জিম্বাবুয়ের সাথে ৫ টেস্টের সিরিজ চান সাকিব

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: সোম, ০৮/০৮/২০১১ - ১:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"হ্যালো, সাকিব বলছেন?"

"স্লামালিকুম। আপনি কে ভাই?"

"আমাকে চিনবেন না। আমি অছ্যুৎ বলাই।"

"কি যে কন! আপনাকে না চেনার কি হলো উৎপাত ভাই! দেশের সবচেয়ে বড়ো ক্রীড়া সাংবাদিক আপনে, আর আপনেরে চিনুম না এইডা তো কবীরাহ গুনাহ হইবো রোজা-রমজানের মাস।"

ফোনের তেমন গণ্ডগোল নাই মনে হয়, আমি তো সাকিবের কণ্ঠ স্পষ্টই শুনছি। কিন্তু সে 'অছ্যুৎ বলাই'কে 'উৎপাত ভাই' শোনার কারণ কি ভাবতে লাগলাম। জিম্বাবুয়ের সাথে টেস্ট ম্যাচের ৪ দিন শেষে দলের পারফর্ম্যান্সে ক্যাপটেন সম্ভবত কিছুটা সাংবাদিক আতঙ্কে আছে। আর হলুদিয়ার উৎপাতের চাইতে বড়ো টেরর এই লাইনে কেউ নাই। অথবা হতে পারে তারা কোনো বিরানির দাওয়াত পেয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক লোকের কথা শোনা যাচ্ছে। হয়তোবা শপিংয়ে বেরিয়েছে দলবেঁধে। যাহোক একবার যখন আমাকে উৎপাত শুভ্র ভেবেছে এবং যথেষ্ট সমীহের সাথেই কথা বলছে, তখন ঝোঁপের কোঁপটা দিয়েই ফেলি, "আপনার একটা ছোট সাক্ষাৎকার নিতে চাই। একটু সময় হবে?"

"শিওর, শিওর!" এমন আগ্রহের সাথে সাকিব উত্তর দেয়, যেন সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে।

আমি: আচ্ছা, তাইলে শুরু করা যাক। প্রথমেই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, টেস্ট ম্যাচটা কি জিততে পারবেন?

সাকিব: কি সব আউল-ফাউল প্রশ্ন করেন ভাই। ম্যাচ জিতুম না ক্যান? অপোনেন্ট জিম্বাবুয়ে না? এইডা তো ওয়ান-টুর ব্যাপার। তামিম কইছে জার্ভিস, ভিটোরি সবগুলাই ওর্ডিনারি বোলার। আমরা খালি মারুম আর রান করুম।

আমি: কিন্তু প্রথম ইনিংসে তো ৩০০ই করতে পারলেন না!

সাকিব: রাখেন আপনার প্রথম ইনিংস। জিম্বাবুয়েকে ট্রাপে ফেলতে কম রান করেছিলাম। প্রথম ইনিংসে আমরা ৬০০ রান করলে কি ওরা ডিক্লেয়ার করতো? ম্যাচ তো হতো ড্র!

আমি: ভেরি ক্লেভার!

সাকিব: আর কই কি! এখন উইকেটে আছে আশরাফুল ভাই। উনি কইছেন, সাকিব ইউ থার্টি, আই থার্টি, ম্যাচ শেষে হইবো পার্টি!

আমি: কিন্তু এখনো তো অনেক রান দরকার, থার্টিতে তো কাম হইবো না।

সাকিব: আমারে কি থার্টির ব্যাটসম্যান মনে করেন ভাই? অ্যাশ ভাই থার্টি করলে আমি করুম সেঞ্চুরি।

আমি: কিন্তু যদি তা না পারেন? ক্রিকেট গোল বলের ব্যাপার, আউট হইলেই তো কাম শ্যাষ!

সাকিব: তা একটু রিস্ক তো আছেই। এজন্যই কইছিলাম জিম্বাবুয়ের সাথে ৫ টেস্টের সিরিজ চাই। ওডিআই তেও এদের সাথে প্রথম ম্যাচ আমরা ওয়ার্ম আপ হিসেবে হারি, পরে ৪-১ এ সিরিজ জিতি।

আমি: তাই তো! মাত্র একটাই ম্যাচ। বাড়ানোর কোনো উপায় ছিলো না?

সাকিব: ইন্ডিয়ার কারণেই হলো না। তারা খেলবে ৭ ম্যাচের সিরিজ, আর আমরা মাত্র একম্যাচ! আপনেই কন, আমরা কি ভাইসা আইছি?

আমি: (কোথায় ভেসে যাওয়ার কথা বলে বুঝতে পারি না, আমতা আমতা করি) তা ঠিক, তা ঠিক।

সাকিব: ইন্ডিয়া দেখবেন, এবার বুঝবে মজা। জহির খান আউট, ইংল্যান্ডের সাথে বাংলাওয়াশ হবে! অ্যাশ ভাই কইছে, ইন্ডিয়ার টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়া উচিত!

আমি: আচ্ছা, অ্যাশের কথায় পরে আসুম। তামিমের কথা একটু বলেন। ওর্ডিনারি বোলারদের বলে এভাবে ২বার আউট হওয়ার পরে সে নিশ্চয়ই খুব মনের কষ্টে আছে?

