ওয়াশিংটনে ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: রবি, ১৫/০৮/২০১০ - ৩:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সময়ের পথ ধরে এল সেই শোকাবহ দিন। মুস্তাফা নুরউল ইসলাম নাকি হে? আরে না, আ’ম জাস্ট রানিং লো। নো আইডিয়া। তরঙ্গ কোম্পানির মাইক কুঁ কু করে। এভাবে দাঁড় করালে কিছু মাথায় আসে নাকি। তা মুস্তাফা নুরউল ইসলামও আসবেন নাকি? তার মুজিব ভাইয়ের কলকাতার ঘরে ফ্লোরে শুয়ে থাকার অভিজ্ঞতাটা আমরাও জানতে চাই। সেই মুজিব ভাই ১৮ বছর থেকে রাজনীতি করে করে বঙ্গবন্ধু। আমাদের জাতির জনক। একদা ফুটপাতেও রাত কাটিয়েছেন। আজকে সেইসব দিন গত। টিভিতে শুনলাম শিল্পমন্ত্রী বলেছেন সরকারের কাজ কারখানা করা না। নৌকামার্কায় জিতে আসা সমাজতন্ত্রী। ডাবল তাবিজ। ভালো জানেন তোমার আমার থেকে। খালি বঙ্গবন্ধু বলে গেলেন … সমাজতন্ত্র ছাড়া বাংলার মানুষ বাঁচতে পারবে না … বড় বড় কাপড়ের কল। বড় বড় চটকল। বড় বড় চিনির কল। আমি জাতীয়করণ করে সাড়ে ৭ কোটি মানুষের সম্পদ করে দিয়েছি। আপনাদের এর সুফল ভোগ করতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু এ সম্পত্তি আর ২/৫ জনের নয়। এই সম্পত্তি আমার বাংলাদেশের সাড়ে৭ কোটি লোকের সম্পত্তি … সুফল ভোগ করলাম তো। করি নাই? ভালোই করলাম। গতকালের পত্রিকাটাই দেখ না … ১৯৭৫ সালে বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবধারী ৪৭ কোটিপতির মোট আমানতের পরিমাণ ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ১০ শতাংশ। আজ কোটিপতি আমাতনকারীদের এই সংখ্যা ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর দশমিক ০৬ শতাংশ। আর তাঁদের আমানতের পরিমাণ মোট আমানতের এক-তৃতীয়াংশ … বঙ্গবন্ধু বলে গেলেন, (এবং বলে চলে গেলেন) … আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, বড় বড় ব্যাংক ছিল। ভুড়িওয়ালাদের ব্যাংক। আল্লাহর মর্জি ঐ ব্যাংক এখন সাড়ে৭ কোটি মানুষের ব্যাংক … খালি খালি এতো কথা … আমি বিশ্বাস করি, ক্যাম্বোডিয়া, আই শুড রিকগনাইজ ইট। আই ডোন্ট কেয়ার এনিবডি ইনদি ওয়ার্ল্ড, হোয়েদার এনিবডি ইজ স্যাটিসফায়েড অর এনিবডি ইজ আনহ্যাপি অর এনিবডি ইজ হ্যাপি। আই ফিল দ্যাট দে আর ফাইটিং ফর দেয়ার ওন লিবার্টি। আই অ্যাম উইথ দেম। আই সাপোর্ট পিআরজি … খালি কসভোর বিষয়ে (এইবার ঘটনা বিপরীত) আমাদের নৌকামার্কা সরকার একটু ভাবে। ভাবিতে হইবে। লো প্রোফাইল থাকা ভালো। রাশিয়া নিউক্লিয়ার বানায়া দিবে। আম্রিকাও কী কী জানি দিবে। লইতে হইবে। কসভো নিয়ে ভাবার সময় এখন না। প্র্যাকটিকাল হওয়া জরুরি। তারা এইসব জানে। নৌকামার্কা সরকার দুনিয়ার বেকুব না।

তো অবশেষে মনস্থির এই দুনিয়ার বেকুব লইয়াই অদ্য কিছু বলিব। আমি বলিব না ঠিক। ইতিহাস হইতে লইব। সেকালের মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এহেন উপাধি দিয়াছেন তাঁকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট অনুবাদ করে দিলাম, আদ্যোপান্ত পড়বেন … ইতিহাস বুঝতে কী লাগে কমন সেন্স ছাড়া?

