মিথ্যাবাদী রাখালের গল্প এবং নিপীড়নবাদী নীতিশিক্ষা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/১২/২০০৮ - ৪:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১/
আমাদের গল্প শোনার অভ্যাস নতুন নয়।আমরা গল্প শুনতে ভালোবাসি কারণ গল্পের নির্ধারিত/নির্বাচিত চরিত্রের সঙ্গে আমরা মানসিকভাবে একীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখি।অথবা ঐ চরিত্রের বিপরীতে বা বিপক্ষে আমরা নিজেদের পরিচয় নির্মাণ করি।গল্প বুঝতে হলে তার মধ্যে আমাদের সশরীরে প্রবেশ করতেই হয়।ঈশপের গল্পসমূহ এই নিয়মের ব্যতিক্রম তো নয়ই, ববং ঈশপনির্মিত গল্পসমুহে আমাদের আরো বেশি বাধ্য হয়ে ঢুকতে হয়।আমাদের ধর্মগ্রন্থে, নীতিশিক্ষা পুস্তকে, বা চারপাশের ক্ষমতাসীন অতএব মান্য ব্যক্তিসমূহের বচনে প্রাপ্ত নানা গল্পের অন্তঃস্থিত নাট্যে আমাদের নির্ধারিত ভূমিকায় অভিনয় করতে হয়।ঈশপের গল্পের এই ফাংশন বা কৃত্যের কথা মাথায় রেখেই এই আলোচনা।

গল্পটা আমাদের নিশ্চয়ই শোনা।মিথ্যাবাদী রাখালের গল্প।ঈশপের অনেক গল্পের মতো এর বিবিধ রূপ নাই।মূল গল্পটিই কিঞ্চিত দীর্ঘ ও কিঞ্চিত হ্রস্ব - এই দুই আকারে পাওয়া যায়।তবে একটি বঙ্গীকৃত সংস্করণ, যেটা আমি নিজে পড়েছি/শুনেছি সেটার সমাপ্তিটা ভিন্ন।ভিন্নতা থাকলেও এই সবকটি সংস্করণে নীতিশিক্ষাটি এক : মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করা হয় না, সত্য বললেও (অতএব মিথ্যা বলো না)।আমার অনুসন্ধানের ক্ষেত্রটি হচ্ছে এই গল্পে আমার বাধ্য/অভীষ্ট চরিত্রটি কী, এবং আমার বিকল্প ঐচ্ছিক অবস্থান কী হতে পারে।এবং এই সকল সম্ভাবনা বিবেচনায় একটি সাম্প্রতিক বাস্তব ঘটনার গল্পরূপের বিচার।মানে, বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঐ ঘটনাটি কীভাবে প্রথাগত নীতিশিক্ষার বাহনে পর্যবসিত হয় তার বর্ণনা।মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে মিথ্যাবাদী রাখালের গল্পটির বিবিধ সংস্করণের সামান্য পর্যালোচনা করা যাক।