সাকিব: ধুরু মিয়া, আপনের কোনো ধারণাই নাই। তামিম পুরা ফুরফুরা আছে। ওর্ডিনারি বোলারগো ধোলাই দিয়া ৪০ রানের পরে যে বলে বোল্ড হইলো ওইটা নাকি এক্সট্রা-ওর্ডিনারি, মানে ওর্ডিনারির চেয়েও বেশি ওর্ডিনারি বল ছিলো, বোলারের মুখের দিকে তাকাইয়া সে পিটায় নাই, হাসতে হাসতে বোলড হইয়া ফেরত আইছে।

আমি: তাই কন! কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্যার আ্যাশ আউট হইতো বাউন্ডারি বল মারতে গিয়া আর কিংবদন্তি-ইন-দ্য-পাইপলাইন স্যার-ইন-মেকিং তামিম ইকবাল খান আউট হচ্ছেন অতি-ওর্ডিনারি বল ছাড়তে গিয়া!

সাকিব: হে হে, এবার ঠিক ধরছেন। তামিম কইছে, জিম্বাবুয়েরে টেস্ট স্ট্যাটাস ফেরত দিয়া আমাগো লস হইছে। এইসব ওর্ডিনারি পেলেয়ারের বিপক্ষে খেইলা তার কোয়ালিটি নষ্ট হইয়া যাইবো, কাউন্টিতে গিয়া ফর্ম পাইবো না।

আমি: তা ঠিক, তা ঠিক। বিপক্ষে যদি আবার আপনার মতো বন্ধুবৎসল ফিলডার না থাকে, তাইলে তো প্রবলেম আরো হইবো। আচ্ছা, একটা কথা কন? যখন টেইলর আর তাইবু আপনাদেরকে ধোলাই দিচ্ছিলো, তখন দুইদিক থিকাই আপনেরা দুই স্লো লেফট আর্ম বোলার বল করতেছিলেন, কোনো পেসার নাই, স্যার আশরাফুল নাই, ঘটনা কি?

সাকিব: ঘটনা বুঝলেন না? অগোরে তাড়াতাড়ি ৪০০ রানের লিড দিতে চাইছিলাম, যাতে ডিক্লেয়ার করে, আমরা ৫০ ওভারের মতো হাতে পাইলে ৪ দিনেই টেস্ট শেষ করতে পারতাম, একটা দিন ফ্রি পাইতাম। কিন্তু তাইবু-টেইলররা চিকেন, লেগের বাইরের বলেও বাউন্ডারি মারতে পারে নাই তেমন। তামিম বারবার খোঁচাচ্ছিলো বল করার জন্য। একদিন ছুটি পেলে সে মালয়েশিয়ার ট্রিপটা একদিন আগেই মারতে পারে। তার ধারণা আমি আর রাজ ভাই রান দিতে কিপটামি করতেছিলাম। আপনিই বলেন আমরা কি চেষ্টার কার্পণ্য করেছি? এমনকি ইমরুল কায়েসকেও বল দিয়েছি। তাইবু-টেইলর চিকেন হইলে কি আমারে দোষ দেওন যাইবো?

আমি: অবশ্যই না। তাগো আরো মাইরা খেলা উচিত ছিলো। মনে হয় লোপ্পা বল পাইয়া একটু কনফিউজড হইয়া গেছিলো। আচ্ছা, ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে সাকুল্যে ১২ বল করা কায়েসকে বল করতে দিলেন, রহস্য কি?

সাকিব: রহস্য কিছু না ভাই। এক তো জিম্বাবুয়েকে রান দিতে চাইছিলাম। তাছাড়া ট্যুরের আগে কায়েস কইছিলো, সে টেস্ট বোলার হিসেবে দলে আসতে চায়। বিশেষ করে, ওয়ান ডে রান দিয়ে টেস্ট দলে টিকে থাকলেও তার ব্যাটিং অ্যাভারেজ অ্যাশ ভাইয়ের চেয়েও জঘন্য হওয়ায় দলে ব্যাটসম্যান হিসেবে কতোদিন চান্স পাবে, দুশ্চিন্তায় আছে। তাই ব্যাকআপ রোল হিসেবে বোলিং! আমি ক্যাপ্টেন মানুষ, দলের সবার ভালোমন্দ দেখতে হয়!

আমি: তা ঠিক, তা ঠিক। আপনাগো ম্যাচ স্ট্রাটেজিটা একটু বুঝায়া বলেন তো। ৪ সেশনে পৌনে চারশ' রান তাড়া করতে অন্য দলগুলো চায় উইকেট না খোয়াতে। ইনিংস ডেভেলাপ করার পরে পরিস্থিতি ফেবার করলে জয়ের জন্য পুশ, ফেবার না করলে ড্র। অন্যদিকে আপনারা মনে হয় টিটুয়েন্টি মুডে ব্যাট করছেন। কাহিনী কি?

সাকিব: জিম্বাবুয়েকে ঘাবড়ে দিয়েছি ভাই। তাছাড়া তামিম চাইছিলো ৪দিনে ম্যাচ শেষ করে শেষ দিনটা ফ্রি রাখতে। ম্যাচ শেষ না হলেও শেষদিনে সে ফ্রি। আমরা প্রত্যেকেই তামিমের মতো পিটাবো, যতো তাড়াতাড়ি ফ্রি হওয়া যায়, সেই চেষ্টাই থাকবে।

আমি: কোচও কি একই স্ট্রাটেজিতে চলছেন?

