কলম

সবজান্তা এর ছবি
লিখেছেন সবজান্তা (তারিখ: শনি, ০৩/০৫/২০০৮ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


-----------------------------------------------------
রায়হান সাহেব চেয়ারে হেলান দিয়ে বললেন, “হায়দার সাহেব, ব্যস্ত নাকি ?” হায়দার সাহেব খাতার থেকে চোখ না তুলে কলম চালাতে চালাতেই বললেন, “ নাহ্‌ , তেমন ব্যস্ত না। কি হয়েছে বলেন” । রায়হান সাহেব গলার স্বরটা একটু সপ্রতিভ করে বললেন, “ না মানে, গতকাল আমেরিকা থেকে বাবুর এক রুমমেট এসেছে।” হায়দার সাহেব মুখে বললেন, “ ও আচ্ছা, তাই নাকি ! ” এরপর ভাবতে লাগলেন, কি অদ্ভুত এই পৃথিবী! রায়হান সাহেব আর হায়দার সাহেব সরকারী কর্মচারী হিসেবে এই চাকরীতে ঢুকেছিলেন একই বছর। দুজনেরই ছেলে হয়েছিল এক বছরের ব্যবধানেই। হায়দার সাহেবের ছেলে রাজু আর রায়হান সাহেবের ছেলে হাসান। সামান্য সরকারী কর্মচারী হয়ে ছেলেকে মানুষ করার জন্য অমানুষিক খেটেছেন দুজনেই। কিন্তু ফল দুজনের এক হল না। হাসান বরাবরই খুব লাজুক আর শান্তশিষ্ট , ক্লাসের প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে থাকতো সবসময়। এইচ এস সি পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে মাস্টার্স করে, বিদেশে স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে গিয়েছিলো, এর পর সেখানেই এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এখন। আর রাজু ! কোনমতে এস এস সি টা পাস করে, আর পড়াশোনা আগাতে তো পারেইনি, উলটো পুরোদস্তুর নেশাখোর হয়ে গিয়েছে। সারা দিন কই থাকে কোন ঠিক নেই, মাঝে মধ্যেই তিন চার দিন পর বাড়ীতে আসে নোংরা জামা কাপড় নিয়ে ঝিমুতে ঝিমুতে। এসব কথা ভাবতেই মুখটা কেমন যেন তেতো হয়ে গেল হায়দার সাহেবের। একটু সামলে নিয়েই জিজ্ঞেস করলেন, “ কি পাঠালো বাবু এবার ?” রায়হান সাহেব কিছুটা লাজুক মুখ করে বললেন, “এইতো কিছু চকোলেট, ওর মার জন্য কিছু বিদেশি ঔষধ, আর মেয়েটার জন্য কিছু সাজার জিনিসপত্র।”

