ওবামার এক্সেপ্টেন্স স্পিচ

অভিজিৎ এর ছবি
লিখেছেন অভিজিৎ (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৮/২০০৮ - ৭:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

আপনারা হয়ত ইতোমধ্যেই কাল রাতের ওবামার এই স্পিচটা দেখে ফেলেছেন। তবুও ব্লগে দিলাম - যারা এখনো দেখেননি তাদের জন্য। সম্ভবত আমার দেখা সেরা বক্তৃতাগুলোর একটি।

বহু কারণেই এই বক্তৃতাকে 'ঐতিহাসিক' বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এই প্রথম একজন আফ্রিকান আমেরিকান - সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা একজন সাধারণ সেনেটর আমেরিকার শত বছরের পুরোনো একটি দলকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, করতে যাচ্ছেন নতুন যুগের সূচনা। কেউ এর আগে কনভেনশনে আশি হাজার মানুষের সামনে এভাবে বক্তৃতা দেননি। এই বক্তৃতায় একের পর এক ইস্যু থেকে ইস্যু ঘুরে যেভাবে স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে সবার সামনে তুলে ধরেছেন তা সত্যই অনবদ্য । ইরাক ইস্যু থেকে শুরু করে গে-লেসবিয়ান রাইট,এনার্জি সেক্টর, হেলথ কেয়ার - কোন কিছুই বাদ যায় নি। তবে আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে যেভাবে ওবামা ইরাক ইস্যু ট্যাকেল করেছেন। তিনি আশি হাজার মানুষের সামনে পরিস্কার করেছেন, ৯/১১ এর ঘটনার পর যখন আফগানিস্তানে বিন লাদেনকে খুঁজে পাওয়া যাখানে জরুরী ছিলো, জরুরী ছিলো তোরাবোরায় আমেরিকার সৈন্যবল বাড়ানো, বুশ-ম্যাকেইনেরা তা না করে ইরাক আক্রমণে গেছেন। ভুল স্ত্র্যাটিজি, ভুল পরিকল্পণার মাশুল গুনছে আজ আমেরিকা। ম্যাকেইন প্রায়ই গলাবাজি করেন, দরকার হলে নরকে গিয়ে হলেও লাদেনকে নাকি খুঁজে বের করবেন। ওবামা এর উত্তরে বলেন -

"John McCain likes to say that he'll follow bin Laden to the Gates of Hell -- but he won't even follow him to the cave where he lives."

ম্যাকেইন যেখানে আফগানিস্তানের গুহায় গিয়ে লাদেনকে খুঁজতে চান না, সেখানে নরকে গিয়ে লাদেনকে পাবেন কি করে!

ওবামা সম্প্রর্কে রিপাবলিকান প্রচারণা ছিল নিরাপত্তা ইস্যুতে তিনি শক্ত নন। তিনি আমেরিকান সংস্কৃতিতে 'আউট অব টাচ'। ওবামা কালকে আবির্ভুত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে একজন শক্ত ক্যান্ডিডেট হিসেবে, এবং নিজের এবং তার পরিবারের অজস্র সাধারণ দৃষ্টান্ত হাজির করে দেখিয়েছেন আসলে তিনি নন, বরং ম্যাকেইনই 'আউট অব টাচ'। এমন নয় যে ম্যাকেইন সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলোকে 'কেয়ার' করেন না, আসলে ম্যাকেইন তার সামাজিক অবস্থানের কারণে আর 'রিপাবলিকান দর্শন' অন্ধভাবে অনুসরণের কারণে জানেন না, কিভাবে 'কেয়ার করতে' হয়।

বক্তৃতার প্রতিটি লাইন যেন এক অনুপম কাব্য; খরস্রোতা ঝর্ণার সুরলহরী - নিস্তব্ধ হয়ে গিয়ে কান পেতে থাকা! আমি 'কান পেতে রই' ---

সি এন এন এর অনেক বুড়ো বুড়ো ভাস্যকার বলছেন এর আগে এমন বক্তৃতা তারা কনভেনশনে শুনেননি। একজন শুধু সেই আদ্যিকালের কেনেডির বক্তৃতার কথা মনে করতে পারলেন। আমার কেন যেন পুরো সময়টা জুরে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের কথা মনে পড়ছিলো - যদিও জানি দুটো বক্তৃতার প্রেক্ষত কত আলাদা। যা হোক, আমার আর কোন ভূমিকার দরকার নাই। ভিডিওই কথা বলে -

প্রথম পর্ব ঃ

২য় পর্ব ঃ

৩য়ঃ পর্ব ঃ

৪র্থ পর্ব ঃ

৫ম পর্ব ঃ

৬ষ্ঠ পর্ব ঃ

এখন কথা হচ্ছে ওবামা বর্ণিত 'চেঞ্জ' আমেরিকান পলিসিতে সত্যই আসতে যাচ্ছে, নাকি এ কেবল কথার কথা?


