গল্পের আমরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০১/২০১০ - ১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মৌন বললো থাক সিঙ্গাড়া খেতে হবে না, ওটা টক! আর খাতাপা তার সাথে যোগ করলো হুঁ তুমি বরং জ্যামের বয়ামটা শেষ করো। আমিও কি কম! সাথে সাথেই বেহায়ার মত দাঁত কেলিয়ে জবাব দিলাম,, আরে আমার জ্যামের বয়াম তো শেষের পথে!!
আসলে হয়েছে কি কাল রাতে স্ট্রবেরী ফ্লেভারের এক বয়াম জ্যাম কিনেছিলাম সখ করে... তো আজ সকালে নাস্তায় মনে হল সেটার শুভ আরম্ভ হয়ে যাক নাহয়। তারপর জ্যাম দিয়ে ক পিস ব্রেডের পর আমি সেই যে তখন থেকে নাইফে মাখিয়ে একটু একটু করে খালি জ্যাম খেয়েই যাচ্ছি, মনে হয় না বয়ামটা শেষ করার আগে আমার খাওয়াও শেষ হবে! ভাবছি জ্যামের প্রেমে পড়ে গেলাম নাকি কে জানে!
আর তার মধ্যেই আবার মৌন কোথা থেকে এক সিঙ্গাড়ার গল্প করতে গিয়ে সেই যে মাথায় সিঙ্গাড়া শব্দটা ঢুকলো এখন পর্যন্ত ঐ এক শব্দই শুধু ঘুরছে!! ভাবছি এখন আমি সিঙ্গাড়া কই পাই?
তো আমার সিঙ্গাড়ার দু্ঃখ নিয়ে তামাশা করতেই ওরা মানে মৌন, খাতাপা আর উত্তর মিঞা (নামটা যদিও উত্তরায়ণ!) নানান রকমের বুদ্ধি দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই যেমন উত্তর মিঞা বললো এক কাজ করো, মাকে ফোন দিয়ে বরং শিখে ফেলো সিঙ্গাড়া বানায় কিভাবে? তো একবার বানিয়ে ফেলতে পারলেই দেখবা আর টকও লাগবে না!!
আমি চিবিয়ে চিবিয়ে জবাব দিলাম তো রেসিপি পেলেই কি হবে সিঙ্গাড়ার প্যাঁচ কিভাবে দেব শুনি,, উত্তরায়ণের সরল(!) উত্তর, তাহলে নাহয় সোজা সিঙ্গাড়া বানাও প্যাঁচের কি দরকার! নইলে আয়তকার বানাও অথবা বৃত্তাকারও বানাতে পার চাইলে..... থাক। এসব বরং বাদ দি নইলে বলতেই থাকতে পারব কিন্তু এর শেষ আর কখনো হবে না। তারচেয়ে বরং সিঙ্গাড়ার গল্প বলি.....

প্রথম প্রথম যখন রাতভর আমি আর রুহান গল্প করতাম। তখন সারা রাত গল্পের পর ভোর বেলায় রুহানের আজগুবি এক আবদার হত চল না একটু হেটে আসি। আমি ভাবতাম এ কেমন পাগল রে বাবা,, কিন্তু তারপর না, যখন একদিন দুদিন গিয়েছি ওর সাথে দেখতাম ব্যাপারটা কিন্তু আসলে এনজয়েবল!
ভোরবেলায় চারপাশটায় সব এত শান্ত আর স্নিগ্ধ থাকে যে মনটা একদমই ফ্রেশ হয়ে যায়। আমরা হাটতে হাটতে চলে যেতাম বড় রাস্তা পেরিয়ে নদীর চরের ঐ ছোট্ট ফার্মটায়। সেই অত্ত ভোর বেলায় তখনও কেউই থাকত না ওখানে। অদ্ভুত লাগতো আমার। দেখতাম কালচে নীল আকাশটা যেন ধীরে একটা ঘোলাটে গাঢ় নীল ঢেলে দিত পুরো পৃথিবী জুড়ে...
আর তারপর একটু একটু করে আলো ফুটতো।
আমি সকালের সেই আলো আধারের খেলাটা দেখতাম মন দিয়ে। মনে হত আলোর এই আলসেমী আদরটাকে গায়ে মাখি আমি সুগন্ধীর মত, আমি যেন সেই স্নিগ্ধতারই অংশ হয়ে যেতাম মুহূর্তেই....
ফার্মের যায়গাটা ছিল মন ভালো করার মত এক যায়গা তখন। নদীর মাঝখানের ছোট্ট চরে চারদিক খোলা ঐ বাঁশের ছাউনিগুলি আর চরের ওপর ফেলা টণকে টণ বালি... আবছা আলো ছায়ায় ভোর বেলার একটা স্নিগ্ধ নরম শীতলতা যেন চাদরের মত জড়িয়ে রাখত ফার্মটাকে। আমার মনে আছে ঐ ছাউনিগুলিতে সিমেন্টের বেঞ্চের মত চওড়া মতন কোন এক বস্তু ছিল। আমরা হাটতে হাটতে যখন ওখানটায় পৌছাতাম, আমার কপালে, ঘাড়ে ততক্ষণে শীশীরের বিন্দু জমেছে খুশি মনে। আমি দৌড়ে পা উঠিয়ে গিয়ে বসতাম ঐ সিমেন্টের হিমশীতল বেঞ্চের কোণায়। একসময় গল্প করতে করতেই রুহান আমার কোলে মাথাটা রেখে ঠিক একটা আয়েশী ভঙ্গি নিয়ে শুয়ে পরত ঐ বেঞ্চেই। আমি কিছুটা অস্বস্তিতে কিছুটা খুশি হয়ে হাত নেড়ে নেড়ে কত কি যে বলে যেতাম আবোল তাবোল....
শুধু তখন আমার জানা ছিলো না যে এই আবোল তাবোলেরাই বড্ড বেশি অর্থবহ হয়ে এই আমি মানুষটার অর্থই বদলে দিতে পারে চাইলে!

