বইমেলা প্রতিদিন ১০

আহমেদুর রশীদ এর ছবি
লিখেছেন আহমেদুর রশীদ (তারিখ: বুধ, ১১/০২/২০০৯ - ৯:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছু কিছু ব্যার্থতার পর মনটা এত খারাপ হয় যে,মনে হয় সব ছেড়েছুড়ে হারিয়ে যাই কোথাও।
মনে হয় কিসের ঠেকা আমার এত ঝামেলা পোহাবার।
কিন্তু পারি না।ফিরে আসি কিংবা স্থির হয়ে থাকি।
এই স্থির হয়ে থাকাটা ভালোবাসা ও আস্থার কাছে,আবেগ ও নির্ভরতার কাছে।
ব্যার্থতাকে ঠেলতে ঠেলতে দূরে সরিয়ে রাখি।সফলতার পা ছুয়ে দেখি,হাত ধরে দেখতে চাই।
প্রকাশনায় উৎপাদন মান রা করা ও ধরে রাখাটাই হলো প্রকৃত সফলতা।
অনেকগুলো ম্যানুয়েল প্রসেসের মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই মাথা এলোমেলো হয়ে যায়।সকালে এসে যদি দেখি কম্পিউটার ওপেন হচ্ছেনা অথবা বাইন্ডার প্রথম লটেই এত বেশি উল্টাপাল্টা করে ফেলেছে -তাহলে কেমন আর থাকা যায় ?আজ এমনটিই হলো আমার।
বই আসা শুরু হয়েছে ।শেখ জলিলের উপন্যাস জায়গীরনামা আর রেজওয়ানা বুলবুলের কাব্যগ্রন্থ এবং আমার অস্থিত্ব আজ নজরুল মন্চে মোড়ক উন্মোচন করার মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ করেছে।
নিজের বই নিজের কথা শিরোনামে লেখকদেরকে এই বিষয়ে আলাদা পোস্ট দেবার জন্য অনুরোধ করছি।
মেলায় মনে হলো গতদুইদিনের চেয়ে লোকসমাগম আজ বেশি ছিলো।
ভাঙা চশমার ভেতর দিয়ে দেখতে কেমন লাগে জানিনা।কিন্তু ভাঙা চোখ দিয়েও ভরাট স্বপ্ন দেখা যায়।


মন্তব্য

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

যাক কবি আহমেদুর রশী্দ কে পাওয়া গেল !

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাঙা চশমার ভেতর দিয়ে দেখতে কেমন লাগে জানিনা।কিন্তু ভাঙা চোখ দিয়েও ভরাট স্বপ্ন দেখা যায়।

দুর্দান্ত লাগলো কথাটা। চিরদিনের জন্য প্রিয় উক্তি হয়ে থাকলো।

নিজের বই নিজের কথা

উত্তম প্রস্তাব। লেখকেরা টুকটাক লেখা শুরু করেছেন, আরো লেখার অপেক্ষায় আছি। ঐ যে সন্ন্যাসীদা বলেছিলেন... দু-স্বা-ঘো-মে... সেই হাল।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই স্থির হয়ে থাকাটা ভালোবাসা ও আস্থার কাছে,আবেগ ও নির্ভরতার কাছে।

ভাঙা চশমার ভেতর দিয়ে দেখতে কেমন লাগে জানিনা।কিন্তু ভাঙা চোখ দিয়েও ভরাট স্বপ্ন দেখা যায়।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আরিফ জেবতিক এর ছবি

পুরা সেইরম পোস্ট হইছে ।

আমি তাই এইটারে হালকা কইরা দেওনের একটা কমেন্ট দেই :

যাব না যাব না বলে এই সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো বইমেলায় ঢুকে পড়লাম । মোরশেদের ( হাসান মোরশেদ ) বই আসার কথা নাকি আজ , এজন্য একটু অস্থিরতা আছে নিজের মাঝে । সেই অস্থিরতাই তাড়িয়ে নিয়ে এলো অফিস ফাঁকি দিয়ে ।
বিকেল ৪টায় ঢুকেছি , তাই লাইন নেই ।

