ধর্মভিত্তিক পৃথিবী দখলের প্রাথমিক রূপরেখা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: সোম, ২৫/০৭/২০১১ - ১:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খাতামুন্নবুয়্যত জিনিসটাই যতো ভেজাল পাঁকাইছে, নাইলে আজ হিটলারের গোঁফ নিয়াও ক্যাচাল করন যাইতো। ছোটোবেলার এক বড়ো ভাই কইতো, মুহাম্মদের পরে কেউ নবী হওনের সিস্টেম থাকলে এডলফ হিটলারও নবী হইতো। লোকটা যে লাখ লাখ ইহুদিরে গ্যাস চেম্বারে দিছে, তার জন্যই সে মুসলমানের নবী হওনের যোগ্য। ছোটো বেলায় অল্প অল্প বুঝেছিলাম - হিটলার বড়ো ভালো লোকই হইবো; তয় একটু বড়ো হইয়া এক্কেরে অবুঝ হইয়া গেলাম, নবী-রাসূলের সংবিধানে ইহুদি নিধন জিনিসটা কত নম্বর অধ্যায়ের কত নম্বর ধারা ঠিক হদিস করন গেলো না। কোনো এক কুক্ষণে শয়তানের কোনো এক ধোঁকায় পড়িয়া ঈমান হালকা হইয়া গেলো।

হালকা ঈমান ভারী করনের মোটিভেশনও আর আসে না। ইসলামী ব্রাদারগণ চিল্লার দাওয়াত দেয়, গড়িমসি কইরা এড়াইয়া চুপেচাপে নামাজ কালাম পইড়া ঈমানের ঠ্যাক দেই। ব্লগে, সংলাপে, রাজনৈতিক দলের মিছিলে, রক্তগরম করা শ্লোগানে জিহাদের ডাক দেয়। হালার পুত ঈমান তারপরেও তালপাতার সেপাই-ই থাইকা যায়। আল্লাহ ইসলামী সংবিধানের কোন সুরার কতো নম্বর আয়াতে কইছে হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিনকে হত্যা করলে ঈমান শক্তপোক্ত হইবো, খুঁইজা পাই না। ৬৪ জেলায় বোমা মাইরা কত কোটি নেকী হাসিল হইবো, সেই হিসাবও সংবিধানে নাই। সংবিধান কইছে সিরাতুল মুস্তাকিম, ধর্মের ব্যাপারে জবরদস্তি নাই - হিন্দুর মাইয়া ধর্ষণ কইরা সাচ্চা মুসলিম জন্ম দেওনটা সিরাতুল মুস্তাকিমের উদাহরণ কিনা, এইডা নিয়াও বিভ্রান্ত হই; বিশেষ কইরা, পাকি ইসলামী ব্রাদাররা ওই কাম করনের পরে যে ঠ্যাঙ্গানিটা খাইছে, তাতে এই বাংলাস্তানে ওই এক্সামপলে সিরাতুল মুস্তাকিম কায়েম করন একটু রিস্কি কাম। সম্প্রতি লাদেন কাকু সমুদ্রের তলায় ঝিনুকের সন্ধানে যাওনের পরে জিহাদি জোশ আরো ভাটার দিকে।

তয় এই মন্দার কালে জিহাদি জোশ ফিরায়া আনতে নরওয়ের আনদর্শ ব্রেইভিক একটা আদর্শ হইতে পারে। লোকটা যদিও খ্রিস্টান, তারে কাতল করন গেলে হয়তো বেহেশতে দুইডা হুর বেশি পাওনও যাইবো, তয় সে লোক হিসেবে খারাপ না। কারণ, সে ইহুদি না এবং আম্রিকানও না। একটু মুসলিমবিদ্বেষ যদিও আছে, সেইডা থাকবারই পারে, ২০৮৩ তক ৩০ কোটি মুসলিম খুন করতে চাইছে, সেইডাও বড়ো কোনো ব্যাপার না, এই বাংলাস্তানের কতো মুসলমানের মুনাফিক পোলারে খুন কইরা সওয়াব কামান যাইবে বইলা তো আমাগো আমিনীরাই ফতোয়া দেয়। ফতোয়া দেওন অবশ্য একটা ভালা কাম। একবার কোনমতে মুফতির ছাট্টিফিকেট পাইলেই হইলো ফতোয়া দিয়া সংবিধান উড়াইয়া দেওন যায়, সেইডা বাংলাস্তানের সংবিধান হোক আর ইসলামের।