বাদবাকি কথা তো তরঙ্গ মাইকের কুঁকুঁ ...

_______________________________________
 

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫
সকাল ৮টার স্টাফ মিটিং
কিসিঞ্জার ও সভাসদ …

কিসিঞ্জার: বাংলাদেশ বিষয়ে কথা বলা যাক। [এই দলিলে বাংলাদেশ বহির্ভুত বিষয় বাদ দেয়া হয়]

আথার্টন: ওয়েল, বাংলাদেশের পক্ষে এই ক্যু-টি ছিল লক্ষণীয়ভাবে সুপরিকল্পিত ও সুসম্পাদিত।[আলফ্রেড আথার্টন জুনিয়র নিকটপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট]

কিসিঞ্জার: এর মানেটা কী? মুজিবুর জীবিত না মৃত?

আর্থাটন: মুজিবুর মৃত। সাঙ্গপাঙ্গসমেত। বেশিরভাগই তার পরিবারের। ভাতিজা, ভাই।

কিসিঞ্জার: আইএনআর [ব্যুরো অফ ইন্টেলিজেন্স অ্যন্ড  রিসার্চ] আমাকে সুসংবাদই দিয়েছে। [এর অর্থ, কিসিঞ্জারের কাছে সুসংবাদ আগেই পৌঁছেছিল]

হাইল্যান্ড: আমি যখন আপনার সাথে কথা বলি সে অবশ্য তখন বেঁচেই ছিল।[উইলিয়াম জি হাইল্যান্ড আইএনআরের প্রধান]

কিসিঞ্জার: তাই নাকি? ওরা কি তাকে তারও কিছু সময় পরে মেরেছে?

আথার্টন: আমরা যতদূর জানি … মানে আমরা এখনো সব খুঁটিনাটি জানি বলে দাবি করতে পারছি না … তবে তাকে খুনের পরিকল্পনারই ইঙ্গিত ছিল। [‘ইন্ডিকেশন’ দিয়ে ইঙ্গিত, নির্দেশনা দুটোই বোঝানো সম্ভব] ওরা স্রেফ তার প্রাসাদ [প্যালেস] ঘিরে ফেলে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং তাকে মেরে ফেলে। আমরা আপাতত এর বেশি জানি না।

কিসিঞ্জার: আমরা কি তাকে গত বছর বলিনি?

আথার্টন: মার্চে আমরা অনেককিছুর আভাস পেয়েছিলাম …

কিসিঞ্জার: আমরা কি তাকে এই বিষয়ে কিছু বলিনি?

আথার্টন: আমরা মাঝেসাঝে বলেছি।

কিসিঞ্জার: আমরা কি তাকে জানাইনি কারা এটা করতে যাচ্ছে … মোটা দাগে [রাফলি]?

আথার্টন: আমাকে একটু দেখতে হবে … তাকে আমরা নামগুলো জানিয়েছিলাম কি না?

হাইল্যান্ড: আমরা এ বিষয়ে একটু ঘোলা [ইমপ্রিসাইজ] ছিলাম [বঙ্গবন্ধর কাছে। কিসিঞ্জারের ‘রাফলি’ মানতে গেলে একই সাথে ‘প্রিসাইজ’ হওয়া সম্ভব নয়]

আথার্টন: সে তো তখন উড়িয়ে দিয়েছিল। ঠাট্টা করেছিল। এবং বলেছিল কেউ তার সাথে এমনটা করতে পারে না।

কিসিঞ্জার: সে দুনিয়ার বেকুব [‘ওয়ার্ল্ডস প্রাইজ ফুল’, জার্মান ইহুদি কিসিঞ্জারের ইংরেজি প্রাচীনপন্থী এবং কিছুটা পুঁথিঘেঁষা]

আথার্টন: কিন্তু মনে হচ্ছে পরিস্থিতি ক্যু’র নেতাদের নিয়ণ্ত্রণে আছে।

কিসিঞ্জার: এরা কারা?

