গত কোরবানী ঈদের সময়ে সত্যি ঘটনা নিয়ে লেখা ঃ আলোকিত অন্ধকারের জনপথে/আছোঁয়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৬/১০/২০১২ - ২:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আছোঁয়া
---শাশ্বত স্বপন

মিটফোর্ড হাসপাতালে চাকুরীতে যোগদানের দিন এবং তারপরও আরো কিছুদিন বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে বেশ কষ্ট হয়েছিল আমার। ভাবতাম, আর সব মানুষেরা কিভাবে চলছে। কিছুদিন পর এই পরিচিত গন্ধ আমার নাকের Olfactory nerve স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছে এবং আমি আর এখন গন্ধ পাই না। হাসপাতালে রোগীর ভীড় খুব বেশী। এখানে কোন কোন বিভাগের Out door এর ডাক্তাররা দিনে ২০০-৩০০ জন রোগী দেখে । Out door এর রোগীদের মধ্যে ৮০% মুখ খোলা বোরকা পড়া মহিলা, ৫% মুখ ঢাকা বোরকাপড়া (হাত-পা এর আঙ্গুলসহ), ১০% লুঙ্গি-শার্ট পড়া, আর বাকীরা লুঙ্গির সাথে গেঞ্জি, লুঙ্গির সাথে পাঞ্জাবী-টুপী, কেউবা শুধু লুঙ্গি পড়ে, কিছু রোগী প্যান্ট শার্ট ইত্যাদি পরিধান করে এখানে আসে। পরিধানের এই বর্ণনা দিয়ে বুঝাতে চাচ্ছি, এদের প্রায় সবাই অতি সাধারণ মানুষ। এ দেশের দারিদ্র আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এরা আচ্ছাদিত। এদের সবাই ধর্মভীরু। তাবিজ-কবজ, পানিপড়া, পীর-ফকির ইত্যাদিতেও এরা বিশ্বাস করে। যোগদান করার পর থেকে আমার মনে হয়েছে আমি সতেরশ অথবা আঠারশ শতাব্দিতে এসে পড়েছি। রোগীরা খুবই সহজ-সরল এবং রোগ-বালাই সম্পর্কে এদের ধারণা হাস্যকর। দরিদ্রতা, অজ্ঞতা, অশিক্ষা, পারিবারিক অশান্তি এদেরকে মনে হয়, একুশ শতকের আলোকিত অন্ধকারের জনপথে আবদ্ধ করে রেখেছে।

হাসপাতালের প্রথম গেটের গলি দিয়ে রোগী, রোগীর সাথী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াত খুব বেশী। প্রথম গেটের গলি দিয়ে হাসপাতালের দক্ষিণ দিকের গেট পার হয়ে বুড়িগঙ্গা ঘাটে যাওয়া যায় এবং সেই ঘাট দিয়ে বিষাক্ত পানিপথ নৌকাযোগে পর হয়ে কেরানীগঞ্জ যাওয়া যায়। কোরবানী ঈদের আগের কয়েকদিন প্রথম গেটের গলি দিয়ে রোগী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াত খুব বেশী দেখা গেছে। বিশেষ করে, ঈদের দুই দিন আগে নয়া বাজার হাটের গরু, ছাগল, মোটর গাড়ী, রিকসা, ভ্যান আর মানুষের প্লাবনে প্লাবিত হয়েছে মিটফোর্ডের রাস্তা, হাসপাতালের গেট, বুড়িগঙ্গা ব্রীজের এপারের তীরদেশ। প্রথম গলি দিয়ে ঢুকতে হাতের বাম পাশের ছোট ফুটপাতে সাড়ে তিন হাতের কম পরিমাণ জায়গার সাপের মত কুন্ডুলী পাকিয়ে একটি কঙ্গালসার, অর্ধনগ্ন নারী পড়ে আছে গত কয়েকদিন যাবৎ। প্রায়ই দেখতাম, কিছু মানুষ উৎসুক হয়ে দেখছে ; কেউ কথা বলতে চেষ্টা করছে। আমি নারীর কাছে ভীড় করা মানুষের নানা কথা শুনেছি ; নানা জন নানা ধরণের কথা বলেছে ; কিভাবে সাহায্য করা যায় --তাও আমি শুনেছি তাদের আলোচনা থেকে। আমিও ভীড় করা মানুষের একজন, দায়িত্ব এড়িয়েছি, তবে ভেবেছি, শত শত ধর্মভীরু মানুষ, বোরকা পড়া রোগী, তাদের সাথিরা অথবা কোন ষ্টাফ নিশ্চয়ই Emergency-তে নিয়ে যাবে। কিন্তু না, ঈদের দিন পর্যন্ত কেউ আসেনি তার সাহায্যে।

