বছর খানেক ধরে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে দৈনিক পত্রিকার ছাপানো কপি হাতে নিয়ে পড়ি না। পত্রিকাগুলো তাদের অনলাইন সংস্করণে মোটামুটি সারাদিন ধরে 'সদ্য সংবাদ' 'তাজা খবর' টাইটেলে কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া খবর সংক্ষেপে তুলে দিচ্ছে। কেউ কেউ অন্যদের থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখতে যত দ্রুত সম্ভব শিরোনাম দিয়ে, সঙ্গে দুই বাক্যের বর্ণনা আর শেষে 'বিস্তারিত আসছে---' অনুসরণ করছে। দেশে থ্রিজি এসেছে, টেলিটকে বছর খানেক হলো। ফলে, দ্রুত গতিতে মোবাইল ফোনেই দেখি নিই সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম কী কী। পরদিন ছাপা কাগজে সংবাদগুলো তাই পুরনো হয়ে যায়, দৈনিক পত্রিকার ছাপানো কপি আর পড়া হয় না।
২০০৬-০৯ এর সময়টায় যতোটা না ব্লগে ঘুরতাম, সময় কাটাতাম - এখন তার অনেকটুকু দখল করে নিয়েছে ফেসবুক। দৈনিক পত্রিকার অনেক সংবাদ মুহূর্তের মধ্যে শেয়ার হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। ফলে, ফেসবুকে নিয়মিত থাকলে জরুরী সংবাদগুলো চোখ এড়ায় না।
দৈনিক পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের শুরুটা করে সম্ভবত বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোর। জানি না, কে বা কারা কেন বিডিনিউজের সাথে টুয়েন্টি ফোর যোগ করেছিল (অনুমান করি, হয়তো চব্বিশ ঘন্টার সংবাদ বোঝাতে টুয়েন্টিফোর যোগ করেছিল), এখন সেটা যত্রতত্র নিউজ পোর্টালের নামের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। মনে পড়ছে, বসুন্ধরা গ্রুপ যখন বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম চালু করলো, তখন এক ব্লগার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নামের কি আকাল পড়লো? নামটা বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরের এত কাছাকাছি কেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন - 'সেই ঘিলু মাথায় থাকতে হবে তো?'
আসলেই কি ঘিলুর সমস্যা? চব্বিশ ঘন্টার সংবাদ মাধ্যম হিসেবে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পজিশনিং করতে হলে টুয়েন্টিফোর যোগ করার কি কোনো বিকল্প নেই?
নাকি টুয়েন্টি ফোর যোগ করলে সংবাদ মাধ্যম হিসেবে গুগল সার্চে শুরুতে আসবে - এরকম কোনো টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে কি?
অবশ্য এটাও সত্যি যে, নামে কী-ই বা এসে যায়?
আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ; সংবাদ, খবর; মুক্তকন্ঠ, জনকন্ঠ, কালের কন্ঠ - এ নামগুলোও তো কাছাকাছি।
বাংলাদেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর নাম নিয়ে বোধ হয় সচলায়তনে আগেই লেখা হয়েছে। উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম এবং এদের পারমুটেশন কম্বিনেশন কিছু তো আর বাকী নেই!
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কয়টা অনলাইন নিউজ সাইট আছে তা সার্চ করছিলাম, এখানে দেখতে পাচ্ছি - ৬৬টি অনলাইন নিউজপেপারের তালিকা আছে, গুনে দেখলাম এর মাঝে ৩০টির নামে টুয়েন্টিফোর যোগ হয়েছে।
নামের আশরাফ-আতরাফ বাদ দিয়ে এবার চোখ ফেরাই নিউজ সাইটগুলোর কন্টেন্টের দিকে।
কী ছাপায়, কোত্থেকে ছাপায়?