তারপর ধীরে ঐ যায়গাটা আমাদের খুব প্রিয় হয়ে গেল সহজেই। আমরা প্রায়ই সেই বেঞ্চে সাথে নেয়া খাতা পত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে বালির ওপারের দূরে দিগন্তের কাছাকাছি ভেষে বেড়ানো স্বপ্নগুলোকে এক মনে দেখতাম। এপ্লাইড ম্যাথের কয়েক শ পাতার ভারি বইটার ব্যাবচ্ছেদে ব্যাস্ত আমি আর রুহান ওখানে কাটিয়ে দিতাম চড়া রোদের কত শত দুপুর। বেঞ্চের এক কোণায় হেলান দিয়ে অংকের ফাঁকে আমি দেখতাম অসহ্য রোদের মরিচীকাদেরকে। মরিচীকারা দুরে বালির ওপার থেকে যেন ডাকতো আমাদের। ওরা মিটি মিটি হাসতো আর বলতো। বলতো বাতাসে উড়তে থাকা আমার সাদা ওড়নার কথা। বলতো খাতায় আঁকা কালির সমীকরণ আর রুহানের মুগ্ধতার কথা....
তারপর আমরা ফার্মের নতুন হওয়া ছাপড়া ক্যান্টিনটার সিঙ্গাড়া খেতাম। আর টুকরো বরফে ডুবিয়ে রাখা পেপসির বোতল। ওরা কেন যেন কখনোই কোক রাখত না। এবং সেটা নিয়ে আমি ঘ্যান ঘ্যান করতেই থাকতাম। ঐ ক্যন্টিনের সিঙ্গাড়ার একটা বৈশিষ্ট ছিল। ওতে শুধু ভাজা পেয়াজ ছাড়া আর কিছুই থাকত না... আমার অবশ্য পছন্দই ছিল। আর রুহান বলে, টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে সিঙ্গাড়া মুখে দিতাম আমি। এই দৃশ্যটাই ওকে আটকে রেখেছে অনন্তকাল....

একদিন আমি আর রুহান কোথায় যেন যাচ্ছিলাম রিক্সায় করে। হঠাৎ আমার সিঙ্গাড়ার এটাকের মত হল!! সেই মুহূর্তেই সিঙ্গাড়া খাওয়া আমার চাই ই চাই। আর কি!
অতঃপর রুহানের প্রস্থান এবং সিঙ্গাড়ার গরম ঠোঙা হাতে বিরক্ত মুখে প্রত্যাবর্তন!
আমি তো সেই গরম গরম কলিজার সিঙ্গাড়া খেয়ে এমন ভক্তই হয়েছিলাম যে ওকে প্রায়ই শর্ত দিতাম যে আজকে আমার চেহারা দেখতে চাইলে সেই গরম ঠোঙা হাতে চাই। এবং সেটা শুধু মাত্র সেই দোকানেরই হতে হবে!
আসলে সিঙ্গাড়া প্রীতিটা আমার আগেরই ছিল নাকি রুহানের সাথে থেকে থেকে হয়েছে এখন আর মনে করতে পারি না আমি। তবে সিঙ্গাড়া এই শব্দটা মনে এলেই মুখে একটা কিসের যেন ছায়া পরে আমার যেটা আমি আয়নার সামনে না থেকেও বুঝতে পারি.... বোধহয় ভুলে যাওয়া সময়গুলি এই একটা ছোট্ট শব্দে এক পশলা ভাড়ি বৃষ্টির মতন আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে যায় বলেই আমি থমকে যাই!!
থমকে যাই ভুলে যাওয়াকে ভুলে গিয়ে.....