২/
ইংরেজি ভাষায় ঈশপের গল্প (যেটি মূলত এক মৌখিক সাহিত্য) রেভারেন্ড জর্জ ফাইলার টাউনসেন্ড (১৮১৪-১৯০০) নামের এক ইংরেজ যাজক সংকলিত করেন।তাঁর সংকলনে সাড়ে তিনশ ঈশপের গল্প ছিল।গল্পের শেষে নীতিবাক্য জুড়ে দেয়ার রীতিটিও তাঁর আবিস্কার বলে ধারণা করা হয় ; এটি পরে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।টাউনসেন্ডের গল্পটি সরল এবং সংক্ষিপ্ত।একদা এক দুষ্ট রাখাল মিথ্যামিথ্যি নেকড়ে নেকড়ে চিৎকার করে গ্রামবাসীর অবিশ্বাস অর্জন করে।পরে সত্যিকারের নেকড়ে এলে গ্রামবাসী সাড়া না দেয়ার নেকড়ে ভেড়া নিয়ে যায়।এই গল্পে আমরা সবই পাই।কার্য - নেকড়ের ভেড়া নিয়ে যাওয়া এবং কারণ - রাখালের মিথ্যা বলা।A Shepherd-boy, who watched a flock of sheep near a village, brought out the villagers three or four times by crying out, "Wolf! Wolf!" (একটি রাখালবালক, যে একটি গ্রামের ধারে একপাল ভেড়া দেখাশোনা করত, চার কী পাঁচবার গ্রামবাসীকে নেকড়ে নেকড়ে চিৎকার করে ডেকে আনে) এখন, যেহেতু কার্য-কারণ পরম্পরা কোন সান্ত/বদ্ধ কাঠামো নয় সেহেতু আমরা ধারণা করে নিতে চাই কারণের পেছনেও একটা কার্য থাকে।টাউনসেন্ডের এই সংস্করণটি (যেটা থেকে/যেটার মতো আর প্রায় সব সংস্করণের জন্ম) সীমাবদ্ধতা এখানেই।রাখাল কেন মিথ্যা কথা বলে এই প্রশ্নের জবাব আমরা কখনোই পাই না।

জোসেফ জ্যাকবস (১৮৫৪-১৯১৬) নামের এক অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভুত ইহুদী ইতিহাসবিদও ঈশপের গল্পের একটি সংকলন করেন।এটা টাউনসেন্ডের প্রায় পঞ্চাশ(?) বছর পরের কথা।টাউনসেন্ডের সংস্করণটিতে পূর্বে উত্থাপিত প্রশ্লটির (রাখাল কেন মিথ্যা কথা বলে) উত্তর পাওয়া যায়।এই উত্তরটির প্রাপ্যতা বিশেষ দুর্লভ।জ্যাকবস লিখেছেন - There was once a young Shepherd Boy who tended his sheep at the foot of a mountain near a dark forest. It was rather lonely for him all day, so he thought upon a plan by which he could get a little company and some excitement. (পর্বতের নিচে একটা অন্ধকার অরণ্যের ধারে ভেড়ার পাল দেখাশোনা করত এক রাখাল।সারাদিন তাকে একাকীত্বের মধ্যেই কাটাতে হত বলে সে এমন এক বুদ্ধি আঁটল যাতে সে মানুষের কিঞ্চিত সান্নিধ্যলাভ করে এবং কিছুটা প্রণোদনা পায়)।রাখাল কেন একা, কী তার অর্থনৈতিক অবস্থান, একটি মানববসতিহীন শ্বাপদসংকুল উপত্যকায় পশুচারণে সে বাধ্য কেন (লক্ষ্যণীয় টাউনসেন্ডের রাখালের অবস্থান পাহাড় নয় “গ্রামের ধারে”) , সে কেন সবার আগে মানুষের সান্নিধ্য পেতে চায় - এই সব প্রশ্ন তাই এখন প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।তার অপরাধকার্যেরও যখন একটা কারণ পাওয়া যায় তখন তাকে সহজাত মিথ্যাবাদী বলে অবজ্ঞা করাটাও কঠিন হয়ে পড়ে।আর এসব ভাবনা যখন গল্পটির স্বতঃসিদ্ধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তখন আর যাই হোক নীতিবাক্যটির প্রতি আমাদের সম্মান অটুট থাকে না।কারণ আমরা মনে মনে বিশ্বাস করতে শুরু করি তাকে একপ্রকার ঠেলে দেয়া হয়েছে ঐ অপরাধকর্মটি করতে, এর জন্য তাকে দায়ী করা সমীচীন নয়।বোধ করি আমাদের মনে যেন এহেন বিশ্বাসের জন্ম না হয় তাই জ্যাকবসকথিত সংস্করণটি প্রচলিত নয়।