খুব বেশি পরিশ্রম হবে না, মোটামুটি চোখ বুলিয়ে নিলে দেখা যাবে - বেশিরভাগ নিউজ সাইট আলাদা কিছু নয় - জাতীয়, আন্তর্জাতিক, রাজনীতি, খেলা; এগুলো অল্প কিছু টুকটাক অনুবাদ এবং বেশিরভাগ শতভাগ কপিপেস্ট অথবা অন্য কোনো সাইট থেকে নেয়া - হাল্কা করে ভাষাটা পালটে দেয়া।
পাঠক কি এসব পড়তে ওখানে যায়?
দৈনিক পত্রিকা বা অনলাইন পত্রিকার মাঝে ৩/৪টি ইতোমধ্যে পাঠকের মনে মোটামুটি রকম একটা ব্র্যান্ডিং করেছে। তাহলে বাকী অর্ধশতাধিক সাইটে কে যাবে? কেন যাবে?
এক্ষেত্রে টুয়েন্টিফোরযুক্ত জঞ্জালগুলো পাঠক টানছে - 'অদ্ভুদ', আজগুবি, ইংগিতপূর্ণ এবং যৌন ইংগিতবাহী কিছু রগরগে শিরোনাম দিয়ে। আর এ শিরোনামগুলো শেয়ার হচ্ছে ফেসবুকে। শিরোনাম দেখে, অধিকাংশ পাঠক অন্তত একবার ঢুঁ মারছে 'আসল ব্যাপার কী' দেখতে।
আসলে ঐ শিরোনামই মূল, ভেতরের সব 'অদ্ভুদ'।
ওসামা বিন লাদেন যে সানি লিওনের ভক্ত ছিল - সেটা একমাত্র অনলাইনের বাংলা জংগলেই পাওয়া যাবে।
আরো পাওয়া যাবে -
অনন্ত-বর্ষার রাগ-অভিমান-খুনসুটি-শপিং আর দূর্ঘটনার খবর।
মা হওয়ার টেনশনে শাবনূর!
কারিনা কাপুর বাংলা শিখছে ঢাকার ছবিতে অভিনয় করতে।
নগ্ন হচ্ছেন শাকিব খান।
সচীনকে সম্মান জানাতে নগ্ন হওয়ার ইচ্ছা পুনম পান্ডের।
ফের বেপরোয়া প্রভা।
কারিনা-ইমরানের ১২ ঘণ্টার প্রাইভেট কার রোমান্স!
গভীর রাতে হাতেনাতে ধরা পড়লেন বিপাশা!
ইত্যাদি বিভিন্ন প্রভৃতি।
এ যেন এক সময়কার হলুদ পত্রিকাগুলোর অনলাইন সন্তান সন্তুতি। স্ট্যাপলড হলুদ পত্রিকাগুলো ড্রয়িং রুমে শোভা পেতো না, কিন্তু এ শিরোনামগুলো কোনো বন্ধু অথবা বন্ধুর বন্ধুর শেয়ারে কিংবা ফেসবুকেরই সাজেশনে চলে আসছে ফেসবুকের হোমপেজে। পাচ্ছে ক্লিক। এসব করে পাঠকও টানছে প্রচুর। খবরের নিচে পাঠকের মন্তব্য আর ফেসবুক শেয়ারের সংখ্যা দেখলেই সেটা অনুমান করা যায়।
এসব অনলাইন মাধ্যমগুলোর ব্যবস্থাপনা বা অর্থায়নই করে বা কে? দু'দিন আগে এরকম একটি পত্রিকার অফিস থেকে ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব, অভিযোগ ছিল - সংবাদ ছাপানোর ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করত অনলাইন পত্রিকাটির লোকজন।
চিরায়ত নিয়মে প্রশ্ন তোলা যায় - 'এসব দেখার কি কেউ নেই?'