“ সে কি! আপনার জন্য কিছু পাঠায়নি বাবু !! ” কিছুটা বিস্মিত স্বরে জানতে চাইলেন হায়দার সাহেব। “ না না, আমার জন্যও পাঠিয়েছে, সেটা দেখানোর জন্যই তো ডাক দিলাম” বলে এদিক ওদিক একটু দেখে নিলেন রায়হান সাহেব, তারপর বুকপকেট থেকে হাত বের করে বললেন, “ আমার জন্য এই মন্টব্ল্যাঙ্ক কলমটা পাঠিয়েছে বাবু। মেয়ে দেখেই বললো, এটা ভীষণ দামী কোম্পানির কলম। আপনার খেয়াল আছে হায়দার সাহেব , আমরা সেই যে চাকরির প্রথম দিকে বেতন পেলে সুন্দর সুন্দর কলম কিনতাম দুজনই ? ” মূহুর্তের মধ্যেই ফ্ল্যাশব্যাকের মত সে সময়ের ঘটনাগুলি মনে পড়ে যেতে লাগলো হায়দার সাহেবের। চাকরির প্রথম দিকের কথা, দুজনের কেউই তখন বিয়ে করেননি। বেতন পেলে দু জনেই চলে যেতেন বই এর বাজারে, সে সময়ের দামী কলমগুলি কিনতেন। দু জনের কারোরই আর কোন বাজে নেশা কিংবা শখ ছিলো না, দৈনন্দিন খরচ আর সঞ্চয় বাদে শুধু এই কলম কেনাতেই যা খরচ। রায়হান সাহেবের ছেলের নিশ্চয়ই বাবার এই কলম বাতিকের কথা মাথায় আছে, তাই এত সুন্দর কলমটা পাঠিয়েছে। আবারও হতাশায় ধরে বসলো হায়দার সাহেবকে, দু জনেরই চাকরি শেষ হতে বাকি আর ১ বছর। এর পর ? রায়হান সাহেব তো নিশ্চিন্ত মানুষ, চাইলে এখনই রিটায়ারমেন্টে যেতে পারেন। নিজের কথা ভাবতেই হায়দার সাহেব দু চোখে অন্ধকার দেখলেন। অনিশ্চিত জীবন - নেশাগ্রস্ত ছেলে, ঘরে এখনো বিবাহযোগ্যা মেয়ে, তার উপর স্ত্রীও আজ অনেক বছর ধরে নানা রোগে শয্যাশায়ী। এইসব হতাশাতেই হায়দার সাহেব আর কথা বাড়ালেন না, মুখ গুঁজে কাজ করতে থাকলেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে শুধু তার চোখে ভাসতে থাকলো কালো সেই মন্টব্ল্যাঙ্ক কলমটার চেহারা।


---------------------------------------------------
বিকাল পাঁচটার দিকে, রায়হান সাহেব পিঠে একটা চাপড় মেরে বললেন, “ আর কত কাজ করবেন হায়দার সাহেব? জীবনে কাজ তো আর কম করলাম না, চলেন আজকে একটু তাড়াতাড়ি বের হই। আজকে আমার বাসায় একটু সন্ধ্যার নাশতা করেন। আপনার ভাবীসাহেবা বার বার বলে দিয়েছেন আপনাকে আজ নিয়ে আসার জন্য” । হায়দার সাহেব শুরুতে বেশ জোরেই না করছিলেন, কিন্তু রায়হান সাহেবের বারংবার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েই গেলেন।

রায়হান সাহেবদের অফিসের সামনের রাস্তাটা বেশ ব্যস্ত। কোন ওভারব্রীজ নেই, সিগন্যালও পড়ে অনেকক্ষণ পর পর। তাই সবাই গাড়ি চলার ফাঁকে ফাঁকেই রাস্তা পার হয়ে যায়। রায়হান সাহেব আর হায়দার সাহেব রাস্তায় নেমে দেখলেন, গাড়ির বেশ চাপ আজকে। সহজে পার হওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। গাড়ির চাপ একটু কমতেই দু জন পা বাড়ালেন, আর তক্ষুনি, “আরে গেলো গেলো, ধর ধর ... ... ” একটা রব উঠলো।


------------------------------------------------------
ট্রাকটা রায়হান সাহেবকে চাপা দিয়ে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে গেলো। মূহুর্তের মধ্যেই চারপাশে লোক জমে গেল, রাস্তাটা পুরো রায়হান সাহেবের রক্ত আর মগজে মাখামাখি।ট্রাকটা পুরো থেতলে দিয়ে গিয়েছে উনাকে। তাড়াতাড়ি করে উনাকে পাঁজকোলা করে, একটা হলুদ ক্যাবে উঠে বসলেন হায়দার সাহেব, ক্যাবওয়ালাকে বললেন, “জলদি মেডিক্যাল কলেজে যাও ।”

