টেকনোলজি বনাম অর্থনীতি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: সোম, ০২/০৭/২০০৭ - ৬:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

দেশে গেলে আমার প্রথম কাজ একটা সিম কালেক্ট করে বন্ধুবান্ধবের কন্টাক্ট নাম্বারগুলো সেখানে ঢুকানো। তারপর একে একে ফোন করে বলা, "দোস্ত, আগামী ৩ সপ্তাহ আমি এই নাম্বারে অ্যাভেইলেবল।"

গতবার হামলা করেছি ছোট ভাইয়ের সবচেয়ে চালু সিমের ওপর। এয়ারপোর্টেই। ব্যাপারটা মোবাইলের ব্যবহারে তার টিনেজ মেয়ে কন্টাক্টের কালেকশন পরখ করার বদ ইচ্ছা থেকে উদ্ভূত। বেচারা তার বাকী নাম্বারগুলো দিয়ে সবাইকে ইনফর্ম করার সময়টাও পায় নি। তার আগেই কট।

যথারীতি ফোন আসতে থাকে। আমি বেশ গম্ভীরভাবে বলি, আগামী ৩ সপ্তাহ এই নাম্বারে ওকে পাওয়া যাবে না। একবার এক পিচ্চি মাইয়ার ফোন পাইলাম। '*** ভাই, আগামীকাল বিকেলে ৫ টার দিকে লাইব্রেরীতে আসেন।' আমি কইলাম, "আমি *** ভাই না, আমি অর বড় ভাই।" পিচ্চি নাছোড় বান্দা, "বলে খামাখা মজা করেন কেন?" আমাদের গলার স্বরে মিল থাকায় সে বিভ্রান্ত, পুরোপুরি।

তারপরে অনেক আলাপ। মুডে থাকলে যে কোনো বয়সী পাবলিকের সাথেই জমাইতে পারি। জমাইলামও। পরের দিন আবার ফোন। আমি বিজি। মুড নাই। কইলাম, "তোমার ভাবীর সাথে কথা কও।" "নাহ! আজ থাক।" আগেরদিন বলি নাই, আমি বিবাহিত। এরপরে বাকী ৩ সপ্তায় আর ফোন পাই নাই।

২.

শনিবার। ভোররাত ৪ টা। টেলিফোনের শব্দে উঠে পড়ি চোখ ডলতে ডলতে। ফুফাতো ভাইয়ের ফোন। "এই নাম্বারে কল ব্যাক কর।" এটুকু বলেই আমাকে কোনো কথার সুযোগ না দিয়েই কল কেটে দেয়।

দেশ থেকে সাধারণত কেউ উইকএন্ডের ভোররাতে এই আব্দার জানায় না। দেশে ফোন করি রেগুলার। শনিবার ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতে করতে ফোনগুলো করি। প্রথমে মা-বাবা, তারপর একে একে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন। কাউকে পাই। কারো লাইন পাওয়া যায় না। বাজার করা, দুপুরের রান্না-খাওয়া শেষে আবারো চেষ্টা চলে। সবাই-ই জানে, শনিবার সকাল হলো ঘুমানোর জন্য।

ভীষণ জরুরী কিছু হবে। এরকম পরিস্থিতিতে আশঙ্কাটাই মনে ভর করে সবার আগে। "কেমন আছেন? সবাই ভালো তো?" কল ব্যাক করে উদ্বেগের সাথে জিজ্ঞেস করি।

"সবাই ভালো। শোন, আমার জন্য একটা Nokia N72 পাঠাবি।" গত বছর ওই সময়টায় N72 মাত্র বেরিয়েছে।

"দেশ থেকে কিনলে তো চিপে(cheap) পাওয়া যাবে। ইউরো তে কিনলে লস। আপনি কিনেন। আমি টাকা পাঠায়ে দিবো।"

"আরে না। দেশ থেকে কেনা, আর জার্মানি থেকে কেনা কি এক হলো! একটু ভাবসাব আছে না!"

ফোন শেষে আমি কাতর চোখে আমার ৪ বছরের পুরোনো Siemens M50র দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি।

৩.

