কালাচান্দের আড়ং

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: বুধ, ১৬/০৩/২০১১ - ৫:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কত্তা আইছেন? গরমের মইদ্দে বাসে কষ্ট হয়নাই তো।

আহেন, আহেন আমার লগে। এই হইল সেই কালাচান্দ দেওতার আড়ং। মানেন নিশ্চয় মশয়, কালাচান্দই আমাদের নারায়ণ। আদি দেওতা, তিনিই এক, তিনিই অসীম। নারায়ণ নারায়ণ। আহা, এইডা যেন-তেন কারবার না মশয়। এইডা আপনে গো সাহাগদা বা ভুতাইলের সাপ্তাহিক হাট বই তো না। এইখানে দুইদিনের বাসি ধুতি আর আধময়লা পিরান গায়ে দিয়া কুনো বৈতালের পুত সান্ধাইতে পারবেনা। কমিটির আপত্তি আছে। সাধারণের বিধি-বিধান এইখানে অচল।

বলির ছাগলডা ঠিক ঠাক আনছেন তো? আজকে চান্দের আট তারিখ না? চান্দের দশ তারিখে কিন্তু কাপালিকের আখড়ায় বলি হবে, সেইডা নিশ্চয় অবগত আছেন।

তারে ভাবলে পাপীর পাপ হরে
দিবানিশি ডাকো মন তারে

মনে করেন যে, এই জাগাডা একটু ইস্পিশিয়াল। আমি কাছেই থাকি, তবুও যতবার এইখানে আসি ততবার গায়ে কাঁটা দেয়। জিন্দা দেওতা, বুঝলেন কিনা। নারায়ণ নারায়ণ। বহুত পাউয়ার। তাই এইখানে ইস্পিশিয়াল মানুষের পিছ পিছ ইস্পিশিয়াল মন্ত্র জপতে জপতে চলতে হয়। না জানি কখন কি হয়। বিবেচনা করেন, আমি কিন্তু নিজেরে অত উঁচা কেউ ভাবি না। তবুও তো আমি চক্কত্তিদেরই ছেলেসন্তান, এই উঁচা রক্তের একটা দাবী তো আমার উপর আছে। কি বলেন কত্তা? সেই কারণে এই মেলায় যে অতিথিসকল আসে, তাদের একটু দেইখা-শুইনা রাখা, একটু দেখভাল করার কাজটা এড়াইতে পারিনা। আসেন, আমার পিছে পিছে আসেন।

গুরুর নাম সুধাসিন্ধু
পাপে কর তাহাতে বিন্দু

অই দেহেন, কি বিরাট আজদহা এই আড়ং। এই বছর নারায়ণের কৃপায় লাখ তিরিশেক লোক হবে। এত মহা আয়োজন, বিচার-ব্যবস্থা একটু বড়তো হবেই। ঠিক কিনা? পুরাতন আমলে এই আড়ং এ ঢুকার রাস্তায় আছিল পাঁচটা। কয়েক বছর হয় ইন্ডিয়ার থিকা লোক সমাগম বাইড়া গেছে। তাই আরেকটা নতুন রাস্তা বসানো হইছে। সাকুল্যে এখন এই ছয়টা রাস্তা গিয়া মিলছে আড়ং এর উত্তর দিকে। এই ছয়রাস্তার মোড়ে আপনেরে একটু বসতে হবে, মশয়। চান্দ উঠবার আগে আড়ং এ ঢুকবার নিয়ম নাই। কমিটির আপত্তি আছে। এইখানে সব ব্যবস্থা করা আছে। বিশ্রাম নিতে পারেন, পয়পরিস্কার হইতে পারেন। রাইতে শোয়ার ব্যবস্থা করছি আড়ঙের দক্ষিণে। সেখানে টানা ছাউনি দিয়া ধম্মশালা করছে। খালি গিয়া নায়নের নাম নিয়া শুইয়া পরবেন।

