ক্লান্ত সময়ে যখন সময়হীন কথাফুল ঝরে-
অনাবীল আনন্দে উড়ে বেড়াই তারা গুনে-
ডিফারেন্সিয়েটেড ইন্টিগ্রশানে ভাঙে ছাদ
পলিস্তারার কণায় কণায় মেঘাচ্ছন্ন আর্তনাদ-
চোখের জ্বালায় মন-আধারে বৃষ্টিবিলাসী কে!
নোনা ব্যথা ফেরে সচল চিত্রে
নীরব তারা ফুটে অদূরে কোথাও
আকাশ ভেঙে পড়ে
কেবল আমি দাঁড়িয়ে-
কাঁচা আলোয় ভেজা মৃত্যু অবশেষ।
যতোটা লুকাই ততোটাই ধরা পড়ে যায়
রাস্তায় এসে দাঁড়াও তুমি
আমি ঘুরে তাকাই
আরো বেশি ধরা পড়ে যাই- তোমার মতন আর কেউ নেই-
শুধু বলতে গেলেই যতো সংকোচ! অথচ আমার কিছু কথা ছিলো!
১.
আমি তো শুধুই কথা বলে যাই- বলার জন্য বলা। বলতে হয় তাই বলা। আমার কথায় তো গভীরতা নেই। শুধুই কথা, একগুচ্ছ শব্দের নিছক শব্দ। চোখে আমার নদী নেই, সমুদ্রের বিশালত্ব নেই। মৃতপ্রায় চোখ দু’টি শুধুই চেয়ে থাকে। কথা বলে না সে চোখ। কোনো ভাষা নেই তাদের। তাই নির্জনতাই স্থায়ী হোক। একান্ত নীরবতায় কাটুক সময়। রাত্রির গভীরতা পাক রহস্যকে আর রহস্য তোমাদের; যেমনটা পেয়েছি আমি।
২.
অবাক হবার কিছু নেই-
আমি এখনো ঠিক সেই আমিটাই আছি।
আমার আমিত্ব বিসর্জনের কালে শুধু ঘূর্ণি, শুধু গহ্বর-
অন্ধকার, নীরব, নির্জন অর্ধরজনী-বিলাসী অবিশ্বাসী-মনন
আর
সজল প্রবণতা হারিয়ে আত্মঘাতী-উড়াল অভিসারী-শরীর;
অথচ,
কোষে কোষে কামাননিনাদ- চঞ্চল, অস্থির এক বিরলতা।
অতঃপর,
শৃঙ্খলাসৃষ্টির শেষ চেষ্টায় রচিত হয় শেকল বাঁধার গান
পরিত্যাগের নির্বাসনে ঘরে ফেরে চিরচেনা শুদ্ধ অভিমান।
এ শ্রাবণ সন্ধ্যায়
বৃষ্টিভেজা মৃদু বাতাস
অহেতুক, অকারণে
থমকে গেলো সময়।
হঠাৎ স্তব্ধতা।
নিঃশ্বাসের শব্দ।
কানে লাগে।
অসহ্য।
নিঃশ্বাসে বিষ যেন;
এ সন্ধ্যা,
মৃদু বাতাস,
সবকিছু স্তব্ধ- অসহ্য।
অসহ্য থমকে থাকা এ সময়।।
জুলাই ৩১, ২০০৬
বাস্তবতা আহার যোগায় সর্পিক শীতলতায়
পুজোর থালার ফুল শুকিয়ে যায়
ছুঁড়ে ফেলি মৃত্তিকার টান-
মর্ম নেই।
তবুও আশা-
মিথ্যের মৃত্যুদন্ড হবে...
আজকের সকালটা ছিল অদ্ভুত
জেগে দেখি আমার উঠোনে সূর্যের সিঁদূরে জোনাক
সেই সাথে কুয়াশা ভেজা ঝিরঝির হাওয়া
রান্না ঘরে চায়ের কাপে টুং টাং শব্দ
তবু আমার মনে রাত্রির নিস্তব্ধতার নির্জনতা
কিন্তু সে নির্জনতা ভেঙ্গে দিল আমার প্রিয়ার হাত।
স্পর্শের নিবিড় আবেদন আমায় শিহরিত করে
অথচ দেহের কামনার কোন শিখা উঁকি দেয় না মনের গভীরে
নিস্তব্ধতা আমায় গ্রাস করে নির্জনভাবে
স্নায়ূতে শব্দশূল
হাড়ের মজ্জায় পথভ্রষ্টের ক্লান্তি
মট্! ভাঙে কোথাও কিছু একটা
নিমেষেই খুন
ঘরফেরা ভাবনা রক্তস্রোত-নদী
অতীতের শূন্য হাহাকার-
হার কোথায়?
বন্য পরাজয়!
সুদীর্ঘ অপেক্ষা পরে
আগমন উপমায় নাকি উৎপেক্ষায়!
লোভী শিখায় রক্তাক্ত আকাশ মুছে দাও আজ
আশ্চর্য জীবনের হোক সমাপ্তি- বিজয়ী সাধারণ
বিশৃঙ্খল থাকুক শুধুই অনুলিখিত অনুলিপি।।
চোখ দুটো ভীষণ ক্লান্ত- তাকিয়ে থাকা দায়
অবসাদ এতো মোহময় ঠিক যেমন ব্যস্ততা—
নশ্বর আমি নত হই
লুন্ঠিত জীবনাভিযানে অবিনশ্বর অধিকার
ঢেউ আঘাত হানে
প্রকম্পিত মর্মস্পৃশ্
অথচ সারাটাদিন আকাশ দেখা হয়নি—
নোনা আস্বাদ
আধার নেই;
আঁধারে অবকাশ—
মৃত স্মৃতি, বিস্মৃতির অতল