সাকিব: ধুরু মিয়া! কোচ তো নতুন লোক। সে প্রথমেই আমার সাথে ঘাপলা করার চেষ্টায় আছিলো। তারে বুঝাইয়া দিমু, কে নেতা আর কে চাকর! তামিম কইছে, সে আরো পিটাইয়া খেলবে, আমিও মারমুখী হমু। অমন কতো কোচ দেখলাম! সিডন্স স্যার কইছে, আমরা দুইজনই অস্ট্রেলিয়ায় খেলার যোগ্য। ওপেনিংয়ে হেডেন আর ৬ নম্বরে গিলির কোনো বিকল্প ওরা এখনো পায় নাই। তামিম আর আমি দুইজনই দুই বাহাতিকে রিপ্লেস করতে পারবো।

আমি: (ওরে খাইছে!) আপনারা অস্ট্রেলিয়া নিয়া এতো ভাবেন, জেমস সাদারল্যান্ড কি জানেন?

সাকিব: কি জানি! সিডন্স স্যার হয়তো তার সাথে যোগাযোগ করবেন। তবে তামিম বেশি উৎসাহী না। তার কথা, বাংলাদেশ বাদ দিয়া অন্য দলে যদি খেলতেই হয়, তাইলে ইসলামী ব্রাদার হিসেবে পাকিস্তানের দুর্দিনেই আমাদের আগে এগিয়ে আসা উচিত। হাফিজ্যার লগে তার ওপেনিং জুটি কেমন হইবো, এইটা সে প্রায়ই গল্প করে।

আমি: তাই তো, তাই তো। ভুলেই গেছিলাম। বিশ্বকাপের আগে তো সে পাকিহুজুরের কাছ থিকা ব্যাটে ফুঁ দিয়া আনছিলো। ফুঁর মাজেজাও হাতে-কলমে দেখা গেছে। শফিউল ছেলেটা ব্যাটিং-বোলিং কইরা ম্যাচ জিতাইলো; কিন্তু ৪০ রান কইরা উইকেট থ্রোর পরেও ফুঁয়ের কারিশমায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ তামিম ইকবাল!

সাকিব: তামিম আশা করতেছে এই টেস্টেও সে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হবে। ফোরটি রান করেছে, তাছাড়া জিম্বু বোলারদের ওর্ডিনারি ট্যাগ দিয়া আমাগো প্রত্যেকরে যে কনফিডেন্স দিছে, তাতেই তার ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়া উচিত।

আমি: কিন্তু রান তো করতেছেন আপনি আর স্যার অ্যাশ!

সাকিব: আশু ভাইয়ের কথা বললেন! হে হে, তিনি তো ঈদ ম্যান। এক ইনিংস রান করছে, আর কবে .... খাড়ান, খাড়ান, একটা এসেমেস আইছে, দেইখা লই।

আমি: কার এসএমএস?

সাকিব: জেমি স্যারের। লিখছেন, তামিমের ব্যাটিংয়ে উনি খুব খুশি হইছেন। আমিও যেন এমনি ওর্ডিনারি বোলারদের উড়াইয়া দেই! আচ্ছা, কি যেন কইতেছিলাম?

আমি: স্যার অ্যাশের ব্যাপারটা!

সাকিব: ও হ্যাঁ। অ্যাশ ভাই এক ইনিংস রান করেছে, এই বছরে মাশাল্লাহ উনার ঈদের কোটা শেষ। উনার সাথে আমারে তুলনা করলেন!

আমি: কিন্তু ওই ইনিংসের পর আলুতে তো তারে আবার ক্যাপ্টেন বানানোর জন্য কলাম লেখা হচ্ছে, বড়ো আশা নাকি সেই আশরাফুল

সাকিব: আপনি মিয়া লোক ভালো না। আপনার স্বভাব এখনও পালটায় নাই। বল করি আমি, রান করি আমি। আর আপনেরা হিরো বানান আশুকে! ডিনারের টাইম হইছে ভাই, ফোন রাখতেছি!

আমাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সাকিব লাইন কেটে দিলো। এই ক্যাপ্টেন্সি প্রসঙ্গ তোলা উচিত হয় নাই। আমি যে তার আলুর উৎপাত ভাই না, সচলের অছ্যুৎ বলাই এই ভুলটা ভাঙ্গানোরও চান্স পেলাম না।


মন্তব্য

তার-ছেড়া-কাউয়া এর ছবি

থার্টি মাইরা পার্টি করার বিষয়টায় ব্যাপক বিনোদিত হইলাম দেঁতো হাসি

সাফি এর ছবি

বড় ভাই নাফিস ও এ্যাশলে জাইল্স কে অর্ডিনারি বলে এক সময়ে বেশ আলোড়ন তুলেছিল, তামিম সেই শিক্ষাই পেল কি না! তবে তামিম্কে প্রো পাকি বিশেষায়িত করার মাজেজা বুঝলামনা, শিয়ালকোট থেকে ব্যাট কিনেছিলো বলে?

