পাঠ্যবই শিশুদের যা শেখাচ্ছে, যেভাবে শেখাচ্ছে - ১

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৫/২০০৮ - ২:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত পঞ্চম শ্রেণীর আমার বাংলা বই-তে একটি গল্প আছে- শহীদ তিতুমীর। বীররসে ভরা এই গল্পটি দিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কী শেখাচ্ছি- চলুন দেখা যাক।

লেখক চেষ্টা করেছেন একটি আকর্ষণীয় বাক্য দিয়ে গল্পটি শুরু করার। প্রশংসনীয় চেষ্টা। সেটি করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন- তেতো, তিতু, তিতুমীর। শুনতে বেশ অবাক লাগছে, তাই না? তা হলে খুলেই বলি। গল্পটি যখন প্রথমবার পড়ি, তখন এর গঠনশৈলীতে বিরক্ত হয়েছিলাম। বাক্য হিসেবে এটিকে মোটেই আকর্ষণীয় মনে হয় নি। পরে ভেবে দেখলাম, আমার কাছে আকর্ষণীয় মনে না হলেও অন্যদের কাছে হয়তো আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। বিশেষ করে যারা এটি পড়বে, অর্থাৎ পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের কাছে এটি হয়তো বেশ আকর্ষণীয় কিছু হতে পারে। তাদের কাছে অবাক লাগতে পারে। সে কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি তাদের কাছে বাক্যটি কতটুকু আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে? বাক্যটি তাদের ভালো লেগেছে কিনা? তাদের শুনতে বেশ অবাক লাগছে কিনা? কেন অবাক লাগছে? উল্লেখ্য, আমি এখানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডমিনেটিং এই প্রশ্নগুলো করেছি। প্রশ্নগুলো করার সাথেসাথে আসলে আমি শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি- বাক্যটি আসলেই আকর্ষণীয় এবং শুনতে বেশ অবাক লাগছে।

আমি যে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি- তাদের কেউ কেউ ঢাকার, কেউ বা আবার একেবারে গ্রামের- কিন্তু তারা কেউই মনে করে না যে এটি একটি কোনো আকর্ষণীয় বাক্য। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বাক্যের আকর্ষণীয়তা নিয়ে মাথা ঘামাবে- এটি আশা করা বাড়াবাড়ি, কিন্তু তাদের কাছে বাক্যটি ভালো লাগে নি। এই ভালো লাগা বা না লাগাটা তাদের কাছে একটি বড় ব্যাপার। ভালো না লাগার মাধ্যমেই এটি যে আকর্ষণীয় নয়, তা বোধহয় বলা যায়। তাদের কেউ কেউ উল্টো অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছে- এখানে অবাক লাগার কী হলো?

যা হোক, এই লেখার আলোচনার উদ্দেশ্য অবশ্য বাক্যের গঠনশৈলী নয়। বিষয়বস্তু দেখা। তিতুমীরের পরিচয় দিতে গিয়ে লেখক লিখেছেন- এ গ্রামে বাস করত এক বনিয়াদি মুসলিম পরিবার। সৈয়দ বংশ। এই বংশে জন্ম নেয় এক শিশু। ছোট্ট শিশুটি ছিল যেমন দেখতে সুন্দর তেমনি বলিষ্ঠ তার গড়ন। তো, এর মাধ্যমে আসলে শিশুদের কী শেখানো হচ্ছে?

খুব পরিষ্কারভাবেই এখানে বুঝানো হচ্ছে, সৈয়দ বংশ হচ্ছে বনিয়াদি পরিবার। হতে পারে। কিন্তু শহীদ তিতুমীরের কর্মের সাথে সৈয়দ বংশ বা বনিয়াদি পরিবারের যোগসূত্রটি কী? সৈয়দ বংশ বা বনিয়াদি পরিবারের কারণেই কি তিনি বিখ্যাত শহীদ তিতুমীর হয়েছেন? যদি হতেন, তাহলে এই শব্দগুলো ব্যবহারের একটি যথার্থতা হয়তো থাকতো। ‘বনিয়াদি’ এবং ‘সৈয়দ বংশ’ শব্দগুলো ব্যবহার করে এখানে আসলে শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই জাতপাতের ব্যবধান যে আছে, সেটি শেখানোর পাশাপাশি শিশুর চিন্তন জগতে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। গল্পটি পড়ে কোনো বিদ্যালয়ে থাকা সৈয়দ বংশের বা নামের আগে সৈয়দ আছে এমন একটি শিশু যদি নিজেকে বনিয়াদি মনে করে এবং অন্য শিশুরা এতে হীনমন্যতা বোধ করে, তাহলে এর দায়ভার কার কাঁধে চাপবে? এতে কি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিশুকে জাতের অহমিকা শেখানো হচ্ছে না?

