অবোধের অবাধ্যতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৪/১১/২০০৯ - ৮:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুকুন্দ ভদ্র এসেছিল এমন এক রাতে:
আশ্বিনের ঝঞ্জা-বজ্র বায়ু,
সরিসৃপের উত্কট শি-শি শব্দে।
কৃতদাসের পিঠের উদার জমিন
লাল থেকে নীল হয়ে যায় চাবুকে চাবুকে,
তেমনি বিজলী-মুখর করাল দন্তে
ক্ষনে ক্ষনে হেসে উঠা নিশী-রাতে,
আজ থেকে ঠিক একটি বছর আগে
এসেছিল মকুন্দ ভদ্র:
সম্ভাবনাময় এক প্রৌঢ় বিপ্লবী।
অন্ধকারে জ্বলে, জ্বলে সিংহ চক্ষু
দ্রোহ-হুংকারে, মূক্তির আশ্বাসে
তার অন্তরাত্তা বিশ্বাসে বিস্ফরিত।

আজও বালিকার রক্তে হাওয়া দেয় যে কথা:
“মনে রাখিস, এই সব দিন একদিন ঝরে যাবেই”
এক ভর-সন্ধ্যায়, কি প্রত্যয়ে যেন,
আটপৌরে মালতির হাত ধরে বলেছিল ভদ্র।

অথচ কি মায়া-ইন্দ্রজালে: ক্ষলিত বোধপত্তি হতে
এক সিংহ-হৃদয়, দুটি জ্বলন্ত চক্ষু
হারাল তেজ মশাল-উজ্জল, শানিত।
শার্দুলের চোখে তৃনভোজী হীম দৃষ্টি:
গৃহপালিত অথবা শীতল আত্তসমর্পন।
অবোধ অতঃপর পরিল রজ্জু-দড়া
ছদ্দ অবাধ্যতার তরে, কাংক্ষিত রেশমী শেকল।

সংসারে সবচেয়ে বড় অপদার্থ-অকর্মা
পরিশেষে পেয়ে যায় নিরীহ ছাগল উপমা।
কখনও ভেবে দেখা হয়না তবু:
ছাগবংশ ধ্বংশসাধন উত্তর
রচনা হয় পূন্যের অমৃত নির্যাস,
ধর্মে আত্তার মূক্তিতে।
কি কাজে আসে প্রৌঢ় বিপ্লবী?


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

এক সপ্তাহ বানান ভুল না ধরার কথা ছিলো, সময় শেষ। আপনাকে দিয়েই বউনি করি। তাছাড়া কবিতায় বানান ভুল মোটেও ছাড়া যায় না। হাসি

ঝঞ্জা: ঝঞ্ঝা
উত্কট: উৎকট
সরিসৃপের: সরীসৃপের
কৃতদাসের: ক্রীতদাসের
ক্ষনে: ক্ষণে
নিশী-রাতে: নিশি রাতে (নিশীথ-এ দীর্ঘ ঈকার)
এসেছিল মকুন্দ ভদ্র: মুকুন্দ
মূক্তির: মুক্তির
অন্তরাত্তা: অন্তরাত্মা
বিস্ফরিত: বিস্ফোরিত বা বিস্ফারিত, আত্মায় কোনটা হয় ভেবে পেলাম না, তবে ঐ শব্দটা আদৌ হয় না।
কি প্রত্যয়ে: কী প্রত্যয়ে
কি মায়া: কী মায়া
ক্ষলিত: এই শব্দটি নতুন দেখলাম, অভিধানে খুঁজে দেখার উপায় নেই, হিমু ও তার চ্যালারা নিয়ে গেছে সবক'টা।
বোধপত্তি: এ-ও নতুন শুনলাম, মানে কী? বোধের উৎপত্তি?
শানিত: শাণিত
তৃনভোজী: তৃণ
হীম: হিম
আত্তসমর্পন: আত্ম সমর্পণ
ছদ্দ: ছদ্ম
কাংক্ষিত: কাঙ্ক্ষিত
ধ্বংশ: ধ্বংস
পূন্যের: পুণ্যের
আত্তার: আত্মার
মূক্তিতে: মুক্তিতে
কি কাজে: কী কাজে

লিস্টি তো কবিতার চেয়ে লম্বা হয়ে গেলো, হে অনামা কবি?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পাঠকদা,

আপনার বউনিটা আচ্ছা হলো।

ফিরে এসো চাকার আদলে অজ্ঞাত কোবি লিখেছেন ফিরে এসো মূলত পাঠক চোখ টিপি

আপনার লেখা ছাড়েন না কেন?

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে দাদা, সচলভাষায় বললে 'দৌড়ের উপর আছি', লেখার সময় পাচ্ছি না একেবারেই। তবে লিখবো তো বটেই, দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত।

রানা মেহের এর ছবি

বানান ভুলগুলো চোখে খুব লাগলেও
আপনার কবিতা খুব ভালো লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।