ক্যাবে বসেই সবার অলক্ষ্যে রায়হান সাহেবের বুক পকেট থেকে মন্ট ব্ল্যাঙ্ক কলমটা বের করে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেললেন হায়দার সাহেব, যেমন করে সবার অলক্ষ্যে রাস্তা পার হবার সময় তিনি পা বাঁধিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন রায়হান সাহেবকে ।


মন্তব্য

খেকশিয়াল এর ছবি

গল্পের থিমটা ভয়াবহ ! দারুন একটা থিম ! তবে তাড়াহুড়া করলেন কেন কমরেড মন খারাপ , রায়হান সাহেবের প্রতি হায়দার সাহেবের এই ভয়াবহ ঈর্ষাটায় জোর দিলে আরো ভাল লাগত, যা তাকে এমন একটি কাজ করতে বাধ্য করেছে । এছাড়া বললামই তো দারুন একটা গল্প ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

তাড়াহুড়া ? হ্যা তা কিছুটা বটে। সেমিস্টার ফাইনাল অতি সন্নিকটে। তাই দ্রুত শেষ করার একটা তাগাদা ছিলো এমনটা অস্বীকার করা অন্যায় হবে।

তবে আপনার যা বক্তব্য অর্থাৎ ঈর্ষাতে আরো জোর দেওয়া উচিত ছিল, সেটা যে আমার মাথাতে আসেনি এমন না। তবে আমি চেয়েছিলাম, গল্পটাতে চমকটা রাখতে শেষ লাইন পর্যন্ত। আমার ভয় ছিলো বেশি ঈর্ষা দেখালে যদি পাঠক আগেই বুঝে যায় ঘটণা কি, তাহলে মজা নষ্ট হয়ে যাবে।

মন্তব্যের জন্য বিশেষত আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। এখন হাতে সময় একটু কম, তবে ভবিষ্যতে গল্পটা নতুন ফরম্যাটে লেখার একটা পরিকল্পনা আছে। দেখা যাক, তখন হয়ত আপনার পরামর্শ কাজে লাগবে।
-----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

আমার মনে হয়েছে ঈর্ষাটা একবার হলেও খুবি সাদামাটা ভাবে তুলে ধরলে দারুন হত । নতুন করে লিখে ফেল ! দারুন হবে ! গল্পটায় সত্যজিত গন্ধ পেয়েছি, দারুন লেগেছে, তোর পরীক্ষাপ্রস্তুতির কি অবস্থা ?

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

পরীক্ষা প্রস্তুতি ?

প্রশ্নের জন্য (বিপ্লব) এবং জাঝা
------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহাহাহাহা হো হো হো

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

রায়হান আবীর এর ছবি

অসাধারণ...লাস্টে ধাক্কা খেলাম...

সবজান্তা ভাই, পরীক্ষা তো আইসা পড়লো...আর সহ্য হচ্ছে না...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

সবজান্তা এর ছবি

ধন্যবাদ রায়হান আবীর হাসি

পরীক্ষার ব্যাপারে আমি আবার কিঞ্চিত দার্শনিক। সময় পেলে কোন একদিন এ নিয়ে আলোচনা করা যাবেখন।
-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আমি খেকশিয়াল-এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। ঈর্ষার ব্যাপারে কোনও পূর্বাভাস না থাকাতেই গল্পের শেষটি জম্পেশ হয়েছে। আকস্মিকতার এই চমকটিই তো গল্পটিকে নিয়ে গেছে আলাদা উচ্চতায়।

এই হলো আমার দু'আনা হাসি

গল্পটির জন্য আমার মুগ্ধতা গ্রহণ করুন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সবজান্তা এর ছবি

সব্বোনাশ ! এবার তো নড়ে চড়ে বসতেই হয় !!

