আসছে বিপা(BIPA): ভারতের সাথে বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণের নামে দাসত্ব চুক্তির পায়তারা

দিনমজুর এর ছবি
লিখেছেন দিনমজুর [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/০২/২০০৯ - ৭:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রণব মুখার্জী বেশ কিছু এজেন্ডা নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন। তার মধ্যে যতগুলো আমরা পত্র-পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি সেগুলো হলো- সন্ত্রাস দমন বিষয়ক পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি যেটা আমেরিকার সহকারী সরাষ্ট্র মন্ত্রী রিচার্ড বাউচারের ও একটা এজেন্ডা, ভারত বাংলাদেশ পরিবহন চুক্তির নবায়ন, দ্বিপাক্ষিক পুজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি(Bilateral Investment Promotion and Protection Agreement, BIPA) স্বাক্ষর ও ট্রানজিট চুক্তির ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ। এর মধ্যে বিশেষ করে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের দুনিয়াব্যাপী সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের রকম সকম দেখে সন্ত্রাস দমন বিষয়ক কথাবার্তার মাজেজা বোধহয় আমাদের কাছে ইতোমধ্যেই পরিস্কার। আর ইতিপূর্বেই স্বাক্ষরিত ও কার্যকর পরিবহন চুক্তির নবায়ন নিয়েও যথেষ্ট কথাবার্তা চলছে। তাই এসব বিষয়ে কথা বার্তা না বাড়িয়ে আমরা দ্বিপাক্ষীয় বিনিয়োগ উন্নয়ণ ও সংরক্ষণ বা BIPA চুক্তি বিষয়ে কিছু জরুরী কথা বার্তা তুলতে চাই- কেননা এই চুক্তিটি নাকি মন্ত্রীপরিশোধ ইতোমধ্যেই অনুমোদন করে ফেলেছে, এখন শুধু স্বাক্ষর হওয়া বাকি। ট্রানজিট বিষয়ে পরবর্তীতে কিছু কথা বার্তা বলার নিয়ত আছে।

বিপা(BIPA) চুক্তি প্রসঙ্গে:
Bilateral Investment Promotion and Protection Agreement কে চাইলে আমরা BIPPA ও বলতে পারি, তবে ভারত সরকার তার নথি পত্রে BIPA শব্দটি ব্যবহার করে বলে আমরাই তাই ব্যবহার করলাম। আবার ভারত এটাকে BIPA বললেও সাধারণ ভাবে এ ধরনের চুক্তি কে বলা হয় Bilaterla Investment Treaty বা BIT. প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম সাহেব যে এ জাতীয় আরো ২৪ টি চুক্তি থাকার কথা বলেছেন সেগুলো হলো এই BIT চুক্তি। তো এই আগের ২৪ টি চুক্তি কোথায়, কবে, কার কার সাথে কি কি শর্তে করা হয়েছে সেগুলো আমরা জানিনা। তবে আমাদের ইচ্ছা রইল পরবতী কোন এক সময়ে সেগুলোকে একটু জানাবোঝা করার। তবে এখন আমরা আমাদের নাকের ডগায় যে ২৫ তম চুক্তিটি হতে যাচ্ছে, ভারত যেটাকে BIPA বলছে সেইটা সম্পর্কে কিছু জানাবোঝা করতে চাই যদিও আমাদের ডিজিটাল সরকার কোন ভাবেই প্রকাশ করতে চাইছেন না কি আছে এই দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাঝে। মন্ত্রী সভায় এই সম্ভাব্য চুক্তির খসড়াটি পাস করিয়ে নেয়ার পর কেবল দেবতার আশ্বাস বাণীর মতো আমাদের কে জানানো হলো প্রধানমন্ত্রী " এই চুক্তি কে একটি ভালো চুক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।" শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রী এই ভালো জিনিসটি শুধু একবার খাইয়েই সন্তুষ্ট হবেননা. এরকম আরো ভালো ভালো জিনিস আমাদের উপহার দিবেন-‍ "প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হয় এরকম কাজ সরকার আগামীতে আরো করবে"(ইত্তেফাক, ০৬/০২/০৯)। মাশাল্লা। আগামীরটা আগামীতে দেখা যাবে, এখন চলেন দেখি আমাদের না খাওয়া পেট এইবারেরটাই হজম করতে পারি কি-না!

