কৌস্তুভ এর ব্লগ

আল কাপোনের আপন দেশে

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০৬/২০১১ - ৭:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদম এইরকমই উৎসাহ নিয়ে শিকাগোর উদ্দেশ্যে প্লেনে চড়ে বসেছিলাম। মনে আরো ফুর্তি ছিল, কারণ আমার পুরো প্লেনভাড়া ছিল মাত্র ১০ ডলার – ট্যাক্সটুকু – আসলটা ফ্রিকুয়েন্ট-ফ্লায়ার জমিয়ে কাটা। কিন্তু আমার প্ল্যানটা ছিল একটু ঘুরপথ। আমার এক বন্ধু পড়ে পারডু ইউনি’তে, সেখানেই প্রথমে গিয়ে, তার এবং এক সিনিয়রের সাথে শিকাগো যাওয়া হবে পরের দিন, ওই দাদাই ড্রাইভ করবে।


ডকিন্সখুড়োর ডুষ্টুবুদ্ধি

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: সোম, ২০/০৬/২০১১ - ৪:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের ডকিন্সখুড়ো একটা মাথাপাগলা লোক, সেটা সবাই জানে। ট্যাঙস ট্যাঙস কথা বলে। ধম্মকম্মের নাম শুনলেই তোপ দিয়ে উড়িয়ে যেতে চায়। এইসব বেয়াক্কেলে কাজের জন্য তার কপালে যে অনন্তকাল রৌরব নরক রয়েছে সে তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেসব বাদ্দিয়েও খুড়ো কয়েকটা বড় বড় বদবুদ্ধি প্রচার করে গেছেন। সেলফিশ জিন, এক্সটেন্ডেড ফিনোটাইপ এসব বইতে সেসব ফলাও করে লিখেওছেন। সেদিন আমার এক দোস্ত কইল, ‘ভাইরে, খুড়োর ভিডিও দেখি, কড়া কড়া কথা মজাই লাগে, কিন্তু কোনো বই তো পড়ি নাই! Am I missing something?’ তাই ভাবলেম, ডকিন্সখুড়োর প্রধান বৈজ্ঞানিক দুষ্টুবুদ্ধিগুলোর একটা ছোট আলোচনা করা যাক, হাজার হোক খুড়ো তো আসলে একজন জীববিজ্ঞানী!


উদার রয়েছি উদর মেলিয়া

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৬/২০১১ - ৩:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“ডাল ভাত তরকারি ফল-মূল শস্য,
আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য,
রুটি লুচি, ভাজাভুজি, টক ঝাল মিষ্টি,
ময়রা ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি,
আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে ও বিদেশে -
খুঁজে পেতে আনি খেতে - নয় বড়ো সিধে সে!”


ঘুম যায় ওই চাঁদ...

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: সোম, ০৯/০৫/২০১১ - ৫:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

... গল্প শোনার পালা এখন, নিঝুম নিশিরাতে...

সুর’বালিকা আবদার করেছে, তাকে সত্যি ভূতের গল্প শোনাতে হবে। আমি কোন অসাবধানে বলে ফেলেছিলাম, আমার দিদা খুব ভালো ভূতের গল্প বলতেন, পরিচিতজনদের জীবনের নানা ঘটনা থেকে নিয়ে... আর নিঝুম রাতে চাঁদের আলোয় তাঁর একটা গল্প ছিল নিজের জীবনের। কিন্তু ঘুরঘুট্টি রাত্রিবেলা দিদাকে পাশে নিয়ে শুয়ে দারুণ কন্ঠভঙ্গিতে যেসব গা-ছমছমে গল্প শুনতাম, সেই পরিবেশ না পেলে কি আর গল্প জমাতে পারব? এমনিতেই গল্প লেখা আমার তেমন জমে না, অনেকদিন আগে একটা অমন গল্প লিখতে গিয়ে শেষমেষ পাঠককে সন্তুষ্ট করতে পারিও নি। তাও, একটা চেষ্টা নিলাম। পাঠকেরা নিজ দায়িত্বে অর্থাৎ ঘরের আলো নিভিয়ে পেছনে যথাযথ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যেমন দরজার ধীরে ধীরে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়াজ দিয়ে পড়বেন।


আসর কাঁপায় জাদুর থীম / বাবার মুখে সোনার ডিম

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৫/২০১১ - ৬:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুত্তাপুর্তির সাই বাবা, জন্মনাম সত্যনারায়ণ রাজু, সম্প্রতি ৮৪ বছর বয়সে এই অন্যায়-অবিচার-পাপাচারের দুনিয়া থেকে নিস্তার লাভ করেছেন। অবশ্য তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে তাঁর প্রয়াণ হবে ৯৬ বছর বয়সে, তবুও তিনি তার বহু আগেই এই পার্থিব জগত ত্যাগ করলেন – আর তাঁর ভক্তরা যেমন দাবি করত, যে তিনি সবাইকে (বা নিজেকেও) যখনই ইচ্ছা সুস্থ করে তুলতে পারেন, তাতে প্রচণ্ডভাবেই ব্যর্থ হলেন। এবং আফসোসের ব্যাপার এই যে এর জন্য তাঁকে কোনো জবাবদিহি করানো যাবে না।


