"আল্লাহ ওনার ডাক কবুল করেছেন!"

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: রবি, ২৭/০৭/২০০৮ - ৩:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে নিজেকে ঈশ্বর মনে হয়; কোথাকার কোন হরিদাস পাল আমি, মানুষের জীবন নিয়ে টানাটানি করি! টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অর্থোপ্যাডের সাথে বনিবনা না হওয়ায় চাকুরী ছেড়ে, একটু বেদিশাই হয়ে গেছি। তাই তড়িঘড়ি ভাত আর বাসস্থানের নিশ্চয়তায় কারিওগ্রাম করার মত বোরিং কাজের চুক্তিতে সই করে ফেলি। হবু বাবা- মাদের প্রশ্নে কোকিলের মত কণ্ঠে বলতে হয় আপনাদের হবু সন্তানের সব ক্রোমোজোম ঠিক আছে। এক্স-ওয়াই ক্রোমোজোম আগে থেকে বলার নিয়ম নেই।
একমাসে তিনটি এবরেশণ! ত্রিজমি একুশ বা বারো-তের কোন ক্রোমোজোম ভাঙ্গা থাকলে বাচ্চা প্রসবের কোন কারন নেই। একজন মানুষ কতটুকু পূর্ণতা নিয়ে জন্মানোর অধিকার রাখে? যদি আমরা স্বীকার করি যে, আমাদের কোন না কোন (ভাবে নিদেন পক্ষে চিন্তার) অপূর্ণতা আছে।
এমন একটি প্রশ্নের মিমাংসা আমি করতে চাই না। আমি একটু চুপ করে থাকলেই তারা নিজে থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে। তখন শুধু দুঃখিত বললেই হয়। পরের দিন পিয়ন লিখিত ফলাফল ডাক বাক্সে ফেলে আসে; ব্যাস! একটি ভ্রুন পৃথিবীর আলো-বাতাস থেকে চির দিনের জন্য বঞ্চিত হয়। তখন খারাপ লাগে। মনে হয় ভ্রুন হত্যায় পরোক্ষ সহযোগীতা করলাম, একটি মানুষ পঙ্গু বলে তার অস্তিত্ব অস্বীকার করলাম!
এই সব আর কেমব্রীজের হাতছানি। উত্তর মেরুতে প্রাণীর জীবন বিন্যাস ষ্টাডি করার অভিযানে সহযাত্রী হবার স্বপ্ন থেকে এপ্লাই করলাম। ইন্টারভিওতে আসা যাওয়ার ভাড়া সহ আমন্ত্রনে, খুশীতে প্রায় দিশেহারা হয়ে টিকেট কিনি।

