দ্বীপবাসী দিন ১১

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৪/২০১০ - ১১:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে বের হয়েই ভ্যাপসা গরমে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। বাসস্টপে ১৫১ বাসের জন্য অপেক্ষা। বাতাসের দেবতার ঘুম ভাঙ্গেনি, সাথে যোগ হয়েছে চিটচিটে আর্দ্রতা। সমুদ্রঘেরা গোবেচারা দ্বীপদেশের এই এক প্রব্লিমিটি- ভেজা, বিরক্তিকর আর সূচের ফলার মত গরম বাতাস।

বাসা থেকে বের হয়ে দুটো ব্লক পরে ক্লেমেন্টি রোড, ওভারব্রীজ পেরোলেই লাগোয়া বাসস্টপ, পাশে বেমানান একটা পার্ক, একটা পায়ে চলা রাস্তা, একজন ঝাড়ুদার অবেলায় ঝাড়ু দিচ্ছে। আলসে পাতাগুলোর রাস্তা থেকে সরে যেতে যেন রাজ্যের অনিচ্ছা, নিতান্তই ঝাড়ুর বাড়ি না খেয়ে কেউ সরবে না। দুপাশে অবিন্যস্ত ঘাস, কয়েকটা হয়তো শিরিষগাছ, বড় বাচ্চাদের ব্যায়াম আর বসার জন্য কয়েকটা উদ্ভট ইট-পাথর-বালুর ব্যক্তিত্বহীন কাঠামো।

বাসস্টপে আমার থেকে দশ হাত দূরে দাড়ানো এক বৃদ্ধ, গায়ে গোলাপি পোলোশার্ট, বেল্টে গোঁজা। ঘিয়ে রঙের হাফপ্যান্ট, বয়স হয়ত সত্তর পেরিয়ে গেছে। ওকে আমি চিনি। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যান্টিনে কাজ করে। গরমে নির্বিকার, দুমিনিট দাঁড়িয়ে কাঁপা হাতে বেঞ্চটা ধরে বসে পড়লো।

এখানে এই বয়সেও মানুষকে কাজে যেতে হয়। গরমে, বৃষ্টিতে, দিনে কিংবা রাতের শিফটে। ষাটের কোটায় যারা তারা ট্যাক্সি চালায়- পরিশ্রম কম, অনেককেই দেখেছি রাতের শিফটে ট্যাক্সি চালাচ্ছে। কারো ছেলে হয়ত ডাক্তার, কারো ব্যবসায়ী, কারো সন্তান বাড়ি কিনে সরে গেছে দূরে। ওরা এখন একাকী, এবং ব্যস্ত। জীবন চালাতে কাজ, থেমে যাবার আগ পর্যন্ত।

টিভিতে মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপণ দেখি- সপ্তাহে অন্তত একটা রাতে পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার উপভোগ করুন। আমার বাসার পাশেই একটা বৃদ্ধাশ্রম আছে, ছুটির দিনে ঘুম ভাঙ্গে সেখান থেকে মাইকে ভেসে আসা ঘড়ঘড়ে শব্দে। বহুদিন পরে সেদিন বুঝতে পারলাম, এটা সাপ্তাহিক একটা সমাবেশ। ছেলে-মেয়েরা আসে, ঘন্টাখানেক সময় দেয়, তাদেরকে নেচে-গেয়ে দেখাতে হয় যে তাদের ফেলে যাওয়া, পরিত্যক্ত প্রবীণ আত্মাগুলি এখনও বেঁচে আছে।

যদিও দশ মিনিটের মধ্যেই বাস আসার কথা, পাক্কা উনিশ মিনিট পর বাস আসলে সেই বৃদ্ধ আর আমি বাসে উঠে কার্ড ট্যাপ করে বসার জায়গা খুঁজি। নেই। তবু বাইরের গরম থেকে তো বাঁচোয়া। ক্যাম্পাস বেশি দূরে নয়, আট মিনিটের বাসদূরত্ব।

বাইরে তাকিয়ে দেখি, ফেলে আসা বাসস্টপটাও যেন একটা একাকী বৃদ্ধ, এই গরমে সঙ্গীহীন, ফেলনা হয়ে দাড়িয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে জানালার ওপারে।