সত্যি কথা যদি বলি, লেখক হিসেবে সবার মন্তব্যের জন্যই তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করি, সবার মতামতের প্রত্যেকটা অক্ষর পড়ি পরম মমতা নিয়ে। পাঠক হিসেবে তাই কেউ ফেলনা নন আমার কাছে। তবে তারপরও সন্ন্যাসী দাদার মত বিদগ্ধ পাঠক যখন গল্প পাঠ শেষে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন, তখন খুশির বাধ আসলেই ভেঙ্গে যায়।

অসংখ্য ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍সন্ন্যাসী দাদার মত বিদগ্ধ পাঠক...

অ্যাঁ

পাগল হইছেন নাকি?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রেনেট এর ছবি

আপনার মাথায় দেখা যায় গল্প খালি গিজগিজ করে! আমি যে কি ছাই পাশ লিখি... ভাবছি লেখালিখি ছেড়ে দিব। লজ্জা লাগে।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সবজান্তা এর ছবি

নারে ভাই ! আমার মাথায় মোটেই গল্প গিজগিজ করে না। এটা নিয়ে আমি সারা জীবনে সর্বসাকুল্যে গল্প লেখলাম পাঁচ কি ছয়টা।

বরং উল্টোটাই হয়, প্লটের জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকি, কিন্তু মাথা একদম ফাঁকা।

আর ভাই শোনেন, আপনি মোটেই ছাইপাশ লেখেন না, বরং আপনার লেখা ক্রিকেট ফ্যান্টাসী সিরিজটা দুর্দান্ত হচ্ছে। সচলায়তনে এমন মজার লেখা কমই পড়েছি।

ধৈর্য ধরে গল্প পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শেষে এসে যে ধাক্কাটা দিলেন যে কি আর বলব! সত্যি অসাধারণ! প্লট টা আসলেই খুব সুন্দর। শেষ লাইন পর্যন্ত না পড়লে তো বোঝারই উপায় নাই যে কি ঘটনা! আপনাকে অনেক অভিনন্দন চমৎকার লেখাটার জন্য। হাসি

স্বপ্নাহত এর ছবি

ভাল লেগেছে। পুরা সেইরকম...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এই সবজান্তা ভাই, আপনের বাসা কই? আজিজ সুপার মার্কেট থেকে মেমসাহেব বই কিনলেন শুনলাম? আমার অফিস গুলশান ১-এ, পারলে আইসেন!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সবজান্তা এর ছবি

ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী, স্বপ্নাহত এবং মৃদুল আহমেদ।

@ মৃদুল আহমেদঃ আমার বাসা গ্রীন রোডের দিকে।

গুলশান -০১ ? যাওয়া হয়না ওই দিকে, তবে গেলে অবশ্যই আসবো।

ভালো থাকবেন।
---------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সত্যজিতের জন্মদিনে সেরকম একটা গল্প পড়লাম।
অভিনন্দন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তারেক এর ছবি

ভালো লাগলো... দারুন!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দেরীতে হলেও পড়লাম গল্পটা... ভালো...
ঈর্ষার ব্যাপারটা কিন্তু টের পাওয়া যাচ্ছিলো কিছুটা...
আর একটা কথা বলি যদি মাইন্ড না করেন- গল্পের দুইটা চরিত্র... হায়দার আর রায়হান... একটু কেমন গোলমেলে লাগে... নামদুটো অনেকটা একই রকম... যে কোনও একটা নাম পাল্টে দিলে অমনোযোগি পাঠকদের ধরতে সুবিধা হয়।
(নাটক লেখতে লেখতে চরিত্রদের নামের ব্যাপারে এত চিন্তা ভাবনা করতে হয়, মাফ কইরেন)

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সবজান্তা এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ। নামের ব্যাপারটা মাথায় থাকলো।

মন্তব্যের ঘরেই স্বীকার করেছি, জীবনে এটা নিয়ে লেখা গল্প পাঁচ ছয়টার বেশি নয়, তাই এখনো বেশিরভাগ কায়দাই জানি না। নামের ব্যাপারে আপনার সাজেশনটা মাথায় রাখবো আজীবন। এ ধরণের গঠণমূলক উপদেশ সবসময়ই বেশ কাজে দেয়।

কষ্ট করে পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সবজান্তা এর ছবি

ধন্যবাদ পরিবর্তনশীল এবং তারেক হাসি
------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লেখা! তবে রায়হান আর হায়দার সাহেবের নামের গোলমালের ব্যপারটা আমারও মনে হয়েছিল। কিন্তু আপনার না পরীক্ষা??