মনে পরে ফাউন্ডেশনের নিচে মেঝেতে সমস্ত খাতা পত্র ছড়িয়ে যখন এসাইনমেন্টগুলির দিকে চোখ কুচকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে আমি বরদোয়া দেয়া শুরু করতাম,, রুহান ঠিক একটা ফেরেশতার মত উদয় হত ওর বিখ্যাত শান্ত ভঙ্গিকে সাথে করে। হাতে সবসময় থাকতো একটা গরম ঠোঙা। এটা অবশ্য ক্যাম্পাসের টঙের হত। আমরা ওগুলিকে বলতাম মার্বেল সিঙ্গাড়া। ছোট ছোট মার্বেলের মত বলে মার্বেল সিঙ্গাড়া নাম!! আর সাথে থাকত তেতুলের চাটনি। ও এসে বসতো আর বাকি সবাই আমরা ব্যাস্ত হতাম ওর ঠোঙার প্রতি। তারপর দিন গড়িয়ে গেলে দেখতাম আমি হয়ত গান কানে গুজে মনের সুখে টুং টাং শব্দে হাতের চুড়ি বাজিয়ে বেড়াচ্ছি আর আমার এসাইনমেন্টগুলি শেষ মেষ বরদোয়ার ভয়ে রুহানের হাতে গিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে!!
আমি ভাবতাম সিঙ্গাড়া আমার খুব বেশি প্রিয় তাই রুহান কখনই বিরক্ত হত না হঠাৎ হঠাৎ আমার সিঙ্গাড়ার এটাক হওয়ার মত বিচিত্র কান্ডতেও। কিংবা আমার সাথে বাজী ধরে না জানি ক ঠোঙা মার্বেল সিঙ্গাড়া সাবাড় করাতেও!! হ্যাঁ ঠিক এমনটাই ভাবতাম আমি... ভাবতাম আমার পছন্দ তাই অমন ছিলো সব....

তারপর অনেক কাল পরে একদিন ক্যাম্পাসের সেই বটতলায় হাটছিলাম আমি। কালো গাড়িটার কাঁচ নামিয়ে মেয়েটা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে। কিংবা বটতলার সিড়িতে বসা ছেলেদুটোর চোখে একটু যেন ঘৃণা মিশ্রিত কৌতুহল... তবুও আমার হাটায় কোন দ্বিধা ছিলো না।
কারণ তখন পর্যন্ত জানতাম আমি ভুল ছিলাম না...
দেখলাম বিশলা কড়াইতে ডুবো তেলে ভাষছে সেই মার্বেল সিঙ্গাড়া। তারপর ঝাঝোড়ে করে উঠে আসছে বড় থালাগুলোয়। গরম ধোঁয়া পাক খেয়ে উঠে যাচ্ছে ধীরে.... এক ঠোঙা গরম সিঙ্গাড়া কিনতে খুব ইচ্ছে করলো আমার। ভাবলাম কতদিন সিঙ্গাড়া খাইনি আমি,, অবাক তো!! এক ঠোঙা গরম সিঙ্গারা হাতে আমি গিয়ে বসলাম ফাউন্ডেশনের নিচে.....

ঠোঙাটা হাতে নিয়ে আমি বসে রইলাম। কখনো একটা দুটো সিঙ্গাড়া হাতে নিয়ে দেখলাম। কিংবা খেতেও হয়ত চাইলাম। একসময় তবুও ওরা তেমনি ঠায় পরে রইলো ঠোঙাটাতেই। আমার মনে পরলো সেই ভোরবেলাগুলির কথা... ভাবলাম অসহ্য দুপুরের সেই মরিচীকাগুলির ডাক!! কিংবা ভাবলাম রিক্সায় রুহানের সাথে আমি.... মনে পরলো আমি ভেঙে ভেঙে সিঙ্গাড়ার টুকরো মুখে দিচ্ছি.....

তারপর আমার মনে পরলো সেই বর্ষার সন্ধ্যার কথা,, বৃষ্টি মাথায় ও এসেছিলো আমার বাড়ান্দায়। একটা কাগজের ঠোঙায় সিঙ্গাড়ার সাথে সেদিন বাড়তি ছিল কাঠাল চাঁপা ফুল.... আমি নেইনি। সেই প্রথম ওকে ফিরিয়েছিলাম আমি... জানতাম আমি ভুল ছিলাম না....
মনে পরলো ফুলগুলো আমায় ডেকেছিলো ঠিকই। মনে পরলো আমি চোখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম....

তবুও গরম ঠোঙাটা ঠায় অমনিই থাকলো আমার হাতে। এক সময় আমি ঠোঙাটা ওখানে রেখেই উঠে দাড়ালাম। একটা সিঙ্গাড়াও ভেঙ্গে আমার মুখে দেয়া হল না....

তারপর আমি হেটে চলে এলাম। আমি চলে এলাম আমার ঠিক জানাটাকে পেছনে ফেলে। কারণ সেদিনই আমি প্রথম জানলাম যে সেই সন্ধ্যাটায় আমি ভুল ছিলাম। আমি জানলাম যে রুহানের এনে দেয়াটাই ছিল আমার একমাত্র পছন্দ.....।।

ত্রেয়া।।।


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গল্পের কিছু অংশ দারুণ ভাল লেগেছে, কিছু অংশ অতটা নয়। আরো লিখুন। লিখলে দ্রুতই এই সমস্যা মিটে যাবে আশাকরি। তখন আপনার লেখা দেখলেই পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়বে... হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তিথীডোর এর ছবি

আরে সেই আনকমন নামের অতিথি!!
গল্পের কয়েকটা লাইন বেশ ভাল্লাগলো... এতবার সিঙ্গাড়া শব্দটা এসেছে যে খেতেই ইচ্ছে করছে..হাঃহাঃ!
লিখতে থাকুন... বেশকিছু টাইপো আছে, পরেরবার থাকবেনা আশা রাখছি!!
চটবেন না যেন, ভুল বানান ও ফরম্যাটিং এ আমিই সচলসেরা!

-------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বাহ! কিছু অংশ অসম্ভব সুন্দর হয়েছে! আরে হাত পা খুলে ঝাপ দিয়ে পড়েন মিয়া, আরক লিখেন! দেঁতো হাসি

-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমার একবার ঢাকায় অবস্থান করেই সমুচা প্রেম চাগার দিয়া উঠছিলো। সেই সন্ধ্যায় সমুচার খোঁজে আরামবাগ থেকে হাঁটতে হাঁটতে গুলিস্তানের গোলাপ শাহের মাজারের কাছের একটা দোকানে এসে তবে সমুচা খেয়ে প্রাণ বাঁচাইছি। সাথে দুই বন্ধু আছিলো। তারা সারাটা পথ গালাগালি করলেও শেষমেশ আমাকে সঙ্গ ঠিকই দিছে।

সিঙ্গারা প্যাচ মারার একটা সোজা পদ্ধতি শিখায়া দেই। খিলি পান বানাইতে পারেন? না পারলেও অসুবিধা নাই, কাউরে বানাইতে দেখছেন তো! সেটা না দেখলেও ক্ষতি নাই। প্রথমের মোটামুটি গোলগাল সাইজ করে আটা-ময়দা-সুজি, যা পান সেটা বেলে ফেলেন। তারপর ঐ মোটামুটি গোলগাল জিনিষটাকে হাতে নিয়ে কোন আইস্ক্রিমের কোনের মতো একটা চোঙা বানান। তারপর ঐ চোঙার ভিতরে মাল-মশলা সব জাইত্যা ঢুকায়ে উপরের মুখটা থাবড়াইয়া বন্ধ করে দেন। এবার উপরের বন্ধ মুখের দুই দিকে চিমটি আর টেপাটেপি বিদ্যা প্রয়োগ করে দুইটা কোনা বানান। এইবার চোঙার চোখা মাথাটা টেবিলে রেখে থেতলাতে থাকেন যতোক্ষণ পর্যন্ত না চোখা মাথা ভোতা হয়। ব্যস, মোটামুটি তিন কোনা সাইজে আসলেই তেলে ছেড়ে দেন।

হয়ে গেলো আপনার তেকোনা সিঙ্গারা। হাসি

কায়েস এর ছবি

ভালোইতো হয়ছে।।। 'একটা সিঙ্গাড়াও ভেঙ্গে আমার মুখে দেয়া হল না' ধুর,,এইরকম কেউ করে?

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পের শুরু চাপ্পুর সমতল থেকে -- সেখান থেকে আঁকাবাঁকা পাহাড়ী রাস্তা বেয়ে -- দুরের রোমান্টিক সৌন্দর্য দেখিয়ে -- শেষে সাগরপাড়ে একলা দাড়ানোর অনুভুতি --
ভাল্লাগ্লো।
--

ধুগো দার মতো আমারও সমুচা প্রীতি ছিলো -- এবং বিশেষ একটা দোকানের না হলে চলতো না -- সমুচা , সিংগারা , ডালপুরীর কথা মনে পড়লে -- ছেড়ে আসা বন্ধুদের আড্ডার কথা মনে হয় -- সেই আড্ডাটায় হয়ত প্রিয় ছিলো -- সেই সময়টা।

--
ইমতিয়াজ মির্জা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লেগেছে। শুভ কামনা।

শেখ আমিনুল ইসলাম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।