প্রেস জোকস-২

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৫/২০০৯ - ৬:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রেস জোকস-১
গণমাধ্যমে প্রায়ই মজার মজার কিছু সত্যি ঘটনা ঘটে। এ সব কখনো কখনো প্রচলিত হাস্য কৌতুককে হার মানিয়ে দেয়। আবার এসব প্রেস জোকসের নেপথ্যে থাকে কষ্টকর সাংবাদিকতা পেশাটির অনেক অব্যক্ত কথা। এমনই কিছু বাস্তব ঘটনা নিয়ে এই 'প্রেস জোকস' পর্ব।

আবারো রাজু ভাই বৃত্তান্ত
--------------------
দৈনিক সংবাদের স্টার রিপোর্টার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম রাজু ভাই (এখন এটিএন বাংলায়) একদিন হুট করে সংবাদ ছেড়ে দিলেন। যোগ দিলেন 'মাতৃভূমি' নামে একটি নতুন দৈনিকে চিফ রিপোর্টার হিসেবে। ২০০০-২০০১ সালের ঘটনা। সংবাদের মতো এটি প্রাচীন দৈনিকে চাকরি ছেড়ে স্বল্প পুঁজির কাগজে যোগ দেয়ার ঘটনায় আমরা ক্ষুদে সাংবাদিকরা বেশ অবাক হই।

তো একদিন রাজু ভাইকে আমি রিপোর্টার্স ইউনিটির অফিসে ধরে বসি, আপনি হুট করে সংবাদ ছেড়ে দিলেন কেনো? সেখানে তো আপনি বেশ ভালো অবস্থানেই ছিলেন!

রাজু ভাই দাঁত খিঁচিয়ে বললেন, শোন বিপ্লব, আহমেদুল কবির একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। সিলেটে তার খুব সুন্দর চা বাগান আছে। সেখানে আরো সুন্দর একটি বাংলো আছে। সেই বাংলোতে একটি অ্যালসেশিয়ান কুত্তা আছে। আবার আহমেদুল কবিরের সংবাদ নামে একটি পত্রিকাও আছে। সেখানেও তার আরেকটি অ্যালসেশিয়ান কুত্তা আছে। সেটি হচ্ছে চিফ রিপোর্টার অমুক। এই কুত্তার সঙ্গে আর যা-ই হোক সাংবাদিকতা করা যায় না; বড় জোর ঘেউ ঘেউ করা যায়!!

মতি চৌ কাণ্ড
-----------
১৯৯৩-৯৪ সালের কথা সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী দৈনিক বাংলা বাজারের সম্পাদক হলেন ( এখন দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক)। তখন সংবাদপত্রে বানানরীতি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে। একেক বাংলা দৈনিক একেক ধরণের বানানরীতি দিয়ে নিজেদের স্বকীয়তা ঘোষণা করতে চাইছে। এইসব নিয়ে চলছে, যাচ্ছে-তাই কাণ্ড।

মতি চৌধুরী ভাই একদিন বার্তা বিভাগে ঘোষণা দিলেন, এখন থেকে দৈনিক বাংলাবাজারে কোনো দীঘ-ঈ (ী) চলবে না। সব বানান হ্রস্ব-ই (ি) দিয়ে লিখতে হবে। এটিই নাকী আধুনিক বানানরীতি।

তো সাংবাদিকরা ওইদিন বিদ্যাসাগর-রবীন্দ্রনাথ/সংসদ-বাংলা একাডেমী ভুলে যেতে বাধ্য হলেন। সবাই দীর্ঘদিনের অভ্যাস দীর্ঘ-ঈ বাদ দিয়ে সব বানানে হ্রস্ব-ই দিতে থাকলেন। এমনকী সেদিন প্রিন্টার্স লাইনে সম্পাদকের নাম মতিউর রহমান 'চৌধুরী'র বদলে ছাপা হলো মতিউর রহমান 'চৌধুরি'!!

পরদিন সকালে মতি চৌধুরী ভাই কাগজ দেখে ছুটে এলেন অফিসে। জরুরী বৈঠক ডাকলেন সব বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে বললেন, ইয়ে মানে, আমার মনে হয়, প্রচলিত বাংলা বানানরীতি এখনই বদলানো ঠিক হবে না। এ নিয়ে আমাদের আরো ভাবনার অবকাশ আছে--ইত্যাদি।...

