আরিজোনার একুশে আইন ও হিসাবের ঘাপলা

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: রবি, ০২/০৫/২০১০ - ৮:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাত্র হিসাবে যে বিষয় নিয়ে রাত্রিদিন ঘেঁচাঘেঁচি করতে হয় তা নিয়ে আবার সচলে পোস্ট দেবার কোন দরকার দেখিনা তেমন। কিন্তু আরিজোনার নতুন একুশে আইন প্রবর্তন নিয়ে চারিদিকে শোরগোলের মধ্যে মনে হল, এই আঙ্গিক থেকে ব্যাপারটা তেমন ভেবে দেখা হয়নি। আর তাছাড়া এই আরিজোনা বিতর্ক নিয়ে সচলে তেমন কথা ওঠেনি। সব মিলিয়ে সাহস করে পোস্ট করেই ফেললাম।

(১)
বেআইনি অভিবাসনকারী নিয়ে আমেরিকার দক্ষিণের রাজ্যগুলো অনেকদিন থেকেই সরগরম। মেক্সিকো থেকে ড্রাগপাচারচক্রের লোকেরা নাকি প্রায়ই ঘোরাফেরা করে সেখানে, আইনশৃঙ্খলারও নাকি সসেমিরা অবস্থা। তাদের অস্ত্রশস্ত্র নাকি পুলিশদের থেকেও বেশি শক্তিশালী, কদিন আগেই এক ডেপুটি শেরিফকে ঘায়েল করেছে তারা, ডেপুটি প্রাণ নিয়ে হেলিকপ্টারে পালিয়ে বেঁচেছে। এই অবস্থায় আরিজোনার রিপাবলিকান গভর্নর ২৪শে এপ্রিল এক আইন পাশ করেছেন, যা দিয়ে পুলিশ যেকোনো সময় যেকোনো কাউকে সন্দেহ হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে – দেখতে যে সে অনুপ্রবেশকারী নাকি আমেরিকার আইনত বাসিন্দা। তক্ষুণি সবরকম কাগজপত্র দেখাতে না পারলেই তাকে গ্রেপ্তার করার অধিকার পুলিশকে দেওয়া হল এই আইনবলে। অর্থাৎ সব বিদেশিকে তাদের পাসপোর্ট সাথে করে ঘুরতে হবে সেখানে।
এর ফলে জাতিবিদ্বেষের সুযোগ করে দেওয়া হল, কথা উঠছে। হিস্পানিকদের ভয়, এখন বেছে বেছে তাদের অপদস্থ করা হবে। লোকে এর তুলনা করছে অ্যাপার্থেইড জমানার দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে, যখন কালোদের সাথে পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরতে হত, বা নাৎসি জার্মানীর সাথে, যখন পরিচয়পত্র লাগত ইহুদিদের। প্রশ্ন উঠল, কিসের ভিত্তিতে পুলিশ সন্দেহ করবে, একজন বেআইনি অভিবাসনকারী কিনা? এবং যেহেতু আমেরিকা আইনত জাতি-নিরপেক্ষ দেশ, সেই নির্ধারক নিয়মগুলি জাতি-নিরপেক্ষ হবে কিনা – যদি হিস্পানিক দেখলেই তার কাগজপত্র চাওয়া হয়, তাহলে তো সেই নিরপেক্ষতা ভঙ্গ হচ্ছে। গভর্নর মেমসাহেব প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, তিনি জানেন না, কিন্তু আশা করেন যে পুলিশ জানবে।

ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে নতুন এক সংশোধনী বের করেছেন তিনি, যে পুলিশ তখনই কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে যখন তাকে অন্য কোনো অপরাধের জন্য সন্দেহ করা হবে। এখন শাকে ঢাকা পড়ে কত মাছ, খোদায় মালুম।

আরিজোনার বেআইনি অভিবাসনের সমস্যাটা একটু খতিয়ে দেখা যাক। অনুমান করা হচ্ছে, পাঁচ-ছয় লাখ অনুপ্রবেশকারী আছে সেখানে। ধরে নিলাম, এক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারী মানেই হিস্পানিক, যদিও সম্ভবতঃ অতিসরলীকরণ। অন্যদিকে, হিসাবে পাওয়া যায় প্রায় ৬৫-৭০ লাখ বৈধ জনসংখ্যা আরিজোনার, যার প্রায় ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ২০ লাখ হিস্পানিক। তাহলে দাঁড়ায়, মোট হিস্পানিক জনসংখ্যা ২০+৫=২৫ লাখের ৫ লাখ অর্থাৎ ১/৫ অংশ অনুপ্রবেশকারী মাত্র। যেটা বলতে চাইছি, অনুপ্রবেশকারী মানেই হিস্পানিক হতে পারে, কিন্তু হিস্পানিক মানেই অনুপ্রবেশকারী আদৌ নয়।

