয়া 'হাসাহাসি'র এই সাম্প্রতিক ইভেন্টের আগে তার 'অবদান' নিয়া বিশেষ কোনো পোস্ট কাউরে দিতে দেখলাম না।

মানুষ যেখানে চল্লিশ-পয়তাল্লিশ বছর থেকেই কালার ব্লাইন্ড হতে শুরু করে

আসলেই ????


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

তেলতেলে আর কুযুক্তিতে ভরা। "জনাব জ্ঞানা" দেশের সবার কাছে প্রিয়, অন্য কোনো নায়ক নয়; অন্যান্যদের উচ্চারণও শুদ্ধ নয়; তিনি চলচ্চিত্রে টাকা ঢেলে উদ্ধার করে দিয়েছেন - এইসব কারণে তার সমালোচনা করা যাবে না। ইনডেমনিটি দিতে হবে। একেবারে সুমন বিরহমানের চ্যালাদের মত যুক্তি।

জাহামজেদ এর ছবি

সমালোচনা করা যাবে না এটা কিন্তু বলিনি ! পোষ্টে অনন্তকে নিয়ে হাসাহাসি আর আলোচনা-সমালোচনা চলছে-চলবে এটা কিন্তু বলা আছে। কিন্তু পোষ্টের মূল বিষয়টা চলচ্চিত্রের টেকনিক্যাল পার্ট। এই বিষয়টাই কিন্তু পোষ্টের মূল বক্তব্য, অনন্তকে মহান করার জন্য কিন্তু এই পোষ্ট না। খেয়াল কইরা...

অনন্তের এসব চলচ্চিত্রের কারণে পুরনো এবং নতুন অনেকেই একটা টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে গিয়েই সম্ভাবনাময় অনেক তরুণের হাতে ভালো চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে এমন কিছু চলচ্চিত্রের কিছু কিছু দেখেছি, সেইসব চলচ্চিত্রের নির্মাতারা তাদের চলচ্চিত্র টেকনিক্যালি আরো সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
টেকনিক্যালি এমন একটা চ্যালেঞ্জে কিন্তু তাদেরকে অনন্তই ফেলেছে ! এই চ্যালেঞ্জ আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য প্রয়োজন ছিল।

অনন্ত মহান না, আর দশজনের মতোই। তাকে নিয়ে মানুষ হাসলে এতে তার বিনে পয়সার মার্কেটিং হয়, বিনে পয়সায় এমন প্রচারণা কজনের ভাগ্যে জুটে ?

দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিকের সাথে তুলনা করায় পুরাই মাইন্ড খাইলাম। ব্যক্তিগত ভাবে ভদ্রলোককে আমি নিজেও অপছন্দ করি।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

শিশিরকণা এর ছবি

জলিল ভাই সফল। এনি পাব্লিসিটি ইজ গুড ফর বিজনেস সে যে এই তত্ত্বে বিশ্বাসী সেটা তার কথা শুনেই বুঝা যাচ্ছে। জলিলকে সালাম এই কারনে,
১, সে সিনেমার টেকনিক্যাল দিক উন্নত করতে টাকা ঢেলেছে, নিম্নবিত্ত দর্শক বলে তাকে যা খাওয়ানো হবে তাই খাবে, এর চিন্তার বাইরে গিয়ে ভালো মানের প্রিন্ট এ খরচ করেছে। ঢেপসী নায়িকার বদলে মোটামুটি জাতের নায়িকা নিয়েছে। এর আগেও বহু ব্যাবসায়ী সিনেমা বানিয়ে কালো টাকা সাদা করেছে, কিন্তু সিনেমার মান নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি, বরং এরাই বাংলা সিনেমাকে স্থূল পর্ন এর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল।
২, জলিলের হাস্যকর অভিনয় আর উচ্চারণ সমন্ধে পাব্লিকের হাসাহাসি থেকে আসল মেসেজটা ঠিকই আমলে নিয়েছে, যে তার উচ্চারণ ঠিক করতে হবে, অভিনয় ভালো করতে হবে, যদি সে নায়ক হতে চায়। এমন না যে সে সব কিছুর থোড়াই পরোয়া করে সিনেমা করে যাচ্ছে। দুই নাম্বার ছবিতে সে কিন্তু সবচে ভালো আর্টিস্ট দিয়ে ডাবিং করিয়েছে। কিন্তু তার যে নিশে দর্শক আছে, তাদেরকে হলে টানতে পারেনি দেখে নিজেকে হাসির পাত্র করে হলেও তৃতীয় ছবিতে নিজে ডাবিং করেছে, সিনেমা ব্যবসা সফল করতে। বুঝে শুনে নিজেকে হাসির পাত্র বানাতে কলিজা থাকা লাগে।
৩, আমার ধারণা সে বাজেটে টাকা বাচাতে নিজেকে আর বউকে নায়ক নায়িকা হিসেবে কাস্ট করে, তাছাড়া তার নিজের বহু দিনে সিনেমার নায়ক হবার শখও পূরণ করে। নিজের যোগ্যতা সমন্ধে জলিল ভাই ভালোই সজাগ, তারপরেও সমালোচনা হজম করার মত বুকের পাটা ( উনার মত উন্নত বক্ষ থাকতে হবে) নিয়ে শখ পূরনে মাঠে নামাটা সাহসের ব্যাপার। আমরা অনেকেই কথা বলি, কাজের বেলায় চুপসে যাই।