ঈদের পরের দিন। গেট দিয়ে ঢুকতেই গরু-ছাগলের বিষ্টার চেয়েও বেশী তীব্র গন্ধ নাকে এসে লাগল। না, এ গন্ধ কোন পশুর নয়, মানুষের মলমূত্রের গন্ধ। বাম দিকে তাকালাম। সেই নারী, অর্ধনগ্ন, মলত্যাগ করে তার চারপাশে ছড়িয়েছে। মনে হল, পূর্বের কয়টা দিন এ নারী মানুষ নাকি কুকুর বিড়াল--এ গবেষণায় ছিল। কারণ এ নারী খাবার ছাড়া আর কিছু চাইতে পারে না। তার পরিচয় সে নিজেও জানে না। মানুষের মত (অস্পষ্ট স্বরে ) দু’একটা কথা বললেও কুকুর, বিড়ারের মতই ঠিকানাবিহীন। নিরব, নিথর দেহ সাপের মত কুন্ডুলী পাকিয়ে আছে। অসুস্থ গরু অথবা গাভী হলেও কোন কাজে আসত। এ যে মানুষরূপী শান্ত কোন প্রাণী; এর জন্য আলোচনা হতে পারে; কোন কর্ম হতে পারে না। নারীর মুখটা দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, She is going to die--পৃথিবীর মানুষ রূপী নির্দয় জন্তু-জানোয়ারের চেহেরা সে দেখতে চায় না। কারণ এ রকম কোন জানোয়ারের কাছ থেকে আঘাত পেয়েই সে আজ মানসিক বিকারগ্রস্ত, নাম ঠিকানাবিহীন কোন প্রাণীর মত। কয়েকদিনে মশার কামড়ে হাত-পাত-মুখ Purpuric spot এর মত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্ত জমাট চিহ্নে ভরে গেছে।

ঈদের আগের দিনের মত, ঈদের পরের দিনও অফিস খোলা। রোগী কম। আমি আমার স্টাফ মনিরকে নিয়ে কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। মনির নারীটির কাছে গিয়ে বলল, স্যার মহিলা স্টাফদের আসতে বলি ? আমি চিরায়ত সমাজ প্রথায় মাথানত করে ওর কথার অর্থ বুঝলাম। বসে না থেকে দু’একজন আয়া-বুয়া নিয়ে ইসলাম, কোরবানী, বেহেস্ত-দোজখ, পাপ-পূন্য এবং এই নারী সম্পর্কে নানা মত আলোচনা করলাম। বুঝাতে চেষ্টা করলাম, এই যে নারী, আধা মরা কুকুর-বিড়ালের মত পড়ে আছে, কেউ নেই তার,খাবার চাইবার শক্তিও নেই, একটি মশা তাড়াবার শক্তিও নেই, কয়দিন যাবৎ না খাওয়া--আমরা কেউ জানি না। এটা কি তার দোজখের শাস্তি হচ্ছে না? আজ আমরাও যদি দেখে না দেখার ভান করি, একদিন আল্লাহপাক আমাদের কাউকেও এভাবে শাস্তি দিতে পারেন....ইত্যাদি, নানা ভাবে তাদের বুঝালাম। আয়া-বুয়ারা আমাকে বড় পরহেজগার মানুষ মনে করল। ওদের টাকা দিলাম স্যালাইন, সিরিঞ্জ, ইনফিউশন সেট, ভিটামিন কিনার জন্য ।ওরা নারীটিকে গোসল করাল। ফুঠপাতকে খোলা ছাদের Single patient ward বানালাম। স্যালাইন ঝুলিয়ে দিলাম দেয়ালের সাথে দড়ি বেঁধে। হাসপাতাল থেকে কিছু ঔষধ আনলাম। এখন কিছু মানুষ এবং ঔষধের দোকানীরা টাকা ছাড়াই ঔষধ, পানি দিচ্ছে। মনে হলো “তুমি জাগলে সবাই জাগবে--জেগে উঠবে একদিন বাংলাদেশ”।
বলে রাখা ভালো--আমি ধর্ম, ঈশ্বর, পাপ-পূন্যে বিশ্বাসী কোন মানুষ নই। আমি ধর্মভীরু নই, বিবেক বিশ্বাসী কর্মভীরু মানুষ। মানুষ হবার জন্য জ্ঞান হবার পর থেকে চেষ্টা করছি। মানুষ কিছুটা হতে পেরেছি বলে কখনও কখনও মনে করতে ইচ্ছে হয়; পরক্ষণে ভয় হয় মানুষ হবার অপরাধে মানুষরূপী অমানুষেরা অথবা ভন্ড, ধার্মিকরূপী অধার্মিকেরা আমাকে পদে পদে যদি কাঁটা ছড়ায়ে দেয়।