বুয়েটে পড়ার সময় একবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিলডিংয়ের ৬ তলায় যাই এক বন্ধুর সাথে। ওখানে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করা যায়। দুই ঘন্টা করে এক একটা স্লট। তবে টাইম বুকিং দিতে হয় অনেক আগে। বুকিং দেই না। ২ ঘন্টার ইন্টেরনেট ব্রাউজিংয়ের জন্য দুই সপ্তাহ ওয়েট করার ধৈর্য সঞ্চয় করতে পারি না।

হলগুলোতে নেটওয়ার্কিং করে কিছু পোলাপান। চমৎকার জিনিস। সিডি আর হার্ডডিস্ক নিয়ে দৌড়াদৌড়ি নাই। হলের অপর ব্লকের সৈকতের ৪০ জিবি বিশাল হার্ডডিস্কভর্তি হিন্দি ভিডিওর কালেকশন এখন আর তার একার নয়। আহসানউল্লার রানার কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্টের কপি রশীদ হলে বসেই পাওয়ার আগে সমন জারি হয়। নেটওয়ার্কিং-এ ব্যবহৃত তারে হলের 'সৌন্দর্য' ব্যাহত হচ্ছে। নেটওয়ার্কিং নিষিদ্ধ!

যতদূর জানি, বুয়েটের হলগুলোতে এখনো কর্তৃপক্ষ ঠিকভাবে ইন্টারনেট দিতে পারেন নি, দিতে চান বলেও মনে হয় না। পোলাপান পর্ন দেখে দেখে নষ্ট হয়ে যাবে। ইন্টারনেট ঘাটতে ঘাটতে পড়াশুনা করার সময় পাবে কই?

৪.

টেকনোলজির দ্রুত প্রসার আধুনিক জীবনে এনে দিয়েছে গতি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। হাতের মুঠোয় আসছে পৃথিবী। কিন্তু আমাদের পোড়া দেশে তার কতোটা ব্যবহৃত হচ্ছে সঠিক কাজে, সেটা বিবেচনা করার বিষয়।

আমরা এখন টেকনোলজির একটা খাদক গোষ্ঠী। বিদেশী প্রোভাইডাররা আমাদের খাদ্যের সিংহভাগই সরবরাহ করে যাচ্ছেন, আমরা খাচ্ছি, বিনিময়ে দিয়ে দিচ্ছি ঘাম ঝরানো অর্থ। এ খাওয়ার শতকরা কতো অংশ পুষ্টিকর, আর কতো অংশ অপ্রয়োজনীয় স্লোপয়জন, সেটা সম্ভবত অর্থনীতিবিদরাই ভালো বলতে পারবেন।


মন্তব্য

ভাস্কর এর ছবি

হুমম...


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

চিন্তায় পড়ে গেলেন? হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অচেনা এর ছবি

এইবার আর অন্যের সিম নেয়া লাগবে না। মোবাইল কোম্পানিই জোর করে ধরায় দিবে। এখন ২০০ টাকা দামের সিম নিলে ৩০০ টাকার কথা সময় ফ্রি। ঐদিন
শুনলাম একজন নাকি কার্ড কিনেনা, খালি সিম কিনে।
টাকা শেষ হয়ে গেলে আরেকটা কিনে।

লাভ পাগলেও বুঝে। চোখ টিপি

-------------------------------------------------


যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

"২০০ টাকা দামের সিম নিলে ৩০০ টাকার কথা সময় ফ্রি।" - এর মধ্যেই তো তেলেসমাতি। পাবলিকের বুঝা উচিত, এইডা কি লাভ, না লস। ৩০০ টাকার কথার মধ্যে বড়জোর ৩০ টাকার কথা কাজের, বাকী ১৭০ টাকাই তো জলে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ছোটভাইয়ের বান্ধবীদের সাথে ফিল্লিং মারা ঠিক্না।

তবে লেখাটা সেরম হইছে।
ক্রেতারে অবিরাম দৌড়ের উপর রাখতে হইবো এই হইলো বিক্রেতার ব্যাপার।এখন সেইটা লাইফ সেইভিং ড্রাগস দিয়াই হোক আর বৈজ্ঞানিক পানি পড়া দিয়াই হোক...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ঝরাপাতা এর ছবি

সব গেলো সব গেলো বলে রব উঠাতেই জীবন গেল আমাদের। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা কখনোই করতে পারবো বলে মনে হয় না। লেখা ভালো লাগে নাই। আপনি ছোট ভাইয়ের বান্ধবীগো লগে কি করছেন হেইডা চাইপা গেছেন কইলাম।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বদ্দা, ফিলডিং আর কই মারলাম! খামাখা মিয়া অপবাদ দেন মন খারাপ তয়, ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক পারফেক্ট কওনে মাফ কইরা দিলাম।

ঝরু, তেমন কিছু করি নাই। আর অ্যাদ্দিনে ভুইলাও গেছিগা। বিয়া করো; দেখবা, এইসব কথোপকথন কয় মুহূর্তের মধ্যেই বাষ্পাইয়া যায়। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভালো কথা কইছেন, অহন ভাবতে হইবো আমার হালির হালি প্রেয়সীগো লগে আপনের পরিচয় করাইয়া দিমু কিনা! চিন্তিত

আইচ্ছা নেট কানেকশন না পাইয়া বুয়েটের পোলাপাইন কি সব মসজিদে বইসা বইসা জিকির করে নাকি?