জলিলকে বাহবা দেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত সমালোচনা ও হাসাহাসি উপহার দেয়া উচিত। উনার শিখার এবং উন্নতির চেষ্টা করার মানসিকতা আছে। লেগে থাকলে এক সময় সাইজ হয়ে যাবে। তার টার্গেট ভালো মানের কমার্শিয়াল ছবি, তাকে সেই মত ভালো ফিডব্যাক দেয়া দরকার।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

বন্দনা এর ছবি

চলুক

শাব্দিক এর ছবি

বুঝে শুনে নিজেকে হাসির পাত্র বানাতে কলিজা থাকা লাগে।

চলুক

নিজের যোগ্যতা সমন্ধে জলিল ভাই ভালোই সজাগ, তারপরেও সমালোচনা হজম করার মত বুকের পাটা ( উনার মত উন্নত বক্ষ থাকতে হবে) নিয়ে শখ পূরনে মাঠে নামাটা সাহসের ব্যাপার।

হ সেইটাই।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

পল্লব এর ছবি

চলুক

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

ইঁদুর এর ছবি

চলুক

একলব্য এর ছবি

তাইলে আর মাহফুজুর বাদ থাকে কেন? সেও মাহফুজ দ্যা সিটিএন নামের ছবিতে কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে হিরোর পার্টে নেমে যাক। টাকা লগ্নি করলে আর কিছু কওন যাইতু ন।
আচ্ছা ভাই আরেকটা কথা, চল্লিশের পর মানুষজন কালার ব্লাইন্ড হয়ে যায়? একটু রেফারেন্সটা যদি দিতেন দয়া করে। আই অ্যাম পম জ্ঞানা। আমার জ্ঞানে বিরাট ঘাটতি আছে।

খেকশিয়াল এর ছবি

চারিদিকে দেখি বিনোদনই বিনোদন হাহাহাহাহাহা গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নাবিল ফরহাদ এর ছবি

অনন্তের অভিনয়, তাকে নিয়ে মানুষের হাসাহাসি এসব বাইরে এখানে সম্ভবত কথা বলা হয়েছে সিনেমার কারিগরী বিষয়গুলো নিয়ে। অনেকে নানা বিষয়ে কমেন্ট করছেন, অথচ নিজের অজান্তেই এড়িয়ে যাচ্ছেন পোষ্টের মূলকথা। পোষ্টের মূল কথা আমার কাছে মনে হচ্ছে 'অনন্ত যেখানে সম্ভাবনাময়' এই প্যারাটাই। কারিগরী দিক দিয়ে বাংলা সিনেমার অবস্থা যাচ্ছেতাই। অনন্ত অভিনীত সিনেমাগুলো এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম। পোষ্টে তো লেখক বলেই দিয়েছেন, কারিগরী দিক দিয়ে অন্য নির্মাতারা এখন অনন্তের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন।

