দীক্ষক দ্রাবিড় এর ব্লগ

মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠার সুলুক-সন্ধান-৬( খ): পয়গম্বররা কি সিজোফ্রেনিক?

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শনি, ০৭/০৪/২০০৭ - ৫:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


একটি মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত কি না তা নীচের লক্ষণগুলো দেখে বুঝা যায়। সবার মধ্যেই একসাথে সব ক'টি লক্ষণ থাকতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। আক্রানত্দ হওয়ার মাত্রার উপর নির্ভর করবে কয়টি লক্ষণ বা লক্ষণের প্রবলতা।

লক্ষণ 1: হ্যালুসিনেশন: একে বলা যায় ভুল দেখা। এ অবস্থায় মানুষটি যা দেখছে বলে ভাবছে তা আসলে ঠিক নয়। "সর, সর, আমার চোখের সামনে থেকে সর"- এ কথা রাস্তার পাগলদের বলতে আমরা দেখি। এই বলে আজো ওঝারা জি্বন-ভূত তাড়ায়। এই কথা বলেই পয়গম্বররা শয়তান তা


পয়গম্বর নিয়ে প্রশ্নব্যাংক বহিভর্ূত অপ বাকের প্রশ্ন

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৪/২০০৭ - ৬:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


( মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠা ধারাবাহিকের অংশ নয় এই লেখা। পয়গম্বরের সংখ্যা নিয়ে অপ বাক একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার প্রতিক্রিয়া এটি। )

অপ বাকের মূল প্রশ্ন পয়গম্বরের সংখ্যাটি কোথা থেকে এলো? সেই সাথে অপ বাক এই ব্লগ সাইটে আলোচিত সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতেও আলো ফেলেছেন। অপ বাকের লেখা দীর্ঘ হলেও তার প্রশ্নগুলো বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। যদিও তিনি দক্ষ সাতারুর মত এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে যাওয়া-আসা করেন, তবু বিভিন্ন ফুল দিয়ে গাঁথা তার মালাটি খুবই শিল্প শিল্প হয়।


মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠার সুলুক-সন্ধান-৫: নবী ইজিকিয়েল ও এপিলেপ্সি

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: বুধ, ০৪/০৪/২০০৭ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বহু আগে থেকেই মনোবিজ্ঞানীরা কিছু পয়গম্বরদের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে গবেষণা করছেন। এ বিষয়ে সবচে' বেশি গবেষণা হয়েছে নবী ইজিকিয়েলকে নিয়ে। নবী ইজিকিয়েল প্রায় 2600 বছর আগে বাইবেলের 'ইজিকিয়েলের বই' অংশটুকু লিখেছেন। সানডিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির নিউরোসাইন্সের অধ্যাপক এরিক আলটশুলার বলছেন ইজিকিয়েল হচ্ছেন এপিলেপটিক রোগীর ক্ল্যাসিক্যাল উদাহরণ (নিউ সাইন্টিস্ট, 17 নভেম্বর 2001)। বাইবেলে বর্ণিত উদাহরণ থেকেই অধ্যাপক এরিক জানাচ্ছেন, ইজিকিয়েল যে ঘন ঘন অজ্


মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠার সুলুক-সন্ধান-৪: এ্যাবনর্মাল সাইকোলজি

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: বুধ, ০৪/০৪/২০০৭ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পয়গম্বররা মানুষ। মানুষ ছাড়া অন্য কেউ মানুষের আকার-আকৃতির প্রাণীর জন্ম দিতে পারে, এর কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। পয়গম্বররা মানুষের গর্ভে ইম্প্ল্যান্ট করা ভিনগ্রহের কোনো প্রাণীর ভ্রুণ এমনও জানা যায়নি। সোজা কথায়, তারা অতি-অবশ্যই মানুষ, পুরষের ঔরসে নারীর গর্ভে হওয়া রক্তমাংসের মানুষ। তাদের নামে কিছু অলৌকিক কাহিনী চালু আছে। যা মানুষরা করতে পারে না বলেই আমরা জানি। তবে তেমন গল্প আমরা সামপ্রতিককালের উত্তরা-টঙ্গির বালক পীরের ক্ষেত্রেও শুনেছি। সাভারের ম


মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠার সুলুক-সন্ধান-৩

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৩/২০০৭ - ৫:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মানুষের কখনও না-দেখা ঈশ্বরকে অস্তিত্ব দিয়েছেন পয়গম্বররা। তারা দাবী করেছেন যাবতীয় ব্রহ্মান্ড ঈশ্বরের সৃষ্টি -- চাঁদ, সূর্য, পাহাড়, সাগর, বাতাস, রোগ-জীবাণু, এমনকি শয়তান ও ভূত-প্রেত-- এবং যদিও সৃষ্টিগুলোকে আমরা দেখতে পাই, অনুভব করতে পারি, তবু ঈশ্বরের অসত্দিত্ব নিশ্চিত করতে পয়গম্বর লাগে। মানুষ একা একা পারে না। মানুষের যুক্তি-বুদ্ধি পারে না, মানুষের বিজ্ঞান পারে না। কোনো কোনো মানুষ শুধু পয়গম্বর হয়ে ওঠে আর তাদের সাথে ঈশ্বরের দেখা হয়ে যায়, কথা হয়ে যায়।


