ক'দিন ব্লগে ঢুঁ মারা হয়নি নিজস্ব ব্যস্ততার জন্য ।
ফিরে এসে জানলাম , স হ ব্লগার ঝরাপাতা আরেকটা সিঁড়ি পেরিয়েছেন ।
অভিনন্দন ঝরা ।
প্রিয় কিছু কথা, এই কবি বন্ধুটির জন্য
******************************************
193 । ।
হ্যাঁ, নির্বান রয়েছে নিশ্চয়ই,সবুজ
মাঠের মধ্যে নিরন্তর ঘুমিয়ে পড়ায় ,
শিশুটিকে ঘুম পাড়ানোয়,
অথবা তোমার কবিতার শেষ স্তবকটি
ইমরানা বিবি ।
ভারতের উত্তর প্রদেশের এক অশিক্ষিত পদর্ানশীন মুসলিম নারী । বয়স 25 ।
ধর্ষিতা হন, যেমন মেয়েরা হয়ে থাকেন ।
ইমরানা কে ধর্ষন করেন তার শ্বশুড় । হ্যাঁ শ্বশুড়, আইনত ও ধর্মত: যিনি পিতা ।
শ্বাশুড়ি ইমরানাকে বলেন ঘটনা চেপে যেতে । হায় অশিক্ষিত ও ই মেয়েটির জেদ সুবিচার পাবে । বিচার প্রার্থনা করেন শরীয়া পঞ্চায়েতের কাছে ।
দ্্রুত রায় ও ঘোষিত হয় :
[b]
1। শ্বশুড়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক হওয়ায় ( ধর্ষনে তো তাই হয়!) স্বামীর সাথে তার বিয়ে
--'মোরশেদ ভাই'
--'অরূপ ! কি অবস্থা , কই তুমি?'
এই মাত্র কথা হলো অরূপের সাথে । ঘুম ভাঙলো ওর ফোন পেয়ে । বেচারা আমেরিকা থেকে যাচ্ছে মালয়েশিয়া । দীর্ঘ, বিরক্তিকর যাত্রা । হিথ্রোতে যাত্রা বিরতি ।
যাত্রা শুভ হোক অরূপ ।
[
বিদেশ বিভূঁয়ে মাঝে মাঝে নি:শ্বাস ফিরিয়ে দেয় ডায়েরীতে টুকে রাখা কিছু প্রিয় কবিতা । এই কবিতাটা এখানে তুলে দিলাম আরেক ভালো লাগা স হ ব্লগার অরূপ এর জন্য
]
আমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে ঠকেছিলাম
পুরুত রাজাদের হাত থেকে সে আমাকে রক্ষা করতে পারেনি;
আমি দ্্রোণকে বিশ্বাস করে ঠকেছিলাম
আঙুলদক্ষিণা নিয়ে সে আমার সপ্তশরবিদ্যা হরন করছিলো;
আমি সিজারকে বিশ্বাস করে ঠকেছিলাম
সিংহাসন পাওয়ার পর সে তার দাসবন্ধুদের মনে রাখেনি;
সাঁইজি কে নিয়ে একটা ভিডিও ক্লিপ পেলাম ।
সুমন মুখার্জীর নির্দেশনায় সুদীপ্ত চ্যটার্জীর একক পরিবেশনা । অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ বছর এপ্রিলে নিউইয়র্কে ।
।1।
তিনি এসেছিলেন ।
জ্যাম জট,ধূলো, শ্যাওলা-ময়লার এই নারকীয় ম্যানহোলে ।
মার্কিন মুলুকে তিনি অনেক নাম কামিয়েছেন , অপেরাতে নাকি বাদ্য-বাজনা করেন ।
এই নারকীয় ম্যানহোলের জাতীয় মঞ্চে ও তিনি পিয়ানো বাজিয়েছিলেন । আমাদের মন্ত্রী-যন্ত্রী, আমলা-গামলা,বুদ্ধিজীবিরা সে বাজনায় বিমোহিত হয়েছিলেন । আমরা অভাজনরা টিভির পদর্ায় আর খবরের কাগজের পাতায় তার ছবি দেখে ই ধন্য হয়েছিলাম ।
তিনি ফিরে গিয়েছিলেন তাদের স্বর্গে ।
আহা তার বিদায় বেলায় বেদনায় সবথেকে কা
অতটুকুতেই তাকে নিয়ে গল্প লিখা যেতো ।
1931 এ নোয়াখালীর রামগঞ্জে যে মেয়ের জন্ম হলো, বছর কয়েক পর সে চলে এলো ফেনী শহরে । মেট্টিক পরীক্ষা দিলো । পাশ করতে পারলোনা । একাডেমিক পড়াশোনো আর হলোনা তার ।
সেই মেয়ে, সেই সময়ে কি করে নিজেকে এতোটা স্বশিক্ষিত করে তোললো? রোকেয়া হলের মেট্টন হলো, 'ললনা' নামের পত্রিকার সাংবাদিক হলো, তার পর এক সময় নিজেই সম্পাদনা শুরু করলো সাহিত্য পত্রিকা 'শিলালিপি' । এর ভেতর একবার বিয়ে ও হলো । ভেঙ্গে ও গেলো (বাংগালী পুরুষ অন্যের
[1]
দোলনচাঁপা আমার ভীষন প্রিয় ।
ভেজা পাঁপড়ি গুলো যেন প্রেমিকার চিঠি।
ঠিক এই মুহুর্তে অবশ্য আর কোন প্রেমিকার মুখ মনে পড়েনা।
কেবল বাসি দোলনচাঁপার ঘ্রানের মতো আমার শৈশব ফিরে ফিরে আসে।
বসত-ভিটার অাঁচল ভিজিয়ে ছল ছল বয়ে যায় এক নদী। আমি আমার মায়ের কোলে চরে আরো কত পথ ঘুরে ঘুরে এসে বসত গড়ি এই নদী তীরে।
মাথার উপর এক বিশাল শূন্যতা। নাম তার আকাশ। রং তার নীল। এখানে সূর্য উঠেনা। সূর্য আসে সাতটি ঘোড়ার রথে চড়ে।
উনুনে হাড়ি চাপিয়ে ধোঁয়া আর আগ
সাদিক মোহাম্মদ আলম
নেট ঘাঁটছিলাম । এই গানটা পেলাম । ভাষাটা আংরেজী না হিব্রু নাকি আরবী, মান্দালিয়ান- কিছুই বোঝতে পারছিনা ।
তবে টাইটেল দেখে আপনাকে মনে পড়লো ।
বুদ্ধের ব্লেসিং গানটা তাই তুলে দিলাম আপনার জন্য ।
ধূসর গোধুলী
আমার এই ছোট ভাইটা হিটলুর দেশে গিয়ে চনদ্্রগ্রস্থ হয়ে গেছে ।
"...এসব জটিলতাই ঘূণ পোকা আমার।... মানুষ হিসেবে জম্ম নিয়ে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে না পারার কষ্ট যে কি ভীষণ! কেন যে আমার কিছুই ভালো লাগে না! না নারী, না কাব্য, না চকচমকে ক্যারিয়ার... কিচ্ছু না! স্বপ্ন আর বাস্তবতার অসহ্য বৈপরীত্য আমাকে ভাঙে। কেবলই... নিজের ভেতর..."
ডায়েরির পাতা জুড়ে এভাবেই একজন সাজিয়েছিল নিজেকে এলোমেলো ।
এখন নেই।
লাশ হয়ে গেছে কাল রাতে। সাদা কাফনে মুড়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে সামনের উঠোনে। কালো গেট ঠেলে আসছে