আমাদের তাজ ভাই
---------------
দুর্ধর্ষ ক্রাইম রিপোর্টার আমিনুর রহমান তাজ ভাইকে চেনেন না, এমন সাংবাদিক বুঝি কমই আছেন। চাকরী জীবনের শুরুতে ক্ষুদে ক্রাইম রিপের্টার হিসেবে দৈনিক আজকের কাগজে তাজ ভাইয়ের কাছে রিপোর্টিং শেখার সুযোগ হয়েছিলো (তাজ ভাই এখন দৈনিক আমাদের সময়ে)। তাজ ভাইয়ের মজার মজার অনেক ঘটনা নিয়ে অনেকদিন আগে একবার সচলে লিখেছিলাম। যারা সেটি পড়েননি, তাদের জন্য চুম্বক-অংশটি আবারো বয়ান করছি।

১৯৯৪-৯৫ সালের কথা। বিএনপি সরকারের সময় আওয়ামী লীগ প্রায় ২৪/৪৮/৭২ ঘন্টার, এমন কী লাগাতার হরতাল ডাকতো। আর হরতাল হলেই আমরা যারা ক্রাইম-রিপোর্টার তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাস্ততা বাড়তো। এই হয়তো খবর পেলাম, অমুকখানে বোমা ফেটেছে, কী অমুক জায়গায় গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাজা খবর সংগ্রহ করার জন্য 'সংবাদপত্র' ব্যানার লাগানো বেবী ট্যাক্সি নিয়ে ছুটতাম সেখানে। আর বরাবরই তাজ ভাইয়ের সঙ্গে হরতালের ডিউটি আমার খুব পছন্দ ছিলো। এর কারণ হচ্ছে: তার সঙ্গে থাকলে হাতে-কলমে কাজ শেখা যাবে; তাছাড়া তাজ ভাইয়ের সান্নিধ্যে থাকলে চা-সিগারেট, এমন কী দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা --ইত্যাদি ছিলো ফ্রি। সিনিয়র হওয়ার সুবাদে সব খরচ উনি একাই বহন করতেন।

তো এক হরতালের ভোরে অফিসের বেবী ট্যাক্সি নিয়ে তাজ ভাইয়ের বাসায় গিয়াছি। ওনাকে বাসা থেকে তুলে এক সঙ্গে ডিউটিতে বের হবো।

একতলার বাসার নীচে এসে অনেকক্ষণ কলিং বেল বাজালাম, ‘তাজ ভাই, তাজ ভাই’ বলে ডাকাডাকি করলাম; কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ নাই।

খেয়াল করে দেখি, সদর দরজা সামান্য খোলা। উঁকি মেরেই সরে আসি, খাটের ওপর ভাবী খোলা পিঠে পেছন ফিরে শুয়ে আছেন, পরনে শুধু পেটিকোট।

এদিকে ডিউডিতে যাওয়ার দেরি হচ্ছে দেখে কিছুক্ষণ পরে আবার হাঁকডাক শুরু করলাম। এইবার চোখ ডলতে ডলতে তাজ ভাই নিজেই বের হলেন। খালি গা, পরনে পেটিকোট!

--তাজ ভাই, এ কী অবস্থা?
-- আর বলিস না। কাল অফিস থেকে অনেক রাতে বাসায় ফিরেছি। বৌ - বাচ্চা সবাই গভীর ঘুমে দেখে কাউকে আর ডাকিনি। কিন্তু কিছুতেই লুঙ্গি খুঁজে পেলাম না। শেষে তোর ভাবীর একটা পেটিকোট পরে শুয়ে পড়েছি!...

রাশান কৌতুকভ
-------------
এবার একটি রুশ দেশীয় প্রেস জোকস। সোভিয়েত বিপ্লবের পর 'প্রাভদা' রাতারাতি বিশ্বের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকগুলোর মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়ালো। স্ট্যালিন শাসনের অবসান হওয়ার পর ক্রশ্চেভের শাসন চলছে। তো ক্রশ্চেভ একদিন একটি শুয়োরের খামার পরিদর্শন করলেন।

ওইদিন রাতে প্রাভদার বার্তা সম্পাদক এ বিষয়ক একটি লিড ছবির ক্যাপশন নিয়ে পড়লেন বিপাকে। একেকবার একটি ক্যাপশন দিচ্ছেন, কোনোটিই মন মতো হচ্ছে না। কেউ একজন ক্যাপশন প্রস্তাব করলেন, শুয়োরের খামারে কমরেড ক্রশ্চেভ। নাহ ...হলো না। এটি বাদ পড়লো। আরেকজন প্রস্তাব করলেন, শুয়োরদের সঙ্গে হাস্যজ্জল কমরেড ক্রশ্চেভ। নাহ্...এটিও বাদ গেলো।

যা-ই হোক। অনেক গবেষণার পর বার্তা সম্পাদক ওই ছবির একটি যুতসই ক্যাপশন দিয়ে পত্রিকা প্রকাশ করলেন। আর সেই ক্যাপশনটি ছিলো:

কমরেড ক্রশ্চেভ, বাম দিক থেকে তৃতীয় (ক্রস চিহ্নিত)।।

(চলবে)


মন্তব্য

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

তাজা তাজা পড়লাম। চালিয়ে যান।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ফারুক হাসান এর ছবি

শেষেরটা পড়ে হাসি পেল খুব, কঠ্ঠিন ক্যাপশন!