পরবর্তী লাইনগুলোতে রয়েছে- শিশুটি ছিল খুব জেদি। শিশুকালে তার একবার কঠিন অসুখ হল। রোগ সারানোর জন্য তাকে দেওয়া হলো ভীষণ তেতো ওষুধ। এমন তেতো ওষুধ শিশু তো দূরের কথা বুড়োরাও মুখে নেবে না। অথচ এই ছোট্ট শিশু বেশ খুশিতেই খেল সে ওষুধ। প্রায় দশ-বারদিন এই তেতো ওষুধ খেল সে। বাড়ির লোকজন সবাই অবাক। এ কেমন শিশু, তেতো খেতে তার আনন্দ!

এখানে মূল কথা হচ্ছে, শিশুটি জেদি। সে যে জেদি সেটি প্রমাণ করার জন্য তেতো ওষুধ খাবার প্রসঙ্গটি এসেছে। সত্যিই কি এর মাধ্যমে তিতুমীরের চরিত্রটি যে জেদি সেটি প্রমাণ করা গেছে? আনন্দের সাথে তেতো ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে জেদের সম্পর্কটি যে কী, তা ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি। হতে পারে, কোনো কারণে শিশুটি ওষুধটি পছন্দ করে খেয়েছে, কিন্তু জেদ করে খেয়েছে কিনা, তা কিন্তু বলা নেই। শিশুকালে মানুষের কিছু ব্যক্তিগত মিথ থাকে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের তো আরো বেশি থাকে। এটি সেরকম একটি মিথ বলেই মনে করা হয়। তাছাড়া শিশুটি যে বেশ খুশিতেই ওষুধটি খেলো কিংবা ওষুধ খেতে তার আনন্দ বাক্যগুলো লেখকের আবেগের আতিশয্যই প্রকাশ করেছে, তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা নয়। ছোটবেলা থেকেই যদি এভাবে পরোক্ষে শিশুদের বস্তুনিষ্ঠাহীনতার চর্চা করানো হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে তাদের কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠতার চর্চা কি আশা করতে পারি? (চলবে)


মন্তব্য

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

গৌতম, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শিশুদের বিষয় নিয়ে কম লোকে মনোযোগী হয়। আমার অনুরোধ থাকবে, এটিকে এমনভাবে লেখা, যাতে এটাকে পরে আস্ত একটি পুস্তিকা হিসাবে প্রকাশ করা যায় এবং তা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা যায়।


মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

গৌতম এর ছবি

ঠিক এটিকে হয়তো পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা যাবে না। তবে এখন থেকে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা-উপকরণ নিয়ে কিছু ধারাবাহিক লেখার চিন্তা আছে। আপনার মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন উদাহরন অনেক আছে । তার মধ্যে একটি তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

অভী আগন্তুক
-------------

গৌতম এর ছবি

আসলেই এরকম উদাহরণ অনেক আছে। আমি চেষ্টা করবো একটি একটি করে তুলে ধরতে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তীরন্দাজ এর ছবি

আমাদের শিক্ষানীতির মূল হোতা যারা, তাদের মাথায় গোবর বোঝাই। এরা নিজেদের খেয়াল খুশীতেই চলে। সেখানে সচতনতা তৈরী করার যে প্রয়াস আপনার, অবশ্যই প্রশংসনীয়।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

গৌতম এর ছবি

আপনার উদ্বেগ ভালো লাগলো। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে শিক্ষানীতির মূল হোতা যারা, এ বিষয়ে তাদের অনেকের চমৎকার আইডিয়া আছে। কিন্তু অধিকাংশরেই আসলে কিছু করার মতো ক্ষমতায় নেই। যার ভালো করার মতো জ্ঞান আছে, তার সেটি করার ক্ষমতা নেই। ট্র্যাজেডিটা সেখানেই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার চেষ্টা সফল হোক। আমাদের শিশুরা সুস্থ্ শিক্ষায় শিক্ষিত হোক।
কীর্তিনাশা

গৌতম এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ, কীর্তিনাশা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

পরবর্তী লাইনগুলোতে রয়েছে- শিশুটি ছিল খুব জেদি। শিশুকালে তার একবার কঠিন অসুখ হল। রোগ সারানোর জন্য তাকে দেওয়া হলো ভীষণ তেতো ওষুধ। এমন তেতো ওষুধ শিশু তো দূরের কথা বুড়োরাও মুখে নেবে না। অথচ এই ছোট্ট শিশু বেশ খুশিতেই খেল সে ওষুধ। প্রায় দশ-বারদিন এই তেতো ওষুধ খেল সে। বাড়ির লোকজন সবাই অবাক। এ কেমন শিশু, তেতো খেতে তার আনন্দ!