আমাদের সরকার এই চুক্তি বিষয়ে কোন কিছু প্রকাশ না করলেও মহান ভারত সরকারের ফাইনান্স মিনিস্ট্রির বদৌলতে মহান BIPA চুক্তির মডেলটি সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। (সূত্র: http://finmin.nic.in/the_ministry/dept_eco_affairs/investment_div/invest_index.htm#Indian%20Model%20Text%20BIPA) ভারত সাধারণ একটি মডেল অনুসরণ করে এই চক্তিটি করে থাকে। চুক্তিকারী অপর দেশের শক্তি সামর্থ বুঝে এর কিছু এদিক সেদিক যে হয়না, তা নয়- তবে সে বিষয়ে আমরা পরে আসছি। আপাতত, এই মডেলটির কয়েকটি ধারার দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই।

ভারতীয় শিল্পকে দেশীয় শিল্পের সমান সুযোগ সুবিধা প্রদান:

ARTICLE 4(National Treatment and Most-Favoured-Nation Treatment)

(l)Each Contracting Party shall accord to investments of investors of the other Contracting Party, treatment which shall not be less favourable than that accorded either to investments of its own or investments of investors of any third State.
(2)In addition, each Contracting Party shall accord to investors of the other Contracting Party, including in respect of returns on their investments, treatment which shall not be less favourable than that accorded to investors of any third State.
(3) The provisions of paragraphs (l) and (2) above shall not be construed so as to oblige one Contracting Party to extend to the investors of the other the benefit of any treatment, preference or privilege resulting from:
(a) any existing or future customs unions or similar international agreement to which it is or may become a party, or
(b) any matter pertaining wholly or mainly to taxation

অর্থাত এই চুক্তি অনুসারে ভারতীয় বিনিয়োগকারী কোম্পানীকে বাংলাদেশের যে কোন কোম্পানীর মতোই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে এবং ভারতকে Most-Favoured-Nation হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। বলতে পারেন ভারত ও তো বাংলাদেশের শিল্পকে একই সুবিধা দেবে- তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা আছে, এই ধরণের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি যখন একটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশের সাথে একটি শক্তিশালী ও উন্নত দেশের হয় তখনই সমস্যা কেননা, বাংলাদেশ ভারতে কবে বিনিয়োগ করতে যাবে, সেই আশায় আমরা এখন এমন এক চুক্তি করে ফেললাম যে আমাদের দেশের ভেতরেই আমরা ভারতীয় কোম্পানীর সাথে প্রতিযোগীতায় টিকতে পারলাম না! এরকম হলে তো দেশীয় কোন শিল্প কোনদিনও সেই অবস্থানে পৌছতে পারবে না যেখান থেকে সে অন্য একটা দেশে বিনিয়োগ করতে যেতে পারে।

জাতীয়করণ বা প্রায়-জাতীয়করণ প্রসঙ্গ:

ARTICLE 5(Expropriation)
(1)Investments of investors of either Contracting Party shall not be nationalised, expropriated or subjected to measures having effect equivalent to nationalisation or expropriation (hereinafter referred to as " expropriation") in the territory of the other Contracting Party except for a public purpose in accordance with law on a non-discriminatory basis and against fair and equitable compensation. Such compensation shall amount to the genuine value of the investment expropriated immediately before the expropriation or before the impending expropriation became public knowledge, whichever is the earlier, shall include interest at a fair and equitable rate until the date of payment, shall be made without unreasonable delay, be effectively realizable and be freely transferable.

অর্থাত শুধুমাত্র বিশেষ জনগুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া কোন বিনিয়োগগ্রহীতা দেশ, বিনিয়োগকারীর সম্পদ জাতীয় করণ বা জাতীয়করণের মতো কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না, যদি নেয় তাহলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। হ্যা এটা স্বাভাবিক যে ভারত তার বিনিয়োগকৃত পুজির পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইবে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। measures having effect equivalent to nationalisation or expropriation বা জাতীয় করণের সমতুল্য কথাটা ভিষণ ভয়ংকর এবং অস্পষ্ট। এই অস্পষ্টতার সুযোগ নিয়ে সরাসরি জাতীয়করণ তো দূরের কথা বাংলাদেশ কর্তৃক দেশীয় শিল্পস্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনে বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে শুরু করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীর কাজ কারবারের নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি অনেক কিছুই ভারত ঠেকিয়ে দিতে পারবে।

আরেকটা বিষয় বেশ সন্দেহ জনক। বাংলাদেশের বেসরকারী বৈদেশিক বিনিয়োগ(উন্নয়ন ও সংরক্ষণ) আইন,১৯৮০ তে জাতীয়করণের বিষয়ে বৈদেশিক বিনিয়োগকরীদের আশ্বস্ত করে একটি ধারা এমনিতেই রয়েছে। ধারাটি হলো:
Foreign private investment shall not be expropriated or nationalized or be subject to any measures having effect of expropriation or nationalization except for a public purpose against adequate compensation which shall be paid expeditiously and be freely transferable.