কিছু মনে করবেন না বিপ্লব দা, ব্যাপারটা উনার ব্যক্তিগত বলেই কিনা তাজভাইয়ের জোকসটা ভালো লাগে নাই।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ স্যার।

তাজ ভাই কিন্তু তার বিষয়ে লেখা এই অংশটুকু পড়ে খুব একচোট হেসেছেন! হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

রণদীপম বসু এর ছবি

যথারীতি... চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ @ রনোদা @ ধূ. গো হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

সরেস

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বেশ বেশ.. শেষেরটা তো জব্বর। তাজ ভাইয়েরটাও আছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নব্বইয়ের শুরুর দিকে চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের বইগুলো গ্রোগ্রাসে গিলতাম, আর সেখান থেকেই সাংবাদিকতার ভূত মাথায় চাপছিলো। করেছিলামও অনেকদিন।

পত্রিকার চেয়ে মজার জগৎ আর আছে? সারাক্ষন নানান মজার মজার সব ঘটনা। আহ্, মিস করি পত্রিকার সময়গুলো।

চালায়ে যান বিপ্লবদা... শুধু জোকস না, অনেক কষ্টকর স্মৃতিও নিশ্চয়ই আছে? সেগুলোও তুলে আনুন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

পত্রিকার চেয়ে মজার জগৎ আর আছে? সারাক্ষন নানান মজার মজার সব ঘটনা। আহ্, মিস করি পত্রিকার সময়গুলো।

আবার কয় !


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হ! খাইছে


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

বিষন্ন এর ছবি

কমরেড ক্রশ্চেভ, নাকি কমরেড ক্রুশ্চেভ?

ভুতুম এর ছবি

শেষেরটা তো চরম হইছে। আর সাংবাদিক জীবনের এহেন অভিজ্ঞতাগুলো আরো বলুন, পড়তে বেশ ভালো লাগে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার লাগলো !

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আনিস মাহমুদ এর ছবি

শেষেরটা আগেই জানতাম। 'সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ' নামের এক সংকলনে পড়েছিলাম এটা। অন্য দুটো পড়েও মজা পেলাম। আমারও একটা মনে পড়ল:

এক মার্কিন পাগলাগারদ থেকে এক পাগল পালিয়ে গেল। তবে যাবার আগে এক নার্সকে ধর্ষণ করে সে। পরদিন সংবাদপত্রে শিরোনাম:

Nut Screws and Bolts

প্রেস জোকস আরো আসুক। তবে যে নারী সাংবাদিকের বুকের ওপরে PRESS লেখা ট্যাগ সাঁটা ছিল, সেটা জোক কী না, বলা কঠিন।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

'সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ' বইটি লিখেছিলেন মাসুদ আহমেদ, যিনি একদা আমাদের 'সংসারে এক সন্ন্যাসী'র সঙ্গে দিবানিশি অঙ্গাঙ্গিভাবে(!)জড়িত ছিলেন।
ঠিক কি না?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

দ্রোহী এর ছবি

এখনো আছেন তো!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ওরে... চোখ টিপি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মুস্তাফিজ এর ছবি

তবে যে নারী সাংবাদিকের বুকের ওপরে PRESS লেখা ট্যাগ সাঁটা ছিল, সেটা জোক কী না, বলা কঠিন।

এটাই তো একটা মজার জোঁক

...........................
Every Picture Tells a Story

দ্রোহী এর ছবি

জোঁক!!!!!!!!!!!!!!!!!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হো হো হো


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

এনকিদু এর ছবি

এই কুত্তার সঙ্গে আর যা-ই হোক সাংবাদিকতা করা যায় না; বড় জোর ঘেউ ঘেউ করা যায়!!

কে জানি বলেছিল ( আপনিও হতে পারেন, মনে পড়ছেনা ) আগে বড়লোকেরা কুত্তা পালত, আজকাল সংবাদপত্র পালে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

দ্রোহী এর ছবি

পালত নাকি পালতো?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হ! দেঁতো হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মফিজুল হক [অতিথি] এর ছবি

জটিলসসসসসসস।

দ্রোহী এর ছবি

বিপ্লবদা, দারুণ হচ্ছে। চালিয়ে যান। কৌতুকটা আগে কোথায় যেন পড়েছিলাম!