সে আশা আপাততঃ করছি না।
শুধু স্মরণ করতে চাই - পুনম পান্ডে আর সানি লিওনের ইয়ে-সব-খবরাখবর অনলাইনে শুরু করেছিল প্রথম আলো অনলাইন।
আর, অনলাইনে লেখালেখির 'দায়িত্বশীলতা' নিয়ে যে সম্পাদক মুখে ফেনা তুলতেন - তার বিডিনিউজ২৪ এর সংবাদগুলোর নিচে এখন পাঠকদের খিস্তিখেউড় শোভা পাচ্ছে নিয়মিত। সম্পাদক নিজের দায়মুক্তি নিয়েছেন এটা যোগ করে "(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর নিজস্ব। bdnews24.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে bdnews24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)"
কারণটা বোধ হয় অন্য ২৯টি টোয়েন্টিফোর ডট কমের সংগে প্রতিযোগিতা।
এটা স্পষ্ট যে, যাবতীয় অনলাইন নীতিমালা আইনকানুন বন্দুক তাক করে আছে - কেবল কিছু ব্লগের দিকে।
অন্যদিকে, টুয়েন্টিফোরডটকম বিস্ফোরণে সৃষ্ট জঙ্গলের আবর্জনা কেবল অনলাইনে বাংলা ভাষার কনটেন্টকে দুষিত করে চলেছে, যার ফলাফল গুগলে ইউটিউবে সার্চ করতে বাংলা একটা অক্ষর টাইপ করলেই বাকী সাজেশনে দৃশ্যমান।
মন্তব্য
খবর যেমন 'অদ্ভুদ' তার বর্ণনাও কিন্তু কিম্ভুত!!! কি যে সব লিখে !!
অনলাইনের পত্রিকার খবরগুলো বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
কি যেন একটা টোয়েন্টি ফোর পত্রিকার অপরাধ সেকশানে গিয়ে দেখি ধর্ষনের খবরে ভর্তি!!! আর কি যে উদ্ভট তার বর্ণনা। দেখলেই বোঝা যায় বানানো গল্প।
অনলাইন পত্রিকা অদ্ভুদ!!
একমাত্র মতিকন্ঠ ছাড়া কাউরে বিশ্বাস করি না!!
লেখায়
বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্যে আপনাকে সাধুবাদ। আসলে মসল্লামুড়ির যুগে এখন যত চটকদার আর মসল্লা দিয়ে খবরের শিরোনাম করা যায় ততোই পাবলিক খায়। সানি লিওন থেকে শুরু করে প্রভা এই নামগুলো যত বেশি শিরোনাম করা যায় ততবেশি পাঠক বৃদ্ধি পায়। আর প্রথম আলু এই দেশে নষ্টামির মূল অগ্রপথিক, তারা নাকি নিজের সংস্কৃতি ধারণ করে বুকে অথচ প্রতিদিন অনলাইন কিংবা ছাপানো পত্রিকায় ইন্ডিয়ান নায়ক নায়িকার খবর না দিলে তাদের বিনোদোন পাতা পরিপূর্ণ হয় না, কোন নায়িকা কি খায়, কোন নায়ক রাতে কি গায়ে দিয়ে ঘুমায় এগুলো প্রকাশ না করলে সংস্কৃতির বিকাশ হবে কি করে? আর ফেসবুকের এই স্বর্গযুগে এইসব চাটুকদার অনলাইন ভার্সন পত্রিকাগুলো তাদের শ্রেষ্ঠ সময় পার করছে।
কিছু মানুষ গুজবে মেতে থাকুক, মসল্লা সমৃদ্ধ খবর পড়ে পুলকিত হোক, কেউ কেউ নায়ক নায়িকার এইসব খবর পড়ে নিজেরা তেমন হওয়ার চেষ্টা করুক তাতে রাষ্ট্রের কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর কোন ক্ষতি নেই। এতে তাদের পথে কোন কাঁটা সৃষ্টি হয়না। মানুষ যত বোধহীন হবে, মানুষ যত মেধাহীন হবে ততই তাদের মাথায় কাঠাল ভেঙে খাওয়া যাবে। তাই বোধহীন মেধাশূন্য জাতি গঠনে সহায়ক এইসব পত্রিকা/অনলাইন পত্রিকার জন্যে কোন আইনের প্রয়োজন নেই, এগুলো প্রকারন্তে তাদের কাজকে সহজ করে দিচ্ছে। এদেরকে পারলে তারা পুরষ্কিত করতো, করছেও কিছু কিছু। একদিন দেখবো এইসব পত্রিকা স্বাধীনতা পুরষ্কার, একুশে পদকও পাবে।