(২)
এই ধরণের আরেকটা উদাহরণ, যেটা প্রায়ই অনেককে বোঝাতে হয়, সেটা এইরকম – আরিজোনার বদলে আমেরিকা (বা ব্রিটেন), হিস্পানিকের জায়গায় মুসলিম, আর অনুপ্রবেশকারীর বদলে টেররিস্ট বসিয়ে দিন। মানে, যদি সব উগ্রপন্থীই মুসলিম হয়ও বা, বেশিরভাগ মুসলিমই কিন্তু টেররিস্ট নয়। অঙ্ক কষে এই সরল হিসাবটা যদি বা দেখানো যায়, গোঁড়াদের কথাটা বিশ্বাস করানো আরো কঠিন।

এই যে হিসাবের ঘাপলাটা এড়িয়ে গিয়ে মুসলিম-বিরোধীরা (বা এক্ষেত্রে আরিজোনায় রিপাবলিকানরা) জিগির তোলে, এটাকে পরিসংখ্যানের দুনিয়ায় বলা হয় হেত্বাভাষ (fallacy)। তাদের মতে, যেহেতু টেররিস্টরা সবাই মুসলিম, তাই মুসলিমরা সবাই টেররিস্ট। এই বিশেষ যুক্তির ঘোরপ্যাঁচকে বলা হয় ‘উকিলের ঘাপলা’। দুটো জগদ্বিখ্যাত উদাহরণ আছে এর – স্যালি ক্লার্ক আর লুসিয়া দে বার্ক

স্যালি ক্লার্ক ব্রিটেনের মহিলা। ৯৮ সালে এঁর দুটি সন্তান পর পর খুব কম বয়সে বিছানায় মারা যায়। কোনো অসুখের চিহ্ন না পাওয়া যাওয়ায় পুলিশ সন্দেহ করে, ইনিই তাঁর সন্তানদের খুন করেছেন। সরকারী উকিলরা এক বিখ্যাত শিশুচিকিৎসককে সাক্ষী খাড়া করেন, যিনি বলেন, ‘প্রতি আট হাজারে একটি শিশু এভাবে হঠাৎ মারা যায়, অতএব এভাবে এনার দুটি শিশু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা মাত্র সাত কোটিতে এক। তাই এনার নির্দোষ হবার কোনো সম্ভাবনা নেই।’ যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয় স্যালির।
রয়াল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটি এর পর বিবৃতি দিয়ে বলে, একজন চিকিৎসককে দিয়ে এভাবে পরিসংখ্যানের পিন্ডি চটকানোর কোনো মানেই হয় না। একটি শিশু এভাবে মরার সম্ভাবনা ১/৮০০০ হলে, দুটি শিশু মরার সম্ভাবনা ১/৮০০০ × ১/৮০০০ হবে কেবলমাত্র ঘটনাদুটি সম্পর্করহিত (independent) হলে, যা না হবার সুযোগ এক্ষেত্রে খুব বেশি – একই পিতামাতার সন্তান যেহেতু, হয়ত দুজনেই বংশগতভাবে দুর্বল ছিল, হয়ত ওনাদের বাড়ির পরিবেশ উপযুক্ত ছিল না, ইত্যাদি। এর পরে আবার কেস ওঠে, নতুন বিচারে স্যালিকে মুক্তি দেওয়া হয়, কিন্তু মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত স্যালি কিছুদিনের মধ্যেই মারা যান।

(৩)
পরিসংখ্যানের দুনিয়ার আরেকটা বিখ্যাত গন্ডগোলের কথা বলে শেষ করছি – সিম্পসনের ঘোটালা। এই উদাহরণটাও আরিজোনার; সেখানকার নেটিভ আমেরিকান উপজাতিদের নিয়ে। জিএম একটা জিন যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ। ৭১ সালে এক গবেষণায় দেখা গেল, এই জিন আছে এমন নেটিভ আমেরিকানদের অনেক কম ডায়াবেটিস হয় যাদের নেই তাদের তুলনায়। বেশ হইচই হল এই নিয়ে, ডায়াবেটিসের জিন পাওয়া গেছে বলে। তারপর আসল খবর পাওয়া গেল। আরেক বিজ্ঞানী দেখালেন, এই জিএম জিন আসলে ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং ইউরোপিয়ান রক্তের ইঙ্গিতবাহী। সাদা চামড়ার লোকেদের সঙ্গে মেলামেশার ফলে ওই উপজাতির মধ্যেও মিশেছে ইউরোপিয়ান রক্ত, আর তাদের মধ্যেই দেখা যায় এই জিন। আসলে বরং ওই জিন থাকলে ডায়াবেটিস হবার অনুপাত সামান্য বেশি।
সংখ্যা দিয়ে বোঝাই। মনে করুন, খাঁটি উপজাতিদের মধ্যে মাত্র ১০ জনের জিএম আছে, যাদের ৮ জনের ডায়াবেটিস; আর ১০০ জনের ওই জিন নেই, যাদের ৬০ জন অসুস্থ। অন্যদিকে, যাদের শরীরে ইউরোপিয়ান রক্ত বেশি, তাদের মধ্যে ১০০ জনেরই ওই জিন আছে, আর তাদের ২০ জনের ডায়াবেটিস; ১০ জনের জিএম নেই, যাদের ১ জন অসুস্থ। তাহলে, সব ক্ষেত্রেই জিএম থাকলে অসুস্থের ভাগ বেশি।
কিন্তু, যোগ করলে দেখা যায়, জিএম আছে ১১০ জনের, যার মধ্যে ৮+২০=২৮ জন অসুস্থ, অন্যদিকে যে ১১০ জনের ওই জিন নেই তাদের ৬০+১=৬১ জনের ডায়াবেটিস; এবার যাদের জিএম নেই তাদের মধ্যে অসুস্থের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেল। কি ক্যাচাল!

