মস্তিষ্কে জমানো কর্মস্তুপের চাপ
প্রকুপিত ভাবাবেগ বাষ্পাঞ্চলে-
অবোধ্য শব্দাবলীর পদচারণা
মননে অনুপ্রবেশকারী আচরণ-
নিপীত আলোকের শেষ নিনাদ
কোষে কোষে অরিন্দমের জাগরণ।।
ক্ষণে ক্ষণে ব্যবধান হারিয়ে যাচ্ছে
দূরত্ব দূরবর্তী কোনো শব্দে বিলীন
কথোপকথনে অপহৃত কথার মায়া
অর্থপূর্ণতার সংজ্ঞায় হাজারো ঋণ!
তবুও আনকোড়া লাগে এ পৃথিবী-
আনন্দ আর কতদূর!
অবাক চিত্ত উন্নতার শ্লেষ চায় না।
আজ আবার উড়ার তৃষ্ণা সত্ত্বা ছাপিয়ে
পতনের ভয় খেলা করে সসীম মুহূর্তে
যখন অনেক কিছুই অব্যক্ত রয়ে যায়-
(স্বীকারোক্তি, স্মৃতিকাতরতা, অনুতাপ
অভিমান, অনুরাগের ছোঁয়া, ভালোবাসা)
গুটি...
উৎসর্গঃ ফিলিস্তিন ও লেবাননের নিষ্পাপ সত্ত্বাদের...
মননে থমকে গেছে
বেঁচে থাকার সব ইচ্ছেগুলো
পাওয়া আর হারানোর বাসনা
আকাশ, সৃষ্টির অনুভূতি।
শুধু একটি বোধের ব্যথা
সে আগত শিশুর অনুভব
মাতৃজঠরে যার কাটছে দুর্বিষহ প্রহর
মায়ের মাংস পুড়ে যাওয়ার ক্ষোভ
ধ্বংসযজ্ঞে আগুন নিভানো অশ্রুঢল
রোদেলা আপনভূমে কুয়াশাচ্ছন্ন হাহাকার
গড়ে ওঠছে আরেক বিদ্রোহী সত্ত্বা-
হয়তো গতিহীন হবে অসভ্য গণহত্য...
সোনালি রোদ্দুরে হীমশূল ফোটে
বেশ লাগে জ্বালা, অন্য আবেশ-
স্বপ্নাঙ্গনে সকল ক্লান্তি উবে যায়
অনুভবে এক রাশ প্রশান্তি পাই।
অথচ,
অন্তরালের পর্দায় সময় ঋণগ্রস্ত
বাহিরে অমূল্য সময় দিশেহারা।
অবহেলার অপনয়ন নিয়মনীতি
অসহ্য!
জন্মের প্রতি আমার এ অত্যাচার।
নতমস্তকে নতজানু হই, হে ঈশ্বর!
ক্ষমা চায় এ হীণ, চায় উন্নত চিত্ত।
পাখি ওড়ে বেড়ায়
কখনো মেঘের সাথে
কখনোবা মুক্ত নীল আকাশে
আর যখন গাছের ডালে বসে থাকে!
মেঘ ভেসে বেড়ায়
কখনো স্থির কখনো অস্থির
খোলা চোখে আকাশ ঠায় দাঁড়িয়ে
আর যখন তার গভীর নিদ্রা ভাঙে!
আমি দেখি মেঘ গতিহীন
আর আকাশ ওড়ে বেড়ায় মেঘের 'পরে...
আনন্দ তার পথের সন্ধান দিয়ে গেছে:
অত্যন্ত নির্ভুলভাবে
সদা অস্থির মন আমার মুহূর্তেই ভুলেছে;
ভালো লাগে ভীষণ
মেঘলা আকাশ আর রোদের গোলক ধাঁধা
সবুজের ছায়ায় ডুবে ডুবে ভেসে ওঠা
হলুদ পাতার দীর্ঘশ্বাসের কাঙালপনা...
প্রকৃতির এ অস্থিরতায় বুঝি-
আনন্দ কখনো স্থির হয় না।।
জীবন মানেই হোঁচট খাওয়া,
সময়ের স্রোতে ভেসে যাওয়া।
কখনো কখনো থমকে দাঁড়াই
দেখি সময়ও হঠাৎ হোঁচট খায়
এ পরিসরে কিছু ভুল আপেক্ষিকতায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে
আত্মগ্লানির দংশন শুরু হয় এ অবসরের আড়াল পেয়ে!!
অন্ধ সেজে থেকে লাভ কী বলো, যখন
আঁধারের বাস্তবতায় দৃষ্টি ঝলসে যায়!
তাই বুঝি,
সবকিছু ভুলে দূরে
কোথাও হারাই তোমাদের পাশ থেকে।
নিকোটিনে হলদে হয়ে যায়নি আঙুল
পারিনি তুলতে গড়ে সাম্রাজ্য ধোঁয়ার
তাইতো থামেনি চলার পথ আমাদের!
এ কেমন নির্মম ভালোলাগা আবেশ
শেষ চুম্বনের পরও অপূর্ণতার রেশ-
পরিণতিতে নিঃশ্বাস বেদনা অশেষ।
আমি দেখি
ধোঁয়াশায় ম্রিয়মান আকাশ
ধোঁয়াময়...
ধোঁয়ায় ধূলি হয়ে হারানো।
ধোঁয়া উড়ে অনুপান চায়ে
কখনো বা
মূত্রসদৃশ পানীয়ের স্রোতে।
অগুন্তি ভাইরাসে আক্রান্ত মস্তিষ্ক
নিউরণে নিউরণে ব্যর্থ অনুরণ...
চয়নিক বাতুলতা সযত্নে যাই এড়িয়ে
গুরুগম্ভীর পদাবলী কড়া নাড়ে না;
ব্যবহারিক শব্দাবলীর ভীড় এখানে
জানি অবিনশ্বর সত্য-
তীর্থের বসবাস এ নশ্বর বাস্তবতায়।
প্রাত্যহিক জীবনের পথে হোঁচট খেয়ে
হঠাৎযদি থেমে যাই (যেতে তো হবেই!)
শুধু জেনে নিও দায়ভার রেখে যাইনি
অব্যক্ত অগণিত শব্দাবলীর কোলাহলে
আমার এপিটাফে কোনো বর্ণও নেই-
সাদা পাতায় লিখে নিও যা কথা ছিলো।
ক'দিন কাব্যের মাঝেই আছি
অদৃশ্য শব্দাবলীর কোলাহলে
কাব্যিক নিউরণ জেগে ওঠছে
তাদের সুপ্তাবস্থা ত্যাগ করে...
আমি বড্ড আহ্লাদিত চিত্তে
শব্দখেলায় মুদে আছ...