তাপস শর্মা এর ব্লগ

ঠেলাকাকা ও একজন বালের মৃত্যু

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২০/১১/২০১২ - ১০:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিনি মরিয়াছেন। তিনি মরিয়া বহু মানুষের উপকার করিয়া গেছেন আপাতত। জীবিত অবস্থায় উনার আস্ফালনে মহারাষ্ট্র রাজ্যটির রাজপাঠ এর স্বঘোষিত দন্ড উনার হস্তেই ছিল। নামকরণের মাহাত্ম মাথায় নিয়া তিনি বালের প্রতীক হইয়া উঠিয়াছিলেন


ফিরে দেখা . . .

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১১/২০১২ - ২:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মন খারাপ হতে ঠিক কোন কারণ লাগেনা। কখনো কখনো এমনিই মন খারাপ হয়ে যায়। কোন দৃশ্য যখন ভ্রমান্ধ দৃশ্য হয়ে বায়স্কোপে ফুটে উঠে ঠিক সুপান্থ দার গল্পগুলির মতো তখন একটা উদ্ভ্রান্ত সম্ভাষণ সৃষ্টি হয়। বেশ কিছুদিন ধরে ডুবে আছি সেই গল্পগুলিকে নিয়েই। একটু একটু করে জমা করা বিশ্বাস কিংবা বোধ যখন হঠাত ছাই হয়ে যায় তখন কষ্ট হয়না, কারণ কষ্ট শব্দটা সেই অনুভূতির কাছে ফিকে পড়ে যায়। কেমন জানি একটা হতাশা; এই হতাশা জিনিষটা


ভারতীয় গণতন্ত্র

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৪/১১/২০১২ - ১১:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিভিল রাইটস কথাটির অর্থ আমার কাছে এখনো ধোঁয়াশার মত। আসলে আমাদের জন্যে আদৌ কি কোন রাইটস আছে? আমরা একবার ভেবে দেখি, একবার আওয়াজ উঠাই, একবার নিরুদ্দেশভাবে কোন উদ্দেশ্যকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নতজানু হই। আর যাবতীয় প্রক্রিয়া চলতেই থাকে...


ঠেলাকাকা ও একটি নোবেল

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৪/১০/২০১২ - ১১:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোন এক মনোহর বৈকালের ঘটনা, হ্যাঁ; ঠিক কবেকার সংযোগ তাহা মনে নাই। তবে সেই দিনটি বড্ড মনোহর ছিল। আমাদিগের সহিত ঠেলাকাকার পরিচিতি ঘটিয়াছিল তাহা স্মৃতির পাতা ঝাড়িয়া বাহির করিতে পারি না আপাতত। তবে দিনটি মনোহর ছিল উহা মনে করিতে পারি। কেননা কাকার কুষ্ঠির নাম মনোহরপ্রসাদ বিশ্বাস এবং পরিচিতিকালে কাকা ঐ নামেই নিজের গুণকীর্তন করিয়াছিলেন। তবে সামান্য কাল অতিবাহিত হওয়ার পর কাকা আমাদিগের আড্ডায় থিতু হইলে স্কন্দ


ছুটি

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১০/১০/২০১২ - ৯:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“......আমার আর কোথাও যাবার নেই। কিচ্ছু করার নেই।"


মগজে কারফিও

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০১২ - ৮:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল।
- রাইত পোয়াইতে না পোয়াইতেই আইয়া পড়ছে ছাগলের চাক। যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি

দুপুর।
- মাজ্ঞো মা মাজ্ঞো মা। পোলাপাইনডি কিতা গো? দুফর নাই আফর নাই, তোরার বাড়ি ঘর নাই? যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি

সন্ধ্যা।
এই যে সকালবেলা আইয়ে হকুনের চাক, সইন্দা মইজ্যা গেলেও বাড়িত যাওনের নাম নাই। মাগো গো মা, এইডির মা বাবাও কি ডাক দোয়াই দেয় না। যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি


নাট্যচর্চা। মাহবুব লীলেন এর ‘অরক্ষিতা’ – সময়ের পালাবদলের সোপান এবং ফিরে দেখা মহাকাব্যের ভিন্ন আখ্যান

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ১২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নাটক! সাহিত্যের নন্দতত্ব থেকে একটা প্রক্ষিপ্ত আস্ফালন যদি কোন কিছুকে দেউলিয়া করে দিয়ে থাকে, মন-মনন-ভাষা-আকৃতি-পরিধী-বিস্তার এর গাঁট বেঁধে থাকে, বুদ্ধিদীপ্ত মারপ্যাঁচ থেকে শুরু করে ‘ছোটলোকের’ চিৎকার এর সাযুজ্য এনে থাকে, কথাযুক্ত অবয়বকে সাকার করে থাকে, নিছক চিত্রকল্পকে ঘোর বাস্তবের দাঁড়ি পাল্লায় কিংবা মলিন প্যারামিটারের আকৃতি দিয়ে থাকে – তা হল নাটক।


মেঘলা মানুষ, একলা আকাশ...

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২২/০৬/২০১২ - ৩:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুব ছোটবেলায় যখন বৃষ্টিকে প্রথম অনুভব করতে শিখেছিলাম সেই প্রথম অনুভূতির স্মৃতিগুলি এখন ডিলিট হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেও স্মৃতির পাতা ঝেড়ে সেই দিনটির কথা মনে আনতে পারি না। সেই দিনটিকে আমি আজও খুঁজি, যতবার বৃষ্টি দেখি ততবার আমি অবচেতনের ডেস্ক হাতড়ে বেড়াই। নামটা বৃষ্টি। বাংলা এই শব্দটাতেই যেন অজস্র বিন্দু স্মৃতি-বিষ কেউ ঢেলে দিয়ে গেছে। তাই প্রতিটি বর্ষা ঋতু আমার কাছে নূতন গানের পসরা সাজায়। যতই মনের দ


বাঙালঃ মুখের ভাষা – ০১

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৬/২০১২ - ১০:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমার কিচ্ছু হৈত না…… এইডা কি হুদাই আবেগের বশে বলা ? উঁহুঁ। আমি জানি যে আমার কিছুই হৈত না। বলা নাই কওয়া না এই ছোট্ট জীবনডাতেই যত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়া ফেলছি এগুলি শোধ্রাইতেই বাকি জীবন শ্যাষ হয়া যাইব।


পরিত্যক্ত জাতক

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০১/০৬/২০১২ - ৮:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গন্ধটা টের পায়, ভালো করেই টের পায় শম্ভু। এবং আজকাল এতটাই টের পায় যে নিজেকেই ঘৃণা করতে শুরু করেছে হয়তো মনে মনে। বিকেলের পরিত্যক্ত রোদ ওর রোদে পোড়া দেহটাকে আরেকবার স্নান করিয়ে দিয়ে যায়। ময়লা গামছাটা দিয়ে মুখ মুছে গত রাতের বাসি রুটি আর জীবন সরকারের দোকানের মটর তরকারী দিয়ে উদরপূর্তি করতে গিয়েও সে টের পায় সেই গন্ধটা। একটা মাছি তার রুটির আশেপাশে অনেকক্ষণ ধরেই ঘুরঘুর করছিল, কয়েকবার তাড়িয়ে দিয়েও