আশরাফুলকে এই সিরিজে সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলাম না। তবে রান পেয়েছে যেহেতু প্রথম ইনিংসে, আগের মতন হারিয়ে না যেয়ে  ধারাবাহিক হোক বারবারের মতন আবারও সেই কামনা করি।

সম্পাদনা-এই মাত্র অর্ডিনারি এক ভেটরি আশার ফুল ফুটিয়ে দিলো।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তবে তামিম্কে প্রো পাকি বিশেষায়িত করার মাজেজা বুঝলামনা, শিয়ালকোট থেকে ব্যাট কিনেছিলো বলে?

বিশ্বকাপের আগে ৪ দিনের পাকিস্তান সফরে নিজে গিয়ে ব্যাট কেনা আর পীরের দোয়ার চেয়ে বড়ো জিনিস হলো পাকিসুলভ অ্যাটিটিউড। পাকিদের অধিকাংশের মতোই তামিমও দলের জন্য খেলে না। নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই, দলের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে রেসপেক্ট নাই (উদাহরণ, রানআউট) এবং নিজের খেলোয়াড়ী যোগ্যতা সম্পর্কে আকাশ-সমান ধারণা, যদিও তার বাস্তবায়ন খুব কম হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাফি এর ছবি

নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই, দলের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে রেসপেক্ট নাই (উদাহরণ, রানআউট) এবং নিজের খেলোয়াড়ী যোগ্যতা সম্পর্কে আকাশ-সমান ধারণা, যদিও তার বাস্তবায়ন খুব কম হয়।

সহমত।

দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামার আগে গেম প্ল্যান বিষয়ক কী আলোচনা কোচের সাথে করেছিলো জানিনা, কিন্তু সাধারণ বুদ্ধিতে মনে হয় " ধর তক্তা মার পেরেক" খেলার অবস্থা তখন ছিলোনা। তামিমের বক্তব্যের কারণে তার নিজের স্বার্থেই বোর্ডের তাকে ডিসিপ্লিন করা দরকার।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই লেখায় ফান থাকলেও তামিমের অ্যাপ্রোচ দেখে যে আশঙ্কা করেছিলাম, সেটাই হয়েছে। কোনো সেন্সিবল কোচই ৪ সেশনে ৩৭৫ চেজ করতে বিকেলে মেরে খেলার প্ল্যান করবে না। তামিম কোচের নির্দেশ শোনে নাই। ডেইলি স্টারে ইসামের লেখায় আরো জানা যাবে জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ম্যাচশেষে তামিমকে কিভাবে ব্যাম্বুপ্রদান করেছেন। ইসামের লেখা অনেক সময় দুর্বল; কিন্তু ফ্যাক্ট বিকৃত করে না। একটা দলের দুয়েকজনকে এভাবে রাজত্ব দিলে দল আর দল থাকে না।

One could easily gauge the mood of Stuart Law yesterday; the look in his eyes, though he was wearing sunglasses, was one of frustration. As well as being upset by the worst possible start to his coaching tenure in terms of result, Law was as frustrated by the happenings behind the scenes in the dressing room.

It was learned that vice-captain Tamim Iqbal argued a point Law had made during a discussion that was held right after the 130-run defeat to Zimbabwe.

“There's a lot of talk going on. It's time to stop talking and put them into action,” said the new Tigers coach here yesterday afternoon.

The Tigers, requiring 263 with seven wickets in hand at the start of the final day, showed a stark lack of purpose in even bringing together a few partnerships but even though these were topics of discussion on the eve of the fifth and final day, nothing came to fruition.

“Everything was discussed but if you can't back the talk with actions, you look stupid,” said Law.

Although he did not elaborate further on the goings on behind the scenes, it was learnt that the coach had a heated exchange with his opening batsman Tamim Iqbal after the match where Law held Tamim responsible for not translating his words into action in the match. It was also learnt that Tamim's response to rebuke the allegation.

His backing of Shakib Al Hasan and Mohammad Ashraful after the third day was commendable. He was seen during the Zimbabwe tour as someone who observes the players closely and then make changes if necessary. But Law meant business on Monday.

For a man who only arrived three weeks ago, his irritation isn't wide of the mark. As a proud cricketer with more career runs under his belt than the whole of the Tigers together, being a witness to the manner of collapse and the lack of application in both innings of the Test match was clearly frustrating.

While the first innings performance could be put down to a lack of preparedness, given the Tigers were handed a minefield to contend with in the practice game. But the second innings performance certainly stood out both on and off the field, for all the wrong reasons.

After Tamim Iqbal got out on Sunday evening, his comments on the Zimbabwe bowlers Kyle Jarvis and Brian Vitori, who took ten wickets in the game in all, were audacious to say the least, but it was inspirational enough for the home side.

When asked to give his views on Tamim's jibe, captain Brendan Taylor said: “I think his performance was pretty ordinary too, because he's a quality player and his team were looking for him to get a big total. He got out pretty carelessly.”

“Let your performances do the talking and don't concentrate too much with your mouth. We always get negative comments from the Bangladesh side and that inspires us. I think he can have a good look at himself,” said Taylor.

More tellingly, Taylor believed that the difference between the two sides, despite their wavering paths to this game, was the desire.

“We prepared the best we could possibly prepare,” he said. “The way we went about our business, I think we wanted it a bit more than the Bangladeshis, though it is easier saying that at home.”

