শেরালীর বঙ্গ বিজয়

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: শনি, ৩১/০৩/২০১২ - ৬:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুবিধা মানুষকে সার্থপর করে। আমি সেদিক থেকে নিরাপদ। সুযোগ হয়না, সার্থপরও হতে পারি না। আছে সংসারধর্ম, দায়ীত্ব। সব কিছু ঠিক রাখতে গিয়ে অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। পাণ্ডবদার চতুর্থ সংসোধনী প্রস্তাব তৌফিক অনুযায়ী বাস্তবায়ন শেষে পাণ্ডুলিপি শষ্যপর্বে পাঠিয়ে ছিলাম। আশা ছিল অন্ততঃ মার্চ নাগাদ বইটা শেষ হবে। নজমুল আলবাব হাঞ্জ-পোলারে বইমেলাতেই বাপ ডাকাইলেন। কী ভাবে তিনি তা সম্ভব করলেন সেটা তিনিই জানেন। অভ্রর লেখা বিজয়ে কনর্ভাট করতে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। কাহিনীও খুব ছোট না। তার পরেও বই মেলার শেষ দিনে শেরালী যখন সচলদের কোলে তখন আমার মনটা খুব ছটফট করে। ছেলেটাকে একবার চোখের দেখা দেখতে ইচ্ছা করে। অনেক অযত্ন-অবহেলা আমার তরফ থেকে ছিল। শেষ পর্যন্ত কী চেহারায় সমাজে গেল শেরালী!

তখন শেরালীকে হাতে নিয়ে দেখার চিন্তা মাথায় আসেনি। গত বছর বাসা বদল। এই বছর চাকুরী। জীবনে এত ঝামেলায় পরব জানলে ঘর-জামাই থাকতাম। নিজের পায়ে কুড়াল মেরে বিয়াটাতো কইরা ফালাইসি। তাতেও সমস্যা ছিল না। বউ পাল্টাইয়া ঘর জামাই থাকা যায় এমন বিয়া আবার করন যাইব। সমস্যা হইল মেয়ে নিয়ে। বউ তো পামু কিন্তু মেয়ের মা পাব কোথায়! সে সব কারণে বউ পুরান। অন্ততঃ একটা জিনিস আর পাল্টাইতে হবে না।
কিন্তু বাকী যা পাল্টা-পাল্টী যাচ্ছে তাতে শেরালীকে হাতে নেয়ার খায়েস মাথায় আসে নি। পুরানো কাজের ১ সপ্তাহ ছুটি ভোগ করতে হবে। শরীরটাও ভাল নেই জ্বর-জ্বর ভাব। দুই দিন অসুস্থতার ছুটি। মনের নাও পবনের বইঠা বাইয়া গেসেগা শেরালীর কাছে। দূরকে নিকট করা বিজ্ঞানের অনলাইন সুবিধা নিয়ে দেখি পবনের নাওয়ে ঠাই আছে। বেগম সাহেব আমার মতি-গতি ধইরা ফালাইসে। নোবেল কমিটি পেরাইজটা দেওনের লাইগ্যা আমারে ফোন করলে, ফোনটা ধরার মতো কোন সেক্রেটারী নাই বিধায় শুভকে সেক্রেটারীর দায়ীত্ব নিতে অনুরোধ করেছিলাম। অনুরোধ শুনে তিনি হাসতে হাসতে ফিট হইয়া পইরা গিয়া আবার যখন উঠলেন, তখন না করার সময় পার হয়ে গেসে। কাজেই আমার পাগলামী সম্পর্কের তার ধারণা ভালই আছে। কী আর করা! সমস্যা ছিল আনিস ভাইকে নিয়া। তিনি তখন গেষ্ট নিয়া জার্মানীর বাইরে।তিনি সফর শেষে ফিরবেন শনিবারে। সেদিন আমিও ফিরতি হাওয়ায় পবনের নাও ভাসামু। গাইল যত পরে পারুক। কিন্তু এই শুভ ক্ষণে বাঁধা দেওয়ার ক্ষমতা নাই। করুণ মুখে ক্রেডিট কার্ডের নাম্বারটা বলে দিল শুভ। মেয়ের জন্য হারমোনিয়াম কিনে দিয়েছিলেন আনিস ভাই। কিন্তু বাজনার বদলে মেয়ে তার উপর কত্থক নাচে। ফলে একটা রীড হাওয়া দিলে বাজতেই থাকে। সারাইতে হইলে বঙ্গদেশ ছাড়া গতি নাই। গাট্টি বলতে সেটাই সাথে নিয়ে দিলাম উড়াল।

