আমার কোন দেশ নাই

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২০/০৪/২০১১ - ১২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাইরে রাগী বালকের মত ফুঁসছে দারুণ দুপুর।

কিছু বায়না করে না পাওয়া বালকের রাগ সামাল দিতে মায়ের হাসিমুখের উপস্হিতি যেমন বালকের রাগ মুছে নেয়, সেভাবে ঠান্ডা বিকেল এসে দাঁড়ায় সময় গড়িয়ে, রোদের রাগ মুছে নেয়।

এসময়টাতে অনেকেই কাজ শেষে বাড়ি ফেরে। আমিও ফিরে আসি শেষ বিকেলের হাত ধরে। ঘরে ফেরার এই সময়ে আমার কেন জানি মনটা কেঁদে ওঠে। আশৈশব যে ঘরে ফিরেছি খেলা শেষে, ক্লাসশেষে, সে ঘরে আর ফেরা হয়না বলেই মনটা কাঁদে, সে আমি বিলক্ষণ জানি। এও জানি, সেঘরে আমার কোনোদিন ফিরে যাওয়া হবে না। এখন আমি অন্য দেশের ভীষণ অচেনা এক ঘরে থাকি। আমার মধ্যে সহজেই অন্যকে আপন ভাববার বিরল গুণটি নেই বলেই কিনা জানিনা, আমি না পারি এ ঘরকে নিজের ভাবতে। না পারি এই দেশটাকে আপন করতে।

বহুদূরের লাল সবুজ পতাকাটি অবিকল একটা সবুজ টিয়া পাখির লাল ঠোঁট হয়ে আমাকে লক্ষ্য করেই যেন গেয়ে ওঠে, ‘এবার তোর আপন দেশে আয়।’

“বুকে হাওয়া ঘুরে ওঠে শূণ্যতা আনে। কে যেন জানতে চায় দেশ কোনখানে?”**

অকারণে মনে পড়ে যায় অদ্ভূত সেই সিনেমার কথা ‘নো কান্ট্রি ফর ওল্ড ম্যান!’ কিন্তু ঐ দলে তো পড়িনা আমি। আমি আসলে ঠিক কোন দলে পড়ি তবে? নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি। অফিসের এক গোড়া বর্ণ বিদ্বেষী সহকর্মী মাঝে মাঝেই স্পষ্ট ভাবে জানান দেন, এদেশটার অধিকার কেবল তাদের, অভিবাসীদের নয়।

এহেন আচরণের মোক্ষম জবাব দেয়া যায় ইতিহাসের চোখে আঙ্গুল দিয়ে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যাপারটা হালকা তামাশায় মোড় নেয় শেষ পর্যন্ত। আড্ডা শেষে ওর স্বদেশী বন্ধুরা স্বভাব সুলভ সুশীল ব্যবহারে ক্ষমা প্রার্থনা করে নেয় লোকটার হয়ে। সে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য খুঁইয়ে বসা মানুষ সেটা আর দশজনের মত আমারও জানা। তবুও ভেতরে ভেতরে আমাদের প্রতি কারো ঘৃণা টের পাই, ভদ্রতা বশে তাকে পাশ কাটাই ঠিকই। কিন্তু বুকের ভেতর থেকে তার রেশটুকু পুরোপুরি মিটিয়ে ফেলতে পারিনা। একটা অক্ষম রাগ বুকের মধ্যে পুষেই রাখি।

কিছু মানুষের কুটিল ইচ্ছার কাটাকুটিতে যদি এই পৃথিবীর মানচিত্রের বুকে এত এত আঁচড় না পরতো, বিভেদের সীমানা টেনে, দেগে দিয়ে যদি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তুলে দেওয়া না হতো। তবে কেমনটা হতো সেই একক পৃথিবীর মানচিত্র? ভাবতে ইচ্ছে করে সে কথা। অচেনা সেই মানুষটির মত অবাক র্নিলিপ্ততায় বলে দিতে পারতাম আমিও তবে, ‘জানিনা কোন দ্রাঘিমায় আমার দেশ।’ আশ্চর্য মেঘদলের পাশাপাশি তবে হয়ত ভালোবাসাবাসিটাও আশ্চর্য সুন্দরই থাকতো এক মানুষের প্রতি অন্য মানুষের। কিন্তু সেটা হবার নয়। তাই সহকর্মীর অবান্তর কিন্তু কার্যকরী খোঁচা বুকের গভীরে অপমান হয়েই জেগে থাকে। অক্ষম রাগে ফুঁসতে থাকে……….

” রোজ আমি চেটে খাই লজ্জা ও ঘৃণা, কে জানে আমার কোন দেশ আছে কিনা!”**

আছে বৈকি, আমারও একটা দেশ আছে। একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। তবে সে স্বাধীনতা কেবল কাগজে কলমে। আসলে সেও আমারই মত অসহায়। রোজ রোজ সেই স্বাধীন দেশটাকে আমারই মত লজ্জা আর ঘৃণা চেটে নিতে হয়।

নিজের সন্তানসম এক দঙ্গল মানুষ নিয়ম করে তাকে অপমানে অপমানে বিদ্ধ করে। লাল সবুজ পতাকার আবির্ভাবের সেই মহান রক্তক্ষয়ী ইতিহাসকে বিকৃত করে।

দেশের কী অনুভূতি আছে? সে কী বুকের ভেতর আমারই মত করে কষ্টগুলো পুষে রাখে? নাকি অসহায় দেবতার মত সে কেবলই দেখে যেতে শিখেছে?
কেঁদে যেতে শিখেছে? দেশ নাকি মায়ের মত? তবে? তবে সন্তান হয়ে আমরা কিভাবে পারি তাকে অপমানে বিদ্ধ করতে! আমরা কেবলি অবয়ব পেয়েছি হয়ত, মানুষ হতে পারিনি। নইলে কী উপায়ে সম্ভব হয় সন্তান দ্বারা মায়ের অপমান?

প্রশ্ন আসতেই পারে, এত যে বড় বড় কথার তুবড়ি ছোটাচ্ছো, তুমি কোন কাজে লাগছো দেশের? এবেলায় আমার মুখে কুলুপ! এবেলা আমি ভীষণ রকম চুপ। আমি ভীষণ রকম স্বার্থপর ভাবে কেবল নিজেই সুখী থাকতে ভালোবাসি। আমার কী আসে যায় দেশের কথা ভেবে! দেশ আমাকে খাওয়ায় না পরায়! দেশ আমার কথা ভাবে নিশিদিন? আমি তো তার কাছেও কেউ নই আর। কেবল মুখ ফুটে ঐ সহকর্মীর মত বলেনা কেউ, এদেশ তোমার নয়। কারণ দেশে গেলে আমি ঠিক তেমন অভ্যর্থনাই পাই, যেমন পেয়ে থাকে একজন ভীনদেশী আগন্তুক। স্বদেশীদের কাছে এখন আমি কেবলই শীতের পাখি যেন। মেয়াদ ফুরোলেই ফেরার পালা তাই। বুকের ভেতরের অসহায় মানুষটা মনে মনে বিড়বিড় করে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণের ব্যর্থ প্রয়াস চালায়…..

“আসমানের তারা সাক্ষী
সাক্ষী এই জমিনের ফুল, এই
নিশিরাইত বাঁশবাগান বিস্তর জোনাকি সাক্ষী
সাক্ষী এই জারুল জামরুল, সাক্ষী
পূবের পুকুর, তার ঝাকড়া ডুমুরের পালে স্থিরদৃষ্টি
মাছরাঙা আমাকে চেনে
আমি কোনো অভ্যাগত নই
খোদার কসম আমি ভিনদেশী পথিক নই
আমি কোনো আগন্তুক নই
আমি কোনো আগন্তুক নই, আমি
ছিলাম এখানে, আমি স্বাপ্নিক নিয়মে
এখানেই থাকি আর
এখানে থাকার নাম সর্বত্রই থাকা -
সারা দেশে।” ***

বাচ্চা ছেলের অভিমান নিয়েই তাই দূরে আছি, সুখেই আছি। আমার কোন দেশ নাই, এই বোধকে দানা পানি দেই যত্ন করে।

তবুও তাতানো দুপুর গড়িয়ে একটা শান্ত বিকেলকে বুকে নিয়ে যখন গোধূলি বিষন্ন রাজকীয়তায় শিশিরের শব্দে নেমে আসতে থাকে,

বুকের ভেতর কাঙ্গাল একজন, ছন্নছাড়ার মত কেঁদে উঠতে চায় যেন………………

“কতদিন তুমি কাঁদনি মানুষ?
কতদিন বুকে মাখনি স্বদেশ?
বহুদিন হলো মরে বেঁচে থাকা
এই শূণ্যতা হলোনা তো শেষ!" **
---------------------------------------------------------------------------------------------------
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: ** কবি সৈকত কুন্ডুর দেশ কবিতা।
*** কবি আহসান হাবীরের কবিতা।

- আয়নামতি


মন্তব্য

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

এলোমেলো ভাবনাগুলো মনকে আলোড়িত করে যায় শুধু একটু, তারপর বাকি সেই স্বার্থের গোলামি মন খারাপ

অতীত

মীর মোশাররফ হোসেন এর ছবি

কেমন ভাল লাগা ছূঁয়ে গেল......

ফ্রুলিক্স.. এর ছবি

একই কষ্ট। যতোই ভীনদেশী ভাষায় পারদর্শী, ভালো চাকরী, বিদেশী পাসপোর্ট থাকুক।
শেষ পর্যন্ত মনটা বিদ্রোহ করে, আমি কার??

অপছন্দনীয় এর ছবি

বিদেশে থাকতে বাধ্য হওয়া সবারই মনে হয় অনুভূতিটা একই।

দেশের প্রতি কোন ক্ষোভ নেই, কখনো ছিলোও না, এখানকার কাজ শেষ হলে কি করবো জানি না। দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে কিন্তু দেশে গিয়ে চাকরী জোগাড় করা যথেষ্ট কঠিন কাজ। ইসলামী নোংরা পারিবারিক আইনে চলা দেশের আইনে আমার কোন পরিবার নেই - কোন উত্তরাধিকারও নেই। আমার জীবনকে উল্টোপাল্টা করে দেয়ার মত অনুমতি ওখানে অনেকের আছে - কিন্তু আইনের পথেই আমার কোন ক্ষতি হলে সেটা পূরণ করার মত কোন নিয়ম ওখানে নেই। আমার বাঁচতে হয় সম্পূর্ণ নিজের উপরে নির্ভর করে। এখানে থাকলে গার্বেজ ট্রাক চালাতে পারবো, দেশে মামা চাচা খালু না থাকলে সেটাও পারবো কিনা জানিনা। এবং সেক্ষেত্রে আমাকে খাওয়ানোর মত কেউ নেই কোথাও।

জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে দেখে এসেছি নামের পাশে বাপের নাম লিখতে হবে, লিখতে না চাইলেও। প্রতিটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশী সমাজ আমাকে বিচার করেছে জন্মদাতার চরিত্র দিয়ে। আমি কি সেটা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা দেখিনি কোনদিন, কিন্তু আমার জন্মদাতা কি সেটা খুব মুখরোচক ব্যাপার এবং তার চারিত্রিক অসততার দায়ও আমার! ওই সমাজের কাছে সামান্যতম দায়বদ্ধতা নিজের আছে বলে মনে করি না আমি। বাংলাদেশ সরকার বিদেশে পড়তে আসলে টিকেটের পয়সার খানিকটা ফেরত দেয়। যদিও এসেছি সম্পূর্ণ নিজের আয় করা পয়সায়, ওই ফর্মে আমার জন্মদাতার পরিচয় আর তার ইনকাম ট্যাক্স ডিটেলস দিতে হবে! জন্মদাতা বাদে আমার নিজের কোন পরিচয় নেই দেশে!

চার বছর কর্পোরেট চাকরী করেছি। একটা দেশের সরকার কিভাবে বিদেশী কর্পোরেটের পা চাটার জন্য নিজের নাগরিকদেরকে বিক্রী করে একদম সামনে থেকে দেখেছি। কিভাবে অনেক দেশের অনেক জাতের শয়তানেরা সেটার সুযোগ নেয় দেখেছি, এবং এটাও দেখেছি কিভাবে নিজের দেশে থেকে আমরা বিদেশীদের কাছ থেকে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার পাই - কারণ আমরা জানি আমাদের বলার মত কোন জায়গা নেই। একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে আমার মধ্যযুগীয় ক্রীতদাস হিসেবে থাকতে হয়, শুধুমাত্র কতগুলো দুর্নীতিবাজ মেরুদন্ডহীনের কারণে। একই প্রতিষ্ঠানের অন্য অনেকগুলো দেশের শাখা ঘুরেছি, বাংলাদেশের সাথে তাদের পার্থক্যগুলোও দেখেছি। ওই দেশগুলোতে কিভাবে সরকার তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, আর কিভাবে সেটার প্রয়োগ করে দেখেছি। - এবং একই জাতের একই শয়তানের ব্যবহার কিভাবে পাল্টে যায় সেটাও দেখেছি।

চার বছরে একটা পয়সাও ট্যাক্স ফাঁকি দেইনি। চার বছরের মোট ট্যাক্সের হিসাব করলে সেটা যথেষ্ট বড় একটা অঙ্কই হয়। সেই টাকা দিয়ে যখন এয়ারপোর্টের নাম পরিবর্তনের মত ছাগলামো করা হয় তখন সেটা আমার গায়েই লাগে। রাজনীতিবিদ আর জনপ্রতিনিধিরা অন্যের আয়ে খেতে পারেন, আমার ট্যাক্স দিতে হয় নিজের কষ্টে আয় করা টাকা থেকে। সেটা আমি আমার দেশকে দিয়েছি, কারো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক স্বার্থ হাসিলের জন্য দান করিনি। আমার পেছনে বাংলাদেশ সরকার কত খরচ করেছে যদি হিসেব করতে হয়, তাহলে ঐ খরচের চেয়ে বেশি টাকা আমি তাদেরকে দিয়ে এসেছি (যদিও আমি মনে করিনা সেজন্য দেশের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা কমে যায়)।

এত কিছুর পরেও দেশ ছেড়ে থাকতে কখনোই ভালো লাগে না। কোর্স শেষ হলে কি করবো জানি না।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

একটা মানুষ যখন অনিবার্য কারণসমূহের জন্য দীর্ঘকাল প্রিয় দেশ থেকে দূরে থাকে, দেশের ধুলোবালির মায়া থেকে বঞ্চিত হয়, ফুটপাতে বাসী ফুচকা আর চটপটির ঘ্রানের স্মৃতিও যাকে আকুল করে, দেশটাকে যিনি প্রতিমুহূর্তে মাথায় নিয়ে চলেন, ঘুমে চোখ বুজে আসার আগ পর্যন্ত দেশটা যার মাথায় হাত বুলিয়ে যায়, সেই রকম মানুষ ছাড়া এরকম লেখার মর্ম বোঝা অসাধ্য প্রায়।

আমি কখনো দীর্ঘকাল বিদেশে থাকি নাই বলে এই অনুভুতিগুলো আমার অপরিচিত। তবু এই চমৎকার লেখাটা আমাকে কেমন একটা অসহায়বোধ উপহার দিল।

দেশের মাটিতে বাস করে, দেশের খেয়ে পরেও কি স্বাভাবিক ভাবে দেশকে অপমান করতে পারে কিছু (অ)মানুষ। আপনার আবেগটা আমাকে ঠিক ছুঁয়ে গেছে বললে শুদ্ধ হবে না, আমাকে কেমন বিদ্ধ করলো। কারণ আমিও সেরকম অমানুষ হয়ে যাই মাঝে মাঝে। 'কি দিয়েছি' তার চেয়ে 'কি পেয়েছি'র হিসেব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। যেখানে থাকুন, ভালো থাকুন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নাশতারান এর ছবি

অনুভূতি আর দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে আলাপে যাচ্ছি না। আপনার প্রকাশভঙ্গি ভালো লেগেছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আয়নামতি1 এর ছবি

অতীত, মীর মোশারফ হোসেন, ফ্রুলিক্স, অপছন্দীয়, নীড় সন্ধানী, বুনোহাঁস আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট স্বীকার করে পড়ে সহৃদয় মন্তব্য দেবার জন্য। ঠিক জানিনা এ মন্তব্যটাও যাবে কিনা। গতকালই আমি মন্তব্যের উত্তর করেছিলাম একটা কিছু গন্ডগোলের জন্য সেটা আসেনি। সবাইকে ধন্যবাদ।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আহহা, এইতো কমেন্ট ছেড়ে অন্যকিছু লিখতে শুরু করেছেন, এবং লেখাটাও সেইরকম - চালিয়ে যান :)। আমার প্রথম লেখায় দ্বিতীয় মন্তব্য আপনার ছিলো হাসি

আব্দুর রহমান এর ছবি

"আশৈশব যে ঘরে ফিরেছি খেলা শেষে, ক্লাসশেষে, সে ঘরে আর ফেরা হয়না বলেই মনটা কাঁদে, সে আমি বিলক্ষণ জানি। "

বোকাসোকা মানুষ, তাই গম্ভীর কথার মানে বুঝতে পারি না, চাইও না, তবে খুব সহজ এই কথাগুলো আমারও প্রায়ই মনে হয় আর কেমন যেন লাগে।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

আয়নামতি1 এর ছবি

@অপছন্দনীয়, ভাইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যকারী হিসেবে আমাকে মনে রাখা এবং আমার প্রথম পোষ্টে আপনার সহৃদয় মন্তব্য দেবার জন্য। আপনার উৎসাহে সাহস পেলাম দেঁতো হাসি শুভেচ্ছা জানবেন।

@আব্দুর রহমান, মন কেমন করার হাত থেকে মুক্তি মেলে না আমাদের। অনেকদিন আপনি কোন লেখা দিচ্ছেন না যে? আপনাকে অনলাইনেই দেখি চুপচাপ বসে আছেন সচলে। লেখা চাই আপনার জলদি লেখা ছাড়ুন। শুভকামনা থাকলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।