সংবিধানের কথা আলোচনায় আইলেই এই হারামখোর সরকারের আরামআয়েশে সংবিধান থিকা ঈমানের ল্যাঞ্জা কাইটা দেওনের কথা মনে অয়। একাত্তরের গণ্ডগোলে ধর্ম নিশ্চিতভাবেই একটা প্রধান বিষয় ছিলো, সাচ্চা মুসলমান প্রোজেক্ট লস খাইলেও যুদ্ধতো হইছিলো সেই আল্লাহর নাম নিয়াই। যুদ্ধের চেতনা থিকা আল্লাহর উপ্রে বিশ্বাস কাইটা দিলে এই বাংলাস্তানের পেত্যেক মুসলমানের ঈমানের ল্যাঞ্জা যে কাইটা যায়, এইডা আমাগো নেত্রী খালেদা বুঝলেও পাবলিক বুঝে না। এই হালায় অশিক্ষিত পাবলিকই এই বাংলাস্তানের যত আকামের শিঁকড়! - কথাগুলান শুনি, এয় কয়, সেয় কয়, ধার্মিকে কয়, নাস্তিকেও কয়। ‌তয় জিহাদি ঈমানের পারদে তেমন ইতরবিশেষ হয় না।

আমি বাপ-মায়ের একমাত্র পোলা। খাইয়া-পইরাও মাশাল্লাহ ভালো আছি। এই অবস্থায় বর্তমান মালটিধর্ম সিস্টেমের দেশের সংজ্ঞা বাঁইচা থাকলে জিহাদ ক্যামনে শান্তির দুনিয়া বানাইবো, সেই হিসাব করতে ‌গ্যালেই মাথা ঘুরায়। তার থিকা ধর্মের ভিত্তিতে দুনিয়াডারে ভাগ কইরা দিলে কেমন হয়? যেমন ধরেন পুরা ইউরোপে সব খ্রিস্টান থাকবো, আনদর্শ ব্রেইভিক হবে তাগো প্রাইমিনিস্টার। আমাগো ইরান-ইরাক-আফগান-পাক-বাংলাস্তান মিল্যা পুরাডা এক দেশ হইবো, প্রাইমিনিস্টার হইবো আহমেজিহাদ। মিডিলইস্টেও একটা বিরাট ইসলামী দেশ গঠন করন যাইবো। ইহুদিগো লাইগা থাকিবো শুধু ইজরায়েল। যারা যারা ওপেন দেশ আছে, তাগো দখলের লাইগা জিহাদ হইবো, জিহাদে যে যতো বোমা ফুটাইয়া লোকজন সাফা করতে পারবো, সে ততো অংশের দখল পাইবো।

একবার এমন ভাগবাটোয়ারা হইলে আর ক্যাচাল নাই। এই বাংলাস্তানও আবার সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা হইয়া যাইবো। হিন্দুগুলারে পিটাইয়া ইন্ডিয়ায় পাঠাইতে হইবো, বৌদ্ধগুলারে মায়ানমার, খ্রিস্টান সব এক কাপড়ে ইউরোপ আর নাস্তিকগুলান চায়না। অ্যাগো ফালায়া যাওয়া সম্পত্তি দ্যাশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবো। ইরানের রকেট আর পাকিস্তানের পরমাণু বোমার ভাগ আমরাও পাইবো, সৌদিতে কাজ ও কামের মাইয়া পাঠাইতে ভিসা লাগবো না, আদমব্যাপারীর ঠকবাজিও দূর হইবো। আমাগো ইসলামী নেতাগো জেল থিকা ছাড়াইতে আর আম্রিকান কনসালট্যান্ট লাগবো না, কোটি কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় হইবো।

এই সিস্টেম যে এক্কেরে পারফেক্ট, এমন দাবি করন যাইবো না। কারণ, জিহাদি ইসলামে আছে এই দুনিয়ায় মুসলমানরাই আল্লাহর প্রতিনিধি আর দুনিয়ার মালিক আল্লাহ। সুতরাং ইউরোপ-ইজরাইল খ্রিস্টান-ইহুদিগো দখলে থাকন কি আল্লাহর অবমাননা বিবেচিত হইবো কিনা, ফতোয়াবাজ দলগুলারে আগে সেই সমাধান নিয়া আগাইয়া আসতে হইবো। তয় বাংলাস্তানের ইসলামী পলটিশিয়ানরা নিশ্চই কোন উপায় খুঁইজা পাইবো। নারীনেতৃত্ব হারাম কইয়া খালেদা ম্যাডামের আঁচলের তলার দখল লওনাভিজ্ঞতা কামে লাগবো। এদিকে মঞ্জিলে মকসুদের দিকেও খিয়াল রাখতে হইবো। ঝোঁপ বুইঝা কোঁপ মারলেই কামিয়াবী হাসিল হইবো। ছোট্ট ইজরাইল ওয়ান-টুর ব্যাপার, গ্যাসচেম্বারে তাগো দুর্বলতা ওয়েল-ডকুমেন্টেড, তয় খ্রিস্টান ইউরোপ সামলাইতে একটু আক্কেল খাটাইতে হইবো। সেইডাও কোনো ব্যাপার হইবো না বইলাই মালুম হয়। সত্যের সেনানিরা নিবে নাকো বিশ্রাম!