সিনেমার এই একটি জায়গায় অনন্ত তো অন্যদেরকে পথ দেখাচ্ছেন। এ কারণেই আমরা ভবিষ্যতে ভাল নির্মাতার কাছ থেকে ভাল গল্পের পাশাপাশি কারগিরী দিক দিয়ে সমৃদ্ধ সিনেমা পাব, এটা আমাদের জন্য কম কি ? মানুষের খারাপ দিকগুলো শুধু কেন দেখতে হবে, তার ভাল দিকটির প্রশংসা করাও শেখা উচিৎ আমাদের।

আর একটা কথা, কারিগরী বিষয় নিয়ে এখানে পোষ্টদাতা অনেককিছুই লিখেছেন। তার বিন্দু পরিমানও আমার জানা নেই। তাই ইচ্ছে থাকলেও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে যিনি লিখেছেন, তিনি কারিগরী বিষয়গুলো জানেন বলেই মনে হচ্ছে !

সত্যপীর এর ছবি

অনন্তকে নিয়ে যাবতীয় হাসাহাসি, আলোচনা-সমালোচনা, কৌতুক চলতেই থাকুক। পৃথিবীর সর্বত্রই তারকাদের নিয়ে এমন হয়। কিন্তু অনন্তের কারণেই তো টেকনিক্যালি সমৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের চলচ্চিত্র- এটা কি কেউ একবারও ভেবে দেখেছেন ?

ভাবতে বসলাম। সময় লাগব, ততক্ষণ আপনে একটা ছড়া শুনেন। রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের ছড়া। শেষ চাইর লাইন খুব খিয়াল কৈরাঃ

"হাসতে নাকি জানেনা কেউ
কে বলেছে ভাই?
এই শোন না কত হাসির
খবর বলে যাই।

খোকন হাসে ফোঁকলা দাঁতে
চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে

কাজল বিলে শাপলা হাসে
হাসে সবুজ ঘাস।
খলসে মাছের হাসি দেখে
হাসে পাতিহাঁস।

টিয়ে হাসে, রাঙ্গা ঠোঁটে,
ফিঙ্গের মুখেও হাসি ফোটে

দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা
হাসতে সবাই চায়
বোয়াল মাছের দেখলে হাসি
পিলে চমকে যায়।

এত হাসি দেখেও যারা
গোমড়া মুখে চায়,
তাদের দেখে পেঁচার মুখেও
কেবল হাসি পায়।
"

..................................................................
#Banshibir.

দীপাবলী এর ছবি

চলুক

Masud এর ছবি

চলুক

বন্দনা এর ছবি

মেলাদিন পর কবিতাটা পড়লাম, আপনার মেমোরীতো সেরম পীরসাহেব।

শাব্দিক এর ছবি

দেঁতো হাসি চলুক

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

কিছুদিন আগে পাবলিক ফাটাইয়া শুনতো "কোলাভেরি"(ইনপুট)
মাঝখানে- চাল্লু ইয়ে, মানে... চিন্তিত খাইছে অ্যাঁ চোখ টিপি শয়তানী হাসি দেঁতো হাসি (প্রসেসিং)
শুনতে শুনতে এখন মুখ দিয়ে বের হচ্ছে "আর ইউ পম জ্ঞানা"(আউটপুট)...( পাঁচ আঙ্গুল দিয়ে মাথা চুলকানোর ইমো হবে)

অতিথি লেখক এর ছবি

খোজ দা সার্চ অল্প একটু দেখেছিলাম, বেশি সহ্য করতে পারিনি। অনন্ত জলিল পরের ছবিতে মনে পাথর রেখে অন্য ডিরেক্টর এবং নায়ক নিবেন এই কামনা করি।

শাব্দিক এর ছবি

ইউ পম জ্ঞানা?

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নিলয় নন্দী এর ছবি

লেখাটাসহ সবার মতামত পড়লাম।
শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে জলিল সাহেব সফল হয়ে উঠেছেন।
সচলায়তনের মতো ব্লগে ওনাকে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলছে।
একটা বাণিজ্যিকধর্মী বাংলা ছবির জন্য এটা বিরাট পাওয়া।
ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!

