সম্প্রতি Historicizing 1971 Genocide: State versus Person নামে একটা বই হাতে পেলাম। ২০০৯ সালে প্রকাশিত বইটির লেখক Imtiaz Ahmed, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেখানকার Centre for Genocide Studies এর ডিরেক্টর।
বইটির শিরোনাম, ‘একাত্তরের ইতিহাসকরণ’ অবশ্যই ইন্টারেস্টিং এবং প্রমিসিং, সুষ্ঠুভাবে একাত্তরের ঘটনাবলীর ইতিহাস লেখার যে কোনো প্রয়াসই প্রশংসনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সে কাজ করতেই পারেন। বিশেষত লেখক নিজেই বলছেন যে তিনি একাত্তরের জিনোসাইড বিষয়ে প্রায়ই একাডেমিক বক্তৃতা দেন, যাতে নাকি এমনকি পাকিস্তানি গবেষকরাও আগ্রহী। তবে বইটির উপ-শিরোনাম অদ্ভুত লাগল, একাত্তরের ইতিহাস রচনার প্রয়াসকে ‘রাষ্ট্র বনাম ব্যক্তির দ্বন্দ্ব’ হিসাবে দেখানোর প্রয়োজন আছে কি?
আপামর পাঠকমহোদয় ও আবদেরে বাড্ডেবালিকা সুরঞ্জনার জন্য কুইজ,
সেই প্রবাদপ্রতিম সফরে বীগল জাহাজের প্রকৃতিবিদের পদে কে নিযুক্ত ছিলেন?
যাঁরা ঝটপট করে ‘ডারউইন’ উত্তর দিতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সতর্কতা, অত সহজ উত্তর হলে নিশ্চয়ই প্রশ্নটা করতাম না!
আমাদের ল্যাবের টার্কিশ খুকির থেকে একটি সরল কিন্তু উপাদেয় চিকেন স্যুপের রেসিপি জোগাড় করেছি।
‘প্রার্থনা’ নাম দিয়ে রবিঠাকুর ওই যে কথাগুলো বলেছেন তা নেহাতই অস্বাভাবিক। প্রার্থনা মানেই হল মাথা নিচু করে, হাঁটু গেড়ে বসে, শক্তিশালী কারো কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়ার জন্য অনুনয়-বিনয়, পীড়াপিড়ি করা। আর প্রার্থনা ব্যাপারটাই ভয় থেকে উদ্ভূত। প্রিয়জনের অমঙ্গল হওয়ার ভয়। জীবন-যৌবন-সম্পদের ক্ষতি হওয়ার ভয়। মৃত্যুভয়। মৃত্যুর পরে স্বর্গলাভ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়। দেবতার স্নেহচ্ছায়া থেকে বিচ্যুত হওয়ার ভয়। কে না জানে, উনি অত্যন্ত স্নেহবান ও প্রীতিপরায়ণ, কেবল তাঁকে পাল্টা ভালবাসতে এতটুকু বিচ্যুতি বা অস্বীকৃতি মানেই ইহকাল ও পরকালে অনন্ত নরক...
প্রার্থনা শব্দের ভদ্র, প্রচলিত অর্থখানা নিয়েই বরং আজকের ফটোগ্রাফি দিবসে দুটো ছবি আপনাদের দেখাই।
এখন রঙিন টিভি দেখে দেখে অভ্যস্ত আমরা যদি সাদাকালো টিভির দিকে তাকাই, সেটা আমাদের অনেক বিবর্ণ, বোরিং বলে মনে হবে। নিজের চোখে চারপাশকে যেমন দেখতে পাই, টিভির ছবিগুলো তার বাস্তবসম্মত প্রতিরূপ আদৌ নয় কিনা।
“আপনার একঢাল সুন্দর ঘনকালো চুলের রহস্য কী?”
যদিও পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে “এতদিন কোথায় ছিলেন?” প্রশ্ন করার মত কোনো অনুরক্ত পাঠিকা আমার জন্যে বসে নেই, তবুও কৈফিয়ত দিয়ে রাখা ভাল যে কিছুদিন আমি নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম ভ্রমণে লাপাত্তা ছিলাম। মানে যেধরনের ভ্রমণে চিত্তের স্ফুর্তি ও উদরের স্ফীতি হয়ে থাকে এক্কেবারে সেরকম ভ্রমণ। বলাবাহুল্য কনফারেন্সের ছুতোয়।
শ্রীমতী এমা ওয়েজউডের বয়স তখন তিরিশ পেরিয়েছে। বাড়ির দাদা ও দিদিরা সবাই বিয়ে-থা করে অন্যমুখো। কেবল এক দিদি বাড়িতেই থাকেন, তাঁর হাড়ের অসুখ, বিয়ে হয়নি; এই দিদি, শয্যাশায়ী মা আর বুড়ো বাপের দেখাশোনা এমা’কেই করতে হয়। তাঁর নিজেরও এই বয়সে আর বিয়ের আশা নেই বললেই চলে।