The man who made an unbeaten century in the second innings to set up the challenging chase, said that it was an overwhelming moment. “I'm overwhelmed and very humbled with the result. We prepared very well, Zimbabwe Cricket invested in us, were patient with us and encouraged us. To repay that favour, I'm just very pleased at the moment,” he said.

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাফি এর ছবি

খেলোয়াড় হিসেবে টেইলরের ম্যাচিউরিটির প্রমাণ ব্যাটিং-এ দেখেছি, এখন অধিনায়ক হিসেবেও দেখলাম। মানসিকতা না বদলালে আর ঘরোয়া খেলার কাঠামোর উন্নতি না করলে সামনে আরো এমবেরেসমেন্ট অপেক্ষা করছে।
মন খারাপ

আবির আনোয়ার এর ছবি

কয়েকদিন আগে আলু পেপারে এক ভক্ত তামিমরে প্রশ্ন করলো ভারত পাকিস্তানের খেলায় সে কোন দলরে সমর্থন করে, তার উত্তর ছিলো পাকিস্তান।

মন মাঝি এর ছবি

হা হা... দারুন হয়েছে লেখা !

****************************************

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কেন যে গাধার মতো এখনো খেলাটা দেখতেছি তা নিজেই জানি না...
মেজাজ পুরা বিলা...
আধাঘন্টার মধ্যে আর ৩ উইকেট পরে যাবে আশা করি, তখন একটু কাজে মন দিতে পারবে...
হারবেই যখন অতো দেরি করে হারার দরকার কী?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফি এর ছবি

আব্দুর রাজ্জাক একটু বিনোদন দিলো আপনারে

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

আলুর উৎপাত হইলে কি এই চ্রম বায়বীয় সাক্ষাৎকার নিতে পারতেন.... দেঁতো হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উৎপাতে বায়বীয় না, পুরা প্লাজমা সাক্ষাৎকার নেয়। খাইছে

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ওদের তো সমস্যা নাই। মানসম্মান যায় আমাদের।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তারেক অণু এর ছবি

মোটেই না ! কোনদিনই না !

দ্রোহী এর ছবি

এইরাম করেন কেন বলাইদা? ওরা সবাই "বিগ ম্যাচের প্লেয়ার"। এইসব 'ছুডুখাডু' দলের বিরুদ্ধে জিতে কোন লাভ আছে?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ওদের তো সমস্যা নাই। মানসম্মান যায় আমাদের।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

হ ইরাম করেন ক্যান? মাইত্র তো ১৩০ রানে হারছে, ইনিংসে তো আর হারে নাই; কত উন্নতি দেক্তেছি!!!!

অটঃ যত হতাশই করুক তবু এদের নিয়ে আশায় বুক বাধি, খেলা দেখি.............আর শেষে মন খালি বিষণ্ন হয়ে পড়ে............... মন খারাপ মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

টু-দ্য-পয়েন্ট জবাবদিহিতা দরকার, হুদা উন্নতির গ্রাফে কাজ হবে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

টু-দ্য-পয়েন্ট জবাবদিহিতা দরকার, হুদা উন্নতির গ্রাফে কাজ হবে না। চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সকালে পোস্ট দিয়েই হাওয়া হয়েছিলাম। এখন নেটে ফিরে দেখলাম এর মধ্যেই খেলা শেষ। পোস্টে হতাশা ছিলো; কিন্তু এতোটা কম সময় নিবে হারতে ভাবতে পারি নাই। ক্ষীণ আশা ছিলো একটু কমনসেন্স কাজ করলে এখনো হার এড়ানো সম্ভব। মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অর্ফিয়াস এর ছবি

কয়দিন আগে প্রেস কনফারেন্স এ বলছে ইন্ডিয়ার টেস্ট স্টাটাস নিয়ে তার নাকি মনে প্রশ্ন জাগে... বাংলাদেশের টেস্ট স্টাটাস নিয়ে প্রশ্ন করার আগে নাকি এদের নিয়ে করা উচিত, এখন যদি এই খেলা দেখায় তাহলে তো আবার সেই পুরানো কথাই বলতে হয়, "বাশের চেয়ে কঞ্চি বড়"..

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভারতের টেস্ট স্ট্যাটাসের নিয়ে প্রশ্ন তোলার খবরটা অনেকেই ছড়াচ্ছেন দেখলাম। ওটা কিন্তু নেহাতই একটা বাজে খবর, লাল কালিতে লেখা আছেন দেখুন- সংবাদটা মজার উদ্দেশ্যে করা।

যা পড়বেন, সবই বিশ্বাস করবেন না। হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হ, ওটা ফান নিউজ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সহমত।

বিশেষ করে, এই টেস্টের আগে প্রস্তুতি নিতেও গাফিলতি লক্ষ্য করা গেছে। নিজেদের ফেভারিট ভেবে আত্মতুষ্টি, সাথে অকারণ মুখের বড়াই। ...