নারীটিকে স্যালাইন সেট করার সময় কয়েকবার Canula দিয়ে পিক করতে হয়েছে ধমনী পাচ্ছি না বলে। ধমনীগুলি মৃত্যু ভয়ে যেন চুপসে গেছে। পিক করার সময় সব রোগীই ব্যথা অনুভব করে। এই নারীটির যেন কোন অনুভুতিই নেই। বলেই চলেছে, ‘মোরে পানি দে, কইলজাটা জ্বইল্লা গেল’। বুঝলাম, বরিশাল অথবা দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ। এই প্রথম মুখখানা দেখলাম ; শত শত কষ্টের ছাপ তার চোখে মুখে ; বয়স বেশীই মনে হয়। চুলগুলিতে যেন জট লেগে আছে শহরের যানজটের মত। বুড়ীগঙ্গার মত দুর্গন্ধ তার আশে পাশে। বুয়ারা তাকে গোসল করায়ে পরিস্কার করালেও, তার মলমূল যা চারিদিকে ছড়িয়ে আছে, তা পরিস্কার করেনি। নিথর দেহ পড়ে আছে। চিবুক বসে গেছে । গাল দুটি ঢুকে গেছে মুখের ভিতর। হাড়-গোড় যেন বের হয়ে আসতে চায় কারণ এ দেহ তাদের খাবার দেয়না। মাঝে মাঝে গোঙ্গানোর শব্দ, কাকে যেন গালি দিচ্ছে। ভাবি, হে প্রকৃতি, এ নারীটি যা তোমারই জীবন্ত অংশ; পানি, ভাত শব্দগুলি মনে রেখেছে; মনে রাখেনি স্থান-কাল-পাত্র অথবা ঠিকানা। কারণ এ সমাজে ঠিকানাবিহীন মানুষ ভাবা যায় না। বড় দুর্ভাগা এ দেশে তারা।
এই যে এ কাজটি করছি, কেউ ভাল বলছে, কেউ অবাক হচেছ। কেউ বলছে, সারাদেশে এ রকম মানুষ হাজার হাজার কয়টার সেবা করবেন, স্যার। আমি বললাম, আমরা ১৭ কোটি মানুষ যদি ১০ জনে মিলে একজনের জন্য নূন্যতম দায়িত্ব পালন করি ,তাহলে তো হবে। সবাই আমরা যে যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারি । হাসপাতালের স্টুয়ার্ড গোলাম মোস্তফাকে সব বললাম। তিনি উৎসাহ নিয়ে আমার সাথে থাকা বুয়াকে বললেন, এই তুমি প্রতিদিন যতবার খুশী খাবার নিয়ে যাবে। স্যার, খাবার নিয়ে কোন চিন্তা করবেন না।

পরদিন নারীটি ওখানেই পড়ে আছে। তবে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ্য। আরো কিছু আয়া-বুয়া ও স্থানীয় কয়েকজন মমতাময়ী, দয়াময়ী মহিলার সাহায্যে জটা পাকানো চুল কাটালাম, নক কাটালাম। পরিস্কার করিয়ে বন্ধু ডাঃ ফেরদৌস এর সাহায্যে- Medicine ward-এ অজ্ঞাত বলে Police case হিসাবে ভর্তি করালাম। ওর সাহায্য পাওয়াতে দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ এগোতে লাগল। এখন ডাক্তার, নার্স, স্থানীয় মানুষ, ঔষধের দোকানদার আয়া-বুয়া সবাই সাধ্যমত মানবীয় দায়িত্ব পালন করতে লাগল।