আপনে চান-আহ্নিক সাইরা থানকাপড় পিন্ধা রেডী হন। কুনো চিন্তা নাই, চান্দ উঠলে আমি আওয়াজ দিব।

ওরে! সখা হবে দীনবন্ধু
ত্ষ্ণা ক্ষুধা রবেনা রে
দিবা নিশি ডাকো মন তারে

দেখছেন নি কত্তা? আড়ং এর মদ্দে কি সুরইম্য দালান। এইখানের মাটি আইজকার এই গনগইন্না গরমেও কি সুন্দর ঠাণ্ডা, খিয়াল নিছেন? যেন মাটির তলায় কেউ বরফের পানি চালাইয়া দিছে। উঁচা উঁচা সব পাথরের এই মঠ, এই চাতাল, এই শানবাঁধানো উঠান, আর এই কাম্বিসের ছাউনি, এইগুলা সব আড়ং-কমিটি কইরা রাখছে। আমার পিতামহ মশয়ের কাছে শুনছি, এই রবরবা আগে আছিলনা। আজকে যারা কমিটির লিডার, সেই চক্কোত্তিগোর বাপ-দাদারা আপনের মত যজমানেগো দান-দেনা থাইকা রুটিরুজির ব্যবস্থা করত। মেলার আয়োজন করাটাই ছিল তাদের পেশা। কিন্তু কি আর বলব মহাশয়, আকালের দিনে নাকি কোন কোন বার আড়ং বসে নাই। যজমানের অভাবে তখন চক্কোত্তিরা ঘরের পোলা বন্ধক দিয়া খাইছে।

এর মদ্দে সাহেবরা না আইসা পড়লে খবরই আছিল চক্কোত্তিগো। সাহেবরা আইসাই নাকি আচান্নক কাম শুরু করল। হেরা খালি খুদা-খুদি করে। এই খানায়। সেই খন্দে। তারপর কিজানি কি পাইলো। চক্কোত্তিগো লগে কন্টাক নিলো। এরপর থেইকা চক্কোত্তিগো আর পিছমুইড়া দেখন লাগেনাই। এখন তাদের তেজারতি ব্যবসাপাতি আছে, দুকান-পাট আছে। অন্ন-ধুতির তেমন চিন্তা তাগর আর নাই। চক্কোত্তিগোর দাপটেই এখন এই আখড়ার আজকের এই তেজ। আপনাদের উইদিকেউ শুনলাম চক্কোত্তিরা পীঠ বসাইছে, সত্যই?

তয় কি জানেন, মেলার থেইকা আয় রোজগার নিতান্ত খারাপ না। বুঝেনই তো চক্কোত্তিগো লতায় পাতায় আত্মীয়, পেটের তো অভাব নাই। আমাদের কথাই ধরেন। আমার পিতামহ হইল গিয়া কমিটির অধ্যক্ষ মশয়ের পিসেমশয়ের পুষ্যি। আমারা দাদা-ভাই-বোনাই সকলে তো এই আপনাদের আশীর্বাদেই দুইটা পয়সার মুখ দেখি। নারায়ণ নারায়ণ।

দিবা নিশি ডাকো মন তারে
তারে ভাবলে পাপীর পাপ হরে.
দিবানিশি ডাকো মন তারে

এই যে আইসা পড়ছি। দেখেন, এই যে সামনে দেখা যায়, মেলার প্রধান আকর্ষণ এর চাইরকোনা চর্কি, মন ভইরা দেখেন। আছেনা? আপনার কাচারি ঘরে এই চর্কির একটা ছবি? এই আজব চর্কির কালো ঘেরাটোপ টা ফি-বছর মদনাপুরের মুচিরা বানায়। আর পুরাণটা আলগোস্তে খুইলা ফালায়। জিন্দা দেওতা, বুঝলেন কিনা। নারায়ণ নারায়ণ। বহুত পাউয়ার। তার চর্কির ঘেরাটোপ বইলা কথা। বহুত পয়মন্ত। অভ্যাগতরা সেই পুরাতন ঘেরাটোপের একটা টুকরার লাইগা পুরুতের কোঠায় লাইন দিয়া পইড়া থাকে। লাগবো আপনার? আপনি মানী লোক, আপনি লাইন দিবেন কেন? কিছু দক্ষিণা দিলে আমিই আপনারে এক টুকরা যোগাড় কইরা দিতে পারি।