হালায় সব আচোদা লোকজন ক্ষমতার সিটাডেলে বইসা রইছে গিয়া।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বুয়েটে এই সমস্যার একটা প্রধান কারণ সম্ভবত টীচার-স্টুডেন্ট দ্বন্দ্ব। চরমভাবে মিশুক টীচারও যেমন আছেন, তেমন আছেন 'নিজে বড়' জটিলতায় ভোগা ক্যারেক্টারও। এই পারসোনাল ব্যাপারগুলো অনেক সময়ই বৃহত্তর স্বার্থকে আচ্ছন্ন করে ফেলে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হযবরল এর ছবি

একটু কটু কথা কই। মনে কেহ কষ্ট নিবেন না।

আমি অনেক পাব্লিকরেই চিনি যাদের অফিসে এবং ঘরে দু জায়গাতেই ল্যান্ড ফোন আছে। অফিস এবং বাসার বাইরে, যেসব জায়গায় যায় সেসব জায়গার ফোন নম্বর ও বাসায় আছে। এর পরেও লোকে দুইটা সেল মেইন্টেন করে। কেন করে এটা আল্লাহ্‌ জানে। আমি ভাবতাম, হঠাৎ চলন্ত রিকশায় বুঝি ওহী নাযিল হবে। আল্লাহ্‌ আজকাল মর্ডান হয়া গেছে। দেশে এমন কোন যুদ্ধাবস্থা তৈরি ও হয় নাই যে জাপানী বোমা ঘাড়ে পড়লে মরে যাবে।

ফোন নিশ্চয়ই দরকার। এই ব্যস্ত জীবনে ভীষণ দরকার। কিন্তু জীবনের ব্যস্ততা কমাতে চাইলে,কাজের বাইরে নিজের এবং পরিবারের জন্য কিছুটা সময় বের করতে চাইলে মোবাইল যত বেশী সম্ভব পরিহার করাই ভালো।

কিন্তু ফোন কোম্পানীর মার্কেটিং পাব্লিকের মাথায় ভূত চাপায়া দিছে। নাম্বার দুইটা থাকলে লোকজনরে বুঝানো যায়, আমি খুব ব্যস্ত, এইটা একটা বড় কারণ বোধ করি এত মোবাইল ব্যবসার পিছনে।

শুধু ফোন এ্যাক্টিভ রাখার জন্যই যদি লাইন প্রতি মাসে ৫০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয় তবে কত টাকা হয় হিসেব করে দেখুন।

তয় তাই বলে ছোট ভাইয়ের বান্ধবীদের সাথে ইশ্‌ক করা ঠিক না@চোর্দা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সহমত
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুমন চৌধুরী এর ছবি

মোবাইল বিষয়ে। প্রয়োজন সাপেক্ষে একটা নম্বর ঠিকাছে। তারপর থিকা ফাউল শুরু। সেগুলা সবই ট্র্যাপ...ছায়ানটে এক বেকুবরে দেখতাম কোমরে পিস্তলের মতো বেল্ট বাইন্ধা ঝুলাইয়া রাখছে, একদিকে পেজার, আরেক দিকে মোবাইল..
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হযবরল এর ছবি

ছায়ানটে ও এইসব ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট আছে ? কন কী।

মোবাইল এখন একটা রোগের নাম।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ছাত্র না ছাত্রীর ভাই-মামা-কাকা-শুভাকাঙ্কী...তবে থাকা বিচিত্র কিছু না।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি চিন্তা করতাছি মোবাইল ফালাইয়া জঙ্গলে গিয়া ধ্যানে বসুম!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

দৃশা এর ছবি

আগে কেউ আমারে কোন এই অছ্যুৎ বলাই কি চুর(চোর) মিয়া নাকি?

