সুলতানা সাদিয়া এর ব্লগ

ইচ্ছেঘুড়ি (পর্ব-৬)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৫/২০১৭ - ৮:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘটনাটা অনির যতবার মনে পড়ছে ততবার মজা লাগছে। কাঁথার ওম উপভোগ করতে করতে অনি মাঝে মাঝে আজমাইনের চেহারাটা মনে করে হাসছে। অনির আজ আনন্দের সীমা নেই। আজমাইন আজ বেশ একটা শিক্ষা পেয়েছে। অবশ্য এটার পুরো কৃতিত্ব সেই মেয়েটার। তবে রুমন যদি আজ সেই মেয়েটার কাছে আজমাইনকে দিয়ে মাফ না চাওয়াতো তাহলে আজ নির্ঘাত বিষয়টা মা-বাবা অবধি গড়াতো। আজমাইনের সবকিছুতেই সবজান্তা ভাব। অথচ রুমন কত কি জানে, গাদি গাদি বই পড়ে ও। অথচ রু


ইচ্ছেঘুড়ি (পর্ব-৫)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৬/০১/২০১৭ - ৫:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাঁচ

রন্টু ভাইকে অনি যত দেখে তত ভালো লাগে। রন্টু ভাইয়ের গিটারটা আরো বেশি ভালো লাগে। অনির ভালোলাগা আর আগ্রহের দৃষ্টি পরিমাপ করে রন্টু অনিকে ডাক দেয়,
-অতো দূরে বসেছিস কেন? কাছে আয়। ধরবি গিটার? তোকে তো বলেছি ধীরে ধীরে সব শিখিয়ে দিবো। সপ্তাহে একদিন সময় ম্যানেজ করে চলে আসলেই হবে।


ইচ্ছেঘুড়ি (পর্ব-৪)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৫/১১/২০১৬ - ৫:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুপুরের জলখাবার বাড়িতে সারার কারো সময় নেই এখন। অনির বাবা সকালে সাথে করে খাবার নিয়ে যায়। অনির বাবার অফিস কাছেই, এস.এস.রোড। মিনিট দশেকের রাস্তা। চাইলে বাড়িতে এসেই খেয়ে যাওয়া যায়। আগে শংকরসহ অনেক অফিসার খাবারের সময় দুপুরে বাড়িতে এসে চটজলদি খেয়ে অফিস ছুটতেন। কিন্তু নতুন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কানে কেউ খবরটা দিতেই বিপত্তি ঘটেছে। লাঞ্চ আওয়ার পেরোতে না পেরোতেই তিনি চেয়ারের মাথা গুনতে আসেন। মোহনা অবশ্য সকালে


হার্ট

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৯/০৯/২০১৬ - ২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের মায়ের মাঝে কোনো রহস্য ছিল না। মা ছিলেন সাদামাটা চেহারার বৈচিত্র্যহীন একজন মানুষ। মায়ের পরনে বরাবরই আটপৌড়ে পোশাক। ঘরে বা বাইরে বেরোলেও মায়ের পরনে মাড়হীন জংলি ফুলের নরম শাড়ি থাকতো। সাথে থাকতো কালো রঙের কুঁচি দেয়া বোরকা। সুতি শাড়ির বদলে কখনো জর্জেট বা সিল্ক নতুবা শাড়ির বদলে কামিজ বা ম্যাক্সি পরাও দেখিনি মাকে। মায়ের তোলা শাড়িগুলো আলমারি থেকে বের হতো কদাচিত। কোথায়ই বা যাবে মা?


