চোর,ডাকাত কিংবা পুলিশের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৮/০৯/২০১২ - ১১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদা ভয়ংকর সব ডাকাত,সিঁধকাটি চোর,থানার রাশভারী ভুঁড়িমোটা দারোগা বাবু ছিল।আজকাল গণ্ডগ্রামে গেলেও এদের(বিশেষত প্রথম দুইটির)অস্তিত্ব খুব একটা টের পাওয়া যাইবেনা।লেখালিখি আমার কম্ম নয় তবু সেই পুরানো প্রেক্ষাপটে কিছু একটা লিখিতে চাহিয়াছি।

পাকড়াও ধর...

দারোগা পাকড়াও ধর।ছোটবেলায় বন্ধু বান্ধব খুব একটা না জুটিবার দরুন সারাক্ষন বাড়ির একখানা কুকুরের পিছনে ছুটিতেন।সেই কুকুর বাছা যেইখানেই থাকুক ঠিক তাহাকে খুঁজিয়া বাহির করিয়া লইয়া আসিতেন।চকিদার পিতা পুত্রের এইরূপ গুণ দেখিয়া নিমেষেই বুঝিয়া গিয়াছিলেন তাহার পুত্র একদিন বিশাল পুলিশ অফিসার হইবেই হইবে।তাই দ্বিতীয় সংস্করনে তাহার এই নামকরণ।পুলিশ তিনি হইয়াছেন সত্য কিন্তু ঐ পর্যন্তই।

আশেপাশের সকলের পদোন্নতি হইলেও বটবৃক্ষের মত তিনি বিশ বৎসর ধরিয়া একই থানার দারোগা হইয়া দাঁড়াইয়া আছেন।পদোন্নতি দূরের কথা,এইরকম একখানি জাঁদরেল পদে পাকড়াও ধর কীরূপে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন তাহাই এক বিরাট বিস্ময়।

আর পদোন্নতি হইবেই বা কিরূপে!!পদোন্নতি হইবার জন্য কিছু চোর ডাকাত তো আগে ধরিতে হইবে!!!কিন্তু পাকড়াও ধর তাহার পোষা কুকুরখানার মৃত্যুর পর হইতে আজ অব্দি কোন জীবিত প্রাণীকেই পাকড়াও করিতে পারেন নাই।

সেদিন সকালে টেবিলের উপর মস্ত ভুঁড়িখানা ঠেস দিয়া নাক ডাকিতেছিলেন দারোগা পাকড়াও ধর।এমনসময় ফোন বাজিল।ধড়ফড় করিয়া অনেক কষ্টে চেয়ারে ভর দিয়া দাঁড়াইয়া ফোনটা ধরিলেন ‘হ্যালো!!।
টেলিফোনের অপরপ্রান্তের ভয়ংকর কণ্ঠস্বরের এক ধাক্কায় সোজা হইয়া দাড়াইয়া গেলেন “জি,স্যার।জি স্যার।কোন সমস্যা নাই স্যার।ভুল করিব না স্যার।জি স্যার।”

ফোন খানা রাখিয়া কনস্টেবলদের হাসিয়া কহিলেন ‘উপর হইতে পাকা খবর আসিয়াছে,রাতে ডাকাত ধরিতে যাইতে হইবে,হাতে নাতে ধরিলেই প্রোমোশন’।

প্রমোশন শব্দখানা উচ্চারণ করিবার সুখে তিনি আরেকবার নাক ডাকিতে লাগিলেন।

তস্কর পুরাণ...

গদাই লস্কর।লোকে ডাকে গদাই তস্কর।চৌর্যবৃত্তিই তাহার পেশা এবং ধর্ম।চোর এই এলাকায় অনেকেই আছে কিন্তু গদাইয়ের মত আর কাহারও নামের শেষে এইভাবে তস্কর যুক্ত হয় নাই,ইহা যতটা না তাহার চৌর্যবৃত্তির গুণে তাহার চেয়ে অধিক তাহার অপরিসীম অধ্যবসায়ের গুণে।এ অবধি কোন চুরিতেই সে ঘটনাস্থল ত্যাগ করিয়া পালাইতে সক্ষম হয় নাই।কিন্তু তবুও সে চুরি ছাড়িয়া দিবার কথা ভাবিতে পারে না।তাহার পিতা পিতামহ ছিল এলাকার বিখ্যাত সিঁধকাটি চোর।তাহাদের সম্মান রাখিতেই তাহার এই অধ্যবসায় বোধ করি।তবে সিঁধকাটি সে হইতে পারেনাই,সে ছিঁচকে চোর।

সকলের মত সেও আগে দলের সহিত ভিড়িয়া চুরি করিত কিন্তু আজকাল কেও তাহাকে দলে লইতে চাহেনা।তাহাদের না নিবারও কারণ রহিয়াছে।গোপীদের সহিত চুরি করিতে গিয়া একবার সে মালসমেত পুকুরে পড়িয়া হাবুডুবু খাইয়া চিৎকার আরম্ভ করিয়াছিল ‘বাঁচাও!বাঁচাও!!’(সে সাতার জানিত না বলিয়া)।

এরপর এলাকাবাসী তাহাকে ডুবিয়া মরা হইতে রক্ষা করিয়াছিল বটে কিন্তু পুকুর হইতে উঠাইবার পর মনের সুখে পিটাইয়া তাহাকে আবার মৃত্যুদূতের দরোজায় পৌছাইয়া দিতে মনে কোন দ্বিধা রাখে নাই।একমাস পর সুস্থ হইয়া সে ফয়জু দের দলের সাথে রাজাদের বাড়িতে চুরি করিতে গিয়া কিভাবে যেন ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল এবং হঠাত হাউকাউ আরম্ভ হইলে সে সকলের সহিত দৌড় দিবার অবকাশ পায় নাই।পূর্ববৎ পরের একমাস শরীরের ব্যাথায় বিছানায় পড়িয়া ছিল।

পিটুনি খাইয়া তাহার শরীরখানা পিটা লোহার মত হইলেও বুদ্ধি তাহার এখনো বিশেষ খুলে নাই।খুলিবে যে এমন আশাও নাই।

গদাই খবর পাইয়াছে ‘বড়বাড়ি’(অনেক দূরের এলাকা)র এক বড় অফিসারের বাড়ির সকলেই আজ রাতে বাড়িতে থাকিবেনা।শরীরে এখন তাহার বিশেষ ব্যথাও নাই,আজই তাহার সুযোগ।সকলে তাহাকে নিয়া যত মস্করাই করুক সে সকলকে দেখাইয়া ছাড়িবে সেও সিঁধকাটি শিবুর ছেলে।

শয়তান ডাকাত...

এই সেই কুখ্যাত ‘শয়তান ডাকাত’ যাহাকে ধরিবার জন্য তিন থানায় তোড়জোড় চলিতেছে।ধুরন্ধর ভয়ংকর শয়তান ডাকাতের পরিচয় দেওয়া কাহারও পক্ষে সম্ভব নহে কারণ তাহার পরিচয় কেহই সঠিক জানেনা।তাহার দলের লোকেরাও কখনো তাহার চেহারা দেখিতে পারেনাই(কারণ শয়তান সর্বদা তাহার মুখ ঢাকিয়া রাখে)।

হয়ত সে আমাদের সকলের মাঝেই হাসিয়া খেলিয়া বিচরণ করিতেছে!!

গত সপ্তাহে শয়তানের দলের সকলেই ধরা পরিলেও শয়তান পালাইয়া যায়।

শয়তানের বুদ্ধির তারিফ করিতেই হইবে।একসপ্তাহের মধ্যেই যে সে নতুন দল গোছাইয়া ডাকাতি করিতে আসিবে তাহা কাহারও মাথায় আসিবার কথা নয়।কিন্তু উপর মহল তাহা কোন উপায়ে জানিয়া গিয়াছে ইহাতেই যত গণ্ডগোল।কিভাবে জানিল কে জানে!!

ডাকাত ধরিতে পাকড়াও...

সব ঠিক করিয়া রাখিয়াছেন পাকড়াও ধর।চারদিক গাঢ় অন্ধকার হইতেই একদল পুলিশ এবং তিনি নিজেও সাধারন পোশাকে আসিয়া বাড়ির সামনে ওঁত পাতিয়া রহিয়াছেন।আরেকদল পোশাক পরিহিত পুলিশকে তিনি আগেই পিছনের ঝোপের আড়ালে বসাইয়া রাখিয়া আসিয়াছেন।চিৎকার শুনিলেই তাহারা ঝাপাইয়া পড়িবে।

সাড়াশব্দ হইলেই সে দরজা ভাঙ্গিয়া ঢুকিয়া যাইবে আর ডাকাত দলকে হাতেনাতে ধরিয়া ফেলিবে।রাত্রি অনেক হইয়া গেল কিন্তু এখনো ভিতরে কোন সাড়াশব্দ নাই (ফাঁকা বাড়িতে সাড়াশব্দ থাকিবেই বা কেমনে!!) দেখিয়া পাকড়াও চিন্তিত হইয়া পড়িল,ডাকাত দল কি তবে ঠিকানা চিনিতে ভুল করিল!!

শয়তান বাহিনী...

ডাকাতদল ঠিকানা চিনিতে ভুল করে নাই।ঠিকানা মতই ডাকাতি শুরু করিয়াছে।কিন্তু সমস্যা হইয়াছে তাহাদের ওস্তাদ শয়তান ডাকাত পথিমধ্যে পেটের পীড়ায় ধরাশায়ী হইবার দরুন বাকিদের আগাইতে বলিয়া মাঠের মাঝখানে নামিয়া গিয়াছেন এবং অতিশীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌছাইয়া যাইবেন এমন কথাও দিয়াছেন।কিন্তু কথা রাখিবার অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি যে প্রাকৃতিক আকর্ষণে মাঠ হইতে উঠিতে পারিতেছেন না তাহা শুধুমাত্র ঈশ্বরই জানেন।

গদাই চোরা...

বাড়িখানা দেখিয়াই গদাইয়ের আর সন্দেহ থাকিলনা ইহাই সেই ফাঁকা বাড়ি।সে দুরুদুরু পায়ে মুখে গামছাখানা বাঁধিয়া দেওয়াল টপকাইয়া বাড়িতে ঢুকিয়াই আচম্বিতে হা হইয়া গেল।

এমনটা তো হইবার কথা ছিলনা,এ যে বাড়ি ভর্তি মানুষ!!কতক মাটিতে লুটাইয়া রহিয়াছে(হাত,মুখ,পা বাঁধা অবস্থায়),আর কতক এদিক সেদিক রামচাকু,রামদা হাতে লইয়া দাঁড়াইয়া।

গদাইকে দেখিবামাত্র মুখে কাপড় বাঁধা লোকজন অস্ত্র হাতে এক লাফে তাহার নিকট দাঁড়াইয়া পড়িতেই গদাই চোখ বন্ধ করিয়া থর থর কাঁপিতে আরম্ভ করিল।কাছে আসিয়াই একজন জিজ্ঞাসা করিল “ওস্তাদ,পেট ভালো??”।

ইহা শুনিয়াই গদাই একবার তাহাদের হাতের চাকু আরেকবার তাহার পেটের দিকে সস্নেহে তাকাইয়া সান্ত্বনা খুঁজিতে চাহিল।গদাইকে অবাক করিয়া ডাকাতদলের একজন গদাইয়ের হাতে রাম দা খানি (গদাইয়ের হাতে কিছু নাই দেখিয়া) ধরাইয়া দিয়া চলিয়া গেল।

ডাকাতদল এতক্ষন তাহাদের ওস্তাদের অপেক্ষাতেই দাঁড়াইয়া ছিল।তিনি আসিবামাত্রই তাহারা সোৎসাহে ব্যাগ গুছাইতে আরম্ভ করিল।
ইহাদের হিসাব গদাই বুঝিতেছেনা,ইহাতে তাহার ভয় আরও বাড়িয়া গিয়াছে।মুখে গামছা বাঁধা গদাই লস্কর শক্ত করিয়া রাম দা খানি ধরিয়া কাঁপিতে লাগিল।

পাকড়াও এর অভিযান...

গদাই ভুল শুনিয়াছিল।সকলেই বেড়াইতে গিয়াছিল বটে কিন্তু কাজের ছেলে বাসায় রহিয়া গিয়াছিল আর তাহাতেই বিপত্তির শুরু।ঘুমাইতে যাইবার আগে সে ধুইবার পর থালাবাসন হাতে লইয়া ঘরে ঢুকিতে গিয়া পিছলিয়া পড়িয়া গেল।শুধু সে পড়িলে ক্ষতি ছিলনা কিন্তু তাহার সহিত পড়িল সকল থালাবাসনও।আর সেই বিকট শব্দে দরজায় ওঁত পাতিয়া থাকা পাকড়াও বাহিনী আর বিলম্ব না করিয়া দরজা ভাঙ্গিয়া ঢুকিয়া পড়িল ভিতরে।অতিরিক্ত উত্তেজনায় ঢুকিবার কালে তাহারা যে পুলিশ এই কথা কহিতে ভুলিয়া গিয়াছিল।

কাজের ছেলে অন্ধকারের ভিতর দরজা ভাঙ্গিয়া একদল লোক কে তাহার দিকে হা রে রে রে করিয়া ছুটিয়া আসিতে দেখিল এবং ইহাতে তাহাদের পরিচয় লইয়া তাহার মধ্যে আর সন্দেহ রহিলনা।সে জানালার ফাঁক দিয়া একলাফে বাহিরে আসিয়া চিৎকার করিতে করিতে উর্ধশ্বাসে দৌড়াইতে লাগিল “ডাকাত পড়িয়াছে!ডাকাত!!”

দরজা ভাঙ্গিবার অপরাধ এবং “ডাকাত পড়িয়াছে!” চিৎকারের আকস্মিকতায় ধরা পরিলে পুলিশি পরিচয় দিবার সময় পাইবেনা ইহা বুঝিয়া প্রাণ বাঁচাইতে পাকড়াও বাহিনীও উল্টাদিকে দৌড় শুরু করিল।

ডাকাতবাহিনীর কীর্তি...

সকলেরই ছিল প্রথম ডাকাতি(এত্ত অল্প সময়ে শয়তান অভিজ্ঞ সহযোগী জোগাড় করিতে পারেনাই)।“ডাকাত পড়িয়াছে!” চিৎকারে তাহারা হতভম্ব হইয়া কাহারও কথা(এমনকি ওস্তাদের কথাও) না ভাবিয়া দিগ্বিদিক ছুটিয়া পালাইতে লাগিল।

গদাই একখানা দীর্ঘশ্বাস ছাড়িয়া মুখের গামছা সরাইতেই দেখিল মাটিতে পড়িয়া থাকা হাত পা বাঁধা লোকজন বিস্ময়ে তাহার দিকে তাকাইয়া রহিয়াছে।তাহাকে দেখিয়া এত্ত বিস্ময়ের কি রহিয়াছে!!

জয়তু পাকড়াও...

বহুদিন অনভ্যাস এবং প্রশস্ত ভুঁড়ির বাঁধায় প্রথমেই তিনি দৌড়ে দলের পিছনে পড়িয়া গিয়াছিলেন এবং তাহার খানিক পরেই উত্তেজনায় সটান মাটিতে চিৎপাত হইয়া মূর্ছা গিয়াছিলেন আর ইহাতেই বাজিমাত।

পিছনে এলাকাবাসীর তাড়ায় ডাকাতদল ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াইতে গিয়া সামনের অন্ধকারে পর্বতপ্রমাণ বাঁধা(ভূপতিত পাকড়াও) দেখিতে পারেনাই।ব্যাস!!একে একে সকলেই হোঁচট খাইয়া পড়িয়াছে।এলাকাবাসীরও ডাকাত ধরিতে বিলম্ব হয়নাই।

অন্যদিকে কোনদিকে দৌড় দিবে ইহা ঠিক করিতেই গদাইয়ের একটু দেরি হইয়া গিয়াছিল আর তাই অতীতের মত এইবারও সে ঘটনাস্থল ত্যাগ করিতে পারেনাই।চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুনিয়া ঝোপের পুলিশ বিপরীত দিক হইতে ছুটিয়া আসিবার পথেই গদাইকে হাতে নাতে ধরিয়া ফেলিয়াছে।রামদা খানি তখনও তাহার হাতেই ছিল।

শিকার সমাচার...

পাকড়াও ধর ঐদিন রাতে জ্ঞান ফিরিবার পর হইতে ডাকাত ধরিবার উত্তেজনায় আর ঘুমান নাই।

ডাকাতি বাড়ির লোক গদাইকে ডাকাত দলের নেতা বলিয়া চিহ্নিত করিয়া সাক্ষ্য দিয়াছে।

অন্যান্য ডাকাতরা কোনদিন শয়তানের মুখ দেখেও নাই তাই গদাইকে শয়তান ডাকাত বলিয়া স্বীকার করিয়া লইতে তাহাদের তেমন কোন সমস্যা হয় নাই।

শুধু স্বীকার করিয়া লয় নাই গদাই নিজে।অবশ্য থানা হাজতের পুলিশও চাহিতেছেনা সে এত শীঘ্রই স্বীকার করিয়া লউক।ডাকাত পিটাইবার সখ তাহাদের বহুদিনের।সেই আশা পূরণ না করিয়াই গদাই স্বীকার করিয়া লইলে তাহারা আশাহত হইবে।

সর্বশেষ...

আশেপাশের গ্রামময় রাষ্ট্র হইয়া গিয়াছে তোবলাপুরের ভোলাভালা গদাই লস্করই সেই ভয়ংকর শয়তান ডাকাত।তাহাকে দেখিতে দলে দলে লোক আসিয়া দেখা না পাইয়া ফিরিয়া গিয়াছে।কিন্তু খালি খালি ফিরিয়া যাইবার লোক এইদেশে নাই,তাহারা ফিরিয়া গিয়াছে গাল ভর্তি গল্প লইয়া।যে যত মাত্রা ছাড়াইতে পারে তাহার গল্পের শ্রোতা তত বেশি।কেহ কেহ রাগিলে গদাইয়ের চোখ মুখ দিয়া যে আগুন বাহির হইত তাহার নমুনাও দেখিতে পাইয়াছে(শুধু সময় সুযোগের অভাবে এত্তদিন বলিতে পারেনাই)।

অজানা এইসকল গল্প এই কয়দিনে মাঠে,ঘাটে,হাটে সর্বত্র চাউর হইয়া গিয়াছে।

ঐদিকে গদাই সকাল সন্ধ্যা উত্তম মধ্যম খাইয়া এইটুকু বুঝিতে পারিয়াছে চুরি আর ডাকাতিতে পার্থক্য বিশেষ নাই(চুরি করিতে গিয়াও ডাকাত হওয়া খুবই স্বাভাবিক)।
চোর আর ডাকাতের পার্থক্য যেইটুকু তাহা শুধু মাইরের ধরনে।

পাকড়াও ধর আজ নতুন পোস্টিং এ চলিয়া যাইতেছেন।তাহার প্রোমোশন হইয়াছে।

কাক্কেশ্বর কুচকুচে


মন্তব্য

দীপ্ত এর ছবি

মজা পাইছি আপনার লেখায় বেশ আগের কালের একটা আমেজ পাই। ছোটবেলায় মনে হয় এই ধরনের গল্প পড়ে অনেক।

কাক্কেশ্বর কুচকচে এর ছবি

ধন্যবাদ দীপ্ত ভাই হাসি

হাকিম এর ছবি

মজার ঘটনার বর্ণনা হল, কিন্তু রম্য হল না। ম্যাঁও

কাক্কেশ্বর কুচকচে এর ছবি

লেখা জমা দেবার পরে আমারও তাই মনে হয়েছে।
পড়বার জন্য ধন্যবাদ ভাই হাসি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
কাক্কেশ্বর কুচকচে এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই হাসি

কল্যাণ এর ছবি

মজা পাইলাম কাকভায়া। চলুক।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ কল্যাণ ভাই হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়িয়া যত না আনন্দ পাইয়াছি তাহার চাইতে আরও অধিক আনন্দ পাইয়াছি পড়িতে। কাকস্য পরিবেদনার আর কিছুই কি নাই বাকি?

--- মোখলেস হোসেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।