এধরণের একটি ধারা থাকা স্বত্তেও কেন ভারত আলাদা ভাবে আশ্বস্ত হতে চাইছে এ প্রশ্নটি আসা স্বাভাবিক। বাংলাদেশে কি এমন বিনিয়োগ কার্যক্রম চালাবে ভারত যে তার বার বার এভাবে আশ্বস্ত হওয়া প্রয়োজন?

ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গ:
ARTICLE 6(Compensation for Losses)
Investors of one Contracting Party whose investments in the territory of the other Contracting Party suffer losses owing to war or other armed conflict, a state of national emergency or civil disturbances in the territory of the latter Contracting Party shall be accorded by the latter Contracting Party treatment, as regards restitution, indemnification, compensation or other settlement, no less favourable than that which the latter Contracting Party accords to its own investors or to investors of any third State. Resulting payments shall be freely transferable.
এই আর্টিক্যাল অনুসারে বাংলাদেশের কোন জরূরী অবস্থা,যুদ্ধ বিগ্রহ বা গণ অসন্তোষের কারণে ভারতীয় বিনিয়োগকারী যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে সেটা বাংলাদেশকে পুষিয়ে দিতে হবে! এই ধারার মাধ্যমে ভারত বিদেশে ব্যাবসা-বাণিজ্যের যেসব সাধারণ ঝুকি সব সময়ই থাকে, সেগুলোকেও বাংলাদেশের ঘাড়ে দিয়ে দিতে পারবে।

কিছু উদাহরণ:
BIT চুক্তির ক্ষেত্রে এরকম প্রচুর উদাহরণ পাওয়া যাবে। যেমন: CMS Gas Transmission Company বনাম আর্জেন্টিনা কেইস এর কথাই বলা যায়। ২০০২ সালে অর্থনৈতিক সংকটের কবলে পড়ে আর্জেন্টিনা ডলারের সাথে আর্জেন্টিনার মুদ্রা পেসোর স্থির ১-১ বিনিময়ের হারের নীতি ভেঙে দিতে বাধ্য হয়, ফলে ডলারের বিপরীতে পেসোর মূল্য পতন ঘটে। সেই সাথে CMS এর আয়ও কমতে থাকে কারন সরকার এই পরিস্থিতিতে গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর অনুমতি দিতে রাজী হয়নি। ফলে CMS যুক্তরাষ্ট্র-আর্জেন্টিনার মধ্যকার BIT চুক্তির সুযোগ ক্ষতিপূরণ ধারার সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগ কারীদের অতিপ্রিয় বিশ্বব্যাংকের International Centre for Settlement of Investment Disputes (ICSID) ট্রাইবুনালে মামলা করে ক্ষতিপূরণ আদায় করে নেয়। একই ভাবে ট্যাক্স মওকুফের সুযোগ না বাড়ানোর কারণে "জাতীয় করণের সমতুল্য" পদক্ষেপের অযুহাতে আমেরিকা ভিত্তিক অক্সিডেন্টাল ইকুয়েডরের কাছ থেকে এবং বেলজিয়ান Antoine Goetz and Others বুরুন্ডির কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে। (সূত্র: www.twnside.org.sg/title2/resurgence/182-183/Cover04.doc)

মুনাফা পাচার ও পুজি প্রত্যাহার:

ARTICLE 7(Repatriation of Investment and Returns)
(l)Each Contracting Party shall permit all funds of an investor of the other Contracting Party related to an investment in its territory to be freely transferred, without unreasonable delay and on a non-discriminatory basis.

এই আর্টিক্যাল অনুসারে ভারতীয় বিনিয়োগকারী যে কোন সময় তার বিনিয়োগকৃত পুজি পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে পারবে, মুনাফা পুর্নবিনোয়গের বাধ্য বাধকতা থেকে ও সে মুক্ত। বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নয়নের মডেলের যারা তারাও কিন্তু একটা বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে থাকে যে পুজি হুটহাট প্রত্যাহার করা কিংবা মুনাফা পুনর্বিনিয়োগ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থাকা প্রয়োজন। এ সব বিষয়ে কোন বিধিনিষেধ না থাকার ক্ষতিকর দিকটি খুব পরিস্কার ভাবে ধরাপড়ে গত '৯০ এর দশকের এশিয়ান ক্রাইসিসের সময় যখন বহুজাতিক কোম্পানিগুলো দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশ থেকে হঠাত পুজি প্রত্যাহার শুরু করে। যে কারণে পরবর্তীতে মালয়েশিয়া, চীন ইত্যাদি দেশে পুজি প্রত্যাহার এবং মুনাফা পুনর্বিনোয়গের বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