গেটের মুখেই দেখি এক ভদ্রমহিলা খুব মনোযোগ দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট জাতীয় পতাকা কিনছেন । তিনি আর কেউ নয় , ছড়াবাজ ব্লগার লীনা ফেরদৌস ।
তার সাথে গল্প করতে করতেই বইমেলার গেট পেরুলাম ।

সোজা গন্তব্য শুদ্ধস্বরের স্টল । কিন্তু নাহ , ঐ যে দাড়িয়ে আছেন কলি আপা , আমাদের ভোরের কাগজের সিনিয়ার কলিগ ছিলেন , এখন সংবাদের ফিচার এডিটর ।
কলি আপার সাথে অনেক বছর পরে দেখা ।

উনার পাশে এক সুন্দরী মহিলা । মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন , আপনি আরিফ জেবতিক না ? আমি সাজি ।
আমি বললাম , আপনি না সাঁজলেও আপনাকে সুন্দরই দেখাবে । খামোখা মেকাপ নষ্ট করার দরকার কী !
উনি বললেন , আরে না , আমি ব্লগার সুলতানা শিরীন সাজি ।

ওহ , এই কথা । উনার পাশেই কবি সুনীল সমুদ্র , আরেক ব্লগার ।
কলি আপা আর সাজি অনেক দিনের বন্ধু । দুজনে মেলা ঘুরতে এসেছেন । এখানেই তাই আড্ডা জমে উঠল । কিছুক্ষনের মাঝেই এসে যোগ দিল দুই পিচ্চি ব্লগার নাঈম আর একরামুল হক শামীম ।

একটু দূরেই দেখি ছড়াকার আমিরুল ইসলাম বর্ধমানের বারান্দায় বসে আছেন । আমিরুল ভাইয়ের সাথেও প্রায় দুই বছর পরে দেখা , মাঝখানে শুনেছিলাম প্রায় কোমায় চলে গেছেন । চ্যানেল আইয়ের অন্যতম প্রানশক্তি আমিরুল ভাই খুব ব্যস্ত । এতো রোগেও তার রসিকতা কমেনি । কুশল জানতে চাইতেই বললেন - বুঝছ আরিফ , নেপোলিয়ান ৩২ বছর বয়েসে সারা দুনিয়া দখল করে মারা গিয়েছিল । তাই ৩২ এর উপরে বেঁচে থাকাটার খুব প্রয়োজন নেই ।
১৫০ বই লিখেছি , ৫০টার উপরে দেশ ঘুরেছি , জীবনের যা দেখার দেখা শেষ , এখন কোমায় থাকলেই কী ? আর সেমিকোলনে থাকলেই কী ?

একটু দূরেই দেখা গেল সবুজ বাঘ তার চোখগুলো গোলগোল করে ভিড় দেখছেন । বাঘ মানুষ , উনার সাথে কথা বলতে তাই একটু ভয় ভয় করে ।
আহমেদুর রশীদ টুটুলকে দেখা গেল দৌড়াদৌড়ি করতে , গোপন সূত্রে খবর পেলাম এদিকে নাকি তিনি ভয়ে আসছেন না , কারন সব টিভি চ্যানেল ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য উনাকে খুঁজছে ।
এই মেলায় তিনি অনন্য । কারন আহমেদুর রশীদ হচ্ছেন এই বইমেলার একমাত্র প্রকাশক মেলার ১০ দিন পর্যন্ত যে প্রকাশক একটাও বই মেলায় আনেন নি । টিভি চ্যানেলগুলো বইমেলা নিয়ে প্রতিবেদনে তাই উনার ইন্টারভিউ চায় ।

সুলতানা শিরীন সাজি অনেকগুলো বিদেশী চকলেট বের করলেন ব্যাগ থেকে । আমার কাছে দিলেন ব্লগার দেখে দেখে সেগুলোকে ভাগ করে দেয়ার জন্য ।
আমি যাকেই পেলাম তাকেই চকলেট গছিয়ে দিয়ে বলতে থাকলাম আর বলতে লাগলাম - উনি সাজি , উনার একটা বই বেরিয়েছে । উনি সকলের দোয়াপ্রার্থী ।
পুরো ভোট চাওয়ার স্টাইল ।

দেখা হলো সুমন্ত আসলামের সাথে । ভিড়ের মাঝে অটোগ্রাফ দিতে দিতেই এগিয়ে এলো সুমন্ত । আরিফ , আপনার নামে একটা বই উৎসর্গ করেছি ।
বলে এগিয়ে দিল তার একটা নতুন বই । দন্তন্য রুহমান ।
আমি হেসে বললাম - শত্রুতাটা মুখে মুখে রাখলেই চলত না , একেবারে লিখিত শত্রুতা করলেন ?