এবার আসি গল্পটি যে-বঙ্গীয় সংস্করণ আমি পড়েছি বা শুনে থাকব তার প্রসঙ্গে।স্বাভাবিকভাবেই মেষ এবং নেকড়েসমৃদ্ধ এমন একটি গল্পের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন আমার জন্য অপেক্ষাকৃত দুরূহ - আমার জন্য গল্পটি সহজ করা হয়েছে।আমার জন্য গল্পটির শিরোনাম তাই হতে পারে ‘মিথ্যাবাদী রাখাল ও বাঘ’।কিন্তু বিষয় সেটি নয়।আমার জানা গল্পটির যে বিষয়টি আমাকে দীর্ঘদিন ধরে পীড়া দিয়েছে এবং এখনো দিচ্ছে সেটি হচ্ছে এর সমাপ্তি।আমার জানা গল্পে রাখাল বালকটি নিজেই বাঘের গ্রাস হয়ে পড়ে।শিশুতোষ মিথ্যারও এমনই চরমমূল্য তাকে দিতে হয়।আমার ধারণা এমন নির্মম, শাস্তিমূলক গল্পটি আমাদের নিপীড়নভিত্তিক সমাজকাঠামোর প্রমাণ ছাড়া আর কিছুই নয়।এই সমাজে নীতিশিক্ষা শোচনীয়রূপে বিবেকবর্জিত।আরো যন্ত্রণার বিষয় হচ্ছে শিশুদের মানসিক গঠনের কালে এই নীতিশিক্ষা তাকে হয় নিপীড়নের কাছে সমর্পিত হতে শেখায় নয় তাকে স্বয়ং নিপীড়ক হয়ে ওঠার রসদ জোগায়।এই অন্যায় নীতিশিক্ষা প্রথমত যে প্রশ্নটি এড়িয়ে যায় সেটি হচ্ছে কোনো অবস্থাতেই কি আমরা কারো জীবনমৃত্যু নিয়ে ‘সুযোগ’ নিতে পারি কি না; কোনো মানুষের, সে যে অপরাধই করে থাকুক না, এমন মৃত্যুকে কোনো যুক্তি দিয়ে আইনসিদ্ধ করা যায় কিনা।এই প্রশ্নগুলো আমরা যত এড়িয়ে যাব আমরা ততই একটি উৎপীড়ক এবং প্রতিক্রিয়াশীল সমাজের দিকে অগ্রসর হব।নীতিশিক্ষার উদ্দেশ্যও হয়ত তাই।

৩/
শুরুতে বলছিলাম, নীতিকথামূলক গল্পগুলোর অন্তঃস্থিত নাট্যে আমাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই নির্ধারিত ভূমিকায় অভিনয় করতে হয়।মিথ্যাবাদী রাখালের গল্পে আমাদের নির্ধারিত ভূমিকাটি কী? অবশ্যই রাখাল বালকের।ক্ষমতাকাঠামোর স্থিতি বজায় রাখতে যথোপযুক্ত শাস্তির বিধান নতুন কিছু নয়।এক্ষেত্রে রাখাল বালকের (অর্থাৎ আমাদের) নিশ্চিত শাস্তিভোগ ক্ষমতাকাঠামোর ঈপ্সিত সুস্থিতিতে অবদান রাখে।আমরা সচারাচর শাস্তিভোগের পর্যায়ে যাই না, আত্মনিয়ন্ত্রণ, প্রকারান্তরে আত্মনিপীড়নে প্রবৃত্ত হই।এছাড়াও আরো কিছু চরিত্র এই নাট্যে পাওয়া যায়।যেমন গ্রামবাসী, গল্পের ভাগ্যনির্ধারণী কাজটি যারা সম্পাদন করছে।আমরা যদি নিজেদের গ্রামবাসীর জায়গায় দাঁড় করাই তবে, একটু আগেই বলা ঐ প্রশ্নটি সামনে আসবে - কোনো অবস্থাতেই কি আমরা কারো জীবনমৃত্যু নিয়ে ‘সুযোগ’ নিতে পারি কি না।এছাড়া রয়েছে ভেড়া ও নেকড়ে।আমরা ঐচ্ছিক অবস্থান নিতে পারি।নিজেদের প্রবৃত্তিতাড়িত ভেড়া বা নেকড়ে ভাবতে পারি।সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য নীতি-নৈতিকতার বিষয়টা আর প্রাসঙ্গিক থাকে না।