ভারত নিজের বেলায় কি করছে:
এখন একটি প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে ভারত কি নিজের খোড়া গর্তে নিজেই পড়তে পারে না যখন সে অন্য কোন শক্তিশালী দেশের সাথে এ ধরনের চুক্তি করবে? অবশ্যই পারে এবং ইতোমধ্যেই পড়েছেও! ভারতের মহারাষ্ট্রের Dabhol power plant বিনিয়োগ প্রকল্প দেশীয় বিদ্যুত প্রকল্পের চেয়ে ৪ গুণ বেশী ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে মহারষ্ট্র সরকার এ থেকে বিদ্যুত কেনা বন্ধ করে দেয়। ফলে ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্ল্যান্টটি বন্ধ হয়ে যায়। এর পর বিনিয়োগ সংরক্ষণ চুক্তির আওতায় এ প্রকল্পে বিনিয়োগকারী আমেরিকান ব্যাখটেল ও জেনারেল ইলেক্ট্রিক এবং ইউরোপীয় ৭টি ব্যাংক এবং এই সব ব্যাংক ও কোম্পানীর নিজ নিজ দেশ(আমেরিকা, ন্যাদারলেন্ড, ইংল্যান্ড, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স) লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সালিশি বোর্ডে ৬ বিলয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করে। ভারত এরপর ব্যাখটেলকে ১৬০ মিলিয়ন এবং জেনারেল ইলেক্ট্রিককে ১৪৫ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দেয়ার বিনিময়ে এই মামলার মীমাংসা করে। (সূত্র: www.rediff.com/money/2005/jul/19dpc1.htm )

স্বাভাবিক ভাবেই ভারত মোটামুটি ঝুকি আছে এমন দেশের সাথে চুক্তির ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করছে। আবার দ্বিপাক্ষীয় চুক্তির এই সব বিপদ দেখে অন্যান্য দেশও সাবধান হয়ে উঠছে। যেমন ভারতের সাথে সিঙ্গাপুরের করা দ্বিপাক্ষীয় চুক্তিতে ‌‌‍'Most-Favoured-Nation Treatment' কিংবা 'fair and equitable treatment' কিংবা 'full protection and security' ইত্যাদি শব্দবন্ধ ব্যবহার করে নি কেননা দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি নিয়ে যেসব বিবাদ বা ক্ষতিপূরনের দাবী আদালত পর্যন্ত গড়ায় সেগুলোর একটা বড় অংশে এই শব্দবন্ধ গুলো ব্যবহার করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়।

অথচ আমাদের সরকার এসব কোন কিছুই বিবেচনা না করে ভারতের সাথে দ্বি-পাক্ষীয় বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তির ফাস গলায় পড়ছে! আমরা অবিলম্বে ভারতের সাথে এই দ্বিপাক্ষিক পুজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।


মন্তব্য

পলাশ দত্ত এর ছবি

চিন্তিত বোধ করতেছি।

======================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হিমু এর ছবি

ডুয়াল পোস্টিঙের কারণে প্রথম পাতা থেকে অপসারিত এটি আপনার তৃতীয় পোস্ট। আশঙ্কা করছি আপনি সচলায়তনের পোস্ট প্রকাশ নীতি সম্পর্কে অবগত হলেও তা অনুসরণে আগ্রহী নন। ভবিষ্যতে যদি আপনি মনে করেন, নীতিটি অনুসরণ করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে, তাহলেই পোস্ট করবেন, নইলে নয়। পরবর্তী ডুয়াল পোস্টিঙের ঘটনার পর সচলায়তনে আপনার লেখার সুযোগ আরো সীমিত করা হবে। ধন্যবাদ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দিনমজুর এর ছবি

৮ তারিখ রাত ৮ টার দিকে আমি যখন বিপা চুক্তি বিষয়ক লেখাটি শেষ করে এনেছি তখন আর মাত্র কয়েক ঘন্টা আছে চুক্তি স্বাক্ষরের। যেকারণে সবোচ্চ সংখ্যক পাঠকের কাছে তাতক্ষনিক ভাবে পৌছার তাগিদেই ডুয়েল পোস্ট করতে হয় আমাকে। জানি আপনার নিয়ম কানুন আছে ডুয়েল পোস্টিং বিষয়ক। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি হয়! আশা করি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া কিংবা এ বিষয়ে অন্য কোন ব্যবস্থা নেয়ার আগে পারপাস বা উদ্দেশ্যর জায়গাটা একটু বিবেচনা করবেন। যে কোন নিয়মই প্রয়োগ করা উচিত ব্যাক্তির উদ্দেশ্য, সমসাময়িক পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয়কে মাথায় রেখে। আপনাকে ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