কিছু হাসি ঠাট্টা হলো , তারপর আমি ফিরে এলাম আড্ডায় ।

একটু পরেই গেলাম নজরুল মঞ্চে । ব্লগার শেখ জলিলের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে । সেখানে গিয়ে অনেক ব্লগারের সাথেই দেখা হলো ।

এই ফাঁকে কিনলাম কয়েকটা বই ।
উল্লেখযোগ্য বইটির নাম - আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও ।
প্রায় ৩০ বছর পরে শহীদ কাদরীর কবিতার বই বেরুলো ।
আমার অন্যতম প্রিয় এই কবির বইটি কেনার পরে আর নতুন কোন বই কিনতে ইচ্ছে হলো না ।

থাক , একটা বিকেল শহীদ কাদরীময়ই থাক ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

উদ্ধৃতি

ভাঙা চশমার ভেতর দিয়ে দেখতে কেমন লাগে জানিনা।কিন্তু ভাঙা চোখ দিয়েও ভরাট স্বপ্ন দেখা যায়।

ঢাকার বাইরে ছিলাম বলে এখনও বই মেলায় যাওয়া হয়নি আমার। মন খারাপ

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রায়হান আবীর এর ছবি

উদ্ধৃতি

ভাঙা চশমার ভেতর দিয়ে দেখতে কেমন লাগে জানিনা।কিন্তু ভাঙা চোখ দিয়েও ভরাট স্বপ্ন দেখা যায়।

দুর্দান্ত লাগলো কথাটা। চিরদিনের জন্য প্রিয় উক্তি হয়ে থাকলো।

=============================

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জলিল ভাইয়ের বই প্রকাশনায় আমার কাঁধে দায়িত্ব চাপালেন ছবি তুলে দিতে হবে বলে। সেই মতো ক্যামেরা ট্যামেরা নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে বিকেল ৫টায় মেলায় যেতে যেতে ভাবছিলাম দেরি হলে কবি আবার মাইন্ড করবে... কেন আজ দেরি করলাম?
ও মা... গিয়ে দেখি জায়গিরদারের নিজেরই দেখা নাই। এদিকে আমার ক্যামেরার ব্যাটারি কাজ করতেছে না, তাই বউকে ফোন করে বললাম আরো আরো ব্যাটারি নিয়ে আসতে। জলিল ভাইয়ের ছবি তুলতেই হবে। বউ এলো ব্যাটারি এলো। এর মধ্যে চলে এলো মুস্তাফিজ ভাই। তার ওয়াইড এ্যাঙ্গেল ক্যামেরার পাশে আমারটা বের করার লজ্জাজনক কাজটা করা হলো না আর। ছবিই তুললাম না।
কিন্তু তার বদলে টুটুল ভাই চাপিয়ে দিলো কাঁধে আরো এক দায়িত্ব। জলিল ভাইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে হবে।
কী মুশকিল... আমি এইসব একেবারে পারি না। আমি হইলাম মঞ্চের পেছনের মানুষ। ক্যামেরার পেছনের মানুষ। কসম খোদার এখনো আমি টিভি ক্যামেরার সামনে গেলে হাত পা কাঁপে। মুখ দিয়া কথা বাইর হয় না।
তবু, প্রকাশক বলে কথা, (হায়... লেখক হওয়ার কতো জ্বালা) রাজী হয়ে গেলাম (যদিও আরিফ জেবতিকের কাঁধে চাপাবার একটা চক্রান্ত করেও ফেল মারলাম)।
মোড়ক উন্মোচন করবেন আমজাদ হোসেন। আমি তাঁর নাম নেওয়ার সময় বললাম বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, তাতে উনি ক্ষেপে গেলেন। উনার লেখক পরিচয়টা আমার বলা উচিত ছিলো, কিন্তু আমার কী দোষ রে ভাই? আমি তো এসব পারি না। আমি লাস্ট বেঞ্চি। এরচেয়ে প্রতিদিন টুটুল ভাইয়ের জন্য একটা করে নারী যোগার করা বেশি সহজ।