যান কয়টা চক্কর দিয়া আসেন। নারায়ণ নারায়ণ।

চর্কির কোনায় যে পাত্থরের চাংগারিটা দেখতাছেন, পুরাতন আমলে এইটারে মানুষ চুমা দিত, কইত এই পাত্থরটাই নাকি কালাচান্দ দেওতার অবতার। জিন্দা দেওতা। তার বহুত পাউয়ার। একেবারে সগ্গ থেইকা ডাইরেক এইহানে আইসা পড়ছে। সেই কালাচান্দের নামেই তো এই মেলার নাম। বল হরিবোল। বল হরি। ইদানীং অবশ্য মেলা কমিটি এইসব চুমাচুমিতে আপত্তি দিছে। অনেক লোকের বুঝতেই পারতাছেন। আপনে চুমা দিবেন, তারপরে আরেকজন দিবে, এইসবে অনেক সময় যায়, এতে একটা কেওয়াচ লাইগা যাইতে পারে। তাই দূর থেইকা চাংগারিটার চোখে দেইখা প্রণাম করলেই মনে শান্তি পাইবেন। মনে মনে কিন্তু নারায়ণের নাম নিতে ভুলবেন না। এইটা অনেক ইমপরটেন।

দিবা নিশি ডাকো মন তারে
তারে ভাবলে পাপীর পাপ হরে.
দিবানিশি ডাকো মন তারে

আরেকটা কথা খিয়াল কইরা। কোঁচায় কইরা খই-বাতাসা কিছু আনেন নাইতো? আনলে সেইটা ভাল কইরা পলাইয়া রাখেন। সাবধান চর্কির আশেপাশে গিয়া আবার এক খাবলা মুখে দিবেন না। মেলা-কমিটির পাণ্ডারা দেখলে মাইর একটাও মাটিতে পরব না। চর্কি এলাকায় খাওয়াদাওয়া মানা। কমিটির আপত্তি আছে।

পহরলাদ হৃদয়ে করে
অগনিকুন্ডে পরবেশ করে
নরসিংহ-রূপ ধারণ করে
হরিণ্য কচছপ মারে, বিষ্ণু
নরসিংহ-রূপ ধারণ করে
হরিণ্য কচছপ মারে

চর্কিতে ঘুরতে ঘুরতে মাথায় চক্কর দিতাছে? আহারে মশয়ের চেহারা-খানি এক্কেরে শুকাইয়া কাঠ হইয়া গেছে? দেখেন কমিটি সেইটার কথাও মাথায় রাখছে। এই যে দেখতাছেন সোজা রাস্তাটা এইটার শেষ-মাথায় পানির ব্যবস্থা আছে। আমি খাড়ায়া আছি, আপনে একদৌড়ে গিয়া এক-চুমুক পানি খাইয়া আহেন। লাগলে এই জেরিকেনডাও ভইরা আনবার পারেন, কখন আবার তিয়াস লাগে। তারপর ছাউনিতে গিয়া বইসা চলেন দুইডা খই-বাতাসা মুখে দিয়া শুইয়া পড়ি। কাইলকা সাইঝের বেলায় আরো কাম আছে।

নরসিংহ-রূপ ধারণ করে
হরিণ্য কচছপ মারে, বিষ্ণু
নরসিংহ-রূপ ধারণ করে
হরিণ্য কচছপ মারে

