ব্লগে ভাচুর্য়াল কস্ট:

আড্ডাবাজ এর ছবি
লিখেছেন আড্ডাবাজ (তারিখ: রবি, ১০/০৬/২০০৭ - ৬:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
কস্টগুলো বুকের খুব গভীরে অনুভূত হয়, মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস হা হুতাশ হয়ে নিজের অগোচরেই বেরিয়ে আসে। সময় বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে কস্টের দৈর্ঘ্য আর ঘনত্ব। ব্যক্তিগত কস্ট নয়, কস্ট দেশ আর সমাজ নিয়ে। কস্ট ৭১ নিয়ে। কস্ট রাজাকারদের আস্ফালন নিয়ে। কস্ট বাড়ে যখন দেখি ৭১ নিয়ে আমাদের সংবদেনশীলতা কমতে কমতে শূণ্যের ঘরে নীচে এসেছে। তাই, এখন ৭১ নিয়ে যুদ্ধাপরাধীরা অসম্ভব স্পর্ধা দেখাতে পারে। ব্লগে যখন দেখি এদের স্পর্ধা, তখন বোঝা যায় বাড়ছে এদের সামাজিক পরিব্যাপ্তি। এদের আধিপত্য। এদের বিচরণ সর্বত্রই। ছলে বলে কৌশলে এরা বিরাজ করে। নানান আবরণে আর মুখোশে চলাফেরা করে। সেদিন এক সিনিয়র ভাই বলছিলেন, তার বন্ধুদের মধ্যে প্রায় হাফ ডজন যারা শিবির করতেন তারা এখন মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক। তারাই হর্তাকর্তা। তাদের কাছে ৭১ নিয়ে কিছু প্রত্যাশা করা মানে অরণ্যে রোদন। মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধী, জামাত-শিবির খুব সতর্কভাবে এগোয়। এদের আন্দোলন খুব পরিকল্পিত। এটা বোঝার মতো ক্ষমতা ও সচেতনতা সত্যিকার অর্থে খুব সীমিত। আমরা যার ৭১ নিয়ে খুব চীতকার করি, কস্ট পুষি, প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ করতে চাই, তাদের কন্ঠ নির্বোধ মানুষদের কথকতার মাঝে চাপা পড়ে যায়। খুব খেয়াল করে দেখবেন, সামহোয়্যার ইন-এ সিরিয়াস বিষয়ে কোন লেখা দিলে হঠাত করে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য দিয়ে মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার চেস্টা করা হয়, আড্ডার আসর নামিয়ে অন্য কিছু দিয়ে মাতিয়ে রাখার চেস্টা করা হয়। এগুলো করা হয়, খুব সূক্ষ্ণভাবে। সচলায়তনে আমি আশার প্রদীপ দেখছি। কস্টগুলোকে শুধু প্রস্তর হয়ে বুকের উপর চেপে থাকুক তা চাই না। বুকের উপর চেপে থাকা সকল প্রস্তর-পাহাড়-পর্বতকে সরিয়ে ৭১-কে আমার আর আমাদের সকলের চেতনার প্রচ্ছদপত্র বানাতে চাই। আমি প্রবলভাবে বিশ্বাস করি, ১৯৭১ যেমন স্বাধীনতাকামী জনতাকে একত্রিত করেছিল ঠিক একইভাবে আমাদেরকে একত্রিত করতে পারে এখনও। রাজনীতির হঠকারিতা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দেশপ্রমকে উজ্জীবিত করতে পারে। বিতাড়িত করতে পারে সকল পশ্চাদপদ মৌলবাদী ও রাজনৈতিক ধান্ধাবাজি। পরিবর্তন আনতে হবে গোড়ায়। গতকালকে এক ব্লগার পাহাড়কে দেখলাম ইউটিউব থেকে বাংলা মায়ের গান তুলে দিতে। শিবিরের অনুষ্ঠান। সুধীমন্ডলীর মধ্যে সহাস্যে বসে আছেন এখনকার আইন উপদেষ্টা ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেন। খুব মজা পেলাম মুখোশের আড়ালের মানুষগুলোর মুখোশ খুলে পড়তে দেখে। এখন দেখলাম, কবি ফররুখ আহমদকে নিয়ে লেখা। কিন্তু সেই কবির ৭১-এর ভূমিকা নিয়ে কি কেউ লিখবেন? বোধ হয়, না। তাহলে কবি ফররুখ আহমদকে জাতীয় কবি ঘোষণা দেওয়ার জন্য যে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক হচ্ছে তা থামাবে কে? বোধহয় কেউ না। আমাদের নির্বিকার নিস্পৃহতা আমাদের সবচেয়ে বড়ো ব্যাধি। তারপর নীরবে আর সরবে আমরা কস্ট পাই। আড্ডাবাজের ভার্চুয়াল কস্ট শুরু হয় লেখনীতে। তারপর লেখাগুলো একসময় চাপা পড়ে থাকে অনেক লেখার ভীঁড়ে। কি বিচিত্র আমাদের চৈতন্যের নিয়তির!!!

মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছু কি নেই? সামহোয়্যারে ছাগলদের লাফালাফি দেখি আর দাঁতে দাঁত চেপে গালি দেই । মূর্খ অপোগন্ড এসেছে রবীন্দনাথ এর অসম্মান করতে । ------ooo0------ বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ..

আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি
আমার মনে হয় দৈনিক ঝগড়া না করে সপ্তাহে একদিন "এ সপ্তাহে সামহোয়্যারে নিওরাজাকারদের ছাগলামি" শীর্ষক একটি সংকলনমুখী পোস্ট দেয়া যেতে পারে। ঐদিন আমরা সবাই সামহোয়্যারে ঢুকে একদম ঝেড়েমুছে দিয়ে আসতে পারি ছাগুদের। পঞ্চাশ জনের মতো ছাগুবিদ্বেষী তো পাওয়া যাবেই, নাকি?
আড্ডাবাজ এর ছবি
সৌরভ, সেজন্য আমারও মন রুচে না। মন বিগড়ে চলে যাচ্ছি জার্মানীতে। ভাল আইডিয়া @হিমু।
অরূপ এর ছবি
জার্মানীতে কি আশায়? ------------------------------------- রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
উৎস এর ছবি
তবে ফররুখের ভুমিকা নিয়ে কোন তথ্য থাকলে সামহয়্যারে লিখুন এখনই। এখানে পরে দিলেও হবে।
আড্ডাবাজ এর ছবি
সামহোয়্যারে ঘোষণা দিয়া আসছি জার্মানীতে যাচ্ছি। কথা সইত্য। গুরুর কথা মিথ্যা হয় না। এখন এই জার্মানী থেকে সামহোয়্যার ইনে ফেরা হবে কি-না কে জানে? সুমনের সাবিনারে পছন্দ হইলে রুমমেইট হইয়াই থাইকা যামু কাসেলে। এইখানকার দিগদারী আর ভাল লাগে না। @অরূপ
আড্ডাবাজ এর ছবি
ফররুখ নিয়ে মূল কথা বলা হয়ে গেছে। এইটা নিয়ে সংগ্রহে কিছু নেই। সময় লাগবে। তবে দিব। @উতস
হিমু এর ছবি
সাবিনা একদম বুকপ্লেন এক শুচিবায়ুগ্রস্তা "ভেজিটারিয়ান" নারী। অপেক্ষা করেন সুমনচৌ এর কোন চেক বা স্লোভাকিয়ান প্রতিবেশিনী আসে কি না।
আড্ডাবাজ এর ছবি
হিমু, আমার আর সুমনের মাঝখান থেকে তুমি সরো। না হলে, তোমারও ক্ষতি হতে পারে। এসব ব্যাপার নিয়া আমি কোন আলোচনা করি না। অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন।
সুমন চৌধুরী এর ছবি
আড্ডাবাজ, আপনার সফর সূ্চী জানাইয়েন। ....................................... ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
আড্ডাবাজ এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি
এই হিমুটানা বড়ভাইদেরও ছাড়ে না। ভাইসব দেখলেনতো আপনেরা! আরে আমার লগে কাইজ্যা করোস ঠিকাছে, তাই বইলা সমন চৌ-এর নন্দনের দিকে দৃষ্টিনিবন্ধন? অ বদ্দা বিহিত করেন এর একটা। _________________________________ <স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
হাসান মোরশেদ এর ছবি
রোজ রোজ গুতাগুতি আসলেই ক্লান্তিকর । আর ছাগলামীর কোন সীমা-পরিসীমা ও নাই । এমন এক একটা বিষয়ের অবতারনা করে এরা, বিস্মিত হই । সামহোয়ারকে ছেড়ে দেয়াটাই ভালো । ব্লগ কর্তপক্ষই যদি ওদের প্রমোট করতে চায়, আমরা কতো ফেরাবো আর? ফাইট চালিয়ে যাওয়া যায় এখন পর্যন্ত কোন তর্কেই ওরা জয়ী হতে পারেনি,ওরাই বারবার মাঠ ছেড়ে গেছে । কিন্তু কতো আর? প্রশ্নটা ডেডিকেশনের নয় । সামহোয়ারে লেখালেখি আমার কাছে এখন স্রেফ সময় নষ্ট মনে হচ্ছে । কাকে বোঝাবো? একদল অপগন্ডকে, অলরেডি যাদের ব্রেইন ওয়াশ হয়ে গেছে? -------------------------- আমি সত্য না হলে গুরু সত্য কোনকালে?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আড্ডাবাজ এর ছবি
ধুসর, হিমু দেশে থেকে হাত বাড়িয়ে তেমন কিছুর নাগাল পাবে না। তাই, একটু আধটু চেস্টা করছে আর কি? আমি নিজে সুমনের সাথে বুঝাপড়া করে নেব। মনে হয় না, সুমন খুব একটা ঝামেলা করবে। সে তার রুমমেটের উপর এমনিতেই বিরক্ত।
আড্ডাবাজ এর ছবি
হাসান মোরশেদ, পুরো একমত। এই ব্যাপারে সেখানে আর বাড়তি সময় ও শক্তি অপচয় করার কোন মানে হয় না। তবে মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে বিজ্ঞাপন তরঙ্গের মতো কিছু প্রচারণা দিয়ে আসা যাবে এই আর কি!
হাসান মোরশেদ এর ছবি
এটা একটা ভালো আইডিয়া । সপ্তাহে একদিন গিয়ে ঝড় তুলে ফেলা হলো । মন্তব্য ও টপরেটিং এরিয়া দখল করে ফেলা হলো । নতুন যারা এলো তারা দেখলো, পড়লো, নিজেরা নিজেদের সিদ্বান্ত নিলো । আর সচলায়তন পুরোদমে চালু হলে, এখানে লিখে ওখানে লিংক দিয়ে এলাম । যাদের পড়ার তারা পড়ে গেলো :) -------------------------- আমি সত্য না হলে গুরু সত্য কোনকালে?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।