জায়গীরনামাই শুদ্ধস্বরের প্রথম বই এবারের মেলায়। টুটুল ভাইকে অভিনন্দন, অভিনন্দন শেখ জলিল ভাইকে।

কাল অনেকের সঙ্গেই দেখা হলো। সবুজ বাঘ, সবজান্তা দেখি লিটলম্যাগ স্টলে দোকান্দারি করতেছে। শোয়েব সাদাবের কবিতার বই আসবে মেলায়। সেজন্য অপেক্ষায় আছি উন্মুখ।

সুলতানা সাজীর চকলেট আমিও খেলাম, দাঁতে লেগে রইলো অনেকক্ষন। কলি আপা, আরিফ জেবতিক, আমিরুল ভাইদের সঙ্গে ছোট একটা আড্ডা হলো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে গণসাক্ষর কর্মসূচীতে ব্যাপক সাড়া... লোকজন লাইন ধরে সাক্ষর দিচ্ছে। ভালো লাগে দেখলে। আঠাকাগজ দিয়ে কুল পাওয়া যাচ্ছে না। আরো লাগবে, নতুন ছাপার স্পন্সর খোঁজা হচ্ছে। এই নিয়ে যখন কথা হচ্ছিলো তখন ঢাবির এক কর্মচারী আমাদের কাছে দাবী তুললেন যেহেতু আমরা শিক্ষিত মানুষ, তাই আমাদের একটা আন্দোলন করা উচিত, কোচিং ব্যাবসা বন্ধ করার বিরুদ্ধে। তাঁর এই উদ্যোগটা ভালো লাগলো। ভালো লাগলো দ্বিধাহীন কথাগুলো।

আমি সাধারণত বই কেনা শুরু করি ২১ তারিখের পর থেকে। ততদিনে মেলার ভীড় একটু কমে। আর হুমায়ুন মিলনদের দাপটও কমে। আর ততদিনে সব বই মোটামুটি বের হয়ে যায়। তাই আমি সাধারণত শেষ সপ্তাহটাই বই কেনার জন্য রাখি। এবার সচলদের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে থেকে সেই শপথ ভঙ্গ হচ্ছে। কিনে ফেলছি আগে ভাগেই।

মেলার একটা সুবিধা এখানে অনেক পুরনো সম্পর্ক, যাদের সঙ্গে দেখা হয়না অনেকদিন তাদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। আমীরুল ভাইয়ের সঙ্গে অনেক বছর পরে দেখা, তাগড়া মানুষটার কী চেহারা! দন্তস্য রওশনদার সঙ্গে সেদিন দেখা, অনেকদিন পরে। কাল দেখা কার্টুনিস্ট তুলির সঙ্গেও, সেও অনেক বছর পরে। দিনগুলো খুব দ্রুত চলে যায়।

প্রতিরাতেই মেলা শেষে বিশাল মিছিল নিয়ে আমরা মেলা থেকে বের হই। চা বিরি খাই। কাল চা বিড়ি পর্ব শুরু হবার আগেই চলে এসেছি, আমার আরেকঘাট হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে সেই তাড়ায়। চা বিড়ি না, মিস করলাম আড্ডাটা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

ভাঙা চশমার ভেতর দিয়ে দেখতে কেমন লাগে জানিনা।কিন্তু ভাঙা চোখ দিয়েও ভরাট স্বপ্ন দেখা যায়।

এই লাইনটার জন্য উত্তম জাঝা!


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমি শুধু শুধুই গিয়েছিলাম বইমেলায়। উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়াচ্ছি তেমন সময় পেছন থেকে নজরুল ভায়ের ডাক। এরপর মিশে গেলাম।
বাকিটা ছবিতে
মোড়ক উম্মোচনমোড়ক উম্মোচন
ক্যাপশনঃ এই পোলারে উপস্থাপনায় দিসো? এ তো আমারে ডুবাইবো

মাথায় হাতমাথায় হাত

ক্যাপশনঃ আয় হায়, কয় কি, কয়কি? আমার লেখক পরিচয়টাই তো বাদ গেলো

যা হবার হইসেযা হবার হইসে

ক্যাপশনঃ উস্তাদ, যা হবার হইসে, মাফ কইরা দেউন যায়না?