রাত দশটায় জানানো হল; তুষারের কারনে হেনোফার থেকে মিউনিখ হয়ে লন্ডনগামী লুফথান্সা-র সন্ধ্যা ছটার বিমানটি এখনো হেনোফার বিমান বন্দর থেকে উড়াল দেয়নি। আশ্বস্ত হলাম ফ্লাইট বাতিল হয়নি! যত দেরীতেই হোক আজ রাতের ভেতর আমাকে লন্ডন পৌঁছতে হবে। রাত বারোটায় ফ্লাই করে লন্ডনে আতিক ভায়ের বাসায় পৌঁছে দেখি রাত দুটো। ভোর পাঁচটায় না উঠলে সকাল আটটার আগে কেমব্রীজ পৌঁছা দায়।
আধো ঘুম আধো জাগরনে আতিক ভায়ের স্যুটের ভেতর ঢুকে ওয়াটারলু জংশন থেকে কেমব্রীজের ট্রেনে চেপে বসলাম। গত রাতের অতিরিক্ত পান আর ততোধিক অনিদ্রা চিন্তা ও চেতনায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। ১৫ মিনিট সময় হাতে পেয়ে ভাবি কেমব্রীজ এতছোট শহর! পায়ে হেঁটেই মেরিন বায়োলজি ডিপার্টমেন্ট পেয়ে যাব।
সময়ের মিনিট তিনেক আগেই আদিষ্ট গন্তব্য খুঁজে পেলাম। মার্কিন নভোচারীরা চাঁদে পায়চারী করেও ভূভাগের গবেষনায় একতিল ছাড় দেবে না! হা ডুডু বলে পাঁকা চুলের মার্কিন প্রফেসর তার কক্ষে আমন্ত্রন জানালেন। হয়তো গায়ের রং দেখেই পাসপোর্ট দেখার কৌতূহলে কোন প্রকার ভদ্রতার ধার-ধারলেন না। জার্মান পাসপোর্ট দেখে খুশী মনেই জিজ্ঞেস করলেন। আমি যে স্কুল থেকে পাস করেছি সেটা খুব এক্সপেন্সীব ছিল কিনা! বিনে পয়সায় পাস করেছি শুনে ভদ্রলোক খুব খুশী হলেন বলে মনে হল না।
সাংস্কৃতিক সংঘাত নিয়ে কিছুক্ষন আলোচনার পর গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। গেটের বাইরে এসে একটা সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে আতিক ভাইকে ফোন করলাম।
নেক্সট ট্রেনে লন্ডনে ফিরে বালতি হাউসে আতিক ভায়ের সাথে লাঞ্চের সিধান্ত নেই। রেল ষ্টেশনের ষ্টল থেকে "ওয়াচিং ইংলিশ" বইটা কিনে পাতা উল্টাতে লাগলাম। হাসির বটে ইংলিশ হিউমার!
দিনটি বৃহস্পতিবার। দুদিনের ছুটি নিয়েছি। রবিবারে মিউনিখ ফিরে সোমবারে আবার কারিওগ্রাম করব। বুধবার আসতে আসতে ভাবছিলাম " একবার গ্লোব থিয়েটারে যাব। কিন্তু আতিক ভাইকে ব্যাপারটা বোঝানো কঠিন। দেশ-গেরামের কথা কইতে কইতে অন্য কামের সময় পাওয়া যায় না। আতিক ভাই মনে করে আমি বিদেশে থাকি। হিটলারেরর দেশে আমাগো জীবন কেইম্তে চলে! লন্ডনে আলিতে গলিতে দেশের লাউশাক থেকে শুরু করে টাহির পোনা পর্যন্ত পাওয়া যায়! সকালে হোয়াইট চপ্পল থেকে কারো হাতে পাউন্ড দিলে সন্ধ্যায় মাকে ফোন করে জানতে পারে কত টাকা পেল! ঢাকা থেকে কুমিল্যা টাকা পাঠালেও এত দ্রুত পৌঁছার সম্ভবনা নেই! এই সব প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে আপাতত কেমব্রীজে পেয়েই খুশী। পরে লন্ডনে কুইন মেরী হসপিটালে এপ্লাই করতে করতে একটা না একটা চাকরী হয়েই যাবে। তখন দু ভাইয়ে মিলে এক বাসায় থাকব। উত্তর মেরুর কথা আতিক ভাই এখনো জানে না।
পরের দিন সকালে আতিক ভায়ের গাড়ীতেই এক সাথে অলগেট আসি। তার ক্লাশ আছে। কাজেই এ সময়টা আমার একার। হাটতে থাকি হোয়াইট চপ্পল থেকে অল গেইট অনেকটা ঢাকা শহরের গুলিস্থানের মত। রাস্তায় ইলিশ মাছ থেকে শুরু করে বোরখা পর্যন্ত সব ফুটপাথে পাওয়া যায়। বোরখা বস্ত্রটির অতি ব্যাবহারে মাঝে মাঝে ভ্রম হয়! আমি কি লন্ডনেই আছি নাকী দুবাই বা অন্য কোন আরুবী দেশে! বাংলাদেশে বিদেশী টুরিষ্টদের মত দুএকজন সাদা চামড়ার মানুষও দেখা যায়। ঘরের বারান্দায় শুকোতে দেয়া শাড়ী পেটিকোর্ট বাংলাদেশের কোন কলোনীর কথা মনে করিয়ে দেয়।
সব খানেই একটা বিষয় চোখে পড়ার মত! হেন্ডিক্যাপ লোকদের জন্য সব জায়গায় বিশেষ ব্যাবস্থা! জার্মানরাও এদের চেয়ে এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। কিন্তু এদের মত এত নজর কাড়া নয়। হয়তো নগর পত্তনের শুরুতে এত কথা ভাবার সুযোগ পায়নি! অনেক কিছুই খুব পরে করেছে তাই মূল পরিকল্পনার সাথে মিল না থাকায় কিছুটা বেখাপ্পা লাগছে। আন্ডার গ্রাউন্ডে কোথাও মাথা ঠেকে যায় কিনা খেয়াল রাখতে হয়! এত সরু!
দ্বিতীয বিশ্ব যুদ্ধে সব কিছু ধ্বংস হওয়ার ফলে নতুন করে বানানোর সময় সব দিক বিবেচনা করেছে। তাই জার্মানদের নির্মান গুলো এত খাপ ছাড়া মনে হয় না।
ডিজ এবল লোকদের প্রতি মনোযোগ দিয়েছে এতদিনে হয়ত ষ্টিভেন হকিংনসের কারনে। হাজার খানেক ডিজ- এবল লোকের ভেতর একটা হকিংন্স থাকলেই যথেষ্ট। তাই এদের প্রতি সদয় বৃটিশদের, সাদর, চোখে পড়ার মত।