মিউনিখ থেকে দুবাই পর্যন্ত ভালই ছিলাম। ৮শ কিমি বেগে চলা পবনের নাওকে মনে হয় কলাগাছের ভেলা। বিভিন্ন শহরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের অবস্থান, বিমানের গতি, গন্তব্যের দূরত্ব, পৌছানের সময় দেখায় ছোট পর্দায়। তা দেখে মনে হয় কৈশোরে আমার কলাগাছের ভেলাও এর চেয়ে দ্রুতগামী ছিল।
নীল জলরাসির কীনারে কালো ভূমির করাচী বাঁয়ে। আরো একটু এগুলো মুম্বাই আসবে ডানে। এখনো ঘন্টা তিনেক বসে থাকতে হবে। যে কোন ভ্রমনেই আমার ঘুম আসে না। তাও চোখ বন্ধ করলাম। কিন্তু দেখতে পেলাম কতগুলো মগজ বিহীন মাথার খুলি বিমানের ধোয়ার মতো পেছনে উড়ে যাচ্ছে। তারাই পূর্ব-বঙ্গকে পাকিস্তানের সাথে মিলিয়েছিল। ইতিহাসের ইন্দ্রজাল ভেদ করে ক্ষয়-চান্দের মতো উঁকি দিয়েছে সূর্য পূর্ব দিগন্তে। ইচ্ছে করে জানালা দিয়ে ফাল দেই। গোমতী পদ্মা মেঘনার কোন একটাতে পড়লেই হল। কুড়ি বছর হল পুকুরে-খালে-বিলে-নদীতে ডুব-সাতার দেই নাই। ঘুড্ডি উড়াই নাই মৌসুমী হাওয়ায়। বাংলার-বায়ূ, বাংলার-জল, বাংলার-মাটি আমাকে এখনো কোলে নেবে মায়ের মতো।

টানা দুই ঘন্টা অপেক্ষার পর হারমোনিয়াম পেলাম। বের হয়ে দেখি আগের মতো মানুষের ভীড় নেই বন্দরে। কিন্তু আমার উদ্ধারকর্মীরাও আসে নি। দু-তিনবার ডাকলো > স্যার টেক্সি লাগব নি?<। এইটুকু হাক-ডাক ভদ্রতা হিসাবেই দেখা যায়। গাড়িতে থেকেই নজু ভাইকে পাওয়া গেল ফোনে। ওনার কাছে কয়েকটা কপি আছে শেরালীর। মিউনিখ থেকে ফোনে কথা বলেছি শুধু পাণ্ডবদা আর অপু ভাইয়ের সাথে। ঘটনাক্রমে বইগুলো নজু ভাই সাথে নিয়ে বের হয়েছিলেন আমার ভাগ্য গুনে।

উজান গাঁ-এর করা প্রচ্ছদ আমার পরিকল্পনায় ছিল না। নবান্ন নামে বানান ঠিক করে প্রচ্ছদ করে দেয়ার অনুরোধ করেছিলাম সচল মূলত পাঠক-কে। দুটোই তিনি অনেক যত্নে করেছিলেন। পাণ্ডবদার চতুর্থবারের মতো সংযোজন-বিযোজন করতে গিয়ে মূলত পাঠকদার করা শুদ্ধ বানানের ফাঁকে আরো কিছু ভুল বানানের কাহিনী ঢুকে যায়। আর বীরাঙ্গনার নবান্ন বা শুধু নবান্ন বাদ দিয়ে বইয়ের নাম যে নামে শুরু করেছিলাম সেই শেরালীতেই ফিরে আসে। কাজেই বীরাঙ্গনার প্রচ্ছদ বাদ দিতে হয়। শেরালীর নতুন প্রচ্ছদ করার জন্য মূলত পাঠকদাকে আবার অনুরোধ করার সাহস হয়নি। সময়ও ছিল না।
জল-ছাপের মতো শেরালীর কাহিনীটাই উজান গাঁ-এর প্রচ্ছদ। প্রথমে লজ্জাই হচ্ছিল। আমার মতো কুক্ষেইন্না লেখকের বই এতো সুন্দর হওয়া একটা অন্যায়। অনেক যত্ন নিয়ে কাজটা করেছেন শস্যপর্ব পরিবার। একটা চরিত্রের নাম অবু কর। অপু ভাই এর জন্য ফোন করেছেন আমাকে। নামটা কী আবু কর না আবু বকর? অবনী মোহন কর-কে আমারা আবু কর নামেই চিনতাম। আমি তাঁর সেই চেনা নামটাই ব্যবহার করেছি। তার পরেও কিছু ছোট-খাট ভুল রয়ে গেছে। কিন্তু লেখকের অনুপস্থিতিতে এর চেয়ে ভাল করে বইটি ছাপানো সম্ভব বলে আমি মনে করি না।