সবজান্তা এর ছবি

নামের এই গোলমাল আর কোনও দিনও হবে না, কথা দিচ্ছি। লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমার পরীক্ষা ... ... ... ইয়ে হ্যা। কিন্তু আপনি কি , আমি যে ভাবছি সেই ?
-------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দারুণ লিখেছেন !
গল্পের শেষে ধাক্কা খেলে তার রেশটা থাকে অনেকক্ষন।
যেমন আপনার এই গল্পটা।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সবজান্তা এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
-----------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পের প্লট এককথায় অসাধারণ!

ফেরারী ফেরদৌস

সবজান্তা এর ছবি

দইন্যবাদ
----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

বজলুর রহমান এর ছবি

ঈর্ষার ব্যাপারটা এবুং কলমটি হাত বদলানোর সম্ভাবনা গল্পের ধারাবাহিকতায় যে-কোন মনোযোগী পাঠকের মনে আসা স্বাভাবিক। তবে পদ্ধতি এত ভায়োলেন্ট হবে, সেটা হয়তো "দুর্ঘটনার" আগে কারো মাথায় আসবে না। চমৎকার !

সবজান্তা এর ছবি

ধন্যবাদ, বজলুর রহমান ভাই !
------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

নিঘাত তিথি এর ছবি

থিম ইন্টারেস্টিং। এরকম অন্যরকম প্লট মাথায় আসাটা যেকোন লেখকের জন্য প্লাস পয়েন্ট। সাধুবাদ জানাই। তবে থিমটা কিছুদিন আগেই পড়া কনফুসিয়াসের "ইঁদুর" গল্পটার মত একেবারেই এক মনে হলো।

আর গল্পের কিছু বিষয়ে বলতে ইচ্ছা করছে। ঈর্ষার ব্যাপারটা চমক হিসেবে রাখার জন্য আগে একেবারেই এই বিষয়ে ধারণা দেয়া হয় নি বুঝতে পারছি। কিন্তু চমক রাখতে গিয়ে এটা হায়দার সাহেবের চরিত্র অংকনের দুর্বলতা হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে। মানুষ মেরে ফেলা তো এত সহজ ব্যাপার না; ঈর্ষার কারনে এতদিনের পরিচিত কলিগকে একেবারে মেরে ফেলার মত ঘটনা ঘটাতে পারছে যে লোক, তার চরিত্রে অন্তত কিছু অদ্ভুত আচরণ দেখানো যেতো আগে। নইলে শেষে এসে যে ধাক্কা লাগে তা কেবল পজিটিভ চমক না হয়ে খানিকটা নেগেটিভ হয়ে যায় এই অর্থে যে মনে হয়, এই লোক এই রকম কেন করবে? তার মোটিভ কি? সেখানে গল্প এবং চরিত্রের দুর্বলতাটা ধরা পড়ে।

এছাড়া প্রথম প্যারায় লিখেছেন,
রায়হান সাহেব চেয়ারে হেলান দিয়ে বললেন, “হায়দার সাহেব, ব্যস্ত নাকি ?” হায়দার সাহেব খাতার থেকে চোখ না তুলে কলম চালাতে চালাতেই বললেন, “ নাহ্‌ , তেমন ব্যস্ত না। কি হয়েছে বলেন” । রায়হান সাহেব গলার স্বরটা একটু সপ্রতিভ করে বললেন, “ না মানে, গতকাল আমেরিকা থেকে বাবুর এক রুমমেট এসেছে।” হায়দার সাহেব মুখে বললেন, “ ও আচ্ছা, তাই নাকি ! ”
এইটুকু জায়গার মাঝে এতবার রায়হান সাহেব, হায়দার সাহেব, রায়হান সাহেব, হায়দার সাহেব পড়ে পড়ে কেমন ক্লান্তি লাগে। একই কথা আরেকটু অন্য রকম করে সাজানো যেতো।