ওয়াসি এর ছবি

অনন্ত হাসির পাত্র নিঃসন্দেহে। বরাবরই তার কার্যকলাপ হাসি জাগানিয়া। হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করা, ভুল উচ্চারণে নানা ধরণের সংলাপে মানুষকে হাসার সুযোগ কিন্তু অনন্তই করে দিচ্ছে। হতে পারে এটা তার নিজের ও ফিল্মের পাবলিসিটির জন‌্য। যতটুকু জানি তার নিজের প্রচারণার জন্য একটি পিআর এজেন্সী কাজ করে থাকে। অনন্তের আগে বাংলাদেশের কোনো ফিল্ম বা ফিল্মের হিরোদের পিআর এজেন্সীর মাধ্যমে তার প্রচারণা চালানোর কথা শুনিনি। একটা মানুষ নিজে কতটুকু সচেতন হলে একটা পিআর এজেন্সীর মাধ্যমে নিজের প্রচারণার কাজ করতে পারে তা কিন্তু চিন্তা করার মতোই বিষয়। তবে আমার মনে হচ্ছে এই লেখায় অনন্তকে নিয়ে হাসাহাসি, তার ভুল উচ্চারণ আর সংলাপ এসবের বাইরেও কিছু কথা বলা হয়েছে। এখানে ব্লগ লেখক যে সম্ভাবনার কথা বলেছেন তা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এমন কথা সত্যিকার অর্থেই আশা জাগানিয়া- অনন্তের কারণেই কিন্তু এখন টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন অন্য নির্মাতারা। যারা ভালো গল্পের ফিল্ম তৈরি করেন, যদিও বাংলাদেশে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, তারাও এখন টেকনিক্যালি তাদের ফিল্মকে অনন্তের ফিল্মের মানের সিনেমাটোগ্রাফী, কালার, ভিএফএক্স এবং প্রিন্টের মানের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। মানতেই তো হবে, বাংলা ফিল্মের ডিরেকটরদেরকে এরকম চ্যালেঞ্জ দেয়ার কেউও ছিল না। অনন্তের অনেক নেগেটিভ বিষয়ের মধ্যে এটা একটা পজেটিভ বিষয়। এটা মানতেই হবে। কারণ, একটা ফিল্মের পোষ্টে যে পরিমান টাকা খরচ করতে হয় তা আমাদের দেশের প্রডিউসাররা করার প্রয়োজনই মনে করে না। এখন মার্কেটে যখন চাহিদা তৈরি হবে তখন তাদেরকেও একই পথে হাঁটতে হবে। অনন্ত এই একটি কারণে অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

যদিও হিরো হিসেবে তাকে উন্নতি করতে হলে অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে। তার আগে তাকে নিয়ে হাসাহাসি চলবে, আর হয়তো এই হাসাহাসি সে এনজয়ও করে!

ক্লোন৯৯ এর ছবি

এই মন্তব্যে চলুক

ইঁদুর এর ছবি

লেখার কিছু অংশের সাথে একমত-অনন্তের কারনে অন্য প্রযোজক পরিচালকরা একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন এবং অনন্তের ছবির কারিগরী দিকের সাথে তাল রাখতে যেয়ে তারাও প্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতন হবেন আশা করা যায়। কিছু দিন আগে ইউটিউবে নতুন একটা ছবি দেহরক্ষী এর ট্রেলার দেখলাম সম্ভবত কাজী হায়াৎ এর-ট্রেলার দেখে গান শুনে আশাবাদী হয়েছি। অনন্ত এর মুনসুন ফিল্মস থেকে বছরে ৩ টি ছবি করা হবে যার একটিতে অনন্ত নিজে অভিনয় করবেন এবং বাকি দুটিতে অন্যান্য নায়ক নায়িকা দের অভিনয় করান হবে এমন একটি ঘোষনাও দেয়া হয়েছে।

