কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন (শেষাংশ)

দিনমজুর এর ছবি
লিখেছেন দিনমজুর [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৩/২০০৮ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

dinmojur@yahoo.com
*********দিনমজুর*****************
কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন ( http://www.sachalayatan.com/guest_writer/12926#comment-51062) এর পরে..........
আগের পর্বে আর্থিক প্রশ্নে খুদা কমিশন ও পাকিস্তান আমলের শিক্ষা কমিশনের মধ্যকার মিলগুলো দেখেছিলাম, এবারে আরো কিছু আলোচনা করা যাক.........

সার্বজনীন শিক্ষাঃ
সকল মানুষকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার তাগিদ ও আয়োজনের সুপারিশের পরিবর্তে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তাতেই কমিশন বিরক্তি প্রকাশ করেছে। কমিশন বলছে,

"বর্তমানে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষা সামাজিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন হওয়ার ফলে উচ্চশিক্ষার মানের উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত বেকারের দল অনন্যোপায় হয়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অহেতুক ভিড় জমাচ্ছে"।

"আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষা সরকারি চাকুরি লাভের ছাড়পত্র মাত্র। কাজেই চাকুরির সংস্থান হবার বা সম্ভাবনা ফুরাবার সঙ্গে সঙ্গে এ শিক্ষার কার্যকারিতাও নিঃশেষিত হয়ে যায়। অনেকের জন্য অবশিষ্ট থাকে শুধু বেকারত্বের অভিশাপ। যে সমাজে শতকরা আশিজন নিরক্ষর, সে সমাজে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত বেকারের অস্তিত্ব সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতারই পরিচায়ক"।

এভাবে বেকারত্বের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকেই দায়ী করা হয়েছে! যেন- উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত বেকারের অস্তিত্বের জন্য দেশের সরকার পরিচালনার নীতি দায়ী নয়, বেকারের অস্তিত্ব তথা কর্মসংস্থান তৈরির অপারগতা রাষ্ট্র ব্যবস্থার ব্যর্থতার পরিচায়ক নয়- তা শিক্ষা ব্যবস্থারই ব্যর্থতার পরিচায়ক!!!

কর্মমুখী বা উৎপাদনমুখী শিক্ষাঃ
এভাবে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত বেকারের জন্য শিক্ষাকে দায়ী করে- উপায় হিসাবে বাতলে দেয়া হয়েছে, কর্মমুখী বা উৎপাদনমুখী শিক্ষার কথা। বলা হয়েছে,
"আমাদের অবস্থা এমন নয় যে, ১৪ থেকে ২২ বছর বয়সের সকল তরুনকে বা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে আমরা সর্বক্ষণের জন্য শিক্ষায় নিযুক্ত রেখে উৎপাদনমুখী কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারি"।

কি করতে পারি তাহলে? করণীয় সম্পর্কে জোরেশোরে কর্মমুখী বা উৎপাদনমুখী শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মজার ও আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এই কর্মমুখী/উৎপাদনমুখী শিক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাকেও এরপরে সীমিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে একই যুক্তিতে। বলা হয়েছে,

"বর্তমানে দেশে কয়েক হাজার ডিপ্লোমা প্রাপ্ত টেকনিশিয়ান বেকার অবস্থায় আছে। প্রতি বছর প্রায় দু'হাজার শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা নিয়ে বের হচ্ছে। এদের উল্লেখযোগ্য অংশ বেকার থেকে যাচ্ছে।........ এ বেকার সমস্যা লাঘব করার জন্য আমরা নিম্নলিখিত সুপারিশ পেশ করছিঃ 'পরিকল্পনা কমিশনের জনশক্তি বিভাগ দ্বারা দেশে বিভিন্ন স্তরের এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের কারিগরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসূহে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে বর্তমানে টেকনিশিয়ানদের চাহিদা কম, সেসব ক্ষেত্রে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা আপাতত কমিয়ে দেয়া বাঞ্ছনীয়'"।