বেলা তিনটা পর্যন্ত ভ্যাপসা গরম নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে বিকেলে তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো এই দ্বীপে। ল্যাবের ঘোলাটে কাচের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি ক্ষুব্ধ মেঘমালা। ওপাশে পাহাড় বেয়ে গড়িয়ে পড়ে তুমুল জলধারা, কার উপর তারা ক্ষুব্ধ কিংবা বিচলিত জানা হয় না। একটা শাটল বাস বোকার মত রাস্তায় নেমে কাকভেজা হয়, বৃষ্টিছাটের একটা ঘুর্ণিবর্ত তাকে পাকড়াও করে, তার মরিয়া যান্ত্রিক গর্জন গিলে খেয়ে ফেলে দূরের একটা বিজলি।

ভাবি, সেই বৃদ্ধলোকটি কিংবা মৃতপ্রায় পার্কের পাশের একটা একাকী বাসস্টপ এখন কী করছে।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যথারীতি সুন্দর লেখা।

তবে আমার চোখ থামলো একটা জায়গায়। আট মিনিটের বাস দূরত্ব। যেন রাস্তাটা মাপা। ঠিক আট মিনিটেই পৌছেঁ যাওয়া যাবে। হেরফের হবে না।

আমাদের এভাবে কথা বলার সুযোগ হবে কখনো? আমাদের রাস্তার সম্ভাব্য দূরত্ব কমপক্ষে আধাঘন্টার আশে পাশে থাকে। ধরেন আমরা রওনা হওনের সময় বলি- এক দেড় ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবো আশাকরি, তবে জ্যাম বেশি থাকলে ঘন্টা দুই আড়াই লাগতে পারে। মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মজাটাই এখানে নজু ভাই। কোথাও কোনো এ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে নেটে দেখে হিসেব করে বেরুতে পারবেন। ঠিক কয়টায় আপনার বাসার নিচের বাসস্টপে বাস এসে থামবে, ঠিক কতো মিনিট পরে সেটা ট্রেইনস্টেশনে গিয়ে থামবে, ওখানে ঠিক কতো মিনিট অপেক্ষার পর আপনার কাংখিত ট্রেইনটা এসে আপনাকে উঠিয়ে নিয়ে আপনার জায়গায় নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে ঠিক কতো মিনিট পরে একটা ট্রাম ধরতে হবে আপনাকে। আর সেই ট্রামটা ঠিক কতো মিনিট আপনাকে পেটে ধরে রেখে আপনার এ্যাপয়েন্টমেন্টের স্থলে নামিয়ে দেবে।

মাঝে মাঝে আফসুস হয়, শালার কখনো কি নিজের দেশে এই সুবিধাগুলো দেখতে পাবো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কখনো কি নিজের দেশে এই সুবিধাগুলো দেখতে পাবো!
কেমনে? ১৯৯২-১৯৯৪ সনে মিরপুর থেকে মতিঝিল যেতাম গড়ে ১ঘন্টায়। ২০০০-২০০২ এ সেটা বেড়ে দাঁড়ায় সোয়া এক থেকে দেড় ঘন্টা। ২০০৯এ মিরপুর ১১ নম্বর থেকে শেওড়াপাড়া যেতে সময় লেগেছে ৪০মিনিট থেকে ১ ঘন্টা, যেটা আগে ১২-১৫ মিনিটের রিক্সা-দুরত্ব ছিল। তাহলে অনুমান করি এখন মিরপুর থেকে মতিঝিল যেতে কমপক্ষে ২ঘন্টা লাগবে।

তাহলে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ১২ ঘন্টার এক তৃতীয়াংশ সময় যাবে শুধু বাসা-অফিস করতে। মানুষ কাজ করবে কখন?