সাইঝ তো পরায় হইয়া আইলো। চলেন আপনারে কাপালিক-গো আখড়ায়। চক্কোত্তিরা আদি-পিতামহেরা এইখানের আসার আগে এইসব জায়গা আছিল কাপালিক-গো দখলে। তখন এই আখড়ায় নরবলি হইতো। আহারে কত অযুত-নিযুত নর-সংহার হইছে এইখানে। তাই কাপালিকের আখড়া কিন্তু বহুত গরম। বেম্মোপেরেতের আনাগোনা। এই লন, হাতে এই কয়েকটা ইডের টুকরা রাখেন। এই কয়ডা হাতে রাখলে নিশ্চিন্দি। মনে কু'ডাক দিলে আন্ধাইরে ঢিলা মারবেন। দেখবেন মনের ভয়-ডর আর নাই।

ছাগলটারে আমার কাছে দেন। বলির পহর পার হইয়া যায়।

ওরে! সখা হবে দীনবন্ধু
ত্ষ্ণা ক্ষুধা রবেনা রে
দিবা নিশি ডাকো মন তারে

******

(আরবী চন্দ্রদেবতার বাতসরিক মেলা অবলম্বনে)


মন্তব্য

নৈষাদ এর ছবি

আরে খাইসে, এটা দুর্দান্তের ব্লগ!
ভাল লেগেছে। অনেকদিন পর 'তেজারতি' শব্দটা দেখলাম... এখন তো এটার অন্য নাম।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

গুল্লি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম! শেষে দেখলাম যা ভাবছিলাম তা-ই! আপনি নমস্য!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

চলুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ভাষা আর বর্ণনায় ছবির মতন ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নিবিড় এর ছবি
ফাহিম হাসান এর ছবি

সেরাম হইসে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এটা বানানো গল্প নয়। পীঠস্থানগুলো তা যে ধর্মেরই হোক, তার গল্পটা কম-বেশি একই রকম। কয়েকটা মাজারকে কাছ থেকে দেখেছি। সেখানেও একই ঘটনা। এই কমপ্লিট প্যাকেজটা কারা প্রথম চালু করেছিল?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

আজকের মেলা যেখানে বসে, সেখানে চন্দ্রদেবের মেলার পত্তন হয় প্রথম শতাব্দীতে।
তবে আরব, ইয়েমেন, মেসোপটেমিয়া ও আবিসিনিয়ায় চন্দ্রদেবের অনেকগুলো পীঠস্থান ছিল (আছে)।

আরেকটু সরলীকরন করলে চন্দ্রের উপাসনা দুনিয়াতে এখনো আছে। আইসিস (মাতা মেরী) উপমহাদেশের চন্দ্র/সোম এর সরাসরি (করবাচথ) অথবা পরোক্ষে (চন্দ্রশেখর - শিব) কথা বলা যায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ক্বাবা গৃহে চন্দ্রদেব হুবাল/হাবাল-এর প্রতিমা স্থাপন করা হয় সম্ভবতঃ চতুর্থ শতকের শেষে বা পঞ্চম শতকের শুরুতে; মক্কা বিজয়ের পর ষষ্ঠ শতকে সেটা ধ্বংস করা হয়। আয়রনিটা হচ্ছে এই যে, যিনি হুবালের প্রতিমা ধ্বংস করে তার পূজা করার প্রথা বিলুপ্ত করেছিলেন তাঁর অনুসারীরাই কয়েক শতাব্দী পরে নিজেদের প্রতীক হিসাবে চাঁদকে বেছে নিয়েছে। সম্ভবতঃ এই তথাকথিত ইসলামী প্রতীকটা আমদানী করা হয়েছে তুর্কীদের কাছ থেকে, তাও আবার মুশরিক্‌ বাইজান্টাইনদের আমলে। বাইজান্টাইনরা এই বস্তু পেয়েছে সম্ভবতঃ গ্রীকদের কাছ থেকে। গ্রীকদের চন্দ্রপূজা বহু পুরনো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

