বিমান সচলায়তন

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: সোম, ২২/০২/২০১০ - ২:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশেষ সংবাদদাতাঃ
“আজকে ঢাকা বিমানবন্দরে বড়ই গিয়ানজাম। এক নতুন বিমানসংস্থার উদ্বোধন অইব বলে খবরাসে। পরিস্থিতি বড়ই উত্তপ্ত। সরকারপোষ্য বিমানসংস্থার আরেক প্রতিযোগী আইতেসে সেটা সরকার মোটেও ভাল চোখে দেখতেসেন না। সরকারী মহানেত্রী মাজেদা মাশরুম বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়ায়ে হাউকাউ করতে লাগসেন সকাল থাইক্যা। নেহাৎ নিরাপত্তা আয়োজনের ভার সরকারী পুলিশগুলার হাতেই ছাইড়্যা না দিয়া অতন্দ্র প্রহরী নিজে সব খবর্দারি করতাসেন তাই রক্ষে। নইলে এতক্ষণে সব কস্কী'মমিন অইয়া যাইত। আর ত্যানার কড়া নজরদারীতে ছাগুগুলাও পাঁচিল ডিঙায়ে ঢুকবার সুবিধা করতে পারতেসে না। মহাবিরোধীনেত্রী খোজেদা খারতুম এই অভিমানে তাই রাস্তায় বইস্যা পড়ে সেখানেই টিভিগুলারে সাক্ষাৎকার দিতেসেন...”

বিমানবন্দরে সচল-হাচল-কচিচল গিজগিজ করছে। এর মাঝে অনুষ্ঠান শুরু হল উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে - কেউ ইউটিউব থেকে বিমান বাংলাদেশ চালিয়ে দিলেন। খবর পেয়ে বাইরে থেকে মহানেত্রী কিড়মিড় করতে লাগলেন। উদ্বোধনী সঙ্গীত শেষে এল ঘোষণা করার পালা। ঠ্যালাঠেলি করে হিমুকেই এগিয়ে দেওয়া হল। হিমু বলতে শুরু করলেন,
“প্রিয় বাংলাদেশের জনগণ ও বিশেষত সচলায়তনের সদস্যবৃন্দ, আজকে বড় আনন্দের দিন। আজকে বাংলাদেশের জনসাধারণকে যথার্থ পরিষেবা কেমন হয় তার স্বাদ দেবার জন্য এক নতুন বিমানসংস্থা চালু করতে চলেছি।”
পাশ থেকে মূলোদা যোগ করলেন, “বিমান বাংলাদেশের মত ঘাপলা অইব না।”
রণদাও যোগ দিলেন, “গ্রামীন ফোনের মতন প্যাচালও হবে না।”
বক্তা বলে চললেন, “আমাদের বিমানসংস্থার নাম হবে বিমান সচলায়তন। আমরা বহুদিন আগেই এই উদ্যোগ শুরু করেছিলাম, তবে ডরপোক সরকার মাঝে আমাদের ব্যান করে দেওয়ায় কিছুদিন পিছিয়ে যায়। তবে এইবার আর আমাদের সঙ্গে কোনো ধুনফুন চলবে না। একেবারে আকাশে উড়েই আমরা ক্ষান্ত হব।”
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উন্মোচিত করা হল সুজঞ্চৌ-এর আঁকা বিমান সচলায়তনের প্রতীকটি। ‘জাঝা’, ‘জাঝা’ বলে বিপুল চিৎকার শুরু হল সারা জনসমাগমের মধ্যেই। এরপর লীলেন্দা এগিয়ে এসে দড়ি টেনে মঞ্চের পেছন থেকে পর্দা সরিয়ে দিলেন। বিমানবন্দরে লাগানো অত্যাধুনিক বিমানপোতগুলিকে দেখে সমবেত জনতা হাঁ হয়ে গেল। কেউ কেউ ফিসফিস করে বলতে লাগল, “হালারা ফরেনের টাকা পেয়েই এমন করতে পেরেসে।” “শুনছি, হালাদের সচলের অনেক মেম্বর ফরেনে থাকে গিয়া। ব্যাটারা মোটা মোটা ডলার পাঠায়েসে।” তাই শুনে আবার এদিক ওদিক প্রশ্ন উঠল, “তাহলে তাদেরকে ধরে আমার পোলাডারেও ফরেন পাঠানো যায় না?”
বাইরে থেকে মহানেত্রী আবার হুঙ্কার দিলেন, “এ নাম চলব না, সচলায়তন নাম অচল। বিমানসংস্থার নাম পাল্টায়ে আমার পোলা চপস্টিক চমচমের নামে রাখতে অইব।” বিমানবন্দরে সমবেত লোকজন তাতে বিশেষ কর্ণপাত করলেন না।

ভেতরে তখন বক্তৃতা দ্বিতীয় পর্বে এসে পৌঁছেছে; ব্যবস্থাপনা বর্ণনা করা হচ্ছে - “অন্যান্য বিমানসংস্থাগুলির মত আমাদেরও যাত্রীদের মধ্যে তিনটি স্তরীভবন থাকবে। প্রথম ভাগে, কচিচল অর্থাৎ অতিথি সচল, যাঁরা প্রাথমিক পরিষেবাগুলি সবই পাবেন, যেমন খাবারদাবার (অর্থাৎ ভাল ভাল পুস্ট পড়ে মস্তিষ্কের পুষ্টি সাধন), ভিড্যু দেখা বা গান শোনা (ইস্নিপস কি ইউটিউব থেকে এমবেড করা), নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার, আরাম করে বসাশোয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি।
মধ্য ভাগে রয়েছেন হাচল অর্থাৎ হাফ-সচলরা। এনাদের অতিরিক্ত সুবিধা বলতে, একখান নিজের নামের অ্যাকাউন্ট থাকবে, যাতে নামের পাশে উপাধিস্বরূপ ‘অতিথি’ টাঙানো থাকবে। আর কিছু খুচখাচ খাতিরটাতির পাবেন, সেগুলো হ্যান্ডবুক নীতিমালা দেখে নেবেন গিয়ে।
সর্বোচ্চ শ্রেণীতে রয়েছেন ফুল-সচলরা, এই যেমন আমি। এঁরা সবরকম ভাল ভাল সুবিধাপত্র পাবেন, যেমন মডারেশন কিউতে দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে এনাদের ঠ্যাং ব্যথা করতে হবে না। তবে নিয়মকানুন এনাদের ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য, যেমন প্রথম পাতায় বেশি পুস্ট এনারাও করতে পারেন না।
এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণীতে উত্তরণ করতে গেলে ফ্রিকুয়েন্ট ফ্লায়ার মাইলস জমানো ছাড়া উপায় নাই। সে জমানো যাবে ভাল ভাল পুস্ট করে বা কমেন্ট মেরে। এদিক-ওদিক ঘাপলা দিয়ে মাইলস জমানো আমাদের আইনে নাই। কটা পুস্ট-এ কয় শ্রেণী হবে সে বিষয়ে বাঁধাধরা আইন এখনো আমাদের নেই, তবে শীঘ্র আসবে বলেও মনে করছি না।
সবাইকেই বলতে পারি, আপনার স্তর যাই হোক না কেন, বিমান সচলায়তন আপনারে বুরাকের মতই সার্ভিস দিবে!” চটাচট তালি পড়তে লাগল।

বিশেষ সংবাদদাতাঃ “শোনা গেল, বুরাকের বদলে বারাক শুইন্যা ফ্যালাইয়া বাইরে মহাবিরোধীনেত্রী মূর্ছা গেসেন। তাঁর চ্যালাচামুন্ডোরা তাঁর জ্ঞান ফিরানোর চেষ্টা করতাসে।”
বক্তৃতা চলতে লাগল। “আপনাদের সেবার জন্য আমরা সর্বদাই উপস্থিত থাকব। আমাদের বিমানবালকদের নাম দেওয়া হয়েছে মডুরাম। তাঁরা বেনিআসহকলা’র এক এক রঙের পোষাক পরে সর্বদাই আপনাদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করবেন, ও কচিচল ও হাচলদের সবরকম সাহায্য করবেন। নিয়মকানুনের ব্যাপারখানাও এনারাই দেখাশোনা করবেন। আর হ্যাঁ, এনাদের ত্যাল দেওনের চেষ্টা করে কোন উপরি মাইল বাগাইতে পারবেন না।
আমাদের নিয়মিত বিমানপত্রিকাও বার হবে, নাম দেওয়া হল সন্দেশ। পড়তে ভুলবেন না, অনেক দরকারি তথ্য পাবেন।
বিমানে চাপার জন্য টিকিট অবশ্যই নিয়ে আইতে অইব। ‘বাড়িতে ফেলে আইসি, চা খাইয়া আইন্যা দিব’ বইল্যা ধুনফুন করলে চলব না। এক একটি লেখার বিনিময়ে একটি কইর‌্যা টিকিট। ন্যাহাতই সস্তা; বিদেশী বিমানসংস্থাগুলির মত নাকের ফুটা দিয়া রোক্কা বাইর করনের দরকার নাই।” তুমুল হর্ষধ্বনি পড়ল।

এবার হিমুর বন্ধু ধুগোদা সুযোগ পেয়ে এগিয়ে এলেন। জানিয়ে ফেললেন, “আমাদের বিমানসংস্থা নতুন চালু হইসে বলে এখন যাত্রীদের একটু সুবিধাজনক ডীল দেওয়া হইত্যাসে। এখন যদি কেউ বিমানে চাপার একটি টিকিট কাটেন তবে শালীরে চাপাইবার লগে বিনামূল্যে আরেকটি টিকিট পাইতে পারেন। দুর্ভাগ্যবশত টিকিটের এত চাহিদা যে শালীর টিকিটটি একই বিমানের না হইবার কিছু সম্ভাবনা আছে। তবে সুখবর, যাত্রীর বিবাহিত হওন বাধ্যতামূলক নয়, শালীর তো নয়ই।”
এবার আকতার ভাই কিছু বলতে আ্সলেন। “বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা আপনাদেরও হেলাফেলা করি না। সচলের পাতায় রোজই আপনাদেরও নাম ওঠে। আপনাদের জন্যও আছে ইস্পেশাল ডীল। সপ্তাহের প্রতি জুম্মাবার শুধুমাত্র রাজাকারদের জন্য বিনামূল্যে বিমানে চাপার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাই সত্বর এগিয়ে আসুন।”
মৃদুল ভাই উত্তেজিত হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। আকতার ভাই তাঁর হাত চেপে ধরে ফিসফিস করে বললেন, “আরে উতলা হন ক্যান। হালাদের প্রথম প্লেনটাই যখন অটোপাইলট দিয়া পদ্মার বুকে ল্যান্ড করাইব, তখন ব্যাটারা টের পাইব, ক্যাম্নেকি।”

এবার টেকনোলজি বিষয়ে কিছু বলতে রাগিবকে ডাকা হল। রাগিব জানালেন, “আমাদের প্রযুক্তি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরী। মুর্শেদ ভাই আর অনেকের নিজের হাতের কাজ। আপনার স্ক্রীনে কি আমাদের সিস্টেমে যখন-তখন BSOD আসার এখানে কোনো সম্ভাবনা নেই।” এক সুটবুট পরা ভদ্রলোক জনান্তিকে বললেন, এ কথাটা ঠিক কয়েছে। আমি এমনকি লুপ্তান্সাতেও BSOD পাইসি। ওদিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’মন্ত্রীকে সাংবাদিকদের সামনে বলতে শোনা গেল, “হঃ! আমার দপ্তরের কোনো সাহায্য ছাড়াই ব্যাটারা এতসব করব? এতই সোজা? আমাদের থেকে ফ্রডব্যান্ডউইডথ না পাইলে টিকিট কেনাবেচা করব ক্যাম্নে? দুদিনেই লাটে উইঠ্যা যাইব।”
পিপিদা যোগ করলেন, “আমাদের বিমানসংস্থা সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। যখন-তখন ক্র্যাশ করে পড়ে সেখানের পরিবেশের বারোটা বাজায় না।”

সৌভাগ্যবশত এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে কোনো ন্যাতানেত্রীরে ডাকা হয় নাই। কোনো চলচ্চিত্র-কুমার-কুমারীও কলকে পান নাই। বিমানবন্দর অধিকর্তাকে একমাত্র ডাকা হয়েছিল। তিনি সরকারের ভয়ে আমতা আমতা করে খানিকক্ষণ এটাসেটা বললেন, একে-ওকে কিছু ধন্যবাদও দিলেন। আর শেষ করলেন একটি অনুরোধ দিয়ে – “যদি কখনও আমাদের বিমানবন্দরকর্মীরা রানওয়েতে কিরকেট-ফুটবল খেলতে লাগে, তবে দয়া করে তাদের বিমানচাপা দিয়া ফেলেন না।”
সমাপ্তি ভাষণ দিতে এলেন স্নিগ্ধা আপা। তিনি বললেন, “মনে রাখবেন, আমাদের স্লোগান ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’; নির্ভয়ে আমাদের বিমানে আসুন, কোনো উচ্চতাই অধরা থাকবে না।”
সমবেত সচল-হাচল-কচিচল’দের ধনেপাতা বিতরণ করে সচলায়তন কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান সমাপ্ত করলেন।
বিশেষ সংবাদদাতাঃ “বিপুল জনোল্লাসের মধ্য দিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শ্যাষ অইল। শোনা যাইতাসে হাব্লাবুল অ্যান্ড কোং ইতিমধ্যেই রেনেট ভাইরে ধরাধরি করতে লাগসে বার্ষিক পাসের লগে। সচল কর্তৃপক্ষ এই কোয়ার্টারেরই ব্যালেন্স শীটে বড়সড় লাভের আশা দেখতাসেন বলে খবরাসে।”

----------
কৌস্তুভ

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ ন্যাত্রীদের নামগুলি হিমুদার লেখা থেকে ধার নিলাম।
বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ আমার লেখারে ভাল কইলে ছাগুরামরা ভারতপ্রেমী বলে আপনাদের গালি পাড়তে পারে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা হা!!
হাস্তে হাস্তে পইড়া গেলাম!!