আতিক ভাইয়ের কলেজটা ঠিক কলেজের মত মনে হয়না। একটা বড়সড় গুদাম ঘর মাঝে পার্টিশন দিয়ে অনেকগুলো রুম করেছে। প্রতি রুমে ১৫-২০ জনের বসার ব্যবস্থা। বাংলাদেশ থেকে ব্যারিষ্টারী পড়তে আসা ছাত্রদের সংখ্যাই বেশী। কিছু আইটি স্টুডেন্টও আছে। আতিক ভাই ডিভোর্সের ওকালতি ছেড়ে আরো কজন বন্ধু যোগাড় করে কলেজ খুলেছে।
কলেজ থেকে বের হয়ে এবার পুরো বাংলা স্টাইলে খাওয়ার হোটেলে ঢুকলাম। আতিক ভাই কৈ মাছের ঝোল আর আমি বোয়াল মাছের পেটি নিলাম। দাড়ি আর চুলে মেহেদী পড়া একটা লোক আমাদের টেবিলে এগিয়ে এল। ওনি আতিক ভায়ের পরিচিত। আতিক ভাই কেমব্রীজের হবু প্রফেসরকে আগন্তকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। খাওয়া শুরু করায় করমর্দণ করা গেল না।
উকিল সাব আফনের লগে অখটা মাত মাততাম আছলাম! অখটা মিনিট টাইম দেউক্কা। গাড়ি ওনোত খাড়া। ফার্ক করুনে জাগা ফাইছি না।
আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে: সরি ভাইসাব, ফরে আফনারা জার্মানীর গপ হুনুমতে। তয় খেমব্রীজ খুব বালা জাগা। খাম অইলে খইয়েনযে; আমার বইনের গরের ফোলা ওখান থাখে। খোনো সায্য লাগলে খইয়েনযে।
ভদ্র লোকের সাথে কথা বলে আসতে আসতে আতিক ভাই যেন কিছু ভাবছেন;

ভদ্রলোক একমাসের ভাড়া আগাম চেয়েছেন। সে জন্যই আতিক ভাই চিন্তিত।

আমি এখানকার সমস্যার সাথে শুধু বিয়ার আর সিগারেট দিয়ে পরিচিত। বেনসনের প্যাকেট ৫ পাউন্ডের বেশী, ০,৩৩ গেনিস বিয়ারে দাম ৩ পাউন্ড! এদেশে কোটিপতি না হলে এদুটো বিষয় অতীব পরিত্যাজ্য। দুই পাউন্ড ঘন্টায় বেতন (বেশীর ভাগ ছাত্রের ভাগ্যে ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টে এর চেয়ে বেশী বেতন বা সম্মানের কাজ জোটে না)। এত অল্পবেতনে পুরো একমাসের ভাড়া অগ্রিম যোগাড় করা কঠিন (বাড়ি ভাড়া এবং বেতন দুটোই সাধারণত সাপ্তাহিক)! এটুকু বুঝলাম। কিন্তু ভদ্রলোক এডভান্স ভাড়া কেন চাইবেন?
আতিক ভাই স্বভাবসুলভ ভাবে মাথা দুলিয়ে বলে; কেমব্রীজের পরফেসরের মাথায় এতঘিলু থাকলে দুনিয়া চলতো!
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলেন; এদের ব্যাপার আমরা কখনই বুঝব না। ডেকে নিয়ে প্রথমে শুভ সংবাদটা দিল।
"আল্লাহ ওনার ডাক কবুল করেছেন!" তাই এবার একটা ডিজেবল বাচ্চা হয়েছে।" খোদার দরবারে লাখ শুকরিয়া জানাতে সপরিবারে ওমরা হজে যাবেন। তাই বাসা ভাড়াটা অগ্রিম দরকার।
ভদ্রলোক ডিজেবল বাচ্চা কেন চাইলেন বুঝতে তখনো আমার অনেক বাকী। বোকার মত মুখ করে আতিক ভায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে আছি।
আতিক ভাই কেমন যেন গম্ভীর হয়ে গেলেন! কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললেন; কোন পরিবারে একজন ডিজেবল(পঙ্গু) থাকলে সরকার ডিজেবলদের উপযোগী বাড়ীতে সে পরিবারটির থাকার ব্যাবস্থা করে। এবং ডিজেবল লোকটির দেখাশোনা করার জন্য ঐ পরিবারের দুজন কর্মক্ষম মানুষকে পুরো বেতন দেয়। এসব ক্ষেত্রে বাবা-মা কে-ই প্রাধান্য দেয়া হয়।