দৃশা

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাল লাগল পড়ে। বিশেষ করে বুয়েটের ব্যাপারটা। কী বিচিত্র যে আমাদের নীতিনির্ধারকদের চিন্তা-ভাবনা! দুঃখ লাগে বুয়েটের দিনগুলো ভাবলে।

-------------------
প্রবাসী,ছাত্র,দুস্থ,দেশপাগল
-------------------

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

না দৃশা।
রাজনৈতিকভাবে সঠিক কথা হলো, এই অছ্যুত্ বলাই হচ্ছেন চোর নামক ব্লগারের স্রষ্টা।
অথবা আরো সঠিক করে বললে হবে, অছ্যুত বলাই ও চোরের স্রষ্টা এক ব্যক্তি।
-----------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

দৃশা এর ছবি

মানে হইল হাতরে পিছন দিয়া ঘুরাইয়া আইনা সামনে দিয়া ভাত খাওয়া...বেশ বেশ ।

দৃশা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হা হা হা! পলিটিক্যালি কারেক্ট ব্যাখ্যা শোহেইল ভাই দিয়েছেন। চোর আর অ্যান্টিচোর দুইটাকেই পাব্লিক হাতের কাছে পাইলে গণ দিবে। তবে বলাই অতি নিরীহ। কারো সাতে-পাঁচে নাই।

হযু, ইশক তো করি নাই। বউয়ের ডরে দ্বিতীয় দিনেই আর আলাপের রিস্কে যাই নাই।

সাঈফ শেরিফও মোবাইল ফোন পছন্দ করে না। কারণ অবশ্য ভিন্ন। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

যাক পলিটিক্যালি কারেক্ট হইলো...এইবার বাকি আছে প্যারাডক্স আর মিস্টিক
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হযবরল এর ছবি

ওরে বাপস্‌ আবার মিস্টিক।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

২ মিষ্টি+২ স্টিক=১৫টাকা(২০০১ দ্রব্যমূল্য)
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হে হে, মিস্টিক তো ফাটাইছে মনে হয়। চোখ টিপি
পোলাডার ব্রেক ডাউন লিমিট আরেকটু বেশি হবে ভাবছিলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার কান্ধে বন্দুক রাইখা তোমারে ঝাড়ি দিছে...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

আরশাদ রহমান এর ছবি

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ যেমন তেমন নাই তেমনি আমরা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারও করিনা। সেল ফোনে সুযোগ অবশ্য প্রায় সবারই আছে। সবার হাতে সেল ফোন ডেখে মাঝে মাঝে মনে হয় সবাই এতো ব্যাস্ত। মনে হয় ওয়াল স্ট্রিটে আছে সবাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ব্যস্ততা না রে ভাই, খালি ভাব! এই ভাব নিতে গিয়েই আমাদের সর্বোনাশ হলো। ভাত খাওয়ার টেকা নাই মাইনসের, তার মধ্যেও ভাব দেখাইতে হইবো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হযবরল এর ছবি

মজার কথা বল্লেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ঝাড়ি পছন্দ হইছে। সা.ইনে না গিয়াও যাতে না যাই সেই ঝাড়ি খাইলাম। হাসি
সাদিক্যার ধারণা, এ টীমে আমার আর পিয়াল ভাইয়ের নিক আছে। ওদের আসলে কিছু বলার নাই। আন্ডার এস্টিমেট করছি না; কিন্তু সা.ইনের ম্যানেজমেন্টে আসলে ছাগু ছাড়া কামের কোনো লোক নাই। রাজাকারেরা সা.ইনকে ইউজ করবে; কিন্তু ওটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরাসরি কিছু করবে না। সাদিক্যার খায়েশ ছিলো, সে মডুগিরি করে ছড়ি ঘোরাবে। তার বাড়াভাতে ছাই পড়াতে পুরা ব্রেক ডাউন হয়ে গেছে।

একজন সাদিকের চেয়ে চোরের মায়া সা.ইনের প্রতি অনেক বেশি প্রাগমাটিক। ওটা না থাকলে এত ভালো ভালো মানুষগুলোর সাথে কোনো ইন্টারঅ্যাকশনই হতো না। চোর অকৃতজ্ঞ না। আর ভন্ড সুফি-সাধুদের মত ব্যক্তিস্বার্থকে প্রায়োরিটি দিয়ে 'যে পাতে খায়, সেই পাতে হাগু করে' না। সুফি যা করছে, তাতে সা.ইনকেই আরো বেশি বাঁশ দেয়া হচ্ছে, এইডা বোঝার মত লোক সা.ইনে থাকলে ওদের এই দশা হতো না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।