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

সম্ভবত আমার দেখা সেরা বক্তৃতাগুলোর একটি।

ঠিক, তবে আমি কিন্তু ক্লিনটনের বক্তৃতা শুনেও যারপরনাই মুগ্ধ!

অভিজিৎ এর ছবি

এই কনভেনশনে আমার মুগ্ধতার শুরু মিশেল ওবামার স্পিচ দেখে। এর পরদিন হিলারীর বক্তৃতা শুনে বলতেই হল - দারুন! হিলারী মনে হয় এর আগে এমনভাবে কখনো বক্তৃতা দেয়নি। তারপরদিন এলো ক্লিনটন নিজে। আর কাল রাতে দেখলাম ওবামা ... একেকজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে গেছে। খুবই ওয়েল অরগানাইজড এবং সিস্টেমেটিক ক্যাম্পেইন ওবামার - স্বীকার করতেই হবে।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

সৌরভ এর ছবি

ছেচল্লিশ মিনিটের বক্তৃতা কিছুক্ষণ আগে পুরোটা দেখে শেষ করলাম। অসাধারণ। কী সাজানো-গোছানো।

মাঝে মনে হচ্ছিলো, কে যেনো কবিতা আবৃত্তি করছে।


২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

রাফি এর ছবি

দেখতে বসছি কিছুক্ষনের মাঝেই..

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমি নীতিগতভাবে অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণকারীদের দলেই যাবো।

তবু তর্কের খাতিরে নির্বাচন পর্যন্ত কায়দা করে বলবো, "দেখি না কী করে!"



অজ্ঞাতবাস

অভিজিৎ এর ছবি

আমিও আপাতত "দেখি না কী করে!" দলেই আছি!



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এখনো শুনতেপারি নাই। মন খারাপ

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অভিজিৎ এর ছবি

এই ইলেকশনে দেখি মহা তামশা শুরু হইছে। এইমাত্র ম্যাকেইন ভিপি হিসেবে সারা প্যালিন কে নমিনেশন দিলো। এর সম্বন্ধে কেউ আগে তেমন কিছু জানতোই না। বোধ হয় ওবামার 'চেঞ্জ' আবেদনের কাউন্টার দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটন পলিটিক্সের বাইরের একজনকে আমাদানী করলো ম্যাকেইন। আর হিলারীর 'মহিলা ভোট' কাটাও একটা কারণ হইতে পারে। ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে আখ্যায়িত করেছে রিপাবলিকানদের জন্য 'ডিজাস্টার' হিসবে।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

স্নিগ্ধা এর ছবি

ওবামা সাপোর্টাররা তো মহা উল্লসিত! এবার নাকি ওবামার জয় সুনিশ্চিত হাসি

অভিজিৎ এর ছবি

কি জানি, অনেকে তো কয় প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে ভিপির তেমন কাম কাইজ নাই - খালি প্রেসিডেন্ট-এর স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেয়া আর আশে পাশে থাকা ছাড়া। কথাটা এক অর্থে সত্যি। এটা প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশন। পাবলিকে প্রেসিডেন্ট ইলেক্টেড করব। ভিপি কে তাতে কি আসে যায়!

তয় আমার ধারণা ইলেকশনে এটা এফেক্ট করব। স্ট্রং ভিপির দরকার আছে। ডিক চেনী শয়তানটারে দেখছি ক্যামনে সব কিছু ট্যাকেল করত। সারা পায়লিন কি ওবামার জো-বাইডেনের মুখোমুখি বতর্কে দাঁড়াইতে পারবো? কনভিন্স করতে পারব পাব্লিকরে? দেখা যাউক।

আরেকটা ব্যাপার ... বুইড়া ম্যাকেইনের কিছু হইলে এই সারা প্যালিনরেই কিন্তু দায়িত্ব নিতে হইব!!!!