উপরের আলোচনায় সম্ভবত এটা স্পষ্ট যে মিথ্যাবাদী রাখাল এবং গ্রামবাসী যে চরিত্রেই আমাদের অভিনয় করতে হোক না কেন ক্ষমতাকাঠামোর বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করার সুযোগ আমাদের নেই।আমার সকল চিন্তা, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও এই একই অনুমোদিত কাঠামোর মধ্যে ঘুরপাক খায়।এই যে চিন্তার উপর নিপীড়নবাদী সমাজকাঠামোর (বস্তুত রাষ্ট্রকাঠামো) নিয়ন্ত্রণ -তারই প্রমাণ হিসাবে বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া একটি খবর (যেকোন ঘটনাই আমাদের কাছে কয়েকটা ছাঁকনি পার হয়ে তারপরই খবর হয়ে আসে) উপস্থাপন করছি।খবরটিকেই ‘মিথ্যাবাদী রাখালে’র ছকে ফেলা যাচ্ছে।এই ছকটি ক্ষমতাকাঠামোর পছন্দের, বোঝা যাচ্ছে।

৪/
মিথ্যাবাদী রাখাল - মোহাম্মদ আজমল আমির কাসাব।২৬ নবেম্বর মুম্বাই হামলায় অংশ নেয়া সন্ত্রাসীদের একমাত্র যাকে ভারতীয় সেনারা জীবিত ধরতে পেরেছে।সে কেন অপরাধ করেছে সেটি প্রায় একমাস গড়িয়ে যাওয়ার পরও স্পষ্ট জানা যায়নি।তবে পাকিস্তানের যে এলাকা থেকে তার আগমন সেই কাশ্মীরের অনেক জায়গা জ্যকবসের বর্ণনার মতোই মানববসতিহীন শ্বাপদসংকুল উপত্যকা।তার অপরাধের, কৃতকর্মের সাজা সে পেয়েছে।আরো পাবে।মৃত্যুদন্ড হওয়াটাও খুব স্বাভাবিক।খুনীর প্রতি কোনো সহানুভূতি না দেখিয়েই বলছি, কাসাবের ক্ষেত্রেও ঐ পুরোনো প্রশ্নটি খাটে - কোনো মানুষের, সে যে অপরাধই করে থাকুক না, এমন মৃত্যুকে কোনো যুক্তি দিয়ে আইনসিদ্ধ করা যায় কিনা।কেমন মৃত্যু? রাষ্ট্রের প্রত্যাশিত মৃত্যু অর্জন করতে হলে সম্ভবত বিনা আইনী সহায়তায় এক জটিল বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হবে।খবরে প্রকাশ “Some Indian lawyers are refusing to act for the sole surviving Mumbai attacks suspect and others are being threatened if they suggest representing him. Two lawyers turned his case down and a 1,000 - strong lawyers' association says none of its members will act for him.” ভারতের আইনজীবিদের প্রায় কেউই ক্বাসাবের পক্ষে মামলা লড়তে চাচ্ছেন না।অথচ পৃথিবীর বৃহত্তম গণপ্রজাতন্ত্র ভারতের সংবিধান কাসাবকে ওই অধিকার দিয়েছে।

