নাজিব তুন রাজাক এর বাবা মালেইশিয়ার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বাবার যোগ্যপুত্র এখন একাধারে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর টার্ম শেষ হলে তিনিই হবেন পরবর্তী সরকার প্রধান।
এই লোকটা গত ১২ই জানুয়ারি (সোমবার) ৩য় ইসলামিক ইকোনমিক কংগ্রেসে বলেছেন, "(গাজায় হামলার প্রতিবাদে) মার্কিনি, ইজ্রায়েলি পন্য বর্জন একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত"। যে কথাটা সরাসরি বললেন না তা হল এই বর্জনের প্রতিবাদে সরকার আপাতত জড়াচ্ছে না।
কেন?
"দেশে প্রচুর মার্কিনি ফ্রানচাইজি আছে বটে, কিন্তু তার খানিকটার অংশীদার তো মালেইশিয়ানরাও। কি দরকার ভাই পন্য বর্জন করে নিজের পায়ে কুড়াল মারার! তার চে' বাবা তোদের শখ হলে পন্য বর্জন করে লাফাতে থাক, ব্যবসায় লাল বাতি জ্বালানোর মাঝে আমি নাই", নাজিবের কথা গুলো সোজা বাংলায় বললে হয়তো এমনই শোনাতো..
সাংবাদিকরা যখন ভদ্রলোককে খুঁচিয়েছেন তখন গম্ভীর মুখে তিনি বলেছেন, "অর্থনীতি বড় জটিল আর প্যাঁচগোছওয়ালা বস্তু!!"
ভদ্রলোক একই অনুষ্ঠানে আরও বলেছেন, "দুনিয়াজোড়া ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস হইল ইসলামী ফাইনান্সিয়াল সিস্টেমকে কার্যকর প্রমান করিবার মোক্ষম সুযোগ। ইহাই ক্রাইসিস মুকাবিলা করিবার কামিয়াবি তরিকা"
আমি পড়ে খানিকটা বেকুব হয়ে বসে থাকি। আসলে বয়স হয়নি এই সব বুঝবার। টাকার নাম বাপজান, ধর্ম বড়জোর চাচা-ফুপার রোল প্লে করে যা বুঝলাম। অর্থনীতি আসলেই বড় বেশী জটিল আর প্যাঁচগোছওয়ালা বস্তু!!
মন্তব্য
দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হ
=============
সহজ করে বলতে মোরে কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
হ!
সকলই ভ্রান্ত সিন
পন্য বর্জনে ভাই নানান ফ্যাকড়া... এই আপনি আমি ওই ব্যক্তিকে তিরোষ্কার করতে পারি, কিন্তু ব্যক্তি জীবনে আমি আপনি কেউই মাইক্রোসফট বা ইন্টেল বা গুগল বর্জন করব না... কারণটা অনেকক্ষেত্রেই অর্থ সংক্রান্তিক আমাদের ক্ষেত্রেও। কম্পিউটার না জানলে আজকের দুনিয়ায় পেটে ভাত জুটবে না.. আইনস্টাইন ইহুদি ছিলেন বলে তাঁর থিওরি পড়ব না... এমনটাও কেউ বলবো না.. আর মালয়েশিয়ার বার্ষিক বাজেট আমাদের মতন কতটা বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর তাও আমি জানি না.. বছর শেষে উনাকেও তো বাজেট করে দিতে হবে। তাইলে উনাকে দোষ দেই কেমনে?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
অর্থনীতি আসলেই বড় বেশী জটিল
...........................
Every Picture Tells a Story
পণ্য বর্জনে একালে কৃতিত্বের কিছু নেই যদিও পুরাকালে মহাত্মারা এসব ত্যাজ্য করে স্বাধীনতা অর্জনের আন্দোলনকে চাঙা করেছেন। চিন রাজনৈতিক আদর্শগত দিক থেকে চরম শত্রুশ্রেণীর হলেও পশ্চিমা ঘোর পুঁজিবাদী বিশ্বে তার পণ্যের কদর দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। পণ্য হল জীবন বাঁচানো আর জীবন সাজানোর উপকরণ। যে পণ্য জীবনের জন্য বাড়তি, অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর তা দেশি হলেও বর্জন করা উচিত।
পণ্য বর্জনের জিকির তুলে মার্কিন-ইসরাইল চক্রকে কোনভাবেই কাবু করা যাবে না। ইসরাইলকে কোলে তুলে বসে আছে পুরো ধনী বিশ্ব। গরিব বিশ্বের মধ্যে উঠতিদের সাথেও ক্রমে বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সখ্যতা বাড়ছে তার। ক'টাকে আপনি বর্জন করবেন? তার চেয়ে কূশপুত্তলিকা দাহ করাও শ্রেয়, অন্তত ভাল মিডিয়া কভারেজ পাবে।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
অর্থ ভালা পাই। কিন্তু ওর সাথে যখন নীতিটা আসে তখন গুবলেট পাকাই।
অর্থনীতিজুড়া পচুর প্যাঁচ ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
মবের আবেগ দিয়া ইকোনোমি চলে না।
ঘটনা সত্য। অ্যামেরিকান জিনিষ বাদ্দিলে ফ্রাঞ্চাইজরা সব পথে বসবে।
ইসলামি ব্যাংকিং এর ব্যাপার্টাও সত্য। আইজকাল "বেধর্মী"রা তেলজবজব এলাকায় ওই পথে আগাইতেসে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হ ঠিক, নাম শুনলেই মাথা ঘুরে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাপারটা আজকাল বেশ বাজার পাচ্ছে। অনৈসলামী দেশগুলোর নামজাদা ব্যাংকগুলোর ইসলামী স্কীমগুলোর রমরমা বাণিজ্যও দেখা যাচ্ছে। অবশ্য এতে ইসলাম কতটুকু রক্ষা পায় তা চিন্তার বিষয়। তবে এই অপেক্ষাকৃত নতুন অ্যাভেনিউতে বাণিজ্য পুরোমাত্রায়ই হচ্ছে। আগ্রহী পাঠকগণ চাইলে এই লেখাটা পড়তে পারেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই বেটা নাজিব তুন রাজাক আমাগো হগলডিরে গাধার পিঠে উঠতে কইতছে।
নিজেগো পেট্রনাস টাওয়ার বানাইচে আমেরিকান B.L. Harbert International company দিয়া।
মালয়শিয়া আগে Airplane, car, computer, cell phone, আর বেবাক যাকিছু আমেরিকানগো, তা বাদ দিয়া পাহাড়ের গুহায় ডুইক্কা থাকুক।
আমাগো পেটের ভাত কামাই করতে হবে। জুতা মারলে নিজেদের কপাল পোড়বে।
স্বার্থের সামনে যা দাঁড়ায়, সহজেই মিলিয়ে যায় এক মূহুর্তে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- হুমম
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এ্টাই হলো লাখ কথার এক কথা।
নতুন মন্তব্য করুন