তাই বলি, খুউব খিয়াল কইরা!

-------------------

কৌস্তুভ


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই বিষয়টা নিয়ে লেখার পড়ার ইচ্ছে আমারো ছিলো। সেটা পুরণ হল। আপনাকে ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

কৌস্তুভ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সিম্পসনের প্যারাডক্স নিয়ে আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। কার্যকারণের সাথে পরিসংখ্যানের ঘাপলা এটা দিয়ে সহজে বোঝা যায়।

জাতিভিত্তিক অপরাধ বিবেচনা যদি কেউ করে, বর্ণবাদের দায় এড়ানো তার পক্ষে কঠিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক বলেছেন। ঘাপলার অবশ্য নানারকম পথ খোলা থাকে এদের সামনে...

আপনিও কি পরিসংখ্যানের লাইনে আছেন?

কৌস্তুভ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমি গণনা বিজ্ঞানের লোক (computer science)। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়া গবেষণার প্রচেষ্টা করতে গিয়া পারিসংখ্যানিক যান্ত্রিক জ্ঞানার্জন ( চোখ টিপি ) (statistical machine learning) বিষয়ে নাড়াচাড়া করতে হয়।

সেই খাতিরে কার্যকারণের (causality) উপর গণনাভিত্তিক (computational) অনুসন্ধান এর ব্যাপারে পড়াশোনা করেছিলাম। সেখানে প্রথম পাঠ হচ্ছে সিম্পসনের প্যারাডক্স, যেটা পরিষ্কারভাবে দেখায় যে নেহায়েত correlation দিয়া কার্যকারণ বের করা যায় না।

তবে, এ ব্যাপারে আমার কিছু সংরক্ষণ আছে। আমরা যেকোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্যকারণ বুঝতে চাই। এবং এইটা একটা সমস্যা। কার্যকারণ বুঝাটা আমার মতে লক্ষ্য অর্জনের ভ্রান্ত অবলম্বন। কার্যকারণকে বোঝা ব্যতিরেকে সঠিক পূর্বানুমানভিত্তিক সফল নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা অর্জন হলো আমার মতে যেকোনো লক্ষ্য পূরণের সঠিক অবলম্বন। এই ফ্রেইমওয়ার্কে আমার ধারণা অভিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করা যায় সিম্পসনের প্যারাডক্স-এর বিপত্তিটা ডিঙিয়েই।

পরিসংখ্যানের প্রতি যেকোনো দিক দিয়াই কৃতজ্ঞ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার বক্তব্যটা বুঝলাম। এই নিয়ে বড় করে একটা আলোচনা দিন না।

কৌস্তুভ

মূলত পাঠক এর ছবি

সুচিন্তিত ও সুপাঠ্য নিবন্ধ, পড়ে মুগ্ধ হলাম, চিন্তিত তো বটেই। আশা করি ওবামা এই বজ্জাতির মূলোচ্ছেদ করতে সক্ষম হবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

মূলোদা, আপনারে তো আগেই অনুরোধ কররেছিলাম, এই নিয়ে কিছু লিখুন। আপনাদের মত অভিজ্ঞ লোকেরা কিছু লিখলেন না বলেই তো আমার মত ম্যাঙ্গোপাবলিককে চেষ্টাচরিত্র করতে হল...
ওবামা চাইলেই কিছু করতে পারবেন কি? নাকি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে? আর ইমিগ্রেশন নিয়ে হাল্লাগুল্লার মাঝে এখন আদৌ কিছু করবেন কিনা তাই নিশ্চিত নই।