পলাশ দত্ত এর ছবি

পয়েন্ট কামানোর সুযোগ ছিলো। কিন্তু কামাইলাম না। হাসি

শুধু জোকগুলির মজা লুটিলাম। হাহাহাহা।

ব্রি.দ্র. ওপরের জোকগুলির 'জো'র ওপর একটি চন্দ্রবিন্দু পড়ুন।
চোখ টিপি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অ্যাঁ!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মুস্তাফিজ এর ছবি

এখানে অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটা মজার ঘটনা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছিনা। ৭৫ পরবর্তি সময়ে আওয়ামীলীগের গ্রুপিং এর কথা কে না শুনেছে। এরকম এক সময়ে ময়মনসিংহে এক কর্মীসভায় বক্তৃতা করছিলেন ফুলপুরের প্রয়াত এমপি শামসুল হক যিনি গাইরা (ঘাওরা)শামসু নামে পরিচিত ছিলেন এবং তোফায়েল গ্রুপের নেতা। বক্তৃতার এক পর্যায়ে উনি বললেন ...... ২ কোটি মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে..., তখন পেছন থেকে মতিউর রহমান (বর্তমানে সদরের এমপি) উনার পাঞ্জাবীর কোনা টেনে শুধরে দিয়ে বললেন “২ কোটি না, ২ লাখ”। মতিউর রহমান ছিলেন রাজ্জাক গ্রুপের নেতা, এই গ্রুপিং এর কারনেই কীনা জানিনা, শামসু ভাই রাগত স্বরে পাশে তাকিয়ে বললেন “ যা কইবার কইছি, একটাও কমাইতামনা”

...........................
Every Picture Tells a Story

বিপ্লব রহমান এর ছবি

গাইরা শামসু বলে কথা! মুহাহাহাহা... হো হো হো


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বিপ্লব রহমানের জোঁক আসবে কবে?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

গ্রামীন ফোনের বিজ্ঞাপনের সুরে বলি: জোঁক আসবে!...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। সবগুলাই চমৎকার লাগল। খুবই মজার।

চলুক।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

থ্যাঙ্কস @ বিডিআর। হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সবজান্তা এর ছবি

চমৎকার একটা সিরিজ হচ্ছে। যতদূর মনে পড়ে তাজ ভাইয়ের গল্পটা আগেই কোন এক লেখায় বিপ্লবদা বলেছিলেন। এই সিরিজের দীর্ঘায়ু প্রত্যাশা করি...

এইবার আসে কিছু বানানের কথা

শোন বিপ্লব, আহমেদুল কবির একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ।

বর্ষীয়ান


মতি চৌধুরী ভাই একদিন বার্তা বিভাগে ঘোষণা দিলেন, এখন থেকে দৈনিক বাংলাবাজারে কোনো দীঘ-ঈ (ী) চলবে না। সব বানান রস্ব-ই (ি) দিয়ে লিখতে হবে। এটিই নাকী আধুনিক বানানরীতি।

হ্রস্ব এবং নাকি

আর হরতাল হলেই আমরা যারা ক্রাইম-রিপোর্টার তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাস্ততা বাড়তো।

ব্যস্ততা

--তাজ ভাই, এ কি অবস্থা?

কী

তো ক্রশ্চেভ একদিন একটি শুওরের খামার পরিদর্শন করলেন।

শুয়োর

--------------------

তবে বিপ্লবদার লেখা অনেকদিন ধরে পড়ার কারণে নিশ্চিতভাবেই জানি এ সব ক'টা বানানই বিপ্লবদা জানেন এবং ভুলটা টাইপিং-এ, অনিচ্ছাকৃত। তবু মজা করার লোভ সামলাতে পারলাম না... দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

তাজ ভাইয়ের জোকটা আগে একবার লিখেছিলাম...সেটা এ লেখাতেও বলেছি।

তাড়াহুড়ো করে লেখার জন্যই ছোট-খাট বানান ভুল রয়ে গিয়েছিলো। তাছাড়া তখন হাতের কাছে অভিধান ছিলো না।...এখন বানানগুলো ঠিক করে দিলাম। হাসি

অনেক ধন্যবাদ। চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তানবীরা এর ছবি

যিনি নিজের লুঙ্গি খুজে পান না তিনি ক্রাইম খুঁজে বের করেন, বিশ্বাস হতে চায় না ঃ)

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

বিপ্লব রহমান এর ছবি

তাতা আপু, মজাকে মজা হিসেবে নিন না প্লিজ, গজা হিসেবে নয়। চোখ টিপি
---
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সাইফ এর ছবি

খালি গা, পরনে পেটিকোট!

এরকম অবস্থায় পরলে বোধহয় আমি ভেগে যেতাম, সাহস করে ডাকতে পারতাম না , কঠিন হয়েছে আপনার সিরিজ।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।