বই মেলায় চাচা-জেঠা-খালা-ফুপুরা নিজের সন্তানের মতো শেরালীকে কোলে নিয়েছেন। তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাতে অন্ততঃ এক জায়গায় জড় করা দরকার। উজান গাঁ, নজমুল আলবাব আসবেন সিলেট থেকে। ঢাকার সবাইকে জড় করলেন পাণ্ডবদা। তিনটার দিকে সবার আগে আসলেন পাণ্ডবদা। চা খাওয়ালেন। তারপর শাহাবাগ থেকে হেঁটে হেঁটে গেলাম শিশু একাডেমীতে। মেয়ের জন্য বর্ণমালা শেখার কোন বই পছন্দ করতে পারলাম না। পাণ্ডবদা একটা অনুবাদ উপহার দিলেন। এর মধ্যে ফোন এল নূরুজ্জামান মানিক ভাইয়ের। আমরা আজিজে ফিরে তিন ফকিরে দরগা নষ্ট করতে করতে এলেন গৌতম, রণদীপম বসু, রেজোয়ান ভাই। মানুষের গন্ধে ছুটে এলেন সবুজ বাঘ, সাথে এক বন্ধুকে নিয়ে তাঁর নামটা মনে করতে পার‌ছি না। আজিজের গলিতে দাড়িয়ে আড্ডা। আমি একটু আরাম প্রিয় মানুষ। বসতে গেলাম একদম পেছনে, একটা চায়ের স্টলে। এর মধ্যে এলেন উজান গাঁ, নজমুল আলবাব, আর পারিবারিক কাজ রেখে এলেন আমাদের নজু ভাই। আরো কয়েক জন ছিলেন, যাদের নাম মনে পড়ছে না। ইচ্ছে ছিল শেরালীকে হাতে নেয়া সব সচলদের সাথে দেখা করি। কিন্তু এত অল্প সময়ের নোটিসে তা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশে চা-স্টলে সিগারেট খাওয়া হারাম। বের হলাম সবাই সিগারেট খেতে। এর মধ্যে সবাই হাঁটা দিল এলিফ্যান্ট রোডের দিকে। একটু এগিয়ে একটা গলি ধরে ডানে মোর। তারপর আরো অনেক সচল। জুয়েইরিযা মউ (নামটা ঠিক লিখলাম?), আরো একটা আপু অন্দ্রিলা, ওডিন, সবজান্তা, অনুপম ত্রিবেদী। দেখা হল না শেরালীর ছবি যিনি তুলেছেন সেই অকুতভয় বিপ্লবীর সাথে। তৃণতুচ্ছ অনুকল্পের কুমার (মৃতশিল্পী) মাহবুব লীলেনকেও নিজের হাতে ১ কপি শেরালী দেয়ার ইচ্ছে ছিল। তৃনতুচ্ছ অনুকল্প হচ্ছে শেরালীর মায়ের পরিনতি। শেরালীর কাহিনী যেখানে শেষ, সেখানে তৃণতুচ্ছ অনুকল্পের শুরু। মাইগো মা মাইয়ালোকের উপর এত অত্যাচার ক্যান! বাক্যটি শেরালীকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছে। সবার শেষে এলো নিবিড় (কারো নাম বাদ গেলে ক্ষমা করবেন)। সবার হাতে ১ কপি শেরালী ধরিয়ে দিতে দিতে অন্ধকার বেড়ে গেল। যাবার তাড়া।
তার পরের দিন সন্ধ্যায় আমার ফেরার পালা। বেগ-টেগ রাতেই গুছিয়ে রাখতে হবে। অনিচ্ছা সত্বেও বিদায় নিতে হল। আবার কখন কবে এমন সন্ধ্যা হবে!