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

সাম্লাইয়া লন ভাই। আর জলদি টিকিট কাইট্যা ফেলেন।

কৌস্তুভ

অতিথি লেখক এর ছবি

ও কৌস্তুভদা, এমন লেখার হাত নিয়ে আপনি কিনা দুবছর ধরে ঝিমাইসেন। আরো লেখা দেন।
চলুক

---- মনজুর এলাহী ----

আলমগীর এর ছবি

ভাল লিখেছেন। চলুক চলুক।

deluwar hussain joy  guest এর ছবি

[restrict]good very good

[b]

অতিথি লেখক এর ছবি

ধইন্যবাদ আপনাদের।
মনজুর ভাই, কই ঝিমাই নাই তো! ব্যাবাক জাইগ্যা সব লেখাপত্র পড়সি!

কৌস্তুভ

তিথীডোর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ সুন্দর করে লিখেছেন! মজা পাইছি! বেস্ট পার্ট মনে হয়, বারাকের অংশটা! হাহাপগে!
আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম!

কাকুল কায়েশ

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

কৌস্তুভ

Shizumu Wabishii Tawakemono [অতিথি] এর ছবি

ভাই হাসতে আসতে শেষ.....গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মাগার বিধিসম্মত সতর্কীকরণটা বুঝলাম না.....ছাগুরামরা কেডা????.......ইয়ে, মানে...

পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম । হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই।

ইসে, ছাগুরাম বলতে ছাগুরাম সুলভ পাকমনপিয়ারু-দের বুঝাইছি; আমি ভারতীয়, ওরা চটে যাইতে পারে... চোখ টিপি

কৌস্তুভ

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

বোহেমিয়ান

তাসনীম এর ছবি

দেরিতে পড়লাম।

চলুক

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মূলত পাঠক এর ছবি

আসেন আসেন ভাই, আরো লেখেন।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পেলেনে স্বাগতম খাইছে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

আরি, এইটার ভাষা দেখি আরো খাসা। কৌস্তুভ, আপনার সত্যিই আরো লেখা দরকার। হাত শানানোর জন্য না শুধু, প্রতিষ্ঠা পাবার স্বার্থেও। ভাল থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

বোহেমিয়ান, তাসনীম ভাই, মূলোদা, সিমন, ফারাবী আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।
ফারাবী, লজ্জায় তো আমি কালাচাঁদ বেগুনী হয়ে যাচ্ছি...

কৌস্তুভ

গৌতম এর ছবি

হা হা হা! হাস্তে হাস্তে আস্তে আস্তে পইড়্যা গেলাম!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো

চমৎকার!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

naira এর ছবি

লেখার হাত তো অনেক ভাল আপনার, আশা করছি আরও অনেক সুন্দর লেখা পাব|

অতিথি লেখক এর ছবি

সচল বিমানে তো টিকেট কাটতে চাই কিন্তু সিরিয়াল তো পাচ্ছিনা। কঠিন শর্তাবলী। এদিকে ঠ্যাংদুটো তো ব্যাথায় কঁকাচ্ছে। আপনি দারুন লিখেছেন ভাই।

বিমানের কথা যখন বলেছেন, আমি সর্বশেষ বাংলাদেশ বিমানে চড়েছি ২০০৩ সালে। ঢাকা থেকে চিটাগং যাবো কিন্তু টিকেট কাটিনি। ভেবেছিলাম এয়ারপোর্টে গো-শো টিকেট কাটবো। বিমান কর্মীরা অতীব 'সচল'। ওরা আমাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-দোহা ফ্লাইটে একটা ঢাকা-চট্টগ্রাম টিকেট দিলেন । তারপর একলা বাসে চড়িয়ে ক্র্যাফটের কাছে নিলেন, এবং ক্র্যাফটের বন্ধ দরজা খুলিয়ে আমাকে ঢুকালেন। এই না হলে বাংলাদেশ বিমান!

রাতঃস্মরণীয়

কৌস্তুভ এর ছবি

গৌতমদা, ব্যাকপ্যাকার দা, নাইরা, অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।