-----------------------
১. ইতিহাসের কথায় গ্রীক শব্দটা বেশির ভাগ সময়ে ব্যবহার করা হয় জটিলতা এড়িয়ে একটা ব্রড সেন্সে কিছু ব্যাখ্যা করতে। মেসিডোনিয়া তো বহু বছর পর আবার স্বাধীন দেশ হয়েছে, তাহলে আলেকজাণ্ডার কে কি মেসিডোনিয় বলা উচিত না? এরিস্টটল, প্লাটো, থেলিস এমন বহুজন এই অর্থে গ্রীক নন্‌। একই ভাবে মোস্তফা কামাল পাশা (কামাল আতাতুর্ক)-কে তুর্কি না বলে স্যালোনিক বলা উচিত না? থ্রেস, স্পার্টা, সিরাকিউজ ইত্যাদি দেশগুলো কোন অর্থে গ্রীক? আর "হেলেনিক" শব্দটাই তো অ-ঐতিহাসিক, একটা ভ্রান্ত ধারমা।

২. পারসীকদের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি অনেকদূর হলেও প্রান্তিক দেশগুলোর অনেকগুলোই পারস্য নয়। যেমন বাইজান্টানিয় বা ওসমানীয়দের সাম্রাজ্যের বড় অংশই তুরস্ক নয়, বা বাংলা মোগলদের উপনিবেশ ছিল মাত্র।

৩. যাযাবর ও শিকারী মানুষের কাছে চাঁদ বা সূর্যকে ঈশ্বর কল্পনা স্বাভাবিক ছিল। পাহাড়, নদী, বন, বনের হিংস্র পশুকে তারা জয় করতে পারায় অজেয় চাঁদ ও সূর্যই ছিল ঈশ্বর। চাঁদ আর সূর্যের উপাসকেরা ইতিহাসের স্বাভাবিক নিয়মেই দ্বিধা বিভক্ত হয়েছে এবং পৃথিবীর নানা কোনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই দক্ষিণ আমেরিকা বা রাজস্থানে সূর্যকে; মধ্য আফ্রিকা, দূর প্রাচ্য বা দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতে চাঁদকে পূজা করা হয়েছে।

৪. শাসককুল সব সময়ই নিজেদেরকে ঈশ্বরের প্রতিভূ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। ধর্মকে পকেটস্থ করে নিজেদের সুবিধামত কাজে লাগিয়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সিরাত এর ছবি

সেইরকম আলোচনা! হাসি

সিরাত এর ছবি

উরিব্বাপরে!!

হঠাৎ? হাসি

Shakha Nirvana এর ছবি

খুব সাহসি লেখা সন্দেহ নেই। বিশ্বাস, ভক্তি কখনো ভাইরাস আক্রান্ত হয়। সেগুলরে আঘাত করা হয়েছে। খুব ভাল লেখা হয়েছে। কোন কিছু সরাসরি না বলে রূপকের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। তবে ভন্ডামীতে আঘাত করা হয়েছে এটাই বড় কথা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার, একঝুড়ি তারা।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

চলুক জট্টিল ... ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গুরু গুরু

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

অসাধারণ এই লেখায় আলোচনাটা নিতান্তই কম! তবে, দুটো সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাশোনা না থাকলে এগল্পের রসগ্রহণ অনেকটাই অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে। যেমন: হজ্বের দোয়ায় যা বলা হয় তার অর্থ বিস্তারিত জানা না থাকায় আপনার গল্পে উল্লিখিত গানের চরণগুলোর সাথে তা কতোটা মেলে তার হিসেবটা অধরাই রয়ে গেলো।

তারপরও, মারহাবা! মারহাবা!!!

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

কৌস্তুভ এর ছবি

আঃ, সেইরম হইছে। এইসবই তো দেখি সর্বত্র!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।