এই টুকটাক বিষয়গুলো মাথায় রাখলে হয়তো আরো ভালো লাগবে।

সবজান্তাকে ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

খেকশিয়াল এর ছবি

ধুর .. কি বলেন কনফু ভাইয়ের "ইঁদুর" এর থিমই তো আলাদা । এক লাগেনি মোটেও ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কনফুসিয়াসের 'ইঁদুর' গল্পের সাথে এই মিলের ব্যাপারে সবজান্তা কী বলেন?

সবজান্তা এর ছবি

ধন্যবাদ তিথি আপু এবং শিমুল ভাইকে। পরীক্ষা চলছে তাই উত্তর দিতে কিছুটা দেরি হলো।

তিথি আপু যখন প্রথম বললেন যে, এই গল্পটার কনফুসিয়াসের ইঁদুর গল্পের সাথে অনেকখানি মিল রয়েছে,তার আগে আমার ইঁদুর গল্পটি পড়া হয়নি, তিথি আপুর লিঙ্ক থেকেই গল্পটা পড়া। যদিও গল্পটার থিম পুরোপুরি এক এটা আমি বলবো না, তবে ক্লাইম্যাক্সটুকুর সজ্জাতে বেশ ভালো পরিমানে মিল রয়েছে।

ভীষণ বিব্রত বোধ করছিলাম তখন। উত্তর দেইনি এই কারনেই যে, এটা যে কাকতালীয় সেটা সবাই বুঝতে পারবে এই আশাতে। কিন্তু শিমুল ভাই এর প্রশ্নে মনে হল, কোথাও একটা জবাবদিহিতার কিছু "হয়তো" রয়ে গিয়েছে।তাই আজ এর উত্তর দিচ্ছি।

একই ব্লগসাইটের একজন স্বনামধন্য লেখকের গল্প এর ক্লাইম্যাক্সকে হুবহু মেরে দিয়ে নিজের গল্প বানানোর মত সততা অভাব যদি থেকেও থাকে, দুটো গল্পের কমন পাঠকেরা যে সহজেই আমার "চৌর্যবৃত্তি" ধরে ফেলবে - এতটুকু বুদ্ধি নিশ্চয়ই আমার আছে। কপি পেস্ট করলে আশা করি সচলায়তনেই লেখাটা দিতাম না।

হুবহু মেরে দেওয়া ছাড়া আর যে সম্ভাবনাটা মাথায় আসতে পারে, সেটা হচ্ছে গল্পের ছায়া অবলম্বন কিংবা ভাব অবলম্বনে লেখা কিংবা অণুপ্রানিত হয়ে লেখা।

আমার ধারণা আমরা যারা সচলায়তনের মত ক্লোজড এবং হাইলি মনিটরড প্ল্যাটফর্মে ব্লগিং করি,তাদের মধ্যে অন্তত এতটুকু সভ্যতা এবং ভব্যতা বোধ আছে যে, ছায়া অবলম্বন কিংবা অণুপ্রানিত হয়ে লিখলে মূল লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবো। এ যুক্তিটা হয়তো অকাট্য নয় - কারন এটা অনেকাংশে নির্ভর করছে সাধারণ একজন সচল কিংবা আরো নির্দিষ্ট করে বললে, আমার রুচি, সততা এবং বিবেচনাবোধের উপর আস্থা কেমন। যদি সে প্রেক্ষিতে কারো মনে হয়ে থাকে, এমন কিছু আমি করেছি, সে ক্ষেত্রে আমার বলার কিছু নেই।