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

দেশ এর ছবি

নিজের দেশের খবর নাই, আমেরিকা নিয়ে ব্লগ কাপাইয়া কি হবে?

অভিজিৎ এর ছবি

সে জন্য তো আপনার মত 'দেশ'দরদীরা আছেন। ব্লগ আর গলা কাপাইতে থাকেন।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

দেশ এর ছবি

দাদা, এতো সহজে ক্ষেপে যান জানতাম না কিন্তু! একটু ভেবে দেখুন আমেরিকাতে কে প্রেসিডেন্ট হলো না হলো এতে কি আমাদের বাংলাদেশের কিছু যায় আসে ?

ওবামা হলেই কি আর মেকনেইন হলেই কি? এর চেয়ে বাংলাদেশ নিয়ে ভাবুন, আমাদের ও ভাবতে শিখান।

অভিজিৎ এর ছবি

না ভাইজান ক্ষেপি নাই। আপনে আমার আগের লেখাটেখা পড়লেই বুঝবেন দেশ নিয়া ভাবি টাবি কিনা। আমেরিকা নিয়ে এর আগে আমার কোন লেখা পাবেন না। আমেরিকায় কে প্রেসিডেন্ট হল না হল তাতে অবশ্য কিছু এসে যায় না, তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্বন্ধে চোখ বন্ধ করে রাখাটাও খুব গৌরবের ব্যাপার নয়।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ভাইরে @ অতিথি,

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হইলো টেকাওয়ালা দুনিয়ার পাহারাদার কাম লাঠিয়াল। এই লাঠিয়াল বাহিনির কে কখন সর্দার হয় সেইটা আমাগো জানার দরকার আছে। ঐ দিয়া আমরা বুঝা পারি পরবর্তী বাড়িটা আমার হোগায় ঠিক কতটা জোরে আইসা লাগবো। এর চাইয়া সোজা কইরা কওয়া পারুম না। এতেও যদি না বুইঝা থাকেন তাইলে ঠান্ডা পানিতে একটা গোসল দেন।



অজ্ঞাতবাস

অভিজিৎ এর ছবি

হাঃ হাঃ আপনেরা পারেনও। আপনার আর সুবিনয়ের মন্তব্যে বিপ্লব দেওন ছাড়া এই অধমের আর কিছু করণীয় নাই।

তয় আমি কইলাম ব্যাপক মজাক পাইছি 'দেশ' ভাইজানের পোস্টে। এরা হাসিনা খালেদা লইয়া কামড়া-কামড়ি করলে কিংবা প্রেম-পীরিতি লইয়া হৃদয়বিগলিত কাব্য লিখলে কোন কমেন্ট করে না। আমেরিকার রাজনীতি লইয়া কিছু লিখলেই হইছে - বিরাট বিরাট উপদেশের বাক্স লইয়া হাজির হয়। হ্যার লাইগা এখন কিছু লিখতেই ডর লাগে। এমন দেশদরদীরা আছেন বইলাই দেশের এত উন্নতি হইতাছে দিনকে দিন।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

অভিজিত'দা একটা নোটিশ টাঙ্গায় দিলে পারতেন - কুয়ার ব্যাং-এর মন্তব্য করা নিষ্প্রয়োজন। তাইলে এই স্বঘোষিত দেশ-দরদীদের থেকে অন্তত রক্ষা পাইতাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

এক্জন এর ছবি

আমার কাছে অপ্রয়জ্নীয় মনে হলে তা মন খুলে বলতে পারব বলেই সচ্লআয়াতন পড়ি, তাই না?
দেশের কাছে যদি মনে হয় প্রয়োজন নেই বল্তেই পারে সে কথা। বাকিরা কেন রাগ করল বুঝতে পারলাম না!

আর আমার নিজের ধারনা সিনেটর ম্যাকেইন ভিপি হিসেবে সারা প্যালিন কে নমিনেশন দিলো আনেক চিন্তা ভাবনা করেই।ওবামা যে কারনে বাইডেন কে ভিপি নমিনেশন দিল, ম্যাকেইন একই কারনে প্যালিন কে নমিনেশন দিলো। তরুণ ও মহিলা ভোটার দের ভোট টানার জন্য।
সারা প্যালিন এর বয়স মাত্র ৪৪, ৫ বাচ্চার মা, এক ছেলে আমেরিকান আর্মি তে আছে, জামাই তেল কোম্পানিতে চাকরি করে। টিপি্কাল আমেরিকান idol টাইপ মহিলা, নিজেকে দেখাতে চাইছ‍েও তাই।
দেখা যাক কি হয়!