আথার্টন: মিলিটারি অফিসার, মাঝারি আর সিনিয়ার অফিসার যারা সাধারণভাবে আগের নেতৃত্বের চেয়ে কম ভারতপন্থী হিসেবে বিবেচিত; যুক্তরাষ্ট্রপন্থী, সোভিয়েতবিরোধী।

কিসিঞ্জার: অবশ্যম্ভাবীভাবে এ-ই হবার কথা ..

আথার্টন: ইসলামিক … ওরা নাম বদলে ইসলামী প্রজাতন্ত্র করেছে …

কিসিঞ্জার: [কিসিঞ্জারের আগের বাক্যের সাথে মিলিয়ে পড়তে হবে] … মানে এটা অবশ্যম্ভাবী নয় যে ওরা যুক্তরাষ্ট্রপন্থী হবে [আগের বাক্যাংশ থেকে সরে আসলেন]। আদপে আমি ভেবেছি ঘটনাচক্রে ওরা চীনপন্থীই হবে। তবে ভারতবিরোধী যে হবে সেটা আমি দৃঢ়ভাবে মনে করতাম। আমি সবসময় জানতাম ভারতকে অনুশোচনা করতে হবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করবার জন্য। ’৭১ থেকেই আমি এই ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছি।

আথার্টন: আমার মনে হয় ওদের খুব ঘনিষ্টভাবে গ্রহণ করার বিষয়টা এড়ানোই হবে আসল ঝামেলার কাজ।

কিসিঞ্জার: কেন? ওরা আমাদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ বলে? [কিসিঞ্জারের বক্রোক্তি]

আথার্টন: আমার মনে হয় ওরা চাইবে আমারা নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাদের কাছে যাই।

কিসিঞ্জার: [সম্ভবত এই বাক্যটিও কিসিঞ্জারের আগের বাক্যের সাথে মিলিয়ে পড়া যায়] ... কারণ উপমহাদেশে আমাদের নীতি হচ্ছে তাদেরই ঘনিষ্টভাবে গ্রহণ করা যারা আমাদের বিরোধী? নীতিটা কী আসলে?

আথার্টন: আমি মনে করি আমাদের নীতি হওয়া উচিৎ ততটুকই সাহয্য ঢালা যতটুকু আমরা আসলেই দিতে পারি এবং যতটুক বাংলাদেশের আসলেই নেয়ার সাধ্য আছে।

কিসিঞ্জার: তাহলে কাজে নামার আগে বিষয়গুলো যাচাই নেয়া যাক। আমি জানি আমরা সাহায্যে কোনো বিরাট বৃদ্ধি আনতে পারব না। কিন্তু আমি মনে করি লোকগুলো যদি মনেই করে  ওরা যুক্তরাষ্ট্রপন্থী – তাহলে আমাদের কাছে আসুক। একটা টেকনিকাল ভাষণ শুনে যাক। বুঝুক যে আমাদের পক্ষে এর বেশি কিছু করার নেই … তবে কোনো একটা কৌশল খাটিয়ে আ্মরা খাদ্যসাহায্যের ব্যাপারটা দেখছি। এবং শেষে নির্দশনস্বরূপ কিছুটা সাহায্যবৃদ্ধি।

এন্ডার্স: খাদ্যসাহায্য নিয়ে আসলে আমরা আর সামান্যই এগোতে পারি।

কিসিঞ্জার: ওরা আপনি যেরকম বলছেন সেরকমটাই হয়ে থাকলে, আমি চাই ওরা এটা পাক [খাদ্যসাহায্য], আমি যদিও জানি না [ওরা বস্তত কেমন]

আথার্টন: এগুলো সবই প্রাথমিক ধারণামাত্র।

কিসিঞ্জার: তাহলে ওদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্বর্ধনা পাওয়াই বিধেয়।

আথার্টন: আমার মনে হয় আশু প্রশ্নটা হচ্ছে আমরা কীভাবে নতুন সরকারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করতে পারি? আপনাকে দেয়া মেমোটার বিপরীতে - সকাল সকাল ওটা আমি ভালো করে দেখে দিতে পারিনি – আমার যা মনে হয় সেটা হলো আমাদের যেকোনো আলোচনার প্রস্তাবেই সপাট সাড়া দেয়া উচিৎ।

কিসিঞ্জার: মেমোটায় কী বলেছেন?