আজীবন পঙ্গু সন্তানের সেবা শুশ্রুসার মত নিশ্চিৎ কর্মসংস্থানের লোভে পিতা-মাতা আর কী করতে পারেন। আরেক দল ডিজাইনার বেবীর লোভে ভ্রুণ হত্যা করে চলছে! মানুষ আর কী চাইবে?

পাদটিকি: কারিওগ্রাম = যে পদ্ধতিতে ক্রোমোজম গুলোর সংখ্যা আকার আকৃতি দেখা হয়, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং = কৃত্রিম পদ্ধতিতে পেশী বা অস্থি তৈরীর পদ্ধতি, অর্থপ্যাডে = অস্থি বিশেষজ্ঞ, ষ্টিভেন হকিন্স = কেমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যার পঙ্গু প্রফেসর।

(ইহা একটি কাল্পনিক দুষ্ট চিন্তা, কোন ভাবেই কারো ব্যাক্তিগত জীবনের সাথে সম্পৃক্ত নয়)


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

পুতুল ভাই, আপনার দুষ্ট চিন্তাটা খুব ভালো লাগলো। আবার বড় অদ্ভুতও লাগলো। সত্যিই কি.................?
-----------------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পুতুল এর ছবি

ঘটনা সত্য সাক্ষী দুর্বল!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

খালিদ এহসান করিম এর ছবি

পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার লেখাটা আসলেই সঠিক। এখানে এরকম ঘটনা অনেক ঘটে। পৃথিবী আসলেই খুব বিচিএ জায়গা।

পুতুল এর ছবি

পৃথিবী আসলেই খুব বিচিএ জায়গা।
আপনার সাথে একমত। তবে বিলাতের বঙ্গীয়রা আরো একটু বেশী অদ্ভূত! পড়ে মন্তব্য করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এইরকম কথা আগেও শুনেছি। এবং অবিশ্বাস ঘিরে ধরেছে। কোথায় যেন এরকমও পড়েছিলাম, ইন্ডিয়ায় সুস্থ সবল কিছু লোক অপারেশন করে নিজেদেরকে ভয়ংকর রকম পঙ্গু করে তোলে, শুধুমাত্র ভিক্ষায় রোজগার অনেক বেশি হবে বলে।
এইসব যদি সত্যি হয় তাহলে ক্যামনে কি?
শুধুই যদি এটা আপনার দুষ্ট চিন্তা হয়, তাইলে কোনো কথা নাই, পুতুল ভাই। কিন্তু যদি সত্যি হয়, তাইলে একখান কথা আছে।
মনুষ্য প্রজাতির বোধ এমন হবে কেন?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পুতুল এর ছবি

"কিন্তু যদি সত্যি হয়, তাইলে একখান কথা আছে।"
কথাটা কী ?
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রায়হান আবীর এর ছবি

ঠিক...এটা দুষ্ট চিন্তা হিসেবেই থাকুক...এমন চিন্তা যেন এই জগতে কারও মাথায় না আসে...আল্লাহ যেন ওদের ঢাক কবুল না করে।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

পুতুল এর ছবি

আল্লাহ যেন ওদের ঢাক কবুল না করে।
আপনার সাথে একমত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ থাকুক এমন দুষ্ট চিন্তা! বাস্তবে কেউ যেন ভুলেও এমনটা না চেয়ে বসে!

পুতুল এর ছবি

আমিও তাই কামনা করি।
সুন্দর প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।