ধারণা করেছিলাম, এটা যে নিতান্ত কাকতালীয় একটা ঘটনা সেটা কাউকে এরকম খন্ডন করে বোঝাতে হবে না। কিন্তু বাস্তবতা তেমনটা নয় দেখেই স্পষ্টতই প্রচন্ড বিব্রত এবং অস্বস্তিবোধ করছি।

এর চেয়ে বেশি কিছু আর বলার নেই। জানি না, জনমনে জন্ম নেওয়া সন্দেহ দূর করতে পারলাম কিনা।


অলমিতি বিস্তারেণ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

প্রিয় সবজান্তাঃ
গল্প দুটোর মাঝে মিল পেয়েছি বলেই প্রশ্ন রেখেছি।
এ প্রশ্নে যা ছিল তা কেবলই ঔৎসুক্য। জবাবদিহিতা নয় মোটেও।
সেটা আমার কম্ম কিংবা উদ্দেশ্য নয়।
'মেরে দেয়া' কিংবা 'চৌর্য্যবৃত্তি'র অভিযোগও ছিলো না।

আপনি যেমন বলেছেন, সচলের মতো ক্লোজড-হাইলি মনিটরড প্লাটফর্মে সবার লেখা সবাই পড়ে, জানে, বুঝে। ঠিক এ জায়গাটিতেই আমি যখন এরকম মিল খুঁজে পাই, তখন আগ্রহ জাগে - খুব কাছাকাছি সময়ে দু'জন ভিন্ন মানুষ একই রকম ভাবছেন, গল্প লিখছেন!
।। এরকম মিলের ব্যাপারটিকে আমি খুব অসম্ভব ঘটনা বলে মনে করি না ।।

আপনি বিব্রতবোধ না করে, কাকতালের স্পষ্টতা প্রকাশ করলেই সমীচিন হতো। সেটা না করে 'জনমনে সন্দেহ দূরীকরণের' প্রয়াসে যে মন্তব্য রাখলেন সেটা পুরো বিষয়কে ভিন্নখাতে এবং ভুল ব্যাখ্যায় নেয়ার অনেক সুযোগ তৈরি করে দেয়। আশা করছি, এ ব্যাপারটি ভেবে দেখবেন।

ভালো থাকবেন।

সবজান্তা এর ছবি

শিমুল ভাই

আমি আমার প্রথম মন্তব্যেই বলেছি যে, আমার ধারণা ছিলো যে কেউ এমন ঘটনা থেকে আঁচ করতে পারবে যে, এটা নেহায়েত কাকতাল। কিন্তু আপনাদের মত দু জন অভিজ্ঞ ব্লগার এবং পাঠক যখন প্রশ্ন তারপরও করলেন, তখন আমার মনে হয়েছে, এ ব্যাপারে একটা সেলফ জাস্টিফিকেশনের প্রয়োজন আছে হয়তো।

ভিন্নখাতের নেওয়ার যে কথা আপনি বললেন, সে কারনেই আমি প্রথমে উত্তর দেইনি- কারন যে ব্যাপারটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, সে ব্যাপারে উত্তর দিলেই কেমন যেন চুরি করে ধরা পড়ার পর নিজেকে নির্দোষ দাবী করার মত শোনায়। এই কারনেই একটা মন্তব্য লিখেও তা মুছে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে প্রশ্নটা আবার ওঠাতে এবার এই "ঠাকুর ঘরে কে - কলা খাই না" জাতীয় মন্তব্য করে উত্তরটা দিতে হল। যে প্রশ্নের উত্তর সবাই জানে, সেটা আবার বলার কিছু নেই ভেবেই প্রথমে উত্তর দেইনি, আর কিছু নয়।

আমার মন্তব্যে যদি আপনি কোন ক্রমে আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি তার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।

ভালো থাকবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কেন জানি মিলাতে পারছি না।

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সবজান্তা এর ছবি

পরিবর্তনশীল, কি মেলাতে পারছেন না ?