আথার্টন: ওটায় বলা হয়েছে যে, আমাদের ওদের স্বীকৃত দেয়ার বিষয়ে একটু গা বাঁচিয়ে চলা উচিৎ। কিন্তু আমার মনে হয়না এটা এতো সুক্ষ্ম কোনো বিবেচনার বিষয় [মেমোর বক্তব্য থেকে সরে এসে, সম্ভবত কিসিঞ্জারের সাথে তাল মেলানোর চেষ্টা]

কিসিঞ্জার: আমাদের স্বীকৃতি দিতেই হবে।

আথার্টন: ‘স্বীকৃতি’ বলতে এক্ষেত্রে কী বোঝানো হচ্ছে আমি তা সঠিক জানি না। তবে আমরা যদি স্রেফ …

সিস্কো: বলে যান। মেমোতে তো এটাও বলেছিলেন যে আমাদের ভারতীয়দের সাথেও একটু বোঝাপড়া করে নিতে হবে, যেন ভারতীয়দের ভেটো ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। এতে নিশ্চিতভাবে আমার অমত রয়েছে। [জোসেফ জন সিস্কো, আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট, পলিটিকাল অ্যাফেয়ার্স]

আথার্টন: আমি মনে করি ওটা কাজে আসবে …

কিসিঞ্জার: আমরা অবশ্যই ভারতীয়দের কাছে যাচ্ছি না।

আথার্টন: আমি মনে করি তাদের সাথে মতবিনিময় করতে কিছুটা অন্তত লাভ রয়েছে।

কিসিঞ্জার: করব। কিন্তু আমাদের কাজ শেষ হলে পরে। আমরা এমনকি নতুন সকরারের সাথে সংযোগ স্থাপন করা নিয়েও ভারতীয়দের সাথে বাতচিত করব না। যোগাযোগ স্থাপিত হলেই কেবল আমরা তাদের [ভারতের] কথা শোনার আগ্রহ দেখাব, তবে তখন তাদের বুঝতে হবে যে, আমরা কী করব না করব সেবিষয়ে তারা বলতে আসতে পারবে না এবং বাংলাদেশকেও গিয়ে বলতে পারবে না যে তারা [বাংলাদেশ] কী করবে। এরপর বাংলাদেশের মতামত নেব যেটা আমাদের কাছে পাঠানো হবে [ ঢাকাস্থা দূতাবাস থেকে]।

আথার্টন: আমি সম্পূর্ণ একমত।[আবারও কিসিঞ্জারের সাথে তাল মেলালেন]

কিসিঞ্জার
: ভারত এটা সানন্দে করবে।

যদি কোনো অগ্রগতি দেখেন আমাকে জানাবেন।

আর্থাটন: আমার মনে হয় ভারতকে কী বলা হবে সেবিষয়ে আমরা একটা টেলিগ্রাম তৈরি করে রাখি, যেটা আপনাকে দেখিয়ে নেয়া হবে। আর পাকিস্তানীরাও গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে পাকিস্তানেও কিছু নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে।

কিসিঞ্জার: [আথার্টনকে] ভুট্টোকে একটা পরিমিত নির্দেশনা দিতে হবে। আমি আপনার সাথে কয়েক মিনিটের জন্য বসতে চাই। আর তার দেয়া কিছু প্রতিশ্রুতি নিয়েও কথা আছে। ঠিক আছে তাহলে?