অনন্তের ছবি গুলি নিজে দেখেছি-মানুষ নিছক বিনোদনের জন্যই ছবি গুলি দেখছে। ছবির কাহিনী খুবই হাস্যকর, অনেক ক্ষেত্রেই অদক্ষতার ছাপ স্পষ্ট তবে ভাল লাগে যেটা সেটা হল মানুষ ধীরে ধীরে হল মুখী হচ্ছে-নতুন ছবি আসলে হলে যেয়ে দেখার একটা চল তৈরী হচ্ছে-এভাবে চলতে থাকলে আশা করি প্রেক্ষাগৃহ গুলির মান উন্নত হবে এবং চলচ্চিত্র শিল্প কিছু উন্নতির মুখ দেখবে। এর জন্য অনন্তকে সাধুবাদ। তবে অনন্তের সমালোচনা বা মকিং করা ঠিক না এমন কথা বলা হাস্যকর। অনন্ত জানেন তার সীমাবদ্ধতা গুলি এবং সেটা নিয়ে মকিং হবে তাও তিনি জানেন।

হিমু এর ছবি

তুই বললেই হবে? বসে কী বলে শুনে দ্যাখ!

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমাদের একটা রজনীকান্তের অভাব ছিলো। উনি সিম্প্লি রকছ্!

হিমু এর ছবি

কিছুদিন পর তামিলনাড়ুতে লোকে বলবে আমাদের একটা জলিলের অভাব আছে।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

শয়তানী হাসি

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ইঁদুর এর ছবি

চলুক

হিমু এর ছবি

বসের ইংরাজি শুনে বসভাবীও কিটিকিটি হাসে। আর তুই বসের নামে বাংলায় বদনাম করিস। এজুকেটেড পিপুল আর কবে হবি?

ইঁদুর এর ছবি

হিহিহিহি আমার ও দেখে এইটা মনে হয়ছিল-বসভাবি পাশে হাসতেছে আর উপস্থাপিকা হন্ত দন্ত হয়ে বসকে থামাতে ব্যাস্ত! চরম কমেডি! (বস ভাবি এর ভাল একটা প্রতিশব্দ দরকার!)

হিমু এর ছবি

বসের ইংরাজি ঝাড়িটা অনেকটা ঠাঠা মুখস্ত আয়াতুল কুরসির মতো হইছে। ছোটোকালে আরবি দোয়াদরুদ মুখস্ত ধরতো স্কুলে। আরবি দোয়ার একটা ঝামেলা হচ্ছে একবার শুরু করলে শেষ করার আগে আর থামা যায় না। থামলেই দুই তিন লাইন ভুলে যেতে হয়। বসের ঝাড়িখান ঐরকম, উপস্থাপিকা যতই তারে থামাইতে যায় সে ততই গড়গড় করে বলতে থাকে। থামলেই ভুলে যাওয়ার ভয়।

স্যাম এর ছবি

চলুক শয়তানী হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

অনন্তের ছবির কাহিনী হাস্যকর , অভিনয় বাজে এইগুলা অনেক মন্তব্য দেখে মনে হলো অনন্তের টার্গেট দর্শক কারা? সচলে যারা আলোচনা করছি, তারা যে রুচির মানুষ, অনন্তের টার্গেট অডিয়েন্স তারা নয়। তার টার্গেট হচ্ছে যারা হা করে হিন্দি সিরিয়াল আর সিনেমার উদ্ভট কাহিনী আর অভিনয় গিলে তারা। শুনতে ভালো লাগে না কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ দর্শকই এই রুচির। যারা হাসাহাসি করছে তাদের রুচি উন্নত হলেও কতটুকু উন্নত? কেবল টিভিতে কিন্তু কেবল হিন্দি চ্যানেল নেই, ডিস্কভারি, হিস্টোরি চ্যানেল আরও বেশ কিছু চমৎকার মুভি চ্যানেলও ফ্রী ফ্রী আসে, চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে একসময় সেগুলিতে থেমে আমি এমেলি, ফ্রিদা বা এরকম অনেক ভালো মানের সিনেমা দেখেছি। কিন্তু দেশের কতজন দর্শক সেগুলি দেখে? দেখে না কারণ সেই মানের শিল্প আস্বাদনের রুচি তাদের নেই, এই গুলো তাদের বোরিং লাগে।

আমাদের দর্শকের রুচি উন্নত না হলে বাণিজ্যিকভাবে ভালো সিনেমা তৈরি হবে কিভাবে? আমাদের দেশে শিক্ষার অভাব পদে পদে টের পাওয়া যায়। মন খারাপ

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

রামগরুড় এর ছবি

চলুক

হিমাগ্নি এর ছবি

আর ইউ পোম গানা??? গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।