আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ব্লগ

ছাদের কার্ণিশে কাক - ১৭

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০০৭ - ৯:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে এরকম অযথা টেনশন ভর করে। মনে হচ্ছে - চাকরীর ইন্টারভিউ হবে একটু পর। সরণ বারবার ঘড়ি দেখে। চেয়ার থেকে উঠে বুমার্সের পেছনে কাঁচের জানালায় বাইরে তাকায়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিস দেখে মনে হচ্ছে গুছানো কোনো ডুপ্লেক্স বাড়ী। শনিবারে অনেক অফিস বন্ধ থাকে তাই রাস্তায় ভীড় নেই তেমন। গুলশান-মীরপুর রুটের রাইডার ছুটে যাচ্ছে, পেছনে ফুকফুক করে কালো ধোঁয়া বেরুচ্ছে। সরণ ক'দিন আগে বিবিসি-তে দেখছিল, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট। সম্ভবত: নারায়ণগঞ্জ কিংবা গাজীপুরের ইটের ভাটার ভিডিও দেখাচ্ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে হয় পেছনে কে যেন দাড়িয়ে আছে। সরণ পাশ ফিরতেই
- এক্সকিউজ মী! আপনি সরণ?
- হ্যাঁ, আপনি - - -
- আমি বেলা।
- কেমন আছেন?
- এই তো


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১৬

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৫/২০০৭ - ১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নাইট শিফটে কাজ করা ঝামেলা। দিনে না ঘুমালে রাত জাগা কষ্ট। বারবার কফি খেয়ে চোখ খোলা রাখতে হয়। ব্যস্ততা তেমন নেই। এর মাঝে সুপারভাইজর রায়হান ভাই চক্কর মেরে গেছে দু'বার। সরণ ভাবছে - ডিসেম্বরের মাঝে চাকরীটা পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। রায়হান ভাই কয়দিন আগে হাল্কা পাতলা ইঙ্গিত দিয়েছে। সরণের ইচ্ছে ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ করবে। ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ে কল করেছে। ওখানে হয়ে গেলে ভালো হয়। কল সেন্টারে আর ভালো লাগছে না। নানান লেভেলের লোক ফোন করে, কথা বুঝতে চায় না। তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলতে হয়। একটেল কাস্টমার সার্ভিসের ভয়ানক মহিলার গালাগালির অডিও ফাইল কাহিনী এখনো মানুষের স্মৃতি থেকে মুছেনি---! এসব ভাবার সময় কল আসে-
- সিটিসেল কল সেন্টার, সরণ স্পীকিং। মে আই হেল্প


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১৫

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৫/২০০৭ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ওপেন এয়ার কনসার্ট। বাংলালিংকের স্পন্সরশিপ। ভীড়ে গিজগিজ অবস্থা। খানিকটা দূরে দাড়িয়ে সরণ ভাবছিল কোথায় বসা যায়। শিবলী-সাব্বিরদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। মোবাইলে কল করলেও রিসিভ করছে না। সরণ এসএমএস দিয়ে রাখে। একবার ভাবে - বাসায় চলে গেলে কেমন হয়? এরকম জনসমাগমে একা একা ভালো লাগে না, অস্বস্তি লাগে। সরণের মনে হয় - এখানে শুধু সে-ই একা এসেছে, আশেপাশে আর কেউ একা নেই। তারুণ্যের হৈ-চৈ। উচ্ছ্বল ছেলে-মেয়েদের দল। প্রেমিকা ধরে আছে প্রেমিকের হাত। প্রেমিকের গায়ে পাঞ্জাবী, স্কাই ব্লু জিন্স, প্রেমিকার সাদা শাড়ীতে লাল পাড়। মুহুর্তে মনে হয় - এ হৃদকম্পণের শহর হঠাৎ উৎসবের নগরী হয়ে গেছে। এক তরুণী অনভ্যস্ত হাতে শাড়ী গুছাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। ব