ফারুক হাসান এর ছবি

সিঙ্গাপুরে পাবলিক বাস এবং ট্রেন সার্ভিস বলতে গেলে খুবই উন্নত। এর একটা বড় কারণ দেশের আয়তন খুবই ক্ষুদ্র এবং এর সদ্ব্যবহার করতে এরা ব্যক্তিগত গাড়িকে নিরুৎসাহিত করে বিশাল পরিমাণের ট্যাক্স আরোপ করে। ধুগো যেটা বলেছেন, কোথায়ো বেরুতে গেলে শুধু অন্তর্জালে একটু সময়সূচী দেখে নিলেই যথাসময়ে পৌছানো যায়। বাসা থেকে বের হবার আগে আমি প্রায়ই দেখে নেই বাসস্টপে পরবর্তী বাসটা কখন এসে পৌছাচ্ছে। আর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রিত থাকে বলে আট মিনিট সময়টাও বলতে গেলে ধরাবাধা। আজ সকালে সাড়ে আটটায় মিটিং ছিল, আটটায় ধীরেসুস্থে ঘুম থেকে উঠেও ঠিকমতই পৌঁছেছি।

এসব দেখে কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয় ঢাকাবাসীর জন্য। গতবছর আমি যে কয়বার উত্তরা থেকে বুয়েটে (পলাশী) গেছি, আমার খবর হয়ে গেছে জ্যামে বসে থাকতে থাকতে। এক ঘন্টার কাজ করতে গিয়ে রাস্তায় যেতে আসতে সাড়ে পাঁচঘন্টা খরচ, একই সময়ে বাসে সিঙ্গাপুর থেকে কুয়ালালামপুর চলে যাওয়া যায়। আর (যদিও প্লেনে) ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরে আসতে লাগে চার ঘন্টা!

মামুন হক এর ছবি

বেলা তিনটা পর্যন্ত ভ্যাপসা গরম নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে বিকেলে তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো এই দ্বীপে। ল্যাবের ঘোলাটে কাচের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি ক্ষুব্ধ মেঘমালা। ওপাশে পাহাড় বেয়ে গড়িয়ে পড়ে তুমুল জলধারা, কার উপর তারা ক্ষুব্ধ কিংবা বিচলিত জানা হয় না। একটা শাটল বাস বোকার মত রাস্তায় নেমে কাকভেজা হয়, বৃষ্টিছাটের একটা ঘুর্ণিবর্ত তাকে পাকড়াও করে, তার মরিয়া যান্ত্রিক গর্জন গিলে খেয়ে ফেলে দূরের একটা বিজলি।

--কবিতার মতো ভালো পাইলাম বেয়াই।

আপনার শহরের বৃষ্টি এখন এখানে। কিন্তু আপনার কোন পত্র পাইলাম না বৃষ্টি ফোঁটায়। জামাই বাবাজি ভালো আছেতো?

ফারুক হাসান এর ছবি

আপনার ওখানে বৃষ্টি! ভালো, ভালো। আমার এখানে আজও তুমুল বর্ষন হয়ে গেল মাত্র।

আপনার জামাই বাবাজি ভালো আছে, এখনও দাঁত ওঠেনি, তবু খিচুড়ি খাওয়া ধরেছে। আর, সকাল বিকাল ব্যায়াম করছে, যদিও আমরা সেটা হামাগুড়ির প্রচেষ্ঠা হিসেবেই ভেবেছি, কিন্তু তার মনে কী আছে কে জানে!

আমার বউমা আর তার বোন তো দিন দিন পরীর মত সুন্দর হচ্ছে! লেটেস্ট খবর কী ওদের? আপনি কিপ্টা আছেন, দুয়েকটা মজার ঘটনা নিয়ে পোস্টান তাড়াতাড়ি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বেয়াই, বউমা, জামাই-- ঘটনা কী?

ফারুক হাসান এর ছবি

আমার বেয়াই মামুন ভাই
তার বেয়াই আমি
উকিল বাপ ধুগো হৈল
জানে অন্তর্জামী!!!!
(বলেন, সুভানাল্লাহ)

রানা মেহের এর ছবি

আপনার সব লেখাই দেখি কবিতার মতো হয়ে যায়
কাহিনী কী?
(ভালো অর্থে বলা কিন্তু....)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ফারুক হাসান এর ছবি

জাফর ইকবালের ভূত সমগ্র পড়ে আমার আসলে ভূতে ধরেছে, এই হলো আসল কাহিনী চোখ টিপি

তিথীডোর এর ছবি

যথারীতি কবিতার মত,
যথারীতি সুন্দর!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ফারুক হাসান এর ছবি

আর বানান?