কাসাব যেন রাষ্ট্রেরই দেয়া এই অধিকার না ভোগ করতে পারে তার জন্য স্বয়ং রাষ্ট্রেরই পরোক্ষ প্রেষণায় দাঁড়িয়ে যায় একদল নিপীড়ক গ্রামবাসী।খবর আরো জানাচ্ছে, “On Sunday members of Shiv Sena, a right-wing regional party, demonstrated in front of the house of lawyer Ashok Sarogi, who was contemplating appearing for Mr Qasab. Mr Sarogi said that without a lawyer appearing for Mr Qasab the case could not proceed, but he too has now refused to defend the accused. On Monday, the Press Trust of India reported that about 100 Shiv Sena activists had attacked the home of Mahesh Deshmukh, another lawyer who had shown an interest in the case.” শিবসেনার গুন্ডারা কোনো আইনজীবিকে দাঁড়াতে দেয়নি।একই ঘটনা ২০০৬ এর জুলাই মাসে মুস্বাইয়ের ট্রেনে সিরিজ বোমা হামলার বিচারপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও হয়েছিল।সেবার উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা রাজ থ্যাকারে আইনজীবিদের হুমকি দেন।

কোনো সন্ত্রাসী সহানুভূতি পাবার যোগ্য নয়।কিন্তু ন্যয় বিচার পাওয়ার যোগ্য সকলে।কিন্তু দেখা যাচ্ছে আধুনিক রাষ্ট্রের আইনের বইতে যাই লেখা থাকুক না কেন রাষ্ট্র চলছে চিরস্থায়ী এক নিপীড়ক নীতির ভিত্তিতেই।নাগরিক সেখানে হয় নিপীড়নের কাছে সমর্পিত (যেমন উকিল অশোক সাগরী) হতে শেখায় নয় তাকে স্বয়ং নিপীড়ক (যেমন রাজ থ্যাকারে) করে গড়ে তোলে।বস্তুত একজন সুনাগরিক সে হিন্দুই হোক আর মুসলমান - তাকে নিপীড়নে বিশ্বাস আনতেই হবে!


মন্তব্য

Shadhoo [অতিথি] এর ছবি

wonderful. Thanks.

দিগন্ত এর ছবি

তবে পাকিস্তানের যে এলাকা থেকে তার আগমন সেই কাশ্মীরের

কাসভ পাঞ্জাবের ওকারা জেলার ফরিদকোটের বাসিন্দা। স্থান হিসাবে কাশ্মীর থেকে অনেকটাই দূরে

আপনার বক্তব্যের শেষ অনুচ্ছেদের সাথে একমত। তবে কেউ না কেউ দাঁড়াবেই কাসভের পক্ষে ... কেন্দ্রীয় সরকার থেকে লোক পাঠানো হবে নিরাপত্তা দিয়ে। যেমনটা হয়েছিল ২০০৬ বিস্ফোরণের পরে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আশা করছি মেঘ পরিষ্কার হবে।

তবে আইনি জটিলতাও আছে। ভারতীয় আইন অনুসারে যদি রাষ্ট্র কাসভকে উকিল না দিতে পারে তাহলে কাসভ বেনিফিট অব ডাউটে মুক্ত হয়ে যাবে। মামলা এক দিনে নিষ্পত্তি হাসি


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ।আপনার তথ্য অবশ্ই ঠিক।কিন্তু লস্করের ট্রেনিং মুজাফফরাবাদে হয়ে থাকে যেটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবশ্য।
---------------------------------------------------------
The philosophers have only interpreted the world in various ways; the point, however, is to change it.
[MARX : Theses on Feuerbach]


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

জিজ্ঞাসু এর ছবি

কথাটা প্রথমেই উঠেছিল এই সন্ত্রাসযজ্ঞে পোয়াবারো হবে ভারতের বিরোধীদল তথা ডানপন্থী হিন্দু মৌলবাদের। কাসাভ এখানে নগণ্য সাবজেক্ট। তার পাওনা এখানে, "he could get a little company and some excitement" এর বেশি কিছু নয়।

