প্রেমের প্রজন্মান্তর

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: বুধ, ২৫/০৬/২০০৮ - ৪:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

১৯৯১ সালে চামেলীর যখন বিয়ে হয়, তখন তার বয়স ১৩। ক্লাস সেভেনের ছাত্রী। বাড়তি গড়ন, দুধে আলতা রঙ। স্বামীর বয়স ৩২। পুলিশ, সরকারী চাকরী। চেহারা ছবি খারাপ না, গাট্টাগোট্টা সুস্থ সবল শরীর। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চামেলী এক কন্যা সন্তানের মা। পবিত্র আরবভূমির তুলনায় সূর্যের তেজ একটু কম থাকলেও এই বঙ্গদেশেও বালিকারা টিনে ঢুকতে না ঢুকতেই 'স্বাবালিকা' হয়।

চামেলীর জন্য পুরা হাইস্কুলের সব রোমিও প্রকাশ্যে পাগল ছিলো। কে তার সাথে প্রেম করতে পারবে, তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়াছুড়ি ছিলো। সেই ছ্যালেঞ্জে জয়ী হয় আমার বন্ধু জাহিদ, দশম শ্রেণী বিজ্ঞান বিভাগ; বাকিরাও আশা ছাড়ে না, হেয়ার-স্টাইলে, মটর-সাইকেল মহড়ায় কেরামতি প্রদর্শন করে তাকে ভুলানোর চেষ্টা চলে। জাহিদের কাছে শুনলাম, তারটা নাকি ঠিক একপক্ষীয় প্রেম না, অপর পক্ষ থেকেও ভালো মতোই আগ্রহ আছে। বরং আগ্রহ নাকি অপরপক্ষেই বেশি। চামেলী ফাইভে পড়ার সময় থেকেই তাকে লাইক করে। কিন্তু সে সময় তার ম্যালেরিয়া হওয়ায় চুলছাঁটা টাক মাথা ছিলো, নাইলে প্রেমের প্রস্তাব সে-ই আরো দুইবছর আগে দিতো।

যাহোক, পুলিশের সাথে বিয়ের পরে জাহিদ-চামেলীর উথাল-পাথাল প্রেমের করলা-পরিণতি হয়। কিছু কিছু রোমিও নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রাভঙ্গ ফর্মূলায় খুশি হলেও তাদের একটা বিশাল অপটিমিস্টিক অংশ আশাহত হয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় ধকলটা যায় অবশ্যই দোস্ত জাহিদের ওপর দিয়ে। সে ঠিকমতো খায় না, দায় না, কথা কমায়া দিছে, রেগুলার সকালের ব্যাচে অঙ্ক করতে আসে না। কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য সে সামলে নেয়। পলি নামের ক্লাস নাইনের একটা হট মাইয়াই তাকে নিজে থেকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আল্লাহ যারে দেয়, তারে ছাপ্পড় ফাইড়া দেয়। তবে পলির সাথেও সম্পর্ক বেশি দিন টিকে না। জাহিদ ততোদিনে প্রেমে পিএইচডি। এক প্রেম লোকান্তরে, আরেক প্রেম কড়া নাড়ে - এই দর্শন সে আমাদের মতো 'এক প্রেমই পাই না' পাবলিকের মাথায় ঢুকাতে চেষ্টা করে।

কলেজে গিয়াই সুমাইয়ার সাথে তার প্রেম হয়। কিন্তু এর মধ্যেও দেখতাম চামেলীর পুরানা চিঠিগুলা সে মাঝে মাঝে বের করে পড়তো আর গুম হয়ে বসে থাকতো। আমরা সে সময় তাকে একটু সমঝ করে চলতাম, চিঠিগুলা সে আমাদেরকে ছুঁতে দিতো না। ট্রাংকে তালাবদ্ধ করে রাখতো। তখন একসাথে হোস্টেলে থাকি। একবার ভুলে রুমে চাবি ফেলে সে গোসল করতে গেলে ট্রাংক খুলে কয়েকটা চিঠি পড়ে ফেলি। কত শত স্বপ্ন, তাদের কয়টা ছেলে হবে, কয়টা মেয়ে হবে, চামেলী ঘরে বসে থাকতে পারবে না, তার স্বপ্ন বড় হয়ে উকিল হওয়া। এর বাইরে জাহিদের বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে চামেলীর বিশাল সব অভিযোগ। মনে পড়ে যায়, জাহিদের পিঠাপিঠি বড় ভাই শাহিদ সেই প্রেমের সময় জাহিদকে প্রচুর বকাঝকা করেছে, একবার তো মারও দিয়েছে। চামেলীর অভিযোগ, সে যদি শাহিদের কথা মেনে তার সাথেই প্রেম করতো, তাহলে আর জাহিদকে মার খেতে হতো না।

জাহিদরা ছয় ভাই। সবচেয়ে ছোট মহিদ এবার এই ২০০৮-এ এইচএসসি দিচ্ছে। পরীক্ষার মাঝেই একবার সে লাপাত্তা। মোবাইল আছে। বন্ধ। সবাই টেনশনে। একজনের কাছে খবর পেয়ে তাকে পাওয়া যায় চামেলীর বাড়িতে। চামেলীর বড় মেয়ে রূপসীর বয়স ১৬ ছুঁই ছুঁই, এবার এসএসসি দিবে।

২.