যার নির্দেশে আকাশে সূর্য থেমে গেল -২ : মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠা

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০০৭ - ৬:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


(আগের লেখাটি দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় দু' ভাগ করতে হয়েছে। মূলত: এটি সমসাময়িক একজন মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠার ইতিহাস। লেখাটি দু' প্যারা আগে থেকে এখানে শুরু করছি। )

পয়গম্বর ও তার যোদ্ধা বড় ভাই মিলে ফোর্ট গ্রিনভিলে সাদাদের প্রভাবমুক্ত এক শহরের পত্তন করলেন। যার নাম হলো পরবর্তীতে 'প্রফেটস্ টাউন'। পয়গম্বরের নগর। তিনি তখন রেড-ইন্ডিয়ানদের বিভিন্ন রাজ্যে যাচ্ছেন, সেগুলোকে সাদাদের শয়তানীমুক্ত করছেন ঈশ্বরের নির্দেশ অনুযায়ী, আর দলে দলে রেড-ইন্ডিয়ানরা তার ধর্ম বর


মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠা-২: যার নির্দেশে সূর্য থেমে গেল আকাশে-১

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০০৭ - ৭:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আদিম সমাজগুলোতে নির্যাতিতদের কেউ একজন প্রতিবাদ করে উঠতো। তার জাতি-গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করতো, শোষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে নতুন ধর্মের ডাক দিতো। সেই সাহসী মানুষ অস্বীকার করতো শাসকের ধর্মকে। নিজেকে সম্পর্কিত করে তুলতো ঈশ্বরের সাথে; হয় ঈশ্বর-পুত্র নয় পয়গম্বর হিসেবে দাবী করতো নিজেকে। পয়গম্বরদের ইতিহাসগুলোর সরলীকরণ করলে এই আমরা পাই। এ কথাগুলোই প্রথম কিসত্দিতে (ভূমিকা) বর্ণনা করা হয়েছে। এই সরলীকরণে অনেকেই আপত্তি করেছেন। তুলেছেন নানা প্রশ্ন; কতটা ইতিহাস স


আরবে নবীদের জন্মহার হ্রাস বনাম পাপ-পূণ্যের হিসাব

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৩/২০০৭ - ৭:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মানুষ কীভাবে পয়গম্বর হয়ে ওঠে-এই ধারাবাহিকের লেখা নয় এটি। তবে সম্পর্কিত। মূল সম্পর্ক সাদিক মোহাম্মদ আলমের সব পয়গম্বররা আরবে কিত্তে? লেখাটির সাথে।

প্রথম কিসত্দিতেই বলেছি, আরবে নবী হওয়া ছিল ভীষণ ফ্যাশন। প্রতিবাদী তরুণ-যুবাদের বিদ্রোহের অংশ ছিল নবী হওয়া। নতুন ঈশ্বরের কাছে ক্ষমত


মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠার সুলুক-সন্ধান: ভূমিকা

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: রবি, ২৫/০৩/২০০৭ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ক্ষমতাবান সম্রাটরা আদিকালে নিজেকে ঈশ্বরই দাবী করতেন। জগতে সকল ক্ষমতা যার, প্রশংসা যার একক অধিকার, সিংহাসনে বসে মানব-উধর্্ব ক্ষমতার কল্পিত আস্বাদ পাওয়ার সাধ সেই পরাক্রমশীল নৃপতির হতেই পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যনত্দ পৃথিবীর অনেক জাতি-গোষ্ঠী-দেশে সম্রাট/রাজাধিরাজরাই ঈশ্বরের চরিত্রে অভিনয় করে গেছেন। নিরীহ প্রজা সাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করে নিজেদের ধন-প্রাণ নিবেদন করেছে সেইসব ঈশ্বরদের পদতলে। কিন্তু মানুষের সাকার দেহ, মরণশীল জীবন, আর সীমাবদ্ধ ক্ষমতা নিয়ে


বেহেশতের টিকেট বুক করে ফেলেছে ওরা

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: বুধ, ২৯/১১/২০০৬ - ৯:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই পৃথিবী গুনাহয় ডুবে আছে। আল্লাহর আইন নাই। ধর্মের শক্তি নাই। জাহেলিয়াত চলছে এখানে। তার চেয়ে তার নামে শহীদ হয়ে বেহেশতে যাওয়া ভালো। এই দুই দিনের দুনিয়ায় কয়েকটা দিন ভালো থাকার চেয়ে চিরকালের আরাম-আয়েশ হচ্ছে বড়। তারা, মানে ছবির এরা, সে পথেই পা বাড়ালেন। ইবাদত-বন্দেগির উর্ধেব চলে যাচ্ছেন তারা। তারা কি ডাইরেক্ট বেহেশতে যাবেন?নাকি কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলে তো খারাপ কথা। তাহলে কেয়ামত যত তাড়াতাড়ি হয় তত ভালো। হুজুররা ক