এভবাবেই এবং এই উদ্দেশ্যেই শাসকগোষ্ঠী শিক্ষা সংকোচনে অবতীর্ণ হয়। কেননা, দেশে শিল্প সৃষ্টি না হলে, দেশীয় উৎপাদনশীল খাত সমূহকে বিকশিত করতে না পারলে কোনদিনই কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে না। আর, কর্মসংস্থান করতে না পারলে- দেশের বড় অংশই থেকে যাবে কর্মহীন বেকার। অথচ, শাসকগোষ্ঠী এর জন্য শিক্ষাকে দায়ী করতে চায় বারবার। কেন? কারণ তাদের কাছে শিক্ষিত বেকারের তুলনায় মুর্খ বেকার অনেক বেশী নিরাপদ। ফলে, যে কটি কর্মসংস্থান করতে পারে - শুধু সে কজনকেই তারা সেই অনুযায়ী শিক্ষিত করতে চায়। একাজটিই করেছে এদেশের সমস্ত শিক্ষা কমিশন।

নারী শিক্ষাঃ
নারী শিক্ষা প্রসঙ্গে অতি পশ্চাদপদ দৃষ্টিভঙ্গীর প্রকাশ ঘটিয়ে কমিশন বলেছে,
"মেয়েদের গার্হস্ত্য অর্থনীতি থাকা দরকার। কারণ প্রতিটি মেয়েকেই গৃহে জীবনযাপন করতে হবে এবং সে বিষয়ে প্রস্তুতি থাকা আবশ্যক। ......... একই সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পারিবারিক সেবাও পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করবার প্রয়োজনীয়তা‌ রয়েছে"।

"অষ্টম শ্রেণীর লেখাপড়া শেষ করে আমাদের দেশের বহু মেয়ে পড়াশুনার সুযোগ পায় না। সুতরাং তাদের পাঠ্য বিষয়ে নিম্নলিখিত বিষয়সূচি থাকা একান্ত আবশ্যকঃ শিশুর যত্ন, রুগীর সেবা, স্বাস্থ্যবিধি, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাদ্যপুষ্টি, খাদ্য প্রস্তুত, খাদ্য সংরক্ষণ, সূচী শিল্প ও পোষাক-পরিচ্ছদ তৈরি, পুতুল ও খেলনা তৈরি, বাঁশ, বেত ও পাট প্রভৃতি কাজ, পাটি ও মাদুর বোনা, হাঁস-মুরগি ও গৃহপালিত পশুপালন ইত্যাদি"।

স্পষ্টতই এই সুপারিশের মাধ্যমে যারা ড্রপ আউট হয় তারা যাতে না হয় সেরকম কোন দিক-নির্দেশনা তো নেইই, বরং ড্রপ আউট হয়ে বিয়েশাদি-ঘর সামলানো প্রভৃতিতে নিয়োজিত হওয়ার জন্য মেয়েদের উৎসাহিত করা হয়েছে এবং দ্বিতীয়ত যারা ড্রপ আউট হবে না তাদেরও এ ধরণের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যই হলো- নারীকে একটা পশ্চাদপদ দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠার আয়োজন করা। এবং আমাদের এই তথাকথিত সর্বোৎকৃষ্ট প্রগতিশীল শিক্ষা কমিশনের নারী শিক্ষা প্রসঙ্গে সুপারিশের সাথে জামাতের সুপারিশকৃত নারী শিক্ষা বিষয়ক অবস্থানের কোনরূপ পার্থক্য পাওয়া যথেস্ট দুরুহই বলে মনে হয়।