দেখুন, আমরা প্রত্যাশা করি চরম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখা পোস্টও সচলের নীতি অনুসরণ করে অনন্যভাবে প্রকাশিত হবে। আমরা প্রত্যেকেই এই কাজটি সযত্নে করি। আর ঘুরেফিরে ব্লগোস্ফিয়ারের পাঠক প্রায় অভিন্ন। কাজেই কোন লেখা প্রতিটি কমিউনিটি ব্লগ বা লেখক সমাবেশেই প্রকাশ করতে হবে, এমনটা নয়। তারপরও যদি আপনি মনে করেন, আপনি সচলের পাশাপাশি অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগের পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য লেখা সেখানে প্রকাশ করবেন, তাহলে সচলে দেবেন না অযথা।


হাঁটুপানির জলদস্যু

প্রফাইল [অতিথি] এর ছবি

১. "ভবিষ্যতে যদি আপনি মনে করেন, নীতিটি অনুসরণ করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে, তাহলেই পোস্ট করবেন, নইলে নয়। পরবর্তী ডুয়াল পোস্টিঙের ঘটনার পর সচলায়তনে আপনার লেখার সুযোগ আরো সীমিত করা হবে।"

এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। এ পোস্টের সঙ্গে আগের-পরের লেখা জুড়ে দিয়ে দুটো লেখা একসঙ্গে আসতে পারে।

আর মডারেটরের ভাষা আরেকটু কৌশলী হলে ভাল হয়। এ ধরনের অপমানজনক ভাষা ষ্পষ্টতই পুলিশ-আর্মির, যা সচলায়তনে মানানসই নয়। এভাবে না বলে হাস্যরসের ছলে বা ব্যক্তিগত ই-মেলে বলা যেতে পারত।

পলাশ দত্ত এর ছবি

মডারেটরের ভাষা আরেকটু কৌশলী হলে ভাল হয়। এ ধরনের অপমানজনক ভাষা ষ্পষ্টতই পুলিশ-আর্মির, যা সচলায়তনে মানানসই নয়।

-যে-নিয়ম সবার জানা, এবং যা কিনা নিয়ম, তা স্মরণ করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে কেন! ডুয়াল পোস্টিঙের ঘটনা প্রথমবার হ'লে নিশ্চয়ই ভাষা এরকম হ'তো না। আর নিয়মের কথা মনে করিয়ে দিতে গেলে ভাষাকে যদি পুলিশ-আর্মির ভাষা মনে হয়, তাহ'লে তো নিয়মের কথা বলাই যাবে না।

হাস্যরসের ছলে বা ব্যক্তিগত ই-মেলে বলা যেতে পারত।

-হাস্যরসের ছলে বা ব্যক্তিগত ই-মেইলে বলা হবে কেন? বাংলা-ব্লগোমণ্ডলের পাঠকরা তো ডুয়াল পোস্টেড লেখাকে দুই ব্লগেই দেখতে পাবেন; সেক্ষেত্রে পাঠকদেরও তো ব্যক্তিগত ই-মেইল ক'রে জানাতে হবে যে এই পোস্টের লেখককে ডুয়াল পোস্টিঙের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে!

@দিনমজুর
এরকম গুরুত্বপূর্ণ লেখা আসলে কোথায় পোস্ট করবেন সে-বিষয়ে আপনাকে একটু কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই তো আর এ-সমস্যা হয় না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

প্রফাইল [অতিথি] এর ছবি

নীতি হোমোথেটিক হলেই মনে হয় ভাল। এক সেলিব্রিটি সচলের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার দেখলাম লেখা নামকরা দৈনিকে এসেছে, আবার সেদিনই সচলায়তনে প্রথম পাতায় ঝুলে আছে।

বিপা কয়েকঘন্টার নোটিশেই সাইন হয়েছে। প্রণবও বেজায় খুশি। বাংলাদেশ দারুণ সাপোর্ট দিচ্ছে!

হিমু এর ছবি

আপনি নীতিমালাটা পড়ে হোমোথিসিসের কথা পাড়লে কি ভালো হতো না?