ব্লগতো আর মসল্লা আর সস্তা ভাবুলতা নিয়ে মেতে থাকেনা, এখানে সচেতন মানুষগুলো তাদের সৎ চিন্তা ভাবনা দিয়ে বাকীদের কে সচেতন করতে চায়, আলোটুকু সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়। গুজব,মিথ্যাচার, অন্যায়, শোষন সবকিছুর বিরুদ্ধে জাত-ধর্ম-বর্ণ-দলের উর্ধে উঠে কলম ধরে ব্লগার রা। এরাইতো রাজনীতির প্রধান শত্রু। এরাইতো মানুষকে সচেতন করে ফেলছে, এরাতো কোন দলের পক্ষে গলাবাজি করছে না, মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দিচ্ছে না। তাই এদেরকে লাইনে আনতে হবে, আর লাইনে আনতে আইনের বিকল্প নেই। সংখ্যায় এত ক্ষুদ্র ব্লগারদেরকেও ভয় পায় সরকা/রাজনৈতিক দলগুলো। ওরা অবশ্য জানে এরাই মানুষের মাঝে পরিবর্তনটা নিয়ে আসবে, তাই এদেরকে দমিয়ে রাখার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যেই ৫৭ ধারার জন্ম।
মাসুদ সজীব
নতুন দেখলাম sustnews24.com
কিছু আইডিয়া:
bnp24.com
albd24.com
sachalayatan24.com
facebook24.com
অথবা টোয়েন্টিফোর-সেভেন দিয়েও করা যেতে পারে।
blogging247.com
ইদানীং সমালোচনার নামে অনেকক্ষেত্রেই চলছে স্ল্যান্ডারিং। তাদের জন্য slandering247.com
ছত্রাকের মতো গজানো এসব অনলাইন পত্রিকার অনেকগুলোই ব্যবহৃত হচ্ছে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের সাংবাদিক পরিচয় যোগানোর জন্য। কয়েকটা খবরের লিঙ্ক শেয়ার করছি।
১. জামায়াত-শিবিরের নাশকতায় কথিত সাংবাদিক (বাংলানিউজ২৪ডটকমের খবর)
২. হরতালে সাংবাদিক পরিচয়ে রাজপথে শিবিরকর্মী (দৈনিক জনকণ্ঠের খবর)
এইসব নিউজ এজেন্সির ফিনান্সিং মডেল কী? এরা কোথা থেকে বিনিয়োগ করে ও সেটা কোথা দিয়ে ওঠায়? ধান্দাবাজি, তদবির আর ব্লাকমেইল ছাড়া এই নতুন গজিয়ে ওঠা নিউজ এজেন্সিগুলোর কোন কাজ আছে বলে মনে হয় না। শুধু চটকদার বিজ্ঞাপণ দিয়ে বিনিয়োগের সব টাকা ওঠার কথা না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ফিনান্সিং মডেল ঠিক জানিনা তবে আপনার ধারণার আশেপাশেই বলে মনে হয়।
কিছুটা অভিজ্ঞতা থেকে যা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে খুবই কম খরচের পরিচালনা ব্যয় - মধ্যম বা নিম্ন মধ্যম পদাধিকারী সাংবাদিকদের বেশি উতসাহী করেছে এসব নিউজ সাইট খোলায়, আবার অনেকেই অনুমান করে কিছু সাইট চলে তাদের টাকায় ও সাপ্লাইয়ে যাদের মাধ্যম ছিল প্রিন্ট ভার্শন এর আমাদের সময় বিশেষ করে ১/১১ এর সময়ে।
যে সংবাদ যোগাড় ও পরিবেশন করে তাকে সাংবাদিক বলে। সত্যযুগে হয়তো সংজ্ঞা ঠিকই ছিল। কলিযুগে এসে পাল্টেছে। এখন সাংবাদিক মানে হচ্ছে সঙ দিকবিদিক । যেই সঙ দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সংবাদ নামের বিষ্ঠা বানায় তাকেই সাংবাদিক উরফে সঙবাদিক বলে। আজকাল আর ইয়েলো জার্নালিজম বলে আলাদা কিছু নেই। কমবেশি সবাই হলুদ ... ...