হিমু এর ছবি

দেশ-এর মন্তব্য দু'টি পড়েছি।

সচলায়তনে কিন্তু দেশ নিয়ে নিয়মিতই লেখা হচ্ছে। ওবামার বক্তৃতা নিয়ে যদি কারো আগ্রহ না থাকে, বা অপ্রয়োজনীয় মনে হয়, তাহলে এই পোস্ট না পড়ে বাকিগুলো পড়লেই তো আর সমস্যা হয় না। অভিজিৎকেই কেন এই মূহুর্তে ওবামা নিয়ে লেখা পরিত্যাগ করে দেশ নিয়ে লিখতে হবে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

দেশ এর ছবি

তাল না মিলালেই বুঝি কুয়ার ব্যাং হয়ে যায়?

অভিজিৎ এর ছবি

না, তা অবশ্য হয় না। তবে কে কি নিয়ে লিখবে তা নিয়ে অযাচিত উপদেশ দিতে থাকলে সত্যই মুশকিল। আমারো তো সচলায়তনে প্রেম-প্রীতি নিয়ে এত কবিতার চচ্চরি পছন্দ হয় না। কিন্তু আমি তো তাদের বলতে যাই না - ভাই এগুলো বাদ দিয়ে স্ট্রিং থিওরী নিয়ে লিখুন।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

স্নিগ্ধা এর ছবি

আরেহ্‌ অভি! তোমার এত পছন্দ তা আগে বলবা তো?! দাঁড়াও আজকে রাতের মধ্যে তোমাকে উদ্দেশ্য করে একটা প্রেমের কবিতা লিখে পাঠাচ্ছি। মনে আছে আমার সেই সুপ্ত কাব্যপ্রতিভার কথা, বেসময়ে যে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে? দেঁতো হাসি

অভিজিৎ এর ছবি

নতুন ভিডিও সংযোজন ঃ
আগে ৬ষ্ঠ পর্ব ইউ টিউবে খুঁইজা পাই নাই। এখন যোগ করে দিলাম।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

সৌরভ এর ছবি

এইগুলান ট্রলিং পাত্তা দিয়েন না, অভিজি‍ৎ দা।

একটা পোলাপাইনা কমেন্ট করি।
সারা প্যালিন রে দেইখা এখনো যথেষ্ট তরুণী লাগতেসে। আহা... রে। এই সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হইয়া আবার লোকে ভোট না দেয়।

তবে ম্যাকবুশ (ম্যাকেইনরে ডেমোক্র্যাটরা আজকাল এই নামে ডাকে দেখি) আর প্যালিনরে পাশাপাশি দাড় করাইয়া দেখতেও উদ্ভট লাগতেসে। তবে, প্যালিন ভোট টানবে ভালোই - এইটা কিছু বলার নাই। মেয়ে-প্রার্থী-জনিত ভোট।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অভিজিৎ এর ছবি

* সারা প্যালিনকে মেয়ে-প্রার্থী-জনিত ভোট টানার জন্য নেওয়া হয়েছে সন্দেহ নেই, কিন্তু মেয়ে প্রার্থী দাঁড়ালেই মেয়েরা তাকেই ভোট দিবে - এটাও ভেবে নেওয়া সঙ্গত হবে না। বিশেষতঃ অনেক ক্ষেত্রেই সারা প্যালিনের অবস্থান অনেক রিয়েশনারি। প্যালিন খুব জোরালো ভাবেই 'এন্টি চয়েজ' - এমনকি ধর্ষণ বা ইনসেস্ট এর ক্ষেত্রেও গর্ভপাত চান না। এক্ষেত্রে নারীরা তাদের নিজ গর্ভের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিক - এটাই তিনি চান না। এ ব্যাপারটা নারী স্বাধীনতার সমর্থক বিশেষতঃ হিলারীর সাপোর্টারদের কাছে খুব বেশি গ্রহনযোগ্য হবার কথা কি? আমি ঠিক জানি না।