সচলে অন্য কমিউনিটি ব্লগে সম্প্রতি প্রকাশিত লেখা পুনর্প্রকাশ করা হয় না। ক্ষেত্রবিশেষে দুয়েকটা ব্যতিক্রম ঘটে। আর সচলে প্রকাশের পর ৭২ ঘন্টার মধ্যে অন্য কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত হলে তা সরিয়ে দেয়া হয়।

নামকরা দৈনিকের ক্ষেত্রেও সচলে শুরুর দিকে এই নীতি অনুসৃত হতো। বর্তমানে তা খানিকটা শিথিল।

ভবিষ্যতে নীতি সংক্রান্ত ফোড়ন কাটার আগে নীতিমালাটা পড়ে দেখবেন। ধন্যবাদ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

প্রফাইল [অতিথি] এর ছবি

ভোল হয়েছে। ক্ষ্যামা চাই। জীবনেও আর মহাপরাক্রমশালী সচলায়তন কর্তৃপক্ষের সম্পর্কে কিছু বলার গোস্তাকি করব না বলে এই কান মলছি।

আমি অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে কোন নীতির ব্যবহারিক ও উপযোগী দিকগুলো দেখি। সচলায়তন যদি কোন খারাপ নীতির দ্বারা নিজে ঋদ্ধ হয় আর পাঠকের উপকারে আসে তাহলে আমি খারাপ নীতিরই পক্ষে। কুদ্দুসকথা বা আব্বাসেরব্লগে মাল্টিপল সাবমিশন হলেও বিপার মত জনগুরুত্বপূর্ণ লেখা আমি মডারেটর হলে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অ্যারো'র ডিক্টেটরের মত সাতদিন প্রথম পৃষ্ঠায় ঝুলিয়ে রাখতাম আর সবাইকে তাগাদা দিতাম আলোচনায় অংশ নিতে। এতে, আমি মনে করি, দেশ ও দশের উপকারই হত, সচলায়তনও অনেক বেশি ইনক্লুসিভ আর মনেক দিক থেকে বড় হতে পারত। এজন্য অবশ্য লেখার নিচে একটি "অন্যব্লগে প্রকাশিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিধায় ..." জাতীয় ফুটনোটই যথেষ্ট ছিল।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

একটু বোধহয় ভুল বুঝছেন। "সেলিব্রিটি সচল" হিসেবে কাউকে আলাদা ভাবে খাতির-যত্ন করা হয় না। এটি একটু নাহক অভিযোগ।

প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত লেখার ব্যাপারে কিছুটা শৈথিল্য আছে, এটি অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত। অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখার ব্যাপারে ডুয়াল-পোস্টিং নীতি শক্তভাবেই অনুসরণ করা হয়। ডুয়াল-পোস্টিং নজরে আসামাত্রই লেখা "নিজের ব্লগে" স্থানান্তর করা হয়। এটাই প্রতিষ্ঠিত নীতি।

সব নিয়মেরই ভাল-মন্দ আছে। নিয়ম সম্পর্কে যার যার অনুভূতিও ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে, খারাপটুকুর জন্য নীতিমালাকে দোষ দিলে ভালটুকুর জন্য শুভেচ্ছাটুকুও দিতে হবে।

সচলায়তনে নতুন লেখা চাওয়া হয়। এটা ব্লগের নীতি। এটা মেনেই আমরা এখানে আছি সবাই। একটু স্পোর্টিং ভাবে দেখা যায় বোধহয়।

প্রফাইল [অতিথি] এর ছবি

ভারত আগাগোড়া সন্দেহজনক। এর চুলের ডগা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শুধুই শুধুই প্যাঁচ আর ধোঁয়াটে। সে তার আশেপাশের ছোটখাট দেশগুলোকে, দেশের মানুষকে সম্মান দিতে জানে না। ছোটকে সম্মান না দিলে বড় হওয়া যায় না। ভারত শুধু অর্থনীতির আকারেই বড়, কিন্তু এই আকারকে তার মানুষের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করলে অয়লারের সূত্রই শুধু থাকে।

ভারত কি চায়? শুধু সুবিধে আর সুবিধেজনক অবস্থান। নিজে চেটেপুটে খেতে রাজি, কিন্তু কাউকে সে এক চুলও ছাড় দেবে না। বাংলাদেশের এক ইলিশ ছাড়া সব কিছুই তার জন্য বিষ। কোন প্রডাক্ট ভাল করলেই হল, আকাশছোঁয়া ট্যারিফ-ডিউটি আমলাতান্ত্রিক স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং এন্টিডাম্পিং কোর্ট-কাচারি যেকোন কিছু করতে তার বাঁধে না। তার কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ আর প্রটেকশন কোনটাই প্রটেকটেড নয়।

টাটার এদেশী প্রতিনিধি মানজার হুসেনের সাথে দুয়েকবার হাই-হ্যালো হয়েছে। বেচারা কোথায় ধরণা দেননি টাটার জন্য। কিন্তু টাটা চাইছিল জলের চাইতে কম দরে গ্যাস আদায়। এর হেরফের হলেই হয়ত ট্যাক্স বন্ধ করে দিত। চরম সুবিধেবাদী নীতি।

ক'বছর আগে ভারত বছরে ২ মিলিয়ন পিস আরএমজি প্রডাক্ট আমদানির ঘোষণা দেবার পর কমার্স মিনিস্ট্রির একটি মিটিং-এ এফবিসিসিআই বিজিএমইএ বিটিএমএ সকলে খুব চেঁচামেচি করছিল, কারণ ঐ প্রডাক্টগুলো ভারতের মাটিতে ঢুকলে ওগুলোর কপালে কি থাকবে তা নাকি ভারত নিজেও জানে না। কেউকেউ বললেন আমাদের আরএমজি প্রডাক্টের জন্য ইন্ডিয়ার মার্কেট দরকার নেই। পরে বিজিএমইএ-এর একজন বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, "দেখুন বছরে ২ মিলিয়ন পিস কোন ব্যাপারই নয়। এটি বাইলেটরেল হারমনির একটি সিম্বল। আমাদের ওপর চাপ আছে, কাইন্ডলি এগ্রি করুন।" এফবিসিসিআই-এর এক ডিরেক্টর বললেন, চাপ থাকলে এখানে আলোচনায় এনেছেন কেন?

এই হল ভারত সম্পর্কে আমাদের ব্যবসায়ীদের ইমপ্রেশন। বিপা বুঝতে গেলে এগুলো আমলে না নিয়ে পারা যায় না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আচ্ছা এধরনের ডিটেলস পত্রিকায় আসেনা কেন?

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

বাংলাদেশে তো এখন এই মুহূর্তেও প্রচুর বিদেশী কোম্পানী ব্যবসা করছে, তাদের ইনভেস্টমেন্টও আছে। তারমানে নিশ্চয়ই বিদেশী কোম্পানীর বাংলাদেশে বিজনেস অপারেশনের একটা যথাযথ নীতিমালা আছে এবং যেহেতু টেলেনর, ইউনিলিভার, এরিকসনের মতো কোম্পানী বছরের পর বছর বাংলাদেশে অপারেশন চালাচ্ছে তারমানে বলা যায় যে বর্তমান নীতিমালাটিই বইদেশী কোম্পানীগুলোর ব্যবসা চালানোর জন্য যথেষ্ট বান্ধব।
যেটা বুঝছিনা তা হলো, ভারতের কোম্পানীগুলোর তাহলে বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য আলাদা করে বিপ্পা বা বিপা যাই হোক -- করার দরকার কি?

@দিনমজুর
আপনার এ লেখাটি কি দৈনিক পত্রিকায় দিয়ে দেখেছেন? দেয়ার অনুরোধ রইলো।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

প্রফাইল [অতিথি] এর ছবি

ঠিক ধরেছেন। বাংলাদেশের ইনভেস্টমেন্ট আর এফডিআই-ফ্রেন্ডলি রেজিম সাউথ এশিয়ার মধ্য সবচাইতে আকর্ষণীয়। আশির দশকের শুরুতেই এধরনের পলিসিগুলো নেয়া হয় মূলত ব্যাপক আকারে এফডিআই এনে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য। ইপিজেড ও এর বাইরে ভাল বিদেশী ব্যবসায় আছে। এদের জন্য ভালরকম ট্যাক্স ইনসেনটিভ আর ফুল ক্যাপিটাল রিপ্যাট্রিয়েশন সুবিধে আছে। তাই গভর্নেন্স আর ইনস্টিট্যুশনাল নানারকম সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে।

তবে আগেই বলেছি, ভারত খুব সন্দেহজনক একটি দেশ। সে চায় অন্যকিছু, অনেক বেশি অন্যায্য সুবিধে। তাকে "সবসে পেয়ারা মুলক" বা এমএফএন সুবিধে দিতে হবে। অন্য বিদেশী বা দেশী বিনিয়োগের কাতারে ফেলা যাবে না। তার জন্য সব বিশেষ ব্যবস্থা চাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

@দিনমজুর
এরকম গুরুত্বপূর্ণ লেখা আসলে কোথায় পোস্ট করবেন সে-বিষয়ে আপনাকে একটু কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই তো আর এ-সমস্যা হয় না।

দিনমজুর এর ছবি

@প্রকৃতিপ্রেমিক
আমাদের যাদের হাতে প্রিন্ট মিডিয়া কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া নাই, তারা আসলে একটু অসহায়। জনগনের কাছে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার কোন ভালো উপায় আপাতত না থাকায়, বাধ্য হয়ে ব্লগে ব্লগে মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তের গন্ডির মধ্যেই সীমিত থাকতে হয়। এরকমই হয়তো চলবে যতদিন না আমরা বিকল্প রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারি।

ততদিন তো কিছু নিয়ম কানুন মানতেই হবে!