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১৪

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বুধ, ২৩/০৫/২০০৭ - ৯:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত সপ্তাহ পুরোটাই মারাত্মক ঝামেলা গেছে। ঝামেলার সাথে সাথে মজাও হয়েছে প্রচুর। শিলার বিয়ে হয়ে গেল রোমেলের সাথে। রোমেল ব্যাংকএশিয়ায় জয়েন করেছে, প্রোবেশনারী পিরিয়ড শেষ করে পার্মানেন্ট হয়েই মাথায় পাগড়ি। শিলাকেও অনেকটা শান্ত মনে হলো, আগের সেই অস্থিরতা নেই। রোমেলের সাথে পরিচয় হবার পর পাল্টে গেছে অনেক কিছু। গায়ে হলুদ, বিয়ে বৌভাত মিলিয়ে মোটামুটি ফেসটিভ-উইক গেলো। বেলা ভেবেছিল এই সপ্তায় সরণের অন্তত: দুটো মেইল জমা হবে। ইয়াহু-জিমেইল চেক করে দেখে কোন নতুন মেইল নেই। খানিকটা মন খারাপ হয়। সরণের মেইল না পেয়ে মন খারাপ করার কোন কারণ বেলা খুঁজে পায় না, মনে হয় এ এক নিছক ছেলেমানুষী। ইন্টারনেট এন্টিটির কাছে অহেতুক প্রত্যাশা। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখা যায় - সরণ জিম


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১৩

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৫/২০০৭ - ১০:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হ্যালো মিস্টার রাজর্ষি:
কেমন আছেন? কেমন কাটছে দিনকাল? 'সবিনয় নিবেদন' পড়িনি। তবে অডিও শুনেছি। কী নাম যেন - মফিদুল ইসলাম আর শান্তা শ্রাবন্তীর অ্যালবাম মনে হয়। সবিনয় নিবেদনের মনে রাখার ব্যাপার হচ্ছে - সম্বোধনগুলো; অপরিচেতষু, সুজনেষু এরকম আরো দারুণ দারুণ কিছু শব্দ। বুদ্ধদেব গুহের 'মাধুকরী' নাকি খুব আলোচিত উপন্যাস। আপনি পড়েছেন? আমি একবার পড়া শুরু করেছিলাম, কঠিন মনে হয়েছে। তাই আর আগ্রহ পাইনি। বুদ্ধদেব শিকারী মানুষ। খালি বন জঙ্গল আর পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায়। উপন্যাসগুলোও সেরকম। আচ্ছা, আপনাকে রাজর্ষি বললাম বলে রাগ করলেন না তো? রাগ করলে কিছু করার নেই, আমি ঋতু রায় না। আমি বেলা, আপনি বড়জোর বেলা বোস বলতে পারেন। অতটুকু অধিকার আপনাকে দিলাম। হি: হি: হি:।
ভাল


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১২

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৫/২০০৭ - ৩:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেলা:
কেমন আছেন? কি করছেন?
ভীষণ স্যরি। অনেকদিন আপনাকে মেইল চেক করিনি।
আসলে মেইল চেক করার দরকার হয় নি।
অফিসের মেইলগুলো অফিসের লোটাসে চেক করি।
আর অফিস থেকে একটা মোবাইল ফোন দিয়েছে, ওটা দিয়ে বন্ধুদের সাথে প্রায়ই কথা হয় অনেকক্ষণ!
এর মাঝে ঈদ পার হয়ে গেল।
কী করলেন ঈদে?
মেইলবক্সে দেখছি - আপনার পাঠানো ঈদ কার্ড পড়ে আছে।
খুলতেই সংশয় লাগছে।
আপনি নিয়মিত মেইল করছেন, আর আমি রিপ্লাই করছি অনিয়মিত।
আগের এক মেইলের প্রেক্ষিতে বলি - আপনাকে বেলা বোস বানানোর সাহস নেই। সবার সব সাহস থাকে না, থাকা উচিতও না।
এই তো বেশ ভালোই আছি, নিজের গন্ডির মাঝে, দিন কেটে যাচ্ছে।
কী বলেন?
- সরণ
------------------------------------------

