এই একটা নতুন পর্ব শুরু করলাম। জীবনের অভিজ্ঞতা খুবই সংক্ষিপ্ত। তবু এই সীমিত ভান্ডারের মধ্যে থেকে যাই পারি তুলে ধরার চেষ্টা করব কিছু ভাল লাগার কথা আর কিছু খারাপ লাগার কথকতা। তবে এই সীমিত সময়ে যা দেখেছি তা দিয়েই কিছু বলার চেষ্টা করব। জানিনা কোথায় বা কোন পোস্টে কোন ধরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
১
প্রবল তরঙ্গে আমি ভেসে যাই
নির্লিপ্ততার পিছুটানে হতবাক
কোথায় যেন তলানিতে ঠেকেছে প্রাপ্তির
ঘোলা জল।
হিসেবের খাতাঘরে চিরকাল ঘ্যানরঘ্যানর
দ্বিধাযুক্ত সমান্তরাল রেখার টানে চুপ করে
শুনতে থাকি চূড়ায় থাকা ছায়াদের
দম্ভকথন।
অনেক দিন আগের কথা
বুবুন বলেছিল তুই আমায় ভালোবাসিস
ঊন্মোক্ত নিবিড় ছায়াতলে দাঁড়িয়ে ভেবেছিলাম
প্রথম স্বীকৃতির সুখ।
তারপর কেটে গেছে সময়
[justify]দেশের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। দাঙ্গা, বিদ্রোহ, হত্যা, লাশ সবমিলিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এইদিকে আবার একটা নূতন হুজুগ উঠেছে, এই হুজুগের নাম- পাকিস্তান, যার হোতা জিন্নাহ। কাজে-কর্মে, পারিবারিক স্টেটাসে, লেখাপড়ায়, সভ্য-বিনিত অতিমাত্রায় ধর্মীয় লিবারেল মানুষটা হটাত করে মৌলবাদের ছত্রছায়ায় চলে গেলেন!! এদিকে দেশের প্রথম সারির এক অহিংস নেতা বলছেন, আর অপেক্ষা করা যাবেনা, এইবার পূর্ণ স্বাধীনতা চাই।
আপনি বলেননি কখনো
পৃথিবীর যাবতীয় বিবর্তনকে পাল্টে দিতে
একবার সময়ের কন্ঠে ছুরি বসাতে
নতুন আবর্তনের মেরুপথে
থাবা বসাতে বলেননি আপনি।
শুধু আমি ভেবেছি
আজও ভাবি
গতিহীন চারুলতার চিরঞ্জয়ী অসুখ
বিবর্ণ রাধাচূড়ার উদাসীন মুখ
পরিনত গোলক ধাধায় হাতড়ে
শুধু আমি ভেবেছি ।
আপনি বলেননি কখনো
তবু মৃত্যু এসেছে ভালবাসার আঁচল বেয়ে
সন্ত্রাস এসেছে পাল্টে দেবার স্বপ্ন দেখিয়ে
টুইটারের স্ক্রিনে ভেসে আসল একটা বার্তা - ‘গড ইজ গ্রেট’। সাথে সাথেই খুশির জোয়ার। অসংখ্য অভিনন্দন।
বার্তা প্রেরক নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী,গুজরাট। গড গ্রেট এই কারনেই যে গুজরাট দাঙ্গার কেলেঙ্কারি থেকে অলমোস্ট রেহাই পেতে চলেছেন অন্যতম অভিযুক্ত নরেন্দ্র মোদী। ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার তাই একটা ঐতিহাসিক দিনই বটে!
“ওরা আমার কথা শুনছে না।”
-এই ছোট উত্তরটি করেছিলেন এই উপমহাদেশের এক মহান নেতা। প্রশ্নকর্তা নেতাজী সুভাষ বোসের দাদা শরত বোস। সময় ১৯৪৭ এর প্রথমার্ধ।
ঠিক কি ছিল প্রশ্নটায়। কাদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল কথা গুলো? অর্থাৎ ‘ওরা’ কারা? এর উত্তর খোঁজার আগে একবার একবিংশ শতাব্দীতে টার্ন করি।
[justify]কোমায় চলে গেলাম:
“দালানে বাস করা আর কমোডে হাগু করা; এইটুকুই এখন পর্যন্ত বাঙালির নাগরিক জীবনের অগ্রগতি।” “বাংলাদেশটা বাঙালিদেরই দেশ। কিন্তু রোজার মাসে বড়ো বিশ্রীভাবে হঠাৎ মুসলমানের দেশ হয়ে যায়।”
“কিছু সমস্যা বিখাউজের মতো; তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু চুলকাতে চুলকাতে মাথা অস্থির করে ফেলে।”
[justify]তারপর.........
তারপর আর কি! আমার মতো কিছু গোরু হাম্বা হাম্বা করে যায়। আর আলোর চোখে ঠুলি দিয়ে বসে থাকে বিবর্ণ সমাজ। তবুও হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া জীবন বন্ধনে পথের ধারে লুকিয়ে থাকে কিছু হোতাদের কথকতা। যাদের দেখলে মনে হয় অন্তত মৌলকুত্তারা তাদের পোষ মানাতে পারেনি।
[justify]তারপর ..................
“যদিও আকাশ ধোঁয়াশায় ম্রিয়মান/ তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান”