এ ফারসাইটেড ডিসিশন (সাইফাই গবেষণা)

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: বুধ, ২১/০৫/২০০৮ - ১১:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এ ফারসাইটেড ডিসিশন (সাইফাইঃ আব্‌জাব স্টাইল)

প্রথম যখন বাঘা বাঘা সাইন্টিস্টদের নিয়ে বিজ্ঞান পরিষদ গঠিত হল। তখন কিছু রাজনীতিবিদ গাই গুই প্রতিবাদ মিছিল করলেও সাধারণ জনগন বেশ সাদরেই গ্রহন করেছিল ব্যপারটা। এই বিজ্ঞানের যুগে যেখানে পান থেকে চুন সবই বিজ্ঞান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যেখানে বিজ্ঞানীরাই তো ভালো বুঝবে কখন কি করতে হবে। কিন্তু যে সব বিজ্ঞানীকে ধরে বসিয়ে দেওয়া হল এই দায়িত্বে তাদের বিরক্তির সীমা রৈলনা। প্রথম পরিষদের সভাপতি ছিল এলান স্ট্রং। বেচারা তাত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী তার ল্যাবে বসে কাগজ পত্রের জঙ্গলে কিছু ইকুয়েশন খূজছে। অমনি সাংবাদিকদের হামলা! সাংবাদিকরাও অবাক! এত কাগজ দেখে! কাগজে আর হাতে লিখে যে কেউ কখনো এত বড় সাইন্টিস্ট হতে পারে সেইটা তাদের ধারনাই ছিলনা। কিন্তু ওরা কি জানে? বাঘা সাইন্টিস্টরা একটু এলোমেলো না হলে তো ঠিক ‘বাঘা’ হতে পারেনা!

প্রথম দিকে তাই পুরা ব্যপারটা ছিল একটা ডিজাস্টার। পরিষদের কেউ, সে তাকে যত গুলো লাল তারকাই দেওয়া হোক না কেন মোটেও আগ্রহী ছিলনা এইসব অ্যাডমিন্সট্রেটিভ কাজে। তার উপর পরিষদে আসতে হলে এক এলাহী আলখাল্লা পরা লাগে! কিন্তু সময় সব কিছুকেই একটা সাম্যাবস্থায় নিয়ে যায়। ‘ল্যা-শতেলিয়ার নীতির মত’ তাই এক সময় দেখা গেল পরিষদের মিটীং হচ্ছে ভার্চুয়ালী। যে যার ল্যাবে বসেই কিছু মিছু বলছে। কেউ হয়তো তার সেগ্রেটারীদের দিয়ে মিটিং করিয় নিচ্ছে। এক সময় হল কি। অপেক্ষাকৃত অমেধাবী লোকজনেই ভরে গেল বিজ্ঞান পরিষদ। তবে তারাও নিজেদের ‘বাঘা’ প্রমান করার জন্য আগের সেই সত্যিকারের ‘বাঘা’দের মত এলো মেলো স্টাইল ফলো করতে থাকলো।

কিন্তু আজকের ঘটনা ভিন্ন…



===============

এ ফারসাইটেড ডিসিশন (সাইফাইঃ আজিমভ স্টাইল)

কাউন্সিল রুমের বাতাসটা কেমন যেন ভারি হয়ে গেছে। হয়তো কাউন্সিল মেম্বারদের সম্মিলিত অস্বস্তিই এর কারণ। বিগত একশ বছরে কখনো একসাথে সব কাউন্সিল মেম্বার এরকম মুখোমুখি মিটিং করেনি। মিটিং সব সময়ই হয় ভার্চুয়ালি। আর সাইবার স্পেসের মিটিংটা আসলে কার্যকরও বেশি। প্রচুর তথ্যের অ্যাকসেস থাকে। কমিউনিকেশন ও অনেক কার্যকর হয়। একই সাথে সবার সাথে কমিউনিকেট করতে পারে সবাই। সরাসরি মিটিং এ প্রবলেম হল বক্তব্য কোয়ান্টাম নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে না গিয়ে যায় বায়বীয় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে!! সেকারণে একজন যখন মাধ্যমটা দখল করে রাখে। তখন আর অন্য কেউ কিছু বলতে পারেনা! এভাবে ‘ঝগড়া’ অথবা ‘প্রেমালাপ’ হয়তো চলে যায় বেশ ভালই। তাই বলে কাউন্সিল মিটিং!! অবিশ্বাস্য। এইসব কথাই ঘুরছে মেম্বারদের সবার মাথায়।

রুমের এই ভারি বাতাসে যার কন্ঠ প্রথম অনুরণন স্মৃষ্টি করে সে হল আলেকজান্ডার লেভিনৎজ। বিজ্ঞান কাউন্সিল এর সভাপতি। পদাধিকার বলে তারই প্রথম কথা বলার নিয়ম। সে বলে,
-আমরা আজ একত্রিত হয়েছি একটা বিশেষ উপলক্ষ্যে। আজ আমাদের কাউন্সিল এর দুইশত বৎসর পুর্তি হল। আজ থেকে ঠিক দুইশ বছর আগে মানব জাতি যে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেয়। তার ফলে অকেজো হয়ে পড়া গনতন্ত্র আর শাসক তন্ত্র ছেড়ে সবাই দ্বারস্থ হয় বিজ্ঞানের।
মেম্বাররা সবাই একটু নড়েচড়ে বসে। তাদের সম্মিলত নড়াচড়া আর গুঞ্জন ইন্টারফেয়ারেন্স তৈরি করে লেভিনৎজ এর কণ্ঠস্বরের সাথে। বিরক্তিতে একটু ভ্রু কুচকে যায় তার। সে বলতে থাকে,
-এটা যে মানব জাতির জন্য একটা পজিটিভ মুভমেণ্ট ছিল সেটার প্রমান সবাই পেয়ে গেছে। মানব ইতিহাসে এরকম সমৃদ্ধি আর কখনোই দেখা যায়নি।
সবাই মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। বক্তব্য চলতে থাকে,
-আসলে আমরা আজ একটা গুরুত্বপূ...

[এইটা গবেষনা ব্লগ!! গল্পের 'ওপেনিং' নিয়ে একটু গবেষনা করলাম। পাঠককেও একটু বিরক্ত করলাম বোধ হয়। তবে কেউ যদি কিছুদিনের মধ্যেই 'সাইফাই' কিছু লিখতে চান তাহলে এই ক্ষুদ্র গবেষণা পত্র কাজে লাগবে আশাকরি]

[মূল গল্প জমেনাই তাই আর পুরাটা পোস্টাইলাম না]

===
স্পর্শঃ১৯
dbabble@ইয়াহু.com


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

এতো কনফিডেন্স নিয়ে লিখেন কিভাবে ভাই? পড়লাম এবং একখান ফ্লপ খাইলাম। তবে মজা লাগছে পড়ে। আমি সিউর আপনি তিন মাইল লম্বা ব্লগ লিখলেও আমার পড়তে দারুন লাগবে। আজকে তাড়াহুড়া করে লিখছেন বোধহয়। কিছু বানান ভুল রয়ে গেছে। আমি অবশ্য সাবধানে লিখলেও অনেক ভুল হয়। খাইছে

......

আগামীকাল সকাল সাড়ে নয় ঘটিকায় মাইক্রোপ্রসেসর এন্ড এসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ পরীক্ষা। দুইটা স্পিড খেয়ে মাঠে নামছি। আজকে আর ঘুমাইতাম না। ভালো থাকেন...
---------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

যাক গালি যে দেওনাই সেটাই অনেক। আমিতো ভাবছিলাম ধুমায়ে গালি খেতে হবে। 'কনফিডেন্স' টা আসলে পুরাপুরি আসে অজ্ঞানতা থেকে। কিছুই পারিনা। তাই ভাল হল নাকি খারাপ হল সেসব নিয়েও কোন মাথা ঘামাইনা। ব্যস। দেঁতো হাসি হয়ে গেল কনফিডন্স। হাসি
আব্‌জাব লিখিতো!!

"মাইক্রোপ্রসেসর এন্ড এসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ" ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট। তবে তোমাদের স্যার যদি আমাদের মত পুরা বিট বাইট সহ ম্যানুয়াল মুখস্ত করায় তাইলে খবরই আছে।

ব্লগের নেশা ভালই বাধাইছো দেখতেছি। রেসাল্ট খারাপ করলে কিন্তু মাইর!! (যদিও আমি নিজেই.... খাইছে)

---
স্পর্শ

রায়হান আবীর এর ছবি

"মাইক্রোপ্রসেসর এন্ড এসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ" ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট। তবে তোমাদের স্যার যদি আমাদের মত পুরা বিট বাইট সহ ম্যানুয়াল মুখস্ত করায় তাইলে খবরই আছে

শুধু বিট বাইট না...ডায়াগ্রাম শুদ্ধা মুখস্থ করাইছে। আর বিশাল বিশাল এসেম্বলীতে দিসে পাঁচ মার্ক করে।
---------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে ব্যপার না। ইচ্ছা মত লিখবা। কে আর আসেম্বলি কোড পুরাটা মেলাতে যাবে? কিছু জিনিস ঠিক মত লিখলেই হল।

---
স্পর্শ

স্বপ্নাহত এর ছবি

কোন কারণে কারো প্রতি দুর্বলতা থাকলে তার যে কোন কিছুই চোখ বুজে ভাল লাগে। এইটাও ভাল লাগলো।

তার মানে এই না যে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে এইটা খারাপ লাগতো!!

আপনার প্রথম যে লেখাটা পড়েছিলাম সেটা মনে হয় পার্থদাকে নিয়ে আবজাব পোস্টটা। এর পর আরেকটা গল্প- একটা হিন্দু ছেলে আর একটা মুসলিম ছেলের বন্ধুত্ব নিয়ে, গল্পের নামটা যদিও মনে নাই। তবে ঐটা পড়ে অনেকক্ষণ ঝিম মেরে বসে ছিলাম।

আরো লিখেন। এত ভাবাভাবির কিছু নাই। ভাববে তো পাঠকরা।

ভাল থাকবেন।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে এইটা তো গল্প না! গল্পের ওপেনিং! চাইলে এইটা তে হাড়-মাংস লাগিয়ে পুরো একটা গল্প বানিয়ে ফেলা যায়। তবে শুধু এইটুক গবেষণাই করতে চেয়েছি। কিছু সাইফাই লিখতে চাচ্ছি। তার প্রাক্টিস এটা! খাইছে

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!!!

---
স্পর্শ

অতিথি লেখক এর ছবি

হিন্দু ছেলে আর মুসলমান ছেলে কে নিয়ে লেখা টা ঠিক গল্প না। ঐ মুসলমান ছেলেটা আমি মন খারাপ লেখা টার নাম ছিল 'মৎস দ্বীপ'।
আপনার মনে আছে দেখে ভাল লাগছে ! হাসি

---
স্পর্শ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।