বেলা:
সপ্


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১১

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৫/২০০৭ - ২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেলা,
সাইবার ক্যাফে থেকে মেইল করছি।
খুব সংক্ষেপে বলি - আমার একটা চাকরী হয়েছে।
যদিও খুব ভালো না।
কিছু একটা করা হিসেবে ঠিক আছে।
সিটিসেল কল সেন্টারে।
আপাতত: তিন মাসের কন্ট্রাক্ট। পরে এক্সটেন্ড হতে পারে।
ভালো থাকবেন।
- সরণ
--------------------------------

হ্যালো!
ওয়াও! গ্রেট নিউজ! কনগ্র্যাচুলেশন! শুনে খুব ভালো লাগছে। আমার এক কাজিনও বাংলালিংকের কল সেন্টারে কাজ করতো। পরে জিপির মার্কেটিংয়ে সুইচ করেছে। একটা কোম্পানীতে জয়েন করলে পরে সুইচ করতে সুবিধা হয়। আমার বিশ্বাস - আপনিও খুব ভালো পজিশন নিয়ে কোথাও সেটেল হয়ে যাবেন। বেস্ট অফ লাক।
এই মুহুর্তে আরেকটি কথা মনে পড়ছে। আমার ফোন নম্বর জানা থাকলে -আপনি আজ ফোন করে বলতে পারতেন - "চাক


সেলাম, সাইলেন্ট মডারেশন!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: সোম, ২১/০৫/২০০৭ - ৫:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


যুঞ্চিক্ত'র পোস্ট ডিলিটে প্রতিবাদ।


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১০

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৫/২০০৭ - ৫:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাই,
একটা অনুরোধ করছি। উল্টাপাল্টা খেয়ালে আপনাকে কী কী সব কথা বলে একটা মেইল ৩ বার পাঠিয়েছি। প্লিজ, ওগুলো মুছে দিবেন। কথাগুলো খুব সিরিয়াসলি নিবেন না। আই অ্যাম রিয়েলী স্যরি।
< বেলা >
-----------------------------------------------------

বেলা:
আপনি রুদ্রের কবিতা পড়েছেন? রুদ্র মানে রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। কবিতা না পড়লেও - 'ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো' নিশ্চয় শুনেছেন। ওটা রুদ্রের লেখা।

"নিরবতা কোনও এক উদাসীন পাথরের নাম -
অহল্যা সে কোনদিন জানি আর হবে না জীবন।
হবে না সে পরিজাত, কোনওদিন হবে না সকাল,
দিন আর নিশিথের সন্ধিক্ষণে থেকে যাবে জানি -
অহল্যা সে চিরকাল থেকে যাবে, রক্ত মাংশ নিয়ে।
যাবে না সে দগ্ধ


ছাদের কার্ণিশে কাক - ০৯

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৫/২০০৭ - ৪:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেলা:
আপনার দুটো মেইল পেলাম।
আপনার কী কোন কারণে মন খারাপ? আমার কেন জানি অমনটা মনে হলো।
একা একা কেন লাগবে?
আপনার ফ্রেন্ডরা কেমন আছে?
ওদের সাথে সময় কাটান। ভালো লাগবে।
আমাদের এ শহরে - ঘুরার জায়গা আর কতই বা আছে?
বন্ধুদের সাথে আড্ডাটাই আসল।
কীভাবে কীভাবে সময় কেটে যায়।
আমার এখন সময় কাটানোটাই বিরক্তিকর।
বেকার জীবন। চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছি। কবে হবে জানি না।
"কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে" আমার খুব প্রিয় একটি গান। গানটি কে লিখেছে জানেন? কাওসার আহমেদ চৌধুরী, ঐ যে প্রথম আলোর ছুটির দিনে ম্যাগাজিনে সপ্তাহের রাশিফল লিখে। আরেকটি মজার ব্যাপার শেয়ার করি। হুমায়ুন আজাদ স্যারের একটা ইন্টারভিউ পড়ছিলাম, উনি বলেছেন - বাংলা ভাষায় এখনো পর্যন্ত যত