ছবি: 
10/18/2007 - 10:08অপরাহ্ন

মন্তব্য

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

এর মধ্যে ফোন এল নূরুজ্জাম মানিক ভাইয়ের।

নূরুজ্জামান মানিক ।

বাংলাদেশে চা-স্টলে সিগারেট খাওয়া হারাম। বের হলাম সবাই সিগারেট খেতে।

চা-স্টলের বাইরে বারান্দায়ই ধুমপান প্রথম পর্ব হয় ।


শেরালীর লেখক ও প্রকাশক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

পুতুল এর ছবি

বড় খতরনাক লুক তো আপনি মিয়া! এই ছবি তুললেন কখন!
ভাল থাকবেন মানিক ভাই।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ষষ্ঠ পাণ্ডব (নতুন পাসওয়ার্ডে দিশাহারা) এর ছবি

রেদোয়ান ভাই না, রেজওয়ান ভাই। অঞ্জলি নয়, অন্দ্রিলা। সবুজ বাঘের সাথে তার এক বন্ধু ছিলেন যার নাম মনে নেই। প্রকাশনার ছবি তুলেছিল অকুতোভয় বিপ্লবী। আড্ডাতে আসার ব্যাপারে সে সবার আগে কনফার্ম করেছিলো। কিন্তু কাজে আটকে যাওয়ায় আসতে পারেনি। আমার ভুল হয়েছিল যে, ফোনে আপনার সাথে ওর সংযোগটা ঘটিয়ে দেইনি। আমার এটা করা উচিত ছিল।

পুতুল এর ছবি

ঠিক করলাম পাণ্ডবদা, অকুতভয় বিপ্লবীর সাথে আমারই দেখা করার দরকারছিল। মনে রাখলাম। আবার নিশ্চই সুযোগ হবে। তখন আমিই যোগাযোগ করব। ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় পাণ্ডবদা। সব সময় ভাল থাকুন।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রণদীপম বসু এর ছবি

উপরে একজন রূপসী নায়িকার ছবি দেখলাম ! না কি মডেল ! কোথায় যেন দেখেছি ইনাকে !! ছবিটা বড়ই পছন্দ হইলো !!

পুতুল দা ওরফে শেরালীর লেখক মিথুন কায়সার পুনর্বার বঙ্গদেশে এসে ওইসব বাদাইম্যা সচলাড্ডুদের খপ্পরে স্বেচ্ছায় পতিত হবেন, এমনটা যিনি ভাববেন ধরে নিতে হবে তাঁর সচলত্ব প্রাপ্তিটাই রহস্যপূর্ণ ! কমছে-কম চার-চারটি ঘণ্টা ধরে (এর আগের ঘণ্টাগুলো গুনায় আসেনি আমার অনুপস্থিতির কারণে) পুতুল দা যখনি একটুক বসার করুণ আর্তি জানান, তখনই তাঁকে আসেন বলে এমন হাঁটাবাবার চক্করে ফেলা হয়েছে মালপত্তর সমেত, শেষপর্যন্ত পবনের নাওয়ে চড়ার আগ পর্যন্ত তিনি বসতে না-পারার এই ভব-যন্ত্রণা ভুলে যাবেন সেটা ভাবার মতো বৈরাগ্য কি উনি এখনি প্রাপ্ত হয়েছেন বলে মনে হয় !! তিনকালে ঠেকা এই ইয়োগা-খেকো বুড়ো হাঁড়ে আমি নিজেই যখন সটান ফুটপাথে বসে গেলাম, তখনো তিনি ওই বাদাইম্যা সচলাড্ডুদের অসহ্য বেয়াদবির প্রতিবাদে হাঁটুমোড়া থেকে বিরত থেকেছেন শেষপর্যন্ত। আমার ইয়োগা ফেল !! হা হা হা !!

