ব্রেকিং নিউজ: ৫০ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/১১/২০০৮ - ৭:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশের শীর্ষ ৫০ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ করেছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম। আজ বিকেলে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও মোহাম্মাদ কামারুজ্জামান।

সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে আগামী নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় না করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সব দলের নির্বাচনী ইশতিহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানায় সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আপনাকে বিপ্লব।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হুমম। কিন্তু (বিপ্লব) আইকন কই? মন খারাপ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আইকনের জন্য কীভাবে লেখতে হয় ভুলে গেছি। আবার একটা ট্রাই দেই:
আপনাকে বিপ্লব
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

জিজ্ঞাসু এর ছবি

ভোটের রাজনীতিতে আমার মনে হয় না কোন রাজনৈতিক দলের ২০০৮ নির্বাচনী ইশতেহারে এই ইস্যু স্থান পাবে। কারণ সবারই মামা-চাচা, দোস বন্ধুরা যুদ্ধাপরাধী বা তাদের সাথে কোন না কোনভাবে সম্পর্কিত। এজন্যই একাত্তরের অব্যবহিত পরেই যে কাজটা জরুরী ছিল করতে পারল না। এখন নানা মুনির নানা মতের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। জামাতের নেতারা তো জনসভায় বলেন, "দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। পাকিস্তানি মিলিটারি ছিল যুদ্ধাপরাধী। তাদেরকে বাঙলাদেশ সরকার মাফ করে দিছে।" যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় তাদের ইহজনমে মনে হয় দেখে যাওয়া হবে না এই বিচার। অপরাধী এবং বিচারপ্রার্থীদের মরণের পরে পোস্টহিউমাস বিচার করতে হবে শেষ পর্যন্ত। তবে বিচার হবে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অপরাধী এবং বিচারপ্রার্থীদের মরণের পরে পোস্টহিউমাস বিচার করতে হবে শেষ পর্যন্ত। তবে বিচার হবে।

আমার মনে হয়,জীবিত অবস্থায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে কী না, তা নির্ভর করছে, জনমত গঠনের ওপর। জনমত চাইলে ক্ষমতাসীন সরকারকে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে এ জন্য বাধ্য করা যেতে পারে। এ জন্য এখন দরকার যুথবদ্ধতা।

আমি এ-ও বিশ্বাস করি, সংগঠিত জনগণ, অ্যাটম বোমার চেয়েও শক্তিশালী।।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমিও একমত .... নিরন্তর জনমত গঠনে চেষ্টা চালানোটা জরুরী ... আগের ইতিহাসগুলো সব ইমপালসিভ.... হঠাৎ একটা জোয়ার আসে, আবার কোথাও হারিয়ে যায় ... একটানা ক্যাম্পেইন চলা দরকার ... অল এ্যালং আনটিল ইট হ্যাপেনস
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নির্বাক এর ছবি


ঘোষণাপত্রে আগামী নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় না করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ।

-------
অনুরোধটা যাদেরকে করা হয়েছে তাদের মোক্ষ ক্ষমতা; নৈতিকতা নৈব নৈব চ। সুতরাং আমরা ভালই দেখতে পারছি বড় দুই দল ঠিকই রাজাকারদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে নির্বাচনে নামছে অথবা ক্ষমতায় যাচ্ছে। আর সেই সাথে আমরাও অতলে তলিয়ে যাচ্ছি।

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনাকে (বিপ্লব)

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আকতার আহমেদ এর ছবি

প্রায় দুই দশক আগে প্রিয় ছড়াকার লুত্ফর রহমান রিটন লিখেছিলেন -

কন তো দেহি আইজকা দ্যাশে
সবচে শরীল তাজা কার
-যেই শালার রাজাকার ।

দূর্ভাগ্য, এত বছর পরেও ছড়াটি "সমকালীন" হয়েই রইল !

বিপ্লব ভাই, পোষ্টের জন্য আপনাকে (বিপ্লব)

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আগামী সরকারের মন্ত্রীসভায় কে কে থাকছেন, জানা হয়ে গেল...

এনকিদু এর ছবি

চলুক
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সবজান্তা এর ছবি

খবরটা সন্ধ্যায় রেডিওতে শুনলাম।

শুনে হাসি পেল খুব, হাসলামও একদফা। আজ আমি যদি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলি, ভাই জানেন, সূর্য না পূব দিকে উঠে, তাহলে যা হবে এখানেও ঠিক তাই হয়েছে।

কারা যুদ্ধাপরাধী তা বাংলাদেশের সবাই জানে। এদের খেতাব দিয়ে অপরাধী ঘোষণা করা দরকার নেই।

আপাতত সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এই লোক হাসানো বন্ধ করলেই পারে।


অলমিতি বিস্তারেণ

রণদীপম বসু এর ছবি

তার পরেও রাজাকারকে মুখের সামনে রাজাকার বলতে পারার সংস্কৃতিটা চলমান রাখতে পারলেও মন্দ হয় না।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মোহাম্মদ আলী আকন্দ এর ছবি

এইসব তালিকা নিয়েই থাকুন আপনারা। প্রমান নেই কিছু নেই একটা কথা বললেই হলো। ৩৭ বছরে যা হয়নি ভবিষ্যতেও তা হবে না। তার থেকে আজকের সমস্যায় মন দিন।

রণদীপম বসু এর ছবি

আজকের সমস্যাটাই তো রাজাকার সমস্যা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বিপ্লব রহমান এর ছবি