তিথীডোর এর ছবি

আমার সেন্স অফ হিউমার একেবারেই কম,
খোঁচা দিলেন কিনা কে জানে! চিন্তিত

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি


একনজরে দুটো টাইপো চোখে পড়েছে,
দাড়িয়ে> দাঁড়িয়ে
পরিয়ে গিয়েছে> পেরিয়ে গিয়েছে

আপাততঃ অন্য কাজে আছি,
আর বুনোপাই তো আছেন হাসি
ভালো থাকুন!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ফারুক হাসান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আমার পোস্টে বানান ধরিয়ে দিতে কোন দ্বিধা করবেন না হাসি

দ্রোহী এর ছবি

কবিদের গদ্যে আলাদা একটা গন্ধ থাকে...

ফারুক হাসান এর ছবি

গন্ধটা রাখবো না ঝেড়ে ফেলবো, বুঝতেছিনা। আপ্নে কী বলেন?

দ্রোহী এর ছবি

থাকলে খারাপ হয় না। পড়তে তো ভালোই লাগে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখাটা না... ক্যামন যেন...

মানে বাসস্টপ, রাস্তার বর্ণনা, টিভি বিজ্ঞাপণ, বুড়োবুড়ি- হঠাৎ শেষ হয়ে যাওয়া...

এই সিরিজের অন্য যেই লেখাগুলো পড়েছি, সেই লেখাগুলো অনেক স্পষ্ট...
এই লেখায় সেটা নয়। ঠিক শব্দে না, আপনি যেন না বলে কিছু একটা বোঝাতে চাইলেন। এইটার কারণ মনে হয় দ্রুহী মেম্বর বলে গেছেন...

_________________________________________

সেরিওজা

ফারুক হাসান এর ছবি

অভিযোগ মাথা পেতে নিলাম। ব্যস্ততা যাচ্ছে, তবু লিখতে ইচ্ছে করলো, কিন্তু বেশি লিখতে পারলাম না। অস্পষ্টতার কারণ এটাই।

আসলে যখন দেখি এখানে সত্তর বছরের বৃদ্ধ মানুষকেও কাজ করতে হচ্ছে, তখন মনে হয় ওরা উন্নত হতে পারে, কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে আবার পাষন্ডও। বাংলাদেশে এখনও মানুষ বাবা-মা কে নিজের কাছে রাখে, সেবা না করুক, অবহেলা করে না।

স্পষ্টতই লেখায় এই বিষয়টা আসে নি, হয়ত আসলে পূর্ণতা পেত পোস্টটা। আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মন্তব্যে মনে হয় নিজেকে ঠিক মত বোঝাতে পারলাম না, ফাহা ভাই...

এ অস্পষ্টতা সে-ই আক্ষরিক অস্পষ্টতা নয়। আপনি যেন মুখে বললেন না, অথচ বুঝে নিলাম আপনি কী বলছেন, আপনার কবিত্ব ঢং-য়ে দিনলিপি পাঠের কথাটা এভাবে বললাম আরকি... অপূর্ণ কোন পোস্ট আপনি লেখেন নাই, তবে হ্যাঁ- লেখার দৈর্ঘ্যের জন্যে আপনাকে অবশ্যি অভিযুক্ত করা যায়... দেঁতো হাসি

...ওল্ডহোম কন্সেপ্টটা বুঝতে শেখার পর থেকেই আমার ভালো লাগেনি। কোথায় যেন পড়েছিলাম, কাশ্মীরে গৃহপালিত ঘোড়াদের বয়স হবার পর তাদের পাহাড়ের ঢালে ছেড়ে দেয়া হয়, সেখানে তারা অনাহারে মরে ধীরে ধীরে। আমার কেবল ঐ ঘোড়াদের কথা মনে পড়ে...

_________________________________________

সেরিওজা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।