ছোটবেলায় আমাদের ক্লাসে ফার্স্টবয় ছিলো না, ছিলো ফার্স্টগার্ল। আমি থার্ড হতাম। ক্লাস এইট থেকে অবশ্য আমি সেকেন্ড হওয়া শুরু করি। কারণ, ক্লাস ফাইভে ট্যালেন্টপুলে উপজেলায় ফার্স্ট হয়ে স্কলারশীপ পাওয়া শাহিদারও বিয়ে হয়ে যায় ক্লাস সেভেনে থাকতেই। এরপরে সে আর স্কুলে আসে নি। তার নাকি লজ্জা করে। কিছুদিনের মধ্যেই সে পুরাদস্তুর গৃহিণী হয়ে পড়ে।

সে ১৯৮৮ সালের কথা। শাহিদার সাথে আমার তেমন খাতির ছিলো না। তারা থাকতো অন্যগ্রামে। ৯৩ সালে যখন কলেজ থেকে একবার গ্রামের বাড়িতে যাই, তখন আমাদের লাইনের লোকাল বাসে তার সাথে দেখা হয়। বোরখা পরা। আমাকে দেখেই বোরখার নেকাব সরে যায়। তার চোখ খুশীতে জ্বলজ্বল করে। আমার খবর নাকি সে সবই জানে। এসএসসিতে ভালো করে ভালো কলেজে চান্স পেয়েছি। কথায় কথায় জানায় তার বড় মেয়ে স্কুলে যায়। খুবই মেধাবী। যা একবার শোনে, আর ভোলে না। মেয়ের নাম কি বলেছিলো, তা আর মনে করতে পারি না। পিচ্চিপাচ্চাদের ব্যাপারে আমার উৎসাহ সবসময়ই কম।

এরপর তার সাথে আবার দেখা হয় ২০০১ এর শুরুর দিকে। অনেকটা মোটা হয়ে গেছে। অনায়াসে মধবয়সী বলে চালিয়ে দেয়া যায়। সাথে স্বামী আছে, ছেলেমেয়ে আছে। এরা দুজনেই স্টুডেন্ট হিসেবে ভালো, ক্লাসে প্রথম হয়। মেয়েটা এইট-এ উঠলো, ছেলেটা ফাইভ-এ। মেয়েটা মায়ের চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। বেশি কথা বলে না, টানা গভীর চোখে অনেকটা অবাক ভঙ্গীতে তাকিয়ে থাকে। আমার তখন ইউনিভার্সিটির লাস্ট ইয়ার। গ্রামের স্কুল থেকে পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ায় সুনাম এবং গর্বের কমতি নেই মোটেই।

সেই গর্ব এবং সুনাম অবশ্য চাকরির বাজারে গিয়ে মাঠে মারা খেয়েছে। বিসিএস দিয়ে ফেল মেরে একটা এনজিওতে চাকুরি নেই। এরপর মাঝে একটা ব্যাঙ্কে কিছুদিন ছিলাম, ভালো লাগে নাই। আবার এনজিওতে। দৌড়ের ওপর জীবন। বয়স বাড়ে, বছর চলে যায় তরতর করে। মহিদের ঘটনাটা শোনার পর থেকেই একটা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। শাহিদার সাথে আবার যোগাযোগ করতে হবে। আমি এখনও অবিবাহিত।


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

হাসতেই আছি।
নতুন ছিনেমা বানানো যায়, "বান্ধবী ক্যানো শ্বাশুড়ি?"