অ-কথার স্তূপ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ৩১/০৮/২০১৬ - ১১:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুকের উত্তাপে রেখে দেওয়া সুখ-দুঃখের ফর্দখানা উল্টেপাল্টে দেখে নিয়ে ওরা প্রত্যেকে এক একটা নতুন গল্প বলবে বলে ঠিক করে। তারা, মানিক, মিতু, সবুজ আর তিতির। ওদের বয়স বাইশ-তেইশ বা মাস দুয়েক কম বেশি। এই বয়সে গল্প বা কল্পগল্প বলতে কাউকে ঠেলাঠেলি করতে হয় না। বরং কথার তোড় বন্ধ করতে মিনতি করা লাগে। তবে হার্ড পয়েন্টের আজকের পরিবেশটাই অদ্ভুত। মায়াময়। ধীরে ধীরে সূর্য জলস্নানে নেমে পড়ছে।


ইচ্ছেঘুড়ি (পর্ব-৩)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৭/২০১৬ - ১২:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৩.অনির ভীষণ জল ভীতি আছে। কিন্তু অনি দেখেছে পৃথিবীর বেশির ভাগ কাজকর্ম জল ছাড়া হয় না। জল ভীতির সাথে অবশ্যম্ভাবীভাবে জড়িয়ে থাকে স্নান ভীতি। ছোটবেলা থেকে অনিকে স্নানে নিতে মাকে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। বিশেষ করে শীতকালে মা আর অনির মধ্যে এই স্নান করা নিয়ে কম লুকোচুরি খেলা হয়নি। মায়ের আঁচলে সেই সব দিনের অনেক গল্প আছে। খাওয়ার টেবিলে মাঝে মাঝে মা অনির ছেলেবেলার গল্প করে আর হাসে। বাবার স্টকেও অনি-তোড়ার ছেলেবে


উত্তরণ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৭/০৬/২০১৬ - ১১:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.


অসভ্য

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০২/২০১৬ - ৯:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বদেশের জন্ম হলো ক্লাব-ফুট। শব্দটা ডাক্তারের কাছ থেকে শোনা। অর্থটা বুঝেছি স্বদেশকে চোখে দেখে। ডাক্তার আনন্দ সাহা স্বদেশের শরীরের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ বাঁকা পা দুখানায় হাত বোলাতে বোলাতে বলেছিলেন, পেটে আঘাত পেলে, কোনো ধরণের ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা বংশগত কারণে মায়ের পেটে থাকতেই শিশুর এ ধরণের ক্ষতি হয়। ডাক্তারের কথা শুনে রানা আমার চোখে চোখ পড়বার ভয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল। আমার স্বদেশের বাব


অপুষ্পক ক্যাকটাস

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৯/১০/২০১৫ - ১১:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভদ্রমহিলার সাথে একবার চোখাচোখি হতেই তিনি চোখ ফিরিয়ে নিলেন। আমাদের এই দৃষ্টি বিনিময় হলো খুব স্বল্প সময়ের জন্য। কিন্ত এর মধ্যেই আমার মনে হলো সেই চোখজোড়াতে দহন আছে, জ্বালাও আছে। আমি দিন পনেরো ধরে রোজ ছাদে উঠছি আর তাকে ঠিক একই জায়গায় একইভাবে বসা দেখছি। বসার ভঙ্গিটি স্থির, নিশ্চল। আমি ছাদের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে দাঁড়াই। মেইন গেটের উপরে কায়দা করে বানানো খাঁচার ফাঁকফোকর গলে বাগানবিলাস গাছটা ছড়িয়ে পড়েছে। গ


মা, আমি বড় হচ্ছি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০৮/২০১৫ - ১:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
আগে অফিসে যাওয়ার সময় দুই ভাই-বোনই বায়না করতো, মা, অফিসে যাবো। চকলেট বা নসিলা দিয়ে শান্ত করতাম। মাঝখানে কিছুদিন হেল্পিং হ্যান্ড নাই। স্টাফের কাছে থাকা, বাবা-মার ছটফটানি। ব্যাপক স্বাধীনতা। দুপুরে লাঞ্চে এসে দেখি বাসা আমার জঙ্গল। বকাবকি, হুলস্থূল। এরপর আমার ছেলের কাতর প্রশ্ন, মা অফিসে যাও না ক্যানো? কখন যাবা? দুষ্টামি করবো।

২.