গণতন্ত্রের রাজনীতিতে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। নরেন্দ্র মোদি বা থ্যাকারেরা হলেন সেসব জনগণের সেবক।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

দিগন্ত এর ছবি

ভোটে এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় নি। উত্তর ভারতে দুটি রাজ্যে এই ঘটনার পরে ভোট হয়েছে এবং দুটিতেই বিজেপি হেরে গেছে। বরং যে দুটোতে এই ঘটনার আগে ভোট হয়েছে সেখানে দুটো রাজ্যে বিজেপি জিতেছে। দেশে অনেক ইস্যু, এইরকম ঘটনা কোনো ইস্যু হিসাবেই দাঁড়ায় না ভারতে। সমীক্ষা মতে, ভোটের ওপর এই ঘটনার প্রভাব ১%, তার কতটা কংগ্রেসের পক্ষে আর কতটা বিজেপির পক্ষে বলা মুশকিল।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অনিন্দ্য রহমান আপনার পরিসংখ্যান থেকে দেখতে পাচ্ছি

লেখালেখি করেছেন:
* ব্লগ ৫টি
মন্তব্য করেছেন: ৮টি

আপনাকে অনুরোধ করব আরো মন্তব্য করতে। মিথস্ক্রিয়াই হচ্ছে ব্লগের প্রাণ।

ধন্যবাদ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

একমত।তবে, মন্তব্য করা না করার স্বাধীনতা সকলেরই থাকা উচিত।মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে নীরব পাঠও অন্তর্ভুক্ত নিশ্চয়ই।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

জিজ্ঞাসু এর ছবি

আসলে লস্কর, আইএসআই, সিআইএ, মোসাদ, মোদি, থ্যাকারে এরা হলেন প্লেয়ার আর জনগণ হইল ফুটবল।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

বিপ্লব রহমান এর ছবি

কোনো সন্ত্রাসী সহানুভূতি পাবার যোগ্য নয়।কিন্তু ন্যয় বিচার পাওয়ার যোগ্য সকলে।কিন্তু দেখা যাচ্ছে আধুনিক রাষ্ট্রের আইনের বইতে যাই লেখা থাকুক না কেন রাষ্ট্র চলছে চিরস্থায়ী এক নিপীড়ক নীতির ভিত্তিতেই।

একমত। ।

মুম্বাই-ম্যাসাকারের দায়ে মোহাম্মদ আজমল আমির কাসাবকে এখনোও 'ক্রসফায়ার' (নাকী খরচ-ফায়ার?) করা হয়নি, সেটাই তো বিস্ময়কর।

ইতিহাস স্বাক্ষী, এই উপমহাদেশে নকশালদের বিনা বিচারে গুলি করে হত্যার ঘৃণ্য-কর্মের জন্মদাতা ইন্দিরা সরকার। (দ্র. হাজার চুরাশির মা, মহাশ্বেতা দেবী।)

আর সর্বহারা, নকশাল ও গণবাহিনী দমনের নামে মুজিব সরকার 'ক্রসফায়ার' সংস্কৃতি আমদানী করে এ দেশে।

পরের সরকারগুলোও মোটামুটিভাবে এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। সর্বশেষ খালেদা-ফখরুদ্দীনের সরকারও যৌথবাহিনী, ড়্যাব ও পুলিশের 'অপারেশন ক্লিন-হার্ট', 'ক্রসফায়ার', 'এনকাউন্টার'-এ একই সংস্কৃতি বজায় রেখেছে।

ধরেই নেয়া যায়, গালভরা 'দিন বদলের সনদ' নিয়ে আগামীতে হাসিনা-এরশাদ সরকার গদিনশিন হলেও এর কোনো ব্যতয় হবে না। বহাল থাকবে 'ফ্রিডম অব ডিপ্রেশন!'

---

অনিন্দ্যকে আবারো অনুরোধ জানাই, সচলে নিয়মিত লেখার। দূর্দান্ত লেখায় ... (বিপ্লব)


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।