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাস্তব নিয়ে ছিনেমা বানাইলে দেখবে টা কে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ট্রুথ ইজ স্ট্রেন্জার দ্যান ফিকশন, জনাব !
লোকে দেখবে না মানে !!
এইরকম নামের সিনেমা লোকে চোখ ফার ফারকে দেখবে।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চোখ ফার ফারকে মানে কি আন্ধারাও এই সিনেমা দেখতে পারবো? চোখ ফাইরা লাওনের পরেও দেখতে পারা, কি সাংঘাতিক ক্ষমতা সিনেমার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

চোখ ফাইরা লাওনের পরে যারা চশমা লাগাইয়া দেখে, তাগো কথা কইছি, জনাব।
বুঝলেন কি না...
.....................................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুশফিকা মুমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
বেচারা জাহিদ .... অছ্যুৎ বলাই ভাই তাড়াতাড়ি শাহিদার সাথে যোগাযোগ করেন খাইছে

নতুন ছিনেমা বানানো যায়, "বান্ধবী ক্যানো শ্বাশুড়ি?"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইনশাআল্লাহ। দোয়া কইরেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কীর্তিনাশা এর ছবি

খাইছে আমারে! পুরা হাসির বোমা একটা। হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হইয়া গেল তবু হাসি থামে না।

[img=auto]Free Smileys & Emoticons at Clipart of.com[/img]Free Smileys & Emoticons at Clipart of.com

-----------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কেউ কান্দে, কেউ হাসে; দুনিয়ার রীতিই এই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বিবাহিত হোক বা না হোক...যোগাযোগ রাখাটা জরুরি...



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কথা সত্য।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রেনেট এর ছবি

বাল্য-বিবাহের ম্যালা উপকারিতা আছে দেখা যায় চিন্তিত
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হ, প্রেমিকার মেয়েকে বিয়ে করার একটা চান্স তৈরি হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফ্রুলিক্স এর ছবি

খাইছে। এক্কেবারে রেডিমেইট চিন্তাভাবনা। চালাই যান।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি কিন্তু একটু ফ্রয়েডিয় গন্ধ পাচ্ছি, একটু নভোকভ নভোকভ ভাব, ঐ দিকে ভূলেও চিন্তা বাড়াবেন না, বাংলার মাটিতে আর এক ললিটার কহিনী আমরা দেখতে চাই না। কৈশোরের অব্যাক্ত প্রেমের
অবসেশন হলিউড বক্স অফিস হিট কাহিনীর জন্ম দিতে পারে, কিন্তু বাস্তবে ঐ পথে না হাঁটাই উত্তম।

- অপ্রিয়

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাস্তব দিয়া কি হইবো ভাই? আজ মরলে কাল বাদে পরশু তিন দিন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ম্যালা পাবলিকে মজা পাইসে দ্যাখা যায়। তাই ধমক দিতে ইচ্ছা হইলেও অফ গেলাম। ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হুম, সব কুল রক্ষা হইলো। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍খুব মজা লাগলো।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই মজার মজার ইমোটিকনগুলো দেয়া যায় কেমনে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দ্রোহী এর ছবি

×××পুরা কোপানি×××


কি মাঝি? ডরাইলা?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

থ্যাংকু। আপনার খবর কি? বিজি টাইম কাটতেছে মনে হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মজা পাইলাম।

কিন্তু কাহিনী একটা স্যাড পার্ট আছে। কিভাবে আমাদের দেশের মেধাবী নারী মুখ গুলি হারাইত সেইটার বর্ণনা। এই ব্যাপারটা নাড়া দিল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লেখক এই ব্যাপারে পুরোপুরি ১মত। দুঃখের কথা মজা কইরা কইতে গিয়া দেখি সবাই দুঃখের দিকটা বেমালুম ভুইলা গ্যাছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জি.এম.তানিম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়ে হাসার ইমো টা দিব ভাবসিলাম...তারপর মনে হইল না থাউক ইয়ে, মানে...

বয়স তো নিজেরও কম হইল না!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ব্যাপার না। ছেলে মানুষের আবার বয়স কি!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জি.এম.তানিম এর ছবি

ছেলে মানুষ ঠিকাছে...মাগার ছেলেমানুষীর বয়স নাই মন খারাপ
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ঠিক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আপনার প্রেম মহত ছিল সন্দেহ নাই, বড় প্রেম কেবল দূরেই ঠেলে না, ঘুরানো পথেও কাছে টানে, খালি এক প্রজন্ম পিছিয়ে যেতে হয়।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই দিক দিয়া একটা লাভের সম্ভাবনা থেকে যায়। মায়ের সাথে প্রেম করে তার ১৮ বছর পরে মেয়েকে বিয়ে। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ঝরাপাতা এর ছবি

তাড়তাড়ি যোগাযোগ শুরু করেন, লেইট করলে দেরী হইয়া যাইবো কিন্তু। লেখা জব্বর হইছে।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হ, যোগাযোগ করা শুরু করি। কিন্তু ঝরু এত অনিয়মিত কেন?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

হেহেহেহে। ম্যালা মজা পাইছি দেঁতো হাসি

তা আঙ্কেলের বয়স জানতে পারি?

~ ফেরারী ফেরদৌস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।