দিনমজুর এর ছবি

বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ভয়ংকর বিপা চুক্তি গতকাল ০৯/০২/২০০৮ তারিখে স্বাক্ষরিত হয়েছে। জনগণের কোন মতামত গ্রহন ছাড়াই আওয়ামী লিগ নেতৃত্বাধীন সরকার সফরকারী ভারতীয় পরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জীর সাথে পুরনো পরিবহন চুক্তি নবায়ন সহ বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণের এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছেন। আমরা অবিলম্বে এই চুক্তির ধারা জনসমুক্ষে প্রকাশের এবং জনগণের মতামত সাপেক্ষে চুক্তি বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।

ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স¤প্রসারণের লক্ষ্যে সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি নতুনসহ দুটি চুক্তি সই হয়েছে।

তবে চুক্তি স্বাক্ষরের পর সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি দূর করা সম্ভব হবেনা।

প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি নয়াদিল্লিকে এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে, ভারতের বিরুদ্ধে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহৃত হতে দেওয়া হবেনা।

বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রস্তাবিত দক্ষিণ এশীয় টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

হোটেল শেরাটনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রণব মুখার্জী বলেন, "আজ আমরা দুটি চুক্তি সই করেছি। এর একটি হলো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, অন্যটি হচ্ছে-দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়ন ও সুরক্ষা বিষয়ক চুক্তি। এসব চুক্তি দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঠামোকে আরো জোরদার করবে।"

সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রণব মুখার্জী হোটেল শেরাটনে ওই দুই চুক্তিতে সই করেন।

সোমবার স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুরক্ষা বিষয়ক চুক্তিটি হচ্ছে নতুন। আর অন্যটি হলো- ১৯৮০ সালে স্বাক্ষরিত পুরনো বাণিজ্য চুক্তির তিন বছরের জন্য নবায়ন।

প্রণব মুখার্জী বলেন "একজন সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে আমি আপনাদের এ কথা বলতে পারি যে, এমন কোন কৌশল নেই যার মাধ্যমে দুটি দেশের (প্রতিটি দেশের নিজস্ব অবস্থা বিচারে) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা যায়। এটা অসম্ভব। তবে নিশ্চিতভাবে দু'দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব এবং একে একটি সহনীয় সীমার মধ্যে রাখা সম্ভব।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বিডিনিউজের খবরটা পড়ে প্রথমেই আমার যে প্রশ্নটা জেগেছিল তা হলো আমরা কী পেলাম এখান থেকে। মিস্টার মুখার্জী বললেন ট্রেড গ্যাপ এত বেশি যে ভারসাম্য আনা যায়না। সেটা অসম্ভব। মানলাম। কিন্ত তারপরেও একই প্রশ্ন আমাদের দিক থেকে কী চাওয়া হয়েছিল, সেটা পেয়েছি কী না? কিছু আদৌ পেয়েছি কি?

প্রকৃতিপ্রেমিক (অন্য কম্পিউটারে) এর ছবি

কিছুটা সম্পর্কযুক্ত বলে প্রথম আলো থেকে নিচের অংশটা কোট করছি:

জবাব দেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী: প্রণব মুখার্জির সফরসঙ্গী এবং কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার দিল্লি ব্যুরোপ্রধান জয়ন্ত ঘোষাল বলেন, ভারতবিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সন্ত্রাসী রপ্তানি করতে পাকিস্তান বাংলাদেশকে বাফার স্টেট (বড় দুই দেশের মধ্যে ছোট দেশ) হিসেবে ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্য জানতে চান তিনি; কিন্তু ডা. দীপু মনি কোনো জবাব দেননি। পরে বাংলাদেশের বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রধান প্রতিবেদক শামীম আহমেদ জানতে চান, ভারতীয় সাংবাদিকের বক্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত কি না। এ প্রশ্নেরও কোনো জবাব দেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এতে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হয়। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশকে বাফার স্টেট বলা হচ্ছে, অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী নীরব।

সূত্র: http://www.prothom-alo.com/index.news.details.php?nid=MjE4MzY=

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এটা হলো গাটসের অভাব
বিদেশীদের সামনে বেড়াল হওয়া আমাদের খুব পছন্দ!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।