এমন আরো অনেক উদাহরণই হয়তো দেয়া যাবে, কিন্তু খুব প্রয়োজনীয় নয়; কেননা- আমার উদ্দেশ্য শুধু খুদা কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গীটি সকলের সামনে তুলে ধরা। অনেক বাহারি চটকদারি কথার ভীড়ে ও কিছু কিছু আপাত ভালো সুপারিশের আড়ালে পড়ে যায়- এই কমিশনের প্রকৃত রূপ, তথা তৎকালীন সরকারের শিক্ষা সম্পর্কিত নীতি বা অবস্থান। আশা করি- আড়াল কিছুটা আড়াল হয়েছে, সকলকে ধন্যবাদ।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

dinmojur@yahoo.com
********দিনমজুর****************
একটা প্রশ্ন স্বভাবতই চলে আসে, অনেকেই খুদা কমিশনকে সর্বোৎকৃষ্ট বা প্রগতিশীল প্রভৃতি বিশেষণে অভিহিত করে কেন? এমনকি, সে সময়ে সিপিবি বা ছাত্র ইউনিয়ন সহ বাম সংগঠনও এই কমিশনকে সমর্থন জানিয়েছিল!! কেন??

আমার মনে হয়েছে, বড় অংশই এই কমিশনের সুপারিশগুলো পুরোপুরি না পড়েই প্রচারণার দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে এ কাজ করেছেন। শাসকগোষ্ঠী সবসময়ই তাদের বিভিন্ন নীতিতে ভূমিকা- সূচনা- প্রারম্ভিকা- শিরোনাম প্রভৃতি গালভরা নামে গালভরা গালগল্প করে এবং সেটাই ব্যাপক আকারে প্রচার করে।

বিশ্বব্যংক/আইএমএফ যখন এখানে স্যাপ কর্মসূচী চালু করে তখন এটির গালভরা নাম "কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচী" দিয়ে এর উদ্দেশ্য হিসাবে প্রচার করতে থাকে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন!! আজ আমরা এর সুফল(!!!) মর্মে মর্মে টের পাচ্ছি। তেমনি সকল শিক্ষা কমিশনের মত এই খুদা কমিশনেও শুরুতে অনেক চমৎকার চমৎকার কথা আছে। যেমন- রিপোর্টের সূচনাতে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছেঃ
"১.১ শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতির আশা-আকাঙ্খা রূপায়নের ও ভবিষ্যৎ সমাজ নির্মানের হাতিয়ার। কাজেই দেশের কৃষক, শ্রমিক, মধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণীর জনগণের জীবনে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের উপলব্ধি জাগানো, নানাবিধ সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা অর্জন এবং তাদের বাঞ্ছিত নতুন সমাজতান্ত্রিক সমাজ সৃষ্টির প্রেরণা সঞ্চারই আমাদের শিক্ষা কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ও লক্ষ্য। ......."
"১.২ .. শিক্ষার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বোধ শিক্ষার্থীর চিত্তে জাগ্রত ও বিকশিত করে তুলতে হবে এবং তার বাস্তব জীবনে যাতে এর সাম্যক প্রতিফলন ঘটে সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।"
"১.৫ দীর্ঘদিনের শোষণ জর্জরিত সমাজে দ্রুত সামাজিক রুপান্তর ও অগ্রগতির জন্য শিক্ষাকে বিশেষ হাতিয়ার রূপে প্রয়োগ করতে হবে। সাম্যবাদী গণতান্ত্রিক সমাজ সৃষ্টির স্বার্থে সকল নাগরিকের মেধা ও প্রবণতা অনুযায়ী শিক্ষালাভের সুযোগ-সুবিধার সমতা বিধান দ্বারা জাতীয় প্রতিভার সদ্ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে।"

এমনিতর বহু চিত্তাকর্ষক বক্তব্য মানুষকে ধোকা দিয়েছে। মনে পড়ে আমাদের বাজেট বক্তৃতার কথা। অর্থমন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ বক্তৃতার বেশ কয়েক ঘন্টা ব্যয় করেন- আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে, কিভাবে আমরা দ্রুত উন্নয়ন করতে পারি তা নিয়ে, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ- কৃষক-মজুরদের দুর্দশা নিয়ে অনেক গালভরা কথা বলে। অবশ্য দেশের মানুষ এখন এসব কথায় ভুলে না- তাদের অভিজ্ঞতা থেকেই। কেননা, তারা অভিজ্ঞতা থেকেই জানে- এই বাজেট তার অবস্থার উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারবেনা। কিন্তু স্বাধীনতার পরপরে খুদা কমিশন গঠিত হওয়ায়, এদেশের মানুষের আকাঙ্খা ছিল আকাশ সম, বিশ্বাসও ছিল অনেক- সেই তুলনায় বিশ্বাস ভঙ্গের অভিজ্ঞতা ছিল নগণ্য, (সেতো ছিলো বিশ্বাস ভঙ্গের সূচনা কাল)।