ছুঁয়োনা ছুঁয়োনা বঁধু

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: রবি, ০১/০৫/২০১১ - ৫:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার আগের দুটি লেখায় খুব আক্ষেপের সঙ্গেই আলোচনা করেছিলাম, কী ভাবে পরিসংখ্যান-আলোচনার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাজনীতিক-আইনজ্ঞ-চিকিৎসক-ধার্মিক নানা গোত্রের লোকেরা নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে ভুল ভাবে তথ্যের উপস্থাপনা করছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, নিজেদের তত্ত্বটা সমর্থিত করার জন্যই এই প্রয়াস। কখনও তা পরিসংখ্যান বিষয়ে সাধারণ জ্ঞানেরও অভাবে, কখনও বা ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিকৃতকরণ; তফাত করা প্রায়শই মুশকিল। কথায় বলে, ‘টর্চার দা নাম্বারস অ্যান্ড দে উইল কনফেস টু এনিথিং।’


দেশ-বিদেশে ফিরব আমি, হইয়া মাতেলা রে...

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: রবি, ২৪/০৪/২০১১ - ৩:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শচীনকত্তার গান এমনিতেই আমার শয়নে-স্বপনে-ভ্রমণে-ভোজনে সবসময়েই মনে ঘুরে ঘুরে আসতে থাকে। আর সম্প্রতি এই একখানা গানই সারাদিন গুনগুন করছি, সচলের নতুন ইবুকখানা পড়ার পর থেকে। কারণ এই নাতিদীর্ঘ ভ্রমণীয় বইটা বড়ই রঙ্গিলা হয়েছে। পড়ে ইস্তক মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে আছে। কাজের ঠেলায় সম্প্রতি কোথাও বেড়াতে যাবার সুযোগ না হলেও, বইটার দৌলতে দেশ-বিদেশে প্রচুর মানসভ্রমণ সারা হয়ে গেছে।


ডেল চিহুলি’র কাচকলা

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বুধ, ২০/০৪/২০১১ - ১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এপ্রিলের মাঝামাঝি হয়ে গেল অথচ এই হতচ্ছাড়া জায়গায় এখনও স্প্রিং এল না, একটু যে বাগানে গিয়ে ফুলটুল দেখব তার উপায় নেই। এদিকে কাজের চাপ যতই বাড়ে ততই মাঝেমধ্যে একটুআধটু ছিটকে অন্যদিকে যেতে ইচ্ছা করে। তাই যখন খবর পেলাম যে ডেল চিহুলি’র কারুশিল্প প্রদর্শনী আমাদের বাসার কাছেই মিউজিয়াম অফ ফাইন আর্ট-এ আসছে, এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে সটান চলে গেলাম ক্যামেরা হাতে। কিছু ছবি আপনাদের জন্য সাজিয়ে দিলাম।


ঝাকানাকালোচনা

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: শনি, ১২/০৩/২০১১ - ১০:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজই দুপুরে আধখানা দুনিয়া পাড়ি দিয়ে আমার হাতে এসে পৌঁছেছে একখানি চকচকে রঙিন মলাটওয়ালা চল্লিশপাতার বই। বইখানি অনেকদিন থেকেই আমার কড়া নজরে আছে, কারণ এই বইটি হল দুইজন খুবখ্রাপ সচলের এক অশুভ আঁতাঁতের ফলশ্রুতি। আর সবচেয়ে নিন্দনীয় ব্যাপার এই যে, যখন আমি ছোট্টটি ছিলাম সেইফাঁকে এঁরা দুইজন কালা শব্দটির কপিরাইট দখলিস্বত্ত্ব করে ফেলেছেন; কালা শব্দটি আমার সঙ্গেই একাত্মভাবে জড়িত (তার প্রচুর সাক্ষ্য দিতে


সচলত্বের নিদ্রাতত্ত্ব

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৩/২০১১ - ১১:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিয়দ্‌কাল পূর্বে সচলের মডুরামগণ প্রবীণ সচলদের নিন্দার বিশেষরূপ ভাগী হইয়াছেন। তাঁহাদের প্রতি এতদ্‌পরিমাণ কোপবর্ষণের হেতু, তাঁহারা নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জন্মদিবস উদ্‌যাপনের নিমিত্ত কতিপয় সুহৃদ্‌কে স্বাধীনতা দান করিয়াছেন, হাচলত্বের নিগড় হইতে মুক্তি প্রদান করিয়া। অভিজ্ঞ সচলমাত্রেই জানেন, এই মুক্তি সহজে আসে নাই – দীর্ঘ দিন ধরিয়া দীপ্ত সংগ্রামের পথে গড়ে সাড়ে উনত্রিশটি পোস্ট করিয়া তবেই এই উদ্যমী ব্যক্তিবর