আরেকটা সমস্যা হইবো, তয় সেইডা ইন্টারনাল প্রবলেম। খ্রিস্টান ইউরোপে বাইবেলের কোন ভার্শন চলবো, তা নিয়া ক্যাচাল হইতে পারে। তাগো ক্যাচাল তারা সামলাক, তারা ক্যাচাল করলেই আমগো সুবিধা। তয় আমাগো ইরান-ইরাক-আফগান-পাক-বাংলাস্তানেও ইসলামের কোন ভার্সন চলবো, তা নিয়া একটু মতবিরোধ দেখা যাইতে পারে। জিহাদি ইসলামে অবশ্য কোরআন নামের সংবিধানটারে আগেই ছুঁইড়া ফেইলা আপদ বিদায় করা হইছে; কিন্তুক এই জিহাদী শরীয়তেও ভাগের পরে ভাগ। শিয়া-সুন্নি ক্যাচাল আছে, মাজহাব নিয়া ভেজাল আছে, মুফতিগো সার্টিফিকেটেরও রকমফের আছে। পীরে-পীরে রেষারেষি আছে, নেতায়-নেতায় দোষাদোষি আছে, স্কলারে-স্কলারে ঠেসাঠেসি আছে।

এইগুলার সমাধান ক্যামনে হইবো, আমি নাদান, আমার ছোট্ট মাথায় কুলায় না। তয় নিশ্চিন্ত থাকন যায়, আমাগো ইসলামি স্কলাররা কোনো একটা ফতোয়া বাইর করবোই করবো। আমগো লাহান সাধারণ নির্বোধ জনগণের জন্য যেইডা এভারেস্ট জয়ের মতো ব্যাপার, সেইডা তাগো কাছে স্রেফ পান খাইয়া পিক ফেলনের মতোই ওয়ান-টু-থ্রি!


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমনে দেখি সবাত্তে বেশি বুজেন! খ্রিস্টানগো আবার দেশ কিয়ের। আল্লার দুইন্যা সব হুজুরের উসিলায় সাচ্চা মুসলমানেরা পাইবো!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পোস্টেও তা-ই বলা আছে। ওয়ান বাই ওয়ান। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কৌস্তুভ এর ছবি

উত্তম জাঝা!

guest_writer এর ছবি

হূম্ম, হুমম-, চালায়ে যান--- অণু

পুতুল এর ছবি

"ধর্মভিত্তিক পৃথিবী দখলের প্রাথমিক রূপরেখা"

বস,
পৃথিবীটা তো ধর্মভিত্তিক ভাবেই বিভক্ত হয়ে আছে। পরস্পরের জন্য দখল অসম্ভব বলেই সিরাতুল মোস্তাকিম চালু হইছে। বনিকরা অনেক সাধ্য-সাধনা কইরা এমন বানিজ্য-কৌশল আবিস্কারসে যে, দখল না কইরাও শোষণটা জারি রাখা যায়। সেই জন্যই শান্তি। তাওতো সব জায়গাতে চলছে না। বাঁধা পেলেই বাঁধে লড়াই। আর এই লড়াই জেতে কেবল শান্তির দূতেরা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পাল্টা কৌশলের বিকল্প নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দুর্দান্ত এর ছবি

সত্যের সেনানীরা নেবে নাকো বিশ্রাম। জিন্দাবাদ।

রাব্বানী1 এর ছবি

আম্রিকাকে কি নিজের নামে রাখলেন না আমার কাছে ছেড়ে দিলেন! আমার ধর্মের নাম 'সর্বশ্রেষ্ঠ'!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বিনাজিহাদে নাহি দেবো সূঁচাগ্র মেদিনী।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

----

ধুসর গোধূলি এর ছবি

একটা ছোট্ট সমস্যা তৈরী হইবো তখন অত্র অঞ্চলে। 'পজ্ হয়ে আছিলো' দাবী করে খাতামুন্নবুয়্যতের প্লে বাটনে টিবি দিয়ে জোকার নালায়েক, বুজনেওয়ালা বাজিগর আমিনী প্রমূখরা হাজির হয়ে যাবেন জাহেল, বেআলেম, আনপড়াহ্ মানব জাতিরে উদ্ধারের প্রকল্প বাস্তবায়নে। এবং এই সংক্রান্ত নিজেদের দরদাম নিয়ে দরপত্র বানিয়ে জমা দিবেন ক্বেবলাবাবা আহমাদনিজাদের এজলাসে। এই দরপত্র আবার নিয়ন্ত্রণ করবে আহমাদীচ্ছাত্রলীগ্দল।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখনো আসলে এই সিস্টেমই চলছে। জোকার নায়েক কি নবী-রাসূল থেকে কম কোনো সুবিধা পাচ্ছে? তত্ত্ব সরকারের পেছনের সামরিক সরকার যেমন নবী মুহাম্মদের নামে জোকার নায়েকরাও তেমন ক্ষমতাবান।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তারাপ কোয়াস এর ছবি

গুল্লি


love the life you live. live the life you love.

