পুরনো ডায়েরি থেকে..

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১১/০৬/২০১০ - ৯:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুরনো ডায়েরি থেকে..
সেদিন ছিল রবিবার. স্কুল থেকে ফিরছিলাম আমি আর নীপা. রিক্সায় কত গল্প..হঠাত রাস্তায় রিক্সার চেইন পরে গেল. যা হয়, একবার চেইন পড়লে বার বার পড়তে থাকে, তাই হলো. খুব বিরক্ত লাগছিল. বাসায় ফিরেই গোসল করে, খেয়েই ছুটতে হবে সেইন্ট জোসেফ স্কুল এ. বিতর্ক কর্মশালা. যত না শেখার আগ্রহ তার থেকে বেশি আগ্রহ ছেলেদের স্কুল তিতে যাবার জন্য. অবশেষে বাসায় পৌছালাম. মা খুব বিরক্ত. এই ঘন ঘন বিতর্ক করতে গিয়ে পড়াশুনার না আবার ক্ষতি হয়. এটাই তার ভয়. আমি জানি, আমি ভালো করব. সৃষ্টিকর্তা আমাকে বেশ ভালই বসেন বলে আমার মনে হয়. আর মাথাটাও পরিষ্কার আমার.
সেইন্ট জোসেফ স্কুল এর ক্লাস রুম গুলো খুব পরিষ্কার. ভালো লাগে. কর্মশালা শুরু হলো. হঠাত পাশ থেকে তমাল হেসে উঠলো. চুপ চুপ করে জিগ্গেস করলাম. হাসছ কেন. তমাল ঘটনাটা বলতেই আমার পেট ফেটে হাসি আসছিল. কিযে করি. আমি আবার আস্তে হাসতেই পারি না. হেসে উঠলাম জোরেই. রানা ভাই তার কথা থামিয়ে দিলেন. সবাই আমার দিকে তাকিয়ে. রানা ভাই জিগ্গেস করলেন কি হয়েছে চারু? একটু আমিও হাসি. আমি এদিকে হাসি থামতেই পারছি না. কিযে সমস্যা! একদিকে হাসছি আরেকদিকে তমালকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে. রানা ভাই আবার ডাকলে. চারু..বল.
সন্ধায় লিখলাম ..." বাংলাদেশ যেন আজ সেই ধর্ষিত পতিতার মত, গর্ব করে বলে - এক কালে সতি ছিলাম গো.."


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ব্যক্তিগত ডায়েরী বড় পরিসরে আসলে পাঠককে এর চরিত্রগুলো সর্ম্পকে আরো বেশী জানাবার দায় চলে আসে। পড়তে গিয়ে নানা প্রশ্ন জাগে (যেমন কী জন্যে হেসেছিলেন? তারপর কী হল। ইত্যাদি)। আপনি বরং নতুন ডায়েরী লিখুন। আপনার লেখার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে ভালো কিছু লেখা আসতে পারে আপনার কাছ থেকে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা ভালোই লেগেছে! মাহবুব মুর্শেদ যে মন্তব্যটা করেছে ঠিক সেটাই আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে আমি হয়তো উনার মতো এতো সুন্দর করে কথাটা বলতে পারতাম না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরো লিখুন... আরেকটু বড় পরিসরে লিখুন... ভাল থাকুন...

অতিথি লেখক এর ছবি

আরো লিখুন.. আরো...

________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।