শিডনী শেলডন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০২/২০০৭ - ৪:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সতেরো বছর বয়সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। বাবার কারণে পারেননি। শিকাগোতে জন্ম নেয়া মানুষটি বিশ বছর বয়সে সপ্তায় 17 ডলার বেতনে হলিউডে স্ক্রিপ্ট রিডারের কাজ নিয়েছিলেন। দ্্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছিলেন এয়ারফোর্সের পাইলট। আর গত 30 জানুয়ারী, 2007 এ যখন চলে গেলেন তখন তাঁর নামটি এক ইতিহাস...
-------------------------

ইংরেজী বইপত্র পড়ার অনভ্যাসের কারণে প্রথমে খানিকটা সংশয় ছিল। পুরনো বইয়ের মাঝ থেকে লাল কভারের একটি বই তুলে নিলাম। প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে মনে হলো - নাহ্, এটা পড়া যাবে। ভাষাটা তেমন দূর্বোধ্য মনে হচ্ছে না। ...তারপর পড়তে পড়তে টের পাচ্ছিলাম, কোথায় যেন ম্যাগনেটিক পাওয়ার আছে এ লেখায়। একটা সেকশন পড়ি আর ব্যাক কভারে লেখকের ছবির দিকে তাকাই। লেখার কী অসাধারণ ক্ষমতা তাঁর! লেখকের নাম শিডনী শেলডন, বই - 'ইফ টুমরো কাম্স'। এভাবেই প্রথম পরিচয় হলো শেলডনের লেখার সাথে। তারপর নেশার মতো পড়েছি 'দ্য নেকেড ফেস', 'মাস্টার অব দ্য গেমস', 'স্যান্ডস অব দ্য টাইম', 'ব্লাড লাইন'। একবার ব্যাংকক এয়ারপোর্টে বাংলাদেশ বিমান ডিলে ছিল 10 ঘন্টা। ওয়েটিং রুমে বসে বসে পড়েছিলাম - 'দ্য আদার সাইড অব মিডনাইট'। টেরই পাইনি কখন 10ঘন্টা সময় কেটেছিল। পড়া শুরু করলে শেষ না করে রাখা যায় না, এমনই আকর্ষণ তাঁর লেখার।

-------------------------
জেনে অবাক হলাম - 1970 সালে প্রথম নভেল 'দ্য নেকেড ফেস' যখন প্রকাশিত হয়, তখন তাঁর বয়স 53! অবশ্য এর আগেই 1948-এ 'দ্য ব্যাচেলর অ্যান্ড দ্য বেবী সক্সার'-এর জন্য পেয়েছেন অ্যাকাডেমী এওয়ার্ড। আগের বছরই ছবিটি সেরা চিত্রনাট্যের জন্য পেয়েছিল 'ব্লু রিবন আওয়ার্ড'। এছাড়াও ব্রডওয়ে মিউজিকাল রেডহেডের জন্য 1959 সালে টনি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শেলডন। এক সময়কার আলোচিত টিভি সিরিয়াল - আই ড্রিম অব জিনি, দ্য প্যাটি ডিউক শো, হার্ট টু হার্ট তাঁরই লেখা।
সবশেষ 2005 সালে বেরিয়েছে শেলডনের স্মৃতিকথা 'দ্য আদার সাইড অব মী'।

শিডনী শেলডনের সাক্ষাৎকার: এখানে


মন্তব্য

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাহ! এই লেখাটায় কোন মন্তব্য নেই...

সিডনি শেলডন হলেন সেই রকম একজন লেখক, যাঁর থ্রিলার মিস্ট্রি পড়বার সময়ে আক্ষরিকই মনে হয় চোখের সামনে ঘটতে দেখছি, অনেকটা সিনেমার মতন। আমার মতে লেখনি ভালো না হল পাঠকের মনে এই এফেক্ট খুব ভালো মত তৈরি করা বেশ কঠিন। মজার ব্যাপার হল শেলডনের টিভি, মুভি প্রডিউসার জীবনও তাঁর লেখনির মতই বৈচিত্রময়।

আমার খুব পছন্দের দুইটা বই হলো The Stars Shine Down আর Bloodline. তাঁর অনেক বইতেই শক্তিশালী নারী চরিত্র আছে, বিশেষ করে প্রফেশনালি সাকসেসফুল এবং পুরুষদের সমকক্ষ করে জীবন যুদ্ধে জয়ী নারী চরিত্র সৃষ্টিতে শেলডন অন্য অনেক লেখকের মত কার্পণ্য করেননি। আবার শক্তিশালী, কিন্তু জীবনযুদ্ধে পরাজিত নারীপুরুষও এসেছে তাঁর উপন্যাসে, যেমন Rage of Angels ...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

সচলের আনুষ্ঠানিক জন্মের আগের লেখা এটা। প্রথম প্রকাশ পায় সামহ্যোয়ারে। আমরা যখন চলে এলাম তখন লেখাগুলোও নিয়ে এলাম। অরূপ অনেক সময় নিয়ে কষ্ট করে আমাদের একেকজনের পুরনো লেখা ট্রান্সফার করেছিলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।