অর্ক রায় চৌধুরী এর ছবি

নারায়ে তকদির, আল্লাহু আকবর।
পৃথিমীটা আল্লার, বাকীরা মঙ্গল গ্রহে যাক।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নারায়ে তাকবীর

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফারুক হাসান এর ছবি

আগামী দুই হাজার বছর পর শেষমেষ অহন যেমুন আছে, দুনিয়াটা তেমুনি হৈবো। এইটা বিগত দুই হাজার বছর ধরে তৈরি একটা পরীক্ষিত সাম্যাবস্থা।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার ধারণা, দুনিয়া আরেকটু ভালো অবস্থায় যাবে। সমষ্টিগতভাবে মানুষ বুদ্ধিমান জীব। বিরাট কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। সেই মানোন্নয়নের জন্য শান্তির বিকল্প নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নারায়ে তাকবীর

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রতিতি এর ছবি

পড়ে বেশ ভাল লাগলো। ভাগবাটোয়ারা প্যারাটা বেশ ভাল হয়ছে।

র ব এর ছবি

আল্লাহু আকবর!

রব

রণদীপম বসু এর ছবি

খাইছে ! আমার ভাগে কিচ্ছু নাই !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ধর্মের স্টেরিওটাইপ ছাড়া ভাগ পাওয়া যাবে না। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মন্তব্যের জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তানিম এহসান এর ছবি

সত্যের সেনানীরা নিবে নাকো বিশ্রাম! সেইরকম জেহাদী জোশে লেখা হইছে!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হুম। দুনিয়াটা ভাগ হয়ে যাক কয়েকটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রে। ঈশ্বর, আল্লাহ, ভগবান সব নেমে আসুক। গন্ডায় গন্ডায় সালাদিন ও জন্ম নিক মায়েদের পেটে।

বোম্বে বোম্বিং এর কোন হদিশ হলো? ভারত বেশ চুপচাপ এবার।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অমিত এর ছবি

আমি চায়না যামুগা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই খবর অনুসারে- বিল পাসের আগে এসব বিষয়ে লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন মহাজোটের শরিক পাঁচজন সাংসদ।

মাত্র ৫ জন!

বেসরকারিভাবে কোনো পোল নেয়া হলেও হয়তো দেখা যাবে অল্প কয়েকজন মাত্র "বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল"-এর বিপরীতে কিছু বলছে। মন খারাপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কারণটা সহজেই অনুমেয়। হাসিনা সরকার বিরোধীদলের হাতে একটা ইস্যু কম দিচ্ছে। বিসমিল্লাহ রাখায় জামায়াত-বিএনপির প্রোপাগান্ডার বিপক্ষে একটা বুঝ দেয়া যাবে। তাছাড়া, সংবিধান সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য তত্ত্বসরকার থেকে অব্যাহতি, সংবিধানে ইসলাম থাকা, না থাকাকে আমলকি নিজেদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না। ওই ৫ জন অনেক বেশি সাহসের অধিকারী, পার্টিপ্রধানের বিপক্ষে মত দেয়া সহজ না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ওডিন এর ছবি

নাহ, দুনিয়াটাকে দখল করতে হলে নিজের একটা ধর্ম চালু করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকলো না।

যাই একটা ফেসবুক গ্রুপ দিয়েই শুরু করি। কি কি অফার করবো মামার ধর্মে? পরকালে আনলিমিটেড ডাউনলোডের সুবিধাসহ হাফ টেরা গতির ইন্টারনেট কানেকশন*? চিন্তিত

*শর্ত প্রযোজ্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ধর্মের নাম কি 'মামার ধর্ম'? গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ওডিন এর ছবি

ইশ, ওইটা স্লিপ অফ কিবোর্ড, ছিলো 'আমার' ধর্ম।

তবে ঠিক করছি নাম দিমু 'আনন্দম' । সবাই সারাক্ষন তুরিয় আনন্দতে থাকবে। দেঁতো হাসি

Shohel Rana এর ছবি

তাগুতি নেত্রি/নেতার বাচ্চাদের সেবাদাসী হিসাবে রাখতে পারবো কিনা? পারলে কয় পিস?
আর কোন লাইনে যোগ দিলে ভাগ বেশি পাওন যাইবো যদি একটু খোলসা করতেন।
সবচেয়ে ভাল হয় প্যাকেজ ডিক্লেয়ার করলে।
বাইচ্ছা লন, দেইখ্যা লন।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

গুল্লি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।