ফলে- অনেক কিছুই তারা সরল মনে বিশ্বাস করে নিয়েছে। এটিই হলো- খুদা কমিশনের প্রতি অনুরাগের মূল কারণ।

অতিথি লেখক এর ছবি

dinmojur@yahoo.com
************দিনজুর********************
তবে এটা স্বীকার করতে হবে যে, এহেন চটকদারি কথার পাশে পাশে কিছু কিছু আপাত ভালো সুপারিশও ছিল কমিশনের রিপোর্টে। ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত একই পদ্ধতির বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন স্পর্কে কমিশনের সুপারিশ ছিল ইতিবাচক।

এবং এটা এ কারণে যে, মুক্তিযুদ্ধের পরপরেই এ কমিশন গঠিত হওয়ার কারণে দীর্ঘ ২৪ বছরের ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক-জনতার গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন দেশে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং শাসকদের প্রতিশ্রুতি তাৎক্ষণিকভাবে অস্বীকার করা সম্ভব ছিল না বিধায় কমিশনের পক্ষে কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

গৌতম এর ছবি

আশা করবো, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি কমিশন নিয়েই আপনি লিখবেন। তবে কমিশন রিপোর্টগুলোর শুধু দার্শনিক বা আদর্শিক ভিত্তিগুলো নিয়ে না লিখে প্রায়োগিক দিকগুলো নিয়েও লিখবেন। পরের পর্বগুলো পড়ার অপেক্ষায় আছি। আগের পর্বে কার লেখার সূত্র ধরে আপনি লেখাটি শুরু করেছেন জানালে ভালো হতো। আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ইফতেখার নূর এর ছবি

বলতে খারাপ লাগে- বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০ ভাগ শিক্ষককে ঝাঁটাপেটা করে বের করলে শিক্ষার মান কিছু বাড়তো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইফতেখার নূর লিখেছেন:
বলতে খারাপ লাগে- বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০ ভাগ শিক্ষককে ঝাঁটাপেটা করে বের করলে শিক্ষার মান কিছু বাড়তো।

নূর,
আপনার রাগের কারণ হয়তো আসলেই কাছে, কিন্তু সমাধানটা হয়ে গেছে- টিউমারে মলম লাগানো (৩০ ভাগকে বের করলে পরের ৩০ ভাগ যে একই কাজ করবে না তার নিশ্চয়তা কি?) ; অথবা- মাথা ব্যথায় মাথা কাটার মত (শিক্ষার মান কমার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান না করে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে দোষ ট্রান্সফার করা কতখানি সমীচীন?)।

ইফতেখার নূর এর ছবি

রাগের কারণ ব্যাক্তিগত নয়। আমি যে ডিপার্টমেন্টে পড়েছি--ভালোয় মন্দয় মিশিয়ে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না যে আমার সন্তান যখন পড়তে যাবে তখন কেউ থাকবে পড়ানোর মত। নতুন প্রজন্মের এই শিক্ষকরা থাকবে আরো ২৫-৩০ কেউ কেউ ৪০ বছর, এবং এদের কিছু উন্নতি হবে সময়ের সাথে সাথে সেটা আশা করা বোকামি। কারণ বেসিক কিছু থাকতে হয় সেই উন্নতির জন্য। আর সংখায় এরা এমন যে নতুন কোনো পোষ্ট ফাঁকা নাই ২০ বছরের জন্য। শিক্ষক জ্ঞানী না হলে ছাত্র কি শিখবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটা বিশেষভাবে প্রযোজ্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।