কৌস্তুভ

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এখন টোকিওর বেশ কয়েকটা স্টেশনে সিআইডি পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে, হঠাৎ হঠাৎ আমাদের মতো বাদামী/কালো লোকদেরকে এসে বলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখাতে (ঐ কার্ডটির নাম এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন কার্ড!)।
মাঝে মাঝে ভীষন মেজাজ খারাপ হয়, ঝাড়ি দিই (সকালে অফিসে দেরী হবার উপক্রমের সময় যদি একজন এসে আপনাকে কার্ড দেখাতে দাবী করে মেজাজ খারাপ হতে বাধ্য)

একদিন হাতে সময় ছিলো অফুরন্ত, এরকম এক সিআইডি ব্যাটাকে ক্যাঁক করে ধরলাম , জিজ্ঞেস করলাম আমাকে সে নির্বাচন করলো কিসের ভিত্তিতে। চেহারা? চামড়ার রং? শুষ্ক হাসি হেসে সে বললো, এমনি এমনি, ওটা র্যান্ডম সিলেকশন। এরপর তাকে কার্ড দেখিয়ে আমি একপাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলাম আর কাকে কাকে সে কার্ড দেখাতে বলে। ব্যাটা টের পেয়েছিলো আমি ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করছি, সাদা-কালো নির্বিশেষে সব বিদেশী চেহারার লোকদেরই সেই আধঘন্টাটুকু কার্ড দেখানোর ঝামেলা পোহাতে হয়েছিলো।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা। ব্যাটার র্যান্ডম সিলেকশনের ভাল ওষুধ দিয়েছেন।

কৌস্তুভ

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার লেখা! পড়ে মুগ্ধ হলাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধইন্যাপাতা দ্রোহীদা।

কৌস্তুভ

তানভীর এর ছবি

এ আইনের প্রভাব কেমন হবে এখনো জানি না, তবে বসবাসের যোগ্য তালিকা থেকে এরিজোনাকে এর মধ্যেই ছেঁটে ফেলেছি। তবে এরিজোনা এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আগেও নিয়েছে। ফেডারেল হলিডে 'মার্টিন লুথার কিং ডে' পালনে তারা দীর্ঘদিন অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। পরিণতিতে অনেক আথিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে (অনেক কনফারেন্স, একটা সুপার বোল এ আইনের প্রতিবাদে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছিল)তারা এ আইন বাদ দিয়েছিল। আশা করছি, এবারও হয়তো তেমন কিছু একটা হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বসবাসের যোগ্য তালিকায় আরিজোনা নেই আমার ক্ষেত্রেও। তবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ইত্যাদির জন্য ওদিকে যাবার আকর্ষণ তো আছেই।
এবারও তো অর্থনৈতিক বয়কটের কথা উঠছে আরিজোনার বিরুদ্ধে। দেখা যাক।

কৌস্তুভ

মূলত পাঠক এর ছবি

বসবাসের কথা বাদ দিন, অ্যারিজোনায় থুথু ফেলতেও যাওয়া উচিত কি না সে নিয়ে যদি সন্দেহ থাকে তো এইটা পড়ুন। অভিবাসীদের নিয়ে যে দেশ গড়ে উঠেছে সেখানে এই রকম কথা বলতে পারে উন্মাদ ও শয়তান, এই দুই জাতের লোক।

অতিথি লেখক এর ছবি

অবিশ্বাস্য। এরা ভেবেছে কি? হালচাল দেখে মনে হচ্ছে এরা বোধহয় দুই ধরণই একসাথে।

কৌস্তুভ

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় কৌস্তুভ,

সচলায়তনে আপনার কয়েকটি লেখা ভাল লেগেছে। আপনার লেখা সাপ্তাহিক বিচিন্তায় প্রকাশ করতে আমরা আগ্রহী। আশা রাখি মার্জনা করবেন, আপনার অনুমতি নেওয়ার উপায় বা সুযোগ বের করতে পারার আগেই দু'একটি লেখা ছাপা হয়ে গিয়েছে। আশা করি যোগাযোগ রাখবেন।

বিচিন্তা
৮/২ নিউ ইস্কাটন, গাউসনগর, ঢাকা ১০০০
ফোন +৮৮০ ২ ৮৩১৬৪২৬, সেল : ০১৭৫৩২৬৭৭০৩
www.bichinta.com (under construction)

ই-মেইল ঠিকানা :

কৌস্তুভ এর ছবি

এই ধরনের ঘটনা অন্যান্য সচলদের লেখা সম্পর্কে বারকয়েক পড়েছি, আমার ক্ষেত্রে এই প্রথম। কি ধরনের প্রতিক্রিয়া এই ক্ষেত্রে যথাযথ, কোনো সহসচল দয়া করে পরামর্শ দিতে পারেন?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।