মনে করেন এইটাই আমার বইমনে করেন এইটাই আমার বই

ক্যাপশনঃ আমার বই বেরোয়নাই তো কি হইসে? মনে করেন এইটাই আমার বই।

খাড়ান, কি লিখসি একটু পইড়া শুনাইখাড়ান, কি লিখসি একটু পইড়া শুনাই


ক্যাপশনঃ অতপর জলিল ভাই পড়িয়া শুনাইতে শুরু করিলেন

...........................
Every Picture Tells a Story

এনকিদু এর ছবি

ক্যাপশন আর ছবিতে চলুক

সাদাকালো ছবিগুলো মনে হচ্ছে ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী । আর লীলেন ভাইরে মনে হচ্ছে ধর্মপ্রচারক । আপামর জনগনকে পবিত্র বানী শোনাচ্ছেন, ধর্মগ্রন্থ থেকে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

খেকশিয়াল এর ছবি

আর লীলেন ভাইরে মনে হচ্ছে ধর্মপ্রচারক

হ আসলেই, কিন্তু কেম্নে কি???!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অমিত আহমেদ এর ছবি

এবার তাহলে বাংলা একাডেমী নজরুল মঞ্চে পোডিয়াম রেখেছে। খুব কাজের কাজ হয়েছে। গতবার এটা ছিলো না।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পেডিয়াম না রাইখা যদি একটা শব্দযন্ত্র রাখতো তাইলে বেশি ভালো হইতো। নজরুল মঞ্চের পাশেই হইলো বাংলা একাডেমির মঞ্চ... যেখানে গান বাজে। ফলে নজরুল মঞ্চের কিছু কেউ শুনতে পারে না। মোড়ক উন্মোচনের জন্য আরো ভালো একটা ব্যবস্থা রাখা উচিত।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন সুপান্থ এর ছবি

দন্তন্য রুহমান ।
আমি হেসে বললাম - শত্রুতাটা মুখে মুখে রাখলেই চলত না , একেবারে লিখিত শত্রুতা করলেন ?

...!

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি উতসর্গর চেয়েও বেশি চিন্তিত বইটার নাম দেখে... দন্তস্য রওশনদার কাহিনী নাকি?
সেদিন তো রওশনদার লগে কথা হইলো... বইটার নাম আগে জানলে জিগাইতাম...
সুমন্তদার লগে বহুদিন দেখা নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সুন্দর।
হ্যাঁ, তাইলে জমতে শুরু করছে সবকিছু। হাসি

সবার কাছে যেইটা প্রিয় উদ্ধৃতি হয়ে গ্যালো, সেটা আমি আবার নতুন ক'রে উদ্ধৃত করলাম না। স্বপ্ন দেখতে থাকি। থাকতে থাকি।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

উনি কি আমজাদ হোসেন সাহেব? অ্যাঁ
স্যরি, বুঝলাম্না।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত কবিতাময় এক পোস্ট। খুব ভাল লাগল। লেখা, কমেন্ট - সব।

অম্লান অভি এর ছবি

হায় কত কিছু চলে যায়...
তবু শান্তি এই আসরের তার রেশ রয়ে যায়

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

রণদীপম বসু এর ছবি

আহারে ! কত কিছু শেষ হইয়া যাইতেছে ! আর আমি মেলায় যাইতে পারতেছি না !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শেখ জলিল এর ছবি

ভাঙা চশমার ভেতর দিয়ে দেখতে কেমন লাগে জানিনা।কিন্তু ভাঙা চোখ দিয়েও ভরাট স্বপ্ন দেখা যায়।

প্রকাশনায় উৎপাদন মান রা করা ও ধরে রাখাটাই হলো প্রকৃত সফলতা।

স্বপ্ন দেখা এবং বাস্তবায়নকৌশল দুটোই তুখোড়। আপনাকে দিয়েই হবে..।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

শেখ জলিল এর ছবি

ক্যাপশনঃ অতপর জলিল ভাই পড়িয়া শুনাইতে শুরু করিলেন
..ভাগ্য ভালো মোস্তাফিজ ভাই নিজেরটা পড়ি নাই...
ছবির ক্যাপশন গুলো খুব মজা দিলো।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।