আরেকবার ম্লেচ্ছ জর্মন দেশ থেকে উড়াল দেবার আগে আমাদের পুতুল দা যে হারমোনিয়ামের বদলে নিশ্চয়ই একখানা কেদারাখণ্ড সাথে নিয়ে চলবেন এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ! তবে মেয়ে সচলাড্ডুরা আমার এই নিষ্কলুষ দাদাটার সাথে পিচকেমি করেছে অযথা, এটার একটা সুরাহা হওয়া দরকার। নিশ্চয়ই পাণ্ডব বংশ এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নেবেন। নইলে এসব অধর্ম সইবে না রাজপথ ফুটপাথ মার্কেটের বারান্দা, বলে রাখলাম হুমম !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পুতুল এর ছবি

ছবিটা আমারও বড় পছন্দের রণদা। এনি আমাদের জুয়েইরিযা মউ। সেদিনের আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।

দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়া নিয়ে কোন সমস্যা ছিল না দাদা। খালি কেমন জানসি দৌরের উপ্রে আছি এমন একটা ভাব। আগে টিএসসিতে অন্তত ঘাসের উপর বসে আড্ড জমানো যেত। আর এখন আজিজের অলিতে গলিতে। বাদাইম্মা লুকদের মেরাথন আড্ডাদেয়ার জায়গাটা ঠিক পাচ্ছিলাম না আর কী।

মেয়েদের দোষ দিয়ে কী লাভ বলুন দাদা! কারও সাথেই তো ভালমতো যাকে বলে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারলাম না।
আমি দেশে থাকলে শুধু আড্ডা দেয়ার জন্য একটা আড্ডাঘর খুলে বসতাম। চা-পান-তামাক হয়হো ভাপাপিঠাও রাখতাম সাথে। যাতে আয়েস করে সচলরা আড্ডা পিটাইতে পারে।
আবার দেখা হবে দাদা। ভাল থাকবেন।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

রূপসী নায়িকার ছবি আমারো পছন্দ হইসে। চোখ টিপি
আমারে খবর দিলে হইতো, আমিও যাইয়া আমার কপিটা নিয়া আসতাম! মন খারাপ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পুতুল এর ছবি

আহারে, যদি ঘূরাক্ষরেও জানতাম, তাহলে এই ভুল করি! এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে আর একবার দেশে আসার পায়তারা করতেসি। তখন এই ভুল আর হবে না। ছবিটা তুলেছেন অকুতভয় বিল্পবী, আর মডেল জুয়েইরিযা মউ। সমস্ত প্রসংসা তাদের প্রাপ্য।
ধন্যবাদ দিদি। ভাল থাকবেন সব সময়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

দময়ন্তী এর ছবি

শস্যপর্বের প্রকাশনা বড় সুন্দর হয়|

অভিনন্দন ও শুভকামনা|

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ দিদি ভাই।
শষ্যপর্বের আরো কিছু বই পেলাম উপহার। সব গুলোই ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ দিদি, ভাল থাকবেন সব সময়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনি যেদিন আড্ডার ডাক দিলেন, সেদিন আমার সবচেয়ে মন খারাপের দিন
আমার বন্ধুর মতো বাবা আর বাবার মতো বন্ধু, দুজনেরই সেদিন মৃত্যুদিবস ছিলো মন খারাপ
আড্ডায় তাই শুধু উপস্থিতিই ছিলো, মন ছিলো না তেমন
ভালো থাকবেন পুতুল দা
দেখা হবে পরের আড্ডায়

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রথমবার এত্তো বড় একটা মন্তব্য লেখলাম এজাক্স এরর না কী যেন একটা দেখালো
তারপর রিফ্রেস দিয়ে আবার আরেকটা মাঝারি মন্তব্য লেখলাম, আবারো এরর
দান দান তিন দান, আবার লেখলাম, এবার ছোট করে
এবার ছাপা হয়ে গেলো হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পুতুল এর ছবি

তারপরেও আপনি এসেছেন নজরুল ভাই! অনেক সৌভাগ্যবান মনে কর‌ছি নিজেকে।
আপনার বন্ধুপ্রতিম বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি। ভাল থাকবেন সব সময়।
আবার যখন আসব তখন এরো একটু বেশী সময় নিয়ে আসব, যাতে আয়েস করে আড্ডা মারতে পারি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নজমুল আলবাব এর ছবি

মন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেলো। দুঃখিত।
আপনার আসাটা আমার কাছে অবাক করা বিষয়। এভাবে কেউ ছুটে আসতে পারে!!! আপনার আবেগ ছুয়ে গেছে সেখানে সবাইকে। ভালো থাকবেন। আবার দেখা হবে আশা করি।

পুতুল এর ছবি

আবার দেখা হবে বস।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।