বাচ্চাদেরকে কি sadism শেখানর চেষ্টা হচ্ছে নাকি ?

- এনকিদু

গৌতম এর ছবি

কি জানি, হতেও পারে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নুশেরা তাজরীন এর ছবি

গৌতম, আপনার উদ্বেগ খুবই সময়োপযোগী। অকুন্ঠ ধন্যবাদ।

একজন মা হিসেবে শিশুপাঠ্যের এই হালে আমি শংকিত। বাংলা বর্ণমালা শেখার সিডিতে চ্যানেল-আই-তারকার কন্ঠে তালিবশ্শ, মূদ্ধন্য, দন্তিঅস্সো, বর্গীঅজ্জো, অনুস্কার - এসব শুনতে হয়। আজকালকার স্কুলের শিক্ষকরা এর চেয়ে খুব বেশী ভাল হবেন, এ আশা করিনা।

গৌতম এর ছবি

এমনকি বাংলা বিভাগ থেকে পাশ করা অনেকেই উম, নিয় উচ্চারণ করেন। তবে এ বিষয়ে অনেকেই এখন কাজ করছেন। তাদের দেখে আশা জাগে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

কী বলব দুঃখের কথা। এজন্য বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে রীতিমতো ভীত, সন্ত্রস্ত আমি। তিন বছর হয়েছে বাচ্চার। হয়তো বলবেন ভীত হওয়ার আবার কী হলো। ঐ একই কারণ- বইয়ের যেমন বেহাল দশা, শিক্ষকের দশাও তাই। আমার বাচ্চাকে কেউ ভুল ইংরেজি শেখালে আমি কিছু মনে করবো না কিন্তু বাঙলা ভুল করলে এর চেয়ে দুঃখের কথা আর কী হতে পারে। পয়সা দিয়ে সিডি কিনবেন তাতেও ভুল উচ্চারণ। কোথায় যাবেন। নুশেরা আপাকে বলবো সিডি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবুন। পাগলামো না, সত্যি। আমি ভীষণ বিরক্ত। তাই ভাবছি সব ছেড়েছুড়ে বাচ্চাকে অন্তত বর্ণমালাটা সঠিক উচ্চারণে শেখাতে হবে।

জিজ্ঞাসু

গৌতম এর ছবি

মামলা করে কি লাভ হবে? এ ব্যাপারে মূল ভূমিকা পালন করার কথা ছিলো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর- এনসিটিবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমী প্রভৃতির। তাদের উদাসীনতার কারণেই আজকে এ অবস্থা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আপনার বিশ্লেষণ খুবই উপযুক্ত ও যুক্তিপূর্ণ। যে উদাহরণগুলি দিয়েছেন, তা রীতিমতো ভয় পাওয়ার মতো। ফারুক ওয়াসিফের প্রস্তাবে আমার সমর্থন - পুস্তিকাকারে প্রকাশ করা যেতেই পারে। আপনি আপত্তি জানিয়েছেন, কেন তা অবশ্য বলেননি।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

গৌতম এর ছবি

আপত্তির কারণ হচ্ছে- এই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করার জন্য যে ধরনের পাণ্ডিত্য ও অ্যাকাডেমিক যুক্তিবোধ ও জ্ঞান দরকার, সেগুলো আমার নেই। আমি এখানে যে মন্তব্যগুলো করেছি, সেগুলো আমার ব্যক্তিগত মতামত। যদি কোনো ভাষাবিশারদ বা পাঠ্যপুস্তক সমালোচক এগুলো তুলে ধরে পুস্তিকাকারে প্রকাশ করতেন, তাহলে সেটি সবার কাজে লাগতো।

তবে আমার চেষ্টা আছে ভবিষ্যতে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কাজ করার। তখন হয়তো আপনাদের পরামর্শটি ভেবে দেখা যেতে পারে। ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইটা তো মোটে একটা... বইগুলার যা অবস্থা.... তাতে বাছতে গেলে কম্বল উজাড় হওনের সম্ভাবনা...
স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রম স্রেফ নতুন কইরা সাজানো ছাড়া গতি নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

গৌতম এর ছবি

কিছু বই আছে, যেগুলোর অধিকাংশ বিষয়বস্তুই চমৎকার। কেবল পরিবেশনের অদক্ষতার কারণে সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করা যায়। অন্যদিকে বইয়ের কাঠামোগত দিক যেমন- কালার, বাঁধাই, পৃষ্ঠা সংখ্যা, পৃষ্ঠার আকার, কাগজের মান ইত্যাদি নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রম পুরোপুরি নতুন করার দরকার নেই, কেবল যেগুলো প্রশ্নবোধক, সেগুলো নিয়ে কাজ করলেই হলো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।