অলমিতি বিস্তারেণ

নিঘাত তিথি এর ছবি

প্রিয় সবজান্তা,
সচলে মন্তব্য এবং সেই মন্তব্যের জবাব দেয়ার সুন্দর অপশন রয়েছে। এটাই আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যম। আমার এত বড় মন্তব্যের পরে আপনার কোন উত্তর না পেয়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে খারাপ লেগেছিলো। আমার প্রশ্নে আপনাকে বিব্রত করার তো কিছু ছিলো না। পর পর পড়া দু'টো গল্পের মিল দেখে কৌতুহল জাগা মনে, লেখককে কাছে পেয়ে প্রশ্নটা রাখা- এই। গল্প নিয়েও অনেক মন্তব্য করেছি, সেই নিয়েও কোন আওয়াজ আমি পাই নি। যাহোক, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে পরবর্তী মন্তব্যগুলো থেকে বুঝলাম, বিরাট ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেছে। কেন হলো, বুঝছি না। এই প্রসংগে আমি যা বলতে চেয়েছি শিমুল দেখি তার দ্বিতীয় মন্তব্যে তা-ই বলে গিয়েছে। এরপরে আর কিছু বলার ছিলো না। তবু আজ হঠাৎ মনে হলো, সেই কথাটাই রিপিট করি, সচলায়তনের প্রিয় পরিসরে এই রকম অপ্রত্যাশিত ভুল বুঝাবুঝিটা ভালো লাগছে না বলেই। দুঃখবোধ করছি, সেই অনুভব থেকেই এইটুকু লিখা। আপনি ভালো থাকুন। আরো লিখুন।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সবজান্তা এর ছবি

দুঃখিত তিথি আপু, বিলম্বিত উত্তরের জন্য, আসলে আজই খেয়াল করলাম আপনার এই মন্তব্যটা।

এমন নয় যে আমি আপনার সেই মন্তব্যের উত্তর দেইনি, আমি একটা উত্তর দিয়েছিলাম আপনার মন্তব্য দেখার সাথে সাথেই। কিন্তু সেই সময় বিব্রতবোধের চূড়ান্তে থাকার কারনে উত্তরটা নিজেরই জুতসই মনে হচ্ছিল না। তাই সেই মন্তব্যটা মুছে দিয়েছিলাম এবং ভেবেছিলাম পরীক্ষাটা শেষ হলে কিছু একটা লেখবো। এরপর চিন্তা করে দেখলাম, এটা যে নিতান্তই কাকতাল সেটা আলাদা করে লেখাটা অনেকটা ঠাকুর ঘরে কে ধরণের ব্যাপারে হয়ে যায়, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এই মিলের ব্যাপারে আমি কিছুই বলবো না। আশা করেছিলাম, সকল সচলই বুঝতে পারবেন যে এটা কাকতালীয় ঘটনা। তবে লেখার ব্যাপারে আপনার অন্যান্য মতগুলির ব্যাপারে কিছু একটা নিশ্চয়ই লেখতাম। এর মধ্যে পরীক্ষার ডামাডোলে এর কথা ভুলেও গিয়েছিলাম, হঠাৎ দেখি শিমুল ভাই এর মন্তব্য। বুঝতে পারলাম যে, আমার ধারণা ঠিক না, এক ধরণের এক্সপ্ল্যানেশন হয়ত সবাই চাচ্ছে। তাই সেই প্রতিমন্ত্যবের অবতারণা।

যে ভুল বোঝাবুঝিই হোক, আশা করি তা শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার সাজেশনগুলিও মাথায় রেখেছি, আশা করি পরবর্তীকালে সেগুলি প্রয়োগ করতে পারবো।

অনেক ধন্যবাদ।


অলমিতি বিস্তারেণ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।