এইসব তালিকা নিয়েই থাকুন আপনারা। প্রমান নেই কিছু নেই একটা কথা বললেই হলো।

কৌতুকটা ভালো হয়েছে@ মোহাম্মদ আলী আকন্দ

গড়াগড়ি দিয়া হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার নাম কি লিস্টে আছে? নাকি পরবর্তী লিস্টে থাকবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

জনাব আকন্দ আজকের জরুরী সমস্যা হলো পাশের বাড়ীতে ছাগল ও কাঠাল পাতা দুটোরই শর্টেজ পড়েছে আপনি দয়া করে সেখানে যান। আপনার স্টক যে অফুরান তা আপনি দ্বিধাহীন ভাবে প্রমান করেছেন।

তানিয়া

হিমু এর ছবি

তওবা কইরা বল কেলাডা চার আকইন্দ্যা রেএএএএ ... তওবা কইরা বল কেলাডা চার।

আকন্দ চাচ্চু, দুষ্টলোকে আপনাকে নিয়ে গান বান্ধে, শুনসিলেন?


হাঁটুপানির জলদস্যু

তানবীরা এর ছবি

৩৭ বছরের পুরনো সমস্যার সমাধান না করা গেলে, আজকের সমস্যার সমাধান করা যাবে আপনি বলতে চাইছেন?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রানা মেহের এর ছবি

আজকের সমস্যাটা কী মোহাম্মদ আলী আকন্দ সাহেব?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সেক্টর কমাণ্ডারদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাসহ কয়েকটি বিনীত জিজ্ঞাস্য সবার কাছেঃ

১। যুদ্ধাপরাধীদের নামের তালিকা প্রণীত হওয়া উচিত ছিল বাহাত্তর সালেই। এতদিন পরে যখন তা করা হল তখন তা এইটুকু কেন?

২। মুক্তিযুদ্ধ সবার উপরে সেখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এমন হেলা-ফেলা করা কি ঠিক হল?

৩। কোন সরকারই তো কিছু করবে না আমরা জানি, স্বউদ্যোগে যখন কিছু করা হল তখন তা পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় করা হল না কেন? "সময় কম", "সম্পদের সীমাবদ্ধতা", "এইতো সবে শুরু হল" ইত্যাদি বলে কি মুখরক্ষা করা উচিত?

৪। যুদ্ধাপরাধীদের মূল অংশতো পাকিস্তান সেনা সদস্য, আমলা আর রাজনীতিবিদরা, তালিকাতে কি তাদের নাম আছে?

আমাদের জন্য কষ্টের বিষয় হচ্ছে এই যে, আমাদের কিছু সেক্টর কমাণ্ডার স্বাধীনতা উত্তর কালে এমন সব কাজ করেছেন যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে যায় না। কেউ দেশে সামরিক শাসন এনেছেন, কেউ স্বৈরাচারের সহযোগী হয়েছেন, কেউ জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে নির্বিকার থেকে পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের বেনেফিশিয়ারী সব সরকারের ননী-মাখন খেয়েছেন, কেউ স্বাধীনতা ঘোষনার তেলের ড্রাম তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। এমন সব নেতারা স্বাধীনতা বিরোধীদের বিকাশকালে নিশ্চুপ থেকে আজ হঠাৎ শোরগোল তোলাতে আমার পাপী মন সন্দেহাকুল হয়। এঁদের অনেকের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে, রাজনৈতিক আকাঙ্খাও আছে। এই হতভাগা দেশে মুক্তিযুদ্ধকে বেচে নিজের স্বার্থ হাসিলের খেলা এত হয়েছে যে আমার সন্দেহ কিছুতেই যায় না।

মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহন ছাড়াও যাঁরা শ্রম, সময়, মেধা, অর্থ, আশ্রয়, ঝুঁকি, সমর্থন ইত্যাদি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র যোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন আসলে তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধা। এখানেই একটা সাধারণ যুদ্ধ বা গৃহযুদ্ধের সাথে মুক্তিযুদ্ধের পার্থক্য। এটা জনগণের যুদ্ধ, কোন গোষ্ঠী বা সেনাদলের নয়।

তাই স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা নয়, যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রণয়ন, বিচার করা ও যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা উচিত ছিল। তা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরীর নামে সরকারের পছন্দের মানুষদের তালিকা করার চেষ্টা সবসময়ই ছিল। মুক্তিযুদ্ধকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যখন কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে তখন এমনই হয়।

ভিয়েতনামের মুক্তি্যুদ্ধের পরবর্তীকালে "যুদ্ধাপরাধীদের জাদুঘর" তৈরী করা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া হয়েছে। আমাদের নেতারা কিন্তু অমন কিছু করার কথা বলেন না, উদ্যোগও নেন না। তাঁরা কেবল নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা, দলের নিবন্ধন না করা ইত্যাদির কথা বলেন। আমার সন্দেহ তাতেও বাড়ে।

স্বাধীনতাবিরোধীরা কিন্তু এমন অ্যামেচার নয়। তারা যখন আঘাত হানে তখন প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যই আঘাত হানে।



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নির্বাক এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডবের সাথে আমি ২০০% একমত।

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এখন রাজনৈতিক দলগুলোর বোধোদয় হলে হয়।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখান থেকেই শুরু হোক। ৫০ জনের বিচার দিয়ে শুরু হলে বাকিগুলাও একে একে ধরা পড়বে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।