নিজেদের সীমা না বুঝে কথা বলা মূর্খের লক্ষণ। তারা একটা উদীয়মান ওয়ানডে দল, কিন্তু টেস্ট আলাদা পর্যায়ের ক্রিকেট।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ছ'বছর টেস্ট না খেলে জিম্বাবে'র জন্য বেশ ভালোই হয়েছে, টেস্ট খেলা শিখে তারপর ওরা খেলতে এসেছে। বাংলাদেশের আইসিসি-র মন্তব্য বা নিষেধাজ্ঞার অপেক্ষা না করে নিজে থেকেই কয়েক বছর টেস্ট খেলা থেকে দূরে থাকা উচিৎ। এর মধ্যে যদি দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার লম্বা ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি হয়ে যায়, সেই সঙ্গে খেলোয়াড়দের মানসিকতা, তাহলে ৪-৫ বছর পর আবার টেস্ট খেলায় ফিরে আসার কথা ভাবা যেতে পারে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাংলাদেশের আইসিসি-র মন্তব্য বা নিষেধাজ্ঞার অপেক্ষা না করে নিজে থেকেই কয়েক বছর টেস্ট খেলা থেকে দূরে থাকা উচিৎ।

টেস্ট স্ট্যাটাস একবার গেলে তা ফিরে পাওয়া কঠিন। জেমি সিডন্স সাড়ে ৩ বছরে বাংলাদেশ দলকে আর 'দল' রাখে নাই, সাকিব-তামিম বানিয়ে দিয়ে গেছে। ল যদি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে, তাইলে বড়ো দলগুলোর সাথে ফাইট দেয়ার মতো খেলোয়াড়সমৃদ্ধ 'দল' বানাতে পারবে। দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ধংসে সাবেক হেডকোচের দায়ও আছে। ১৫/১৬ জনকে দেশের সেরা খেলোয়াড় ট্যাগ করে তারপর 'এর বাইরে আর কোনো খেলোয়াড় নেই' বলে জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় তৈরির প্রক্রিয়া একরকম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। জাতীয় দলের হেডকোচ চাইলে বিসিবির কাছে সুপারিশ করতে পারে দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত করার, যাতে জাতীয় দলে ঢুকতে প্রতিযোগিতা বাড়ে, ধারাবাহিকভাবে উইকেট থ্রো করার পরেও কেউ যাতে নিজেকে শাহেনশাহ (সচল সিমন না) ভাবতে না পারে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

স্বপ্নহারা এর ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন...এক নম্বর হওয়ার জন্য... হাততালি লিশ্চিত থাকেন কিছুদিনের মধ্যে আমরা লিস্টের উপরে উঠে যাব!

ফেসবুকে একবার বাংলাদেশ ২০১৫ ওয়ার্ল্ড কাপ জেতার জন্য ১২টা দরকারি জিনিসের কথা কইছিলাম। এইখানে লিস্টটা দেইঃ

১। একটা ফেইক ল্যাংড়া ফার্মগেটের ভিখারী (কিভাবে ক্রাচ নিয়ে ক্রিজে ৭ ঘন্টা দাঁড়াইয়া থাকতে হয় শেখানোর জন্য)

২। একটা বড় প্রেসার কুকার (আমগো প্লেয়াররা চাপ নিতে পারে না..রেগুলার সবাইরে একসাথে সিদ্ধ করা হবে)

৩। একটা পাগলের ডাক্তার (প্রেসারে মাথা যাতে ঠিক থাকে, নিজেরে যাতে "বড় ম্যাচে ভাল খেলি" টাইপ না ভাবে)

৪। একটা চোখের ডাক্তার (একটু আন্ধা করে দিতে হবে যাতে বিপক্ষ বাউন্সার দিতাছে ওইটা না বুঝে বা বোলাররা কার বিরুদ্ধে বল করতেছে তা না দেখে!)

৫। একটা চুম্বকযুক্ত গ্লাভস (মুশফিকের জন্য, তবে চুম্বকটা বলের উপর কাজ করতে হবে, লোহার উপর না)

৬। একটা খো খো খেলার কোচ (রান উড়াইয়া মারার সাথে যে দৌড়াইয়াও নেয়া যায় ওইটা শেখানোর জন্য)

৭। একটা অঙ্কের শিক্ষক (ওয়ান্ডেতে ৪০ বলে ২ রান করার পর মোটমাট ৬০ বলে ১০০ করার সম্ভাবনা যে থিওরিটিক্যালি-ই শূণ্যের কাছে ওইটা শেখানোর জন্য)

৮। একটা শক্তিশালী "সাংবাদিক -প্রাক্তন রিফ্লেক্টর শিল্ড" (সব প্রাক্তন কাবিল আর আলু-কালু-মালু-ভালু সব টাইপের সাংবাদিকদের কেউ গদাম দিলে অটোমেটিক ১০০ গুণ বড় পালটা গদাম দেয়ার জন্য)

৯। আরিচাঘাটের একটা মারাত্মক পাকা রাঁধুনি (সব প্লেয়ারের প্রিয় খাবার সামনে রেখে ৩-৪ ঘন্টা খালি পেটে "এই ভাত আইলো" কইয়া বসাইয়া রাখানোর জন্য, এইটা খেলার মত বলের জন্য অপেক্ষা করতে শেখাবে, যতই লোভনীয় বল আসুক ঠিক সময় না আসা i.e., ভাত না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা সহজ হয়ে যাবে)

১০। দড়ির বান্ডিল (হাত বাইন্ধা রাখার জন্য, আউট সুইং বল যাতে পিটানোর জন্য রিচ করতে না পারে)

১১। একটা সুপার গ্লু বা মোটা স্কচটেপ। সব প্লেয়ার বিশেষতঃ সাকিব-আশ্রাফুল-তামিমের জন্য খুব দরকার!