 

 

 

সূত্র এখানে


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমাদের গোষ্ঠীর পিতাকে যারা
একদিন হত্যা করে তাঁর জন্মগ্রামটিতে মাটিচাপা দেয়-
কতটুকু জানে তারা,কত ব্যর্থ?
- জেগে ছিল তার দুটি হাত,
মাটির গভীর থেকে আজো সেই হাত- পরানকথার মতো-
স্মৃতির ভেতর থেকে উচ্চারনমালা, নদীর গভীর থেকে
নৌকোর গলুই: পথিকের পদতল কাঁটায় রক্তাক্ত যদি,
সেই রক্ত শোধ হোক তার কাছে ঋণ; মানব প্রসিদ্ধ কৃষি
খুব ধীরে কাজ করছে; পাখিরা নির্ভয়; আর আমি ও পৌঁছেছি;
আমারই ভেতর-শস্য টেনে নিয়ে এলো আজ আমারই বাড়িতে।।

[ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে।। সৈয়দ শামসুল হক]
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমারই ভেতর-শস্য, আজ কাদের খাদ্য মোরশেদ ভাই?
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

কান পেতে শোনো,এই বাংলার মাটি বায়ু নদী সরোবর/
জপিতেছে নাম করিয়া প্রণাম মুজিবর আহা মুজিবর............

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কান পেতেছিলাম ... সামরিক জুতার শব্দ শুনতে শুনতে বধির হয়ে গেছি ... তবু অভ্যাসে কান পাতি বারবার ... নেতা আসবেনই ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

লিখতে চাইছিলাম খাদ্য সাহায্যের সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতি নিয়ে ...
__________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আয়নামতি [অতিথি] এর ছবি

চলুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

রাফলি বলে দায়িত্ব পালন করেছিলো কারণ তারা জানতো এক্ষেত্রে প্রিসাইজ হলে এই ঘটনাগুলো ঘটতো না। কী সাবলীল ভাবে তারা আমাদের উপর কাঁটাছেড়া করে। এখনো করছে হয়তবা...

অনন্ত

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

এখনো করছে ... এটাই বুঝতে হবে
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দ্য।
জানতে চাইলে ইতিহাসের অনেক কিছুই জানা যায়... কিন্তু অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ... মন খারাপ

-----------
চর্যাপদ

-----------
চর্যাপদ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল। সত্যিই। জানতে চাইতে হবে তো। পোস্টেও বলেছি, ইতিহাস বুঝতে কী লাগে কমন সেন্স ছাড়া?
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রানা মেহের এর ছবি

আথার্টন: সে তো তখন উড়িয়ে দিয়েছিল। ঠাট্টা করেছিল। এবং বলেছিল কেউ তার সাথে এমনটা করতে পারে না।

হায়! কতটা না বিশ্বাস করেছিলেন তিনি বাঙ্গালিদের! কতটাইনা বোকা ছিলেন তিনি!
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

রানা মেহের, ইতিহাসটা বড়োই লজ্জার ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

kamaluddin kabir এর ছবি

অনিন্দ্য
অনেক ধন্যবাদ
অনেক কৃতজ্ঞতা
................

কবির
পুঠিয়া, রাজশাহী
৩০ শ্রাবণ ১৪১৭ (বাংলা) ১ ভাদ্র ১৪১৭ (সরকারি)

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

দেখেন কবির ভাই, কত নাটক ঘটতে-আছে ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

বাবুবাংলা এর ছবি

ভালো লাগলো।

খুবই দরকারী একটা লিঙ্ক।
আমি তাজঊদ্দিন আহমেদ ও মোশতাক আহমেদের তুলনামুলক কিছু মূল্যায়ন দেখতে পেলাম।
আরো আগ্রহী ছিলাম আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে কোন বিশ্লেষন পাওয়া যায় কিনা- উল্লেখ পেলাম কিন্তু বিশ্লেষন/মূল্যায়ন নেই। এগুলো পড়ে প্রচুর সময় কাটবে বুঝতে পাড়ছি। ধন্যবাদ সুত্র ধরিয়ে দেবার জন্য।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পাঠ, মন্তব্য ও আগ্রহস্বীকারের জন্য ধন্যবাদ।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

Afsana এর ছবি

Ninda,
liked it but want to read more about it. So send me the references. হাসি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

লরেন্স লিফশুৎসের লেখা Bangladesh: The Unfinished Revolution
নামের বইটি প্রাথমিকভাবে পাঠ করা যায়। এই লিঙ্কে গেলে এ বিষয়ে এই সাংবাদিকের একটা গুরুত্বপূর্ণ লেখা পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।