সঙবাদিক মোটের উপর তিন প্রকার - সঙবাদিক, সঙডানদিক আর সঙমধ্যদিক... সঙমধ্যদিক আবার তিন প্রকার সঙ চিত, কাইত আর উপুড় দিক ...
বাকি অংশ এসো নিজে করি - কিভাবে সঙবাদিক হবেন এ লিখবো নে
অপেক্ষায় থাকলাম চউ-দা!
অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
তাজা খবর নামে একটা বাংলা অনলাইন পত্রিকা বের করেছে যেটা ভয়াবহ সব খবর যোগার করে। . মজার ব্যাপার হলো সেগুলো পড়তে হলে আবার প্রথমে লাইক দিতে হয়। ফেসবুক এ শেয়ার করতে হয়। আমার দুর্ভাগ্য যে একজন এর শেয়ার করা খবর পড়তে গিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত অবস্থা এমন হলো ছেড়ে দে মা কেদে বাঁচি। বন্ধুকেই লিস্ট থেকে বাদ দিতে হচ্ছিল এমন অবস্থা।এখন মনে হয় সবচেয়ে বস্তা পচা খবর গুলো তাজা খবর হিসেবে দেয়া হয়।
শিশির অশ্রু
তাজাখবর ডট কম! অত্যন্ত নিকৃষ্ট মানের অনলাইন পত্রিকা! সেনসেশন সৃষ্টিতে জুরি মেলা ভার। কে কোথায় কিভাবে রেপ করল, কোন তারকার ঘর ভাঙল, কিভাবে যৌনকর্ম দীর্ঘায়িত করা যায়- মুলত এইসব নিয়েই এই পত্রিকার কারবার! আমি ভাই ভুলেও লাইক দিতে যাইনি!
২৪*
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
এর কারণ খুব পরিষ্কার। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ব্লগ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার বা বিভিন্ন পক্ষগুলোকে সরাসরি কামড় দেয়, খোঁচা দেয়, কখনো কখনো কাপড় তুলে বেইজ্জতি করে। সেই কারণে ব্লগের মশা তাড়ানোর জন্য দশ টাকার কয়েলের বদলে ৫৭ ধারার কামানের আমদানী।
কিন্তু এসব চটি সাইট কাউকে কামড়ায় না, কেবলই পুলক দেয়। তাই এরা নিরাপদ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চাললু
এই রকম সাইট আরো আসতেছে। আমি নিজেই এক ক্লায়েন্টের একটা সাইট ডেভেলপ করে দিছি। কিন্তু আসলেই কিছু নীতিমালার খুব বেশি প্রয়োজন এখন।
নিউজইভেন্টও একই জাতের।
অজ্ঞাতবাস
কয়েক হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই 'সাংবাদিক' পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে, সেটা ব্যবহার করা যাচ্ছে ইচ্ছেমতো... হুয়াটস দ্য প্রবলেম?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেদিন এরকম আরেকটা সাইট চোখে পড়ল, 'বরিশাল বার্তা'। ভয়াবহ পিস!
আর 'প্রিয় ডট কমে'র জরিপ ব্যারামের তো কোন ওষুধ-ই নেই বোধহয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শেষেরটায় যা বলেছেন--
- একেবারে খাঁটি কথা।
এই লিঙ্কটাতে আরো অনেক অনলাইন পত্রিকার তালিকা দেখতে পাবেন। মাঝে মাঝে অলস সময়ে বিনোদনের জন্য ঢুঁ মারি এবং আমোদিত হই।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
খাটি কথা, ভাগ্যিস মতিকন্ঠে ২৪.কম নাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
টুয়েন্টিফোর ডট কমের আরও এক ধরণের জালিয়াতি
সংবাদমাধ্যমগুলোর চাঁদাবাজি.... রুখে দাঁড়াবার এখুনি সময়!
নতুন মন্তব্য করুন