১২। পুনম আপার মত একজন মহীয়সী রমণী! (লারিসা'র মত হইলে বেশি ভাল)

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পুরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিয়া হাসি
তবে মারাত্মক শিক্ষণীয় কমেন্ট। এটা একটা পোস্ট হওয়ার যোগ্য।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফাহিম হাসান এর ছবি

এইরকম কড়া মন্তব্যের জন্য স্বপ্নহারা ভাইকে গুরু গুরু

আয়নামতি1 এর ছবি

নজরুল ভাই এত করে বললেন বলেই না খেলা তাড়াতাড়ি শেষ করতে হলো! খাইছে

guest_writer এর ছবি

লেখাটা পড়ে বিনোদিত হলাম। অনেক হতাশার মাঝেও একটু বিনোদন। নজরুল সাহেবের আক্ষেপ খেলাটা কেন দেখছেন। ভাই যতদোষই থাকুক দেশপ্রেম এর তো কমতি নেই। দেশের খেলা তাই আমরা সবাই দেখছি এবং অসম্ভব কিছু ঘটে যাওয়ার অসম্ভব প্রত্যাশা করছি। সময়মত লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্য লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা

সজল এর ছবি

আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের যে মান আর যে পরিমাণ মনোযোগ পায় বোর্ডের কাছ থেকে, তাতে এমনটাই হবে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

খেলাটা ফলো করতেছিলাম, বাংলাদেশ সেকেন্ড ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় জিততে পারবে, এমন আশা করি নাই আগের ইনিংসের কারণে। তবে এইটা অবশ্যই আশা করছিলাম, আগের ইনিংসের সীমাবদ্ধতাগুলো হয়তো বুঝতে পারবে আর এই ম্যাচটা ড্র করতে পারবে! আমার মতো আশা হয়তো অনেকেই করেছিলেন, কিন্তু এরা তো 'অর্ডিনারি' আম-জনতার কথা গণনায় ধরেন না!

তামিম ইকবাল বড় হলে অনেক বড় রাজনৈতিক নেতা হতে পারবেন। এমনিতে না পারুম, হাতে তালি মেরে নিয়মিত হাতি-ঘোড়া-বাঘ-ভাল্লুক মেরে ফেলতে পারছেন বেশ। বিশ্বকাপের শুরু থেকে তো বটেই, কয়েক ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেও এবং যথারীতি ডাব্বা মারার পরেও টুর্নামেন্টে 'সর্বোচ্চ রান' করার হুঙ্কার তিনিই কেবল দিতে পেরেছেন!

আর উটপোঁদ শুভ্র ইজ ব্যাক, এগেইন। "উইকেট ফেলতে না পেরে এমনকি ইমরুল কায়েসকে দিয়েও এক ওভার করিয়েছেন সাকিব। আশরাফুলকে দিয়ে কেন একবার চেষ্টা করলেন না, সেটি অবশ্য রহস্যই থেকে গেল।"— আশু বন্দনা করে এবার পোঁদে পটপট খই না ফুটিয়ে তিনি ছাড়বেন না এনশাল্লা। ক্রিকেটার হিসেবে আশু আর রিপোর্টার হিসেবে উটপোঁদ- এই দুজনেরই যে অবসরের সময় হয়েছে, এটা বোধ'য় ভরা বাজারে চপ্পল খেয়েও তাঁরা বুঝতে পারেন না।

তারেক অণু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি ব্যপক পরিমাণে নির্মল আনন্দ পেলাম ! আবার লিখবেন কবে?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সেকেন্ড ওডিআই

নাসিরের খেলা দেখে বুঝা যায়, "এই ১৫ জনের বাইরে আর কোনো খেলোয়াড় নাই" জেমি সিডন্সের এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর আগে ক্যাপিটান স্যার আশরাফুল যখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা হেরে বিমর্ষ মুখে বসেছিলেন, তখন রুমান সেই ম্যাচ জিতে প্রমাণ করেছিলো স্যার সিডন্স ভুল। সেটা কেউ আমলে নেয় নাই। ম্যাচের পর ম্যাচ উইকেট থ্রো করা বালছাল খেলোয়াড় দিয়া বিশ্বকাপ খেলাইতে হইছে।

ডেব্যু ম্যাচে নাসির প্রথম থেকেই সাবলীলভাবে খেলেছে। নিয়মিত সিংগেলস নিয়েছে, মারার বলে মেরেছে, এবং গ্যাপে মেরেছে, স্যার আশরাফুলদের মতো বিপক্ষ দলের ফিলডারদের ক্যাচিং প্র্যাকৎিস করায় নাই। এখন ফিফটির পরে খেলেতেছে এবং সো ফার 'ফিফটি মানেই আমি হিরু' অ্যাটিটিউড দেখায় নাই।