* সারা প্যালিন এর আগে আলাস্কার ছোট্ট একটা শহরের মেয়র ছিলেন। ফরেইন পলিসি সংক্রান্ত কোন অভিজ্ঞতাই তার নেই।

* রাইট উইং এক্সটিরমিস্ট Pat Buchanan কে ২০০০ সালের president হিসেবে তিনি সমর্থন করেছলেন।

* তিনি আলাস্কায় বিজ্ঞানের সিলেবাসে বাইবেলীয় সৃষ্টিতত্ত্ব অন্তর্ভুক্ত করতে চান - এটা তিনি জোর দিয়েই বলেছেন।

* তিনি মনে করেননা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা ক্লাইমেট চেঞ্জের পেছনে মানুষের কোন দায় দায়িত্ব আছে।

* তিনি ম্যাকেইনের 'বিগ অয়েল পলিসির' কট্টর সমর্থক।

* ম্যাকেইন সারা ম্যাকেইনকে মাত্র একবার দেখেছিলেন, বা তাদের মধ্যে এর আগে মাত্র একবার সাক্ষাৎ হয়েছিল বলে মিডিয়ায় প্রকাশ। এর ভিত্তিতেই তিনি ভিপি হিসেবে তাকে নমিনেশন দিয়ে দেন। অনেকেই এ ব্যাপারটিকে দায়িত্বহীন বলে মনে করছেন।

আরো অনেক ব্যাপার আছে...। আস্তে আস্তে উঠে আসবে সবকিছু। মুশকিল হইল এই মহিলারে কেউই তেমন ভাবে এখনো চিনে না। শুধু "সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হইয়া" ভোট দিবে কিনা বলা মুশকিল।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

শেষ পর্যন্ত কি হয়, সেটা আগে থেকে ধারনা করাটা মুশকিল।
সাম্প্রতিক জরিপ গুলোতে ওবামা- ম্যাকেইনের ব্যবধান কমে আসছে।

আমার নিজের অভিজ্ঞতায় বলে, আমেরিকা এখনো একজন আফ্রিকান-আমেরিকানকে প্রেসিডেন্ট করার মত পরিনত নয়।
তবে আরেকটা বুশের (ম্যাকেইন) ধাক্কা সামাল দেয়া, আমেরিকার অর্থনীতির পক্ষেও সহয হবে না।

নভেম্বরে যাই হোক না কেন , ওবামার স্পীচ অবশ্যি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা ! আসল পোস্টের চাইতেও মন্তব্যগুলান পইড়া বেশি মজা পাইলাম আর অনেক জ্ঞান অর্জন করলাম !
আমাদের দেশপ্রেমীদের নিয়া আপনার এতো ভাবলে চলবে না। কারণ আমাদের এখন মাথা গরম। একজন বাথরুমে পইড়া মাথা ফাটাইছে। হের লাইগা আমরা দেশে আগুন লাগাইয়া দিছি। একজন নিরপরাধ ব্যক্তিতো কিছু বুঝার আগে মইরাই গেছে। তাই আমরা এখন দেশ লইয়া বিশেষভাবে ভাবিত আছি। আপনে কিছু মনে কইরেন না। আপনি আপনার কাজ চালাইয়া যান।
আর এই ফাঁকে হিমু সাহেবের টেকনোক্র্যাট মাথা থাইকা একটা কবিতা পোস্টও যদি লাভের উপর পাইয়া যাই, তাইলে তো বিশাল ব্যাপার !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কীর্তিনাশা এর ছবি

পোস্ট আর মন্তব্যে সবাইরে জাঝা।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নন্দিনী এর ছবি

সময়ের কারণে আমাদের অবশ্য সেদিন রাত জেগে ওবামা'র বক্তৃতা টিভিতে দেখতে হয়েছে।বলতেই হয় অসাধারণ একটা স্পিচ ! এখন শুধু কথার সাথে কতখানি মিল থাকে কাজের সেই অপেক্ষায় থাকা !বলে রাখা ভালো, প্রথমে অবশ্য হিলারীর সাপোর্টার ছিলাম ঃ-) এখন ওবামাকেও ভালই লাগছে !আশা করা যায়,কিছুটা পরিবর্তন ভালোর দিকেই হবে !
দেখি কি হয়...।

নন্দিনী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।