পারফর্ম্যান্স বিচারে বাংলাদেশ দলে সাকিব ছাড়া কারো পজিশনই নিরাপদ থাকা উচিত না। এই বাঁদরগুলা সিডন্সের কাছ থিকা 'আর কেউ ভালো নাই' সার্টিফিকেট পাইয়া বাংলাদেশ দলকে পুরা বাঁশের উপ্রে রাখছে। অন্যদিকে দোষ দেয়া হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের ওপর। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান অবশ্যই উন্নত করতে হবে। কিন্তু সেই মানোন্নয়নের জন্য জাতীয় দল থেকেও ডিমান্ড ক্রিয়েট করতে হবে। জাতীয় দলের পারফর্ম্যান্স থেকে দেখা যায়, আরো ভালো খেলোয়াড়ের ডিমান্ড আছে; কিন্তু সেই ডিমান্ডটা স্বীকার করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় ঘরোয়া ক্রিকেট উন্নত হবে কিভাবে? খেলোয়াড়দেরকে যদি বলে দেয়া হয় জাতীয় দলের এই ১৫ জন সোনার ছেলেকেই ২০১৫ পর্যন্ত খেলিয়ে যেতে হবে, তাইলে ঘরোয়া ক্রিকেটের একটা তরুণ কি বাল-ফেলানির মোটিভেশন নিয়ে পারফর্ম করবে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মৃত্যুময়-ঈষৎ এর ছবি

বলাইদা, কিন্তু সমস্যা হল নাসির ঐ ১১ জনের সাথে থাকলে দুই মাসেই ওনাদের মতো হয়ে যাবে। ঐ ১১ জনরে বাইর করে দিয়ে নতুন একাদশ করা ছাড়া আমি কোন পথ দেখতেছি না!!! পুরাই জগদ্দল পাথর একেকটা!!!!

নাসির আসলেই ভালো খেলছে!!!

তানিম এহসান এর ছবি

গত বিশ্বকাপ চলার সময় একবার ঢাকা থেকে যশোর যাওয়ার সময় এদের সবাইকে দেখেছি, তামিমের যে ব্যাপারটা চোখে লেগেছিলো সেটা হচ্ছে - তিনি ভিআইপি টার্মিনাল থেকে ব্যাপক ভাব নিয়ে আমাদের এখানে আসলেন, সবাইকে চোখমুখ শক্ত করে মাপলেন একে একে, এ-মাথা থেকে ও-মাথা ঘুরে এলো তার চোখ, তারপর হাত দুইটা পেছন দিকে দিয়ে আবার মাপতে মাপতে চলে গেলেন। সহজ বোধ করিনি। মনে হয়েছিলো অর্বাচীন কাউকে খুব বেশী ভাব দিয়ে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায়।

রকিবুল হাসানকে একবার দেখা গেছে ভরা যানজটের মধ্যে গাড়ী অবলীলায় নো-পার্কিং জোনে পার্ক করে, যানজট আরো বাড়িয়ে দিয়ে বনানীতে একটা খাওয়ার হোটেলে ঢুকে খেতে, ফিরে আসার পর মানুষ যখন বিরক্তি প্রকাশ করেছে সে তার মহামূল্যবান মধ্যম আঙুলটি দেখিয়ে সবাইকে ধন্য করেছে।

বাংলাদেশ দলের এই দশার জন্য আরো দায়ী সিনিয়র প্লেয়ারদের বাদ দিয়ে একদম আবাল বয়সীদের সুযোগ করে দেয়া। চুল শক্ত হওয়ার আগেই যদি ষ্টার হয়ে যায়, উৎপল শুভ্রর মতো লোকজনের চরম প্রশংসা শুনে এদের মাথা ঠিক থাকে কিভাবে? (ধুসর গোধুলী দারুন নাম দিয়েছেন - উটপোদ শুভ্র! হাহাহাহা) মাথা ঠিক রাখার জন্য মাথার উপর যারা আছে তাদেরও যতটুকু দখেছি, সবাই একেকটা ঝুনা নারিকেল, মারাত্মক শক্ত আঁিট, এরা নিজের আঁটি ”কাউকে দেবোনা” বলে ধরে রেখে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বারোটা বাজিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। আার এই আশরাফুল এর মত একটা চরম ফাউলকে দলে কেন বারবার নেয়া হয় জানিনা, ও সবচাইতে বড় নষ্ট, খোঁজ নেয়া লাগেনা এমনিতেই ওর অনেক কেচ্ছা-কাহিনী শোনা যায় - ও টিমে থাকলেই টিম শেষ। লোকে বলে ”গড-গিফটেড” কিন্তু গডের গিফটকে সে যেইভাবে চুলকানির পর্যায়ে নিয়ে গেছে তাতে পাছায় লাথিথ মেরে একে দল থেকে বের করে দেয়া দরকার।

এখন থেকে খারাপা পারফর্মেন্সের জন্য জরিমানা হওয়া উচিত, ম্যাচ ফি কেটে রাখা উচিত। গরীব জনগনের ট্যাক্সের টাকা আর আকাশ সমান বড় আকাংখার চুলায় ক্রমাগত আগুন দিয়ে ”জলকেলী” করার জন্য এদের নিয়ে এতো মাতামাতি করা হয়না।

নষ্ট সময়ে নষ্ট সিসটেমের মধ্যে পড়ে এদের মধ্যে যারা একদম ফ্রেশ আসে তাদেরও নষ্ট হতে বোধকরি সময় লাগেনা! নাসির টিকে থাকুক!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।