২২ তারিখ সোমবার, সকাল বেলা। Medicine ward unit-IV এর Bed no.Ex-16 তে গিয়ে দেখি নারীটি শুয়ে আছে। দুপুর বেলা দক্ষিণ বঙ্গের আমার দুই জন আত্মীয়--এডভোকেট স্বপন, এডভোকেট সঞ্জিত, আমার ছাত্র-ছাত্রী নিশু, আরজিনা, আলী আহমদকে নিয়ে ইবফ-এ গিয়ে দেখি নারীটি বসে বসে ভাত খাচ্ছে। নিশু অবাক হয়ে বলছে, স্যার একি ! পুরোপুরি সুস্থ্য। অবাক হবার কারণ সে আমার সাথে প্রথম থেকেই ছিল। এ রকম অবস্থা থেকে একটু ভালোবাসায় ছোঁয়া পেলে মানুষ যে বাঁচতে পারে--এটা তার প্রথম অভিজ্ঞতা। দক্ষিণ বঙ্গের সুহৃদ এডভোকেট স্বপনদাকে বললাম, আপনাদের অঞ্চলের মানুষ, দেখুন কথা বলে, কোন ঠিকানা বলে কিনা। স্বপনদা কিছু কথা বললেন, ঠিকানা উদ্ধার করতে পারলেন না। বললেন, আর কিছুদিন পর আবার আসব, আরো সুস্থ্য হোক।
চিকিৎসা বিদ্যার পাশাপাশি মানুষ হিসাবে নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য শিক্ষার জন্য এখন প্রতিদিন সকাল এবং অফিস শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে দু’বার রোগীটি দেখতে যাই।আমার পরিবারের উৎসাহ আমার চেয়ে কম নয়। আমার সহধর্মিনী জামা-কাপড়, ফল নিয়ে একদিন রোগীটিকে দেখে গেছে। গত শুক্রবার পুরান ঢাকার বন্ধু জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে রোগীটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। সব ঘটনা শুনে নিজের অজান্তে বলে ফেললেন, আল্লাহ আপনাকে দিয়ে এই নারীটিকে বাঁচিয়েছেন।

ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স হাসিনা খানম অকৃত্রিম মাতৃস্নেহে রোগীটিকে সেবা করে যাচেছন।এই রকম নার্স হাসপাতালে কিছু সংখ্যায় থাকলে এরকম অজ্ঞাত,অসহায় রোগীর ভাল সেবা হয়।হাসিনা খানম গত শনিবার বললেন,স্যার,মানসিক বিভাগে ভর্তি করানো মনে হয় লাগবে না।রোগী কথা-বার্তা ভালই বলছে। আমি আর একটু চেষ্টা করে দেখি। এখন সে নিজে খায়। নিজে নিজেই বাথরুমে যায়।সবার সাথে একটু একটু কথা বলে।আমি শুনলাম,খুশি হলাম ,বললাম,মানসিক বিভাগে না নিলে তার প্রকৃত চিকিৎসা হবে না।

অফিসে বসে ভাবছি, বিস্তীর্ণ শীতের কুয়াশা অথবা অন্ধকারের পথে আমরা আজো হাজার বছর ধরে পথ হাঁটছি। এত মানুষ, এত সম্পদ, এত কুরবানী,এত আনন্দ,আবার মানুষের কারণে কত যন্ত্রণা, কত দুর্বিসহ ঘটনা ঘটে। একজন Diabetic রোগী, সারাদিনে আধা কেজি খাবারও খেতে পারেনা অথচ কোটি কোটি টাকার সম্পদ তার। সম্পদ বাড়ানোর জন্য এদেশের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ, হেন কোন খারাপ কাজ নেই--যা তারা করে না। যদি এরা যাকাত ঠিকমত আদায় করত অথবা সরকারী নিয়মে ট্যাক্স ঠিকমত দিত তাহলে এদেশের পথে পথে এ রকম নারীরা পড়ে থাকত না।
কেন যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করছে না--বুঝিনা। মানুষরূপী কিছু মানসিক ভারসাম্যহীন যাদের কে খুব সহজ করে পাগল বলি ; এরা আমাদের আশে পাশে থাকে বিড়াল কুকুরের মত ছন্নছাড়া হয়ে। ফুটপাতের সর্বহারারা তো তবুও ভিক্ষা বা কাজ এর মাধ্যমে খাবার চাইতে পারে। এরা তাও পারেনা। কেউ তাদের কাছে ঘেঁষতে দেয় না।
মানুষ, প্রকৃতির এ নির্মম খেলা থেকে কিছুই শিখে না । শিখে না ইতিহাস থেকে, শিখে না এ নিথর পড়ে থাকা মানুষরূপী এ নারীটির জীবন থেকে। তবে এ কাজ থেকে একটা বিষয় বুঝতে পারলাম । সাধারণ মানুষরা কেউ একা একা জামেলায় জড়াতে চায় না। তবে মানবীয় গুনাবলী প্রকাশ করার সুযোগ সবাই চায়, সবাই খুঁজে। চায় একজন নেতা এবং তার নি:স্বার্থ নেতৃত্ব। এই যে আমি, নেতৃত্ব দিয়ে কাজটি শুরু করেছি, এখন সবাই যার যার সাধ্য মত কাজ করছে। আসুন,আমরা শুরু করি, আমরা জাগি, আমরা জাগলে, সবাই জাগবে, জাগবে বাংলাদেশ।


মন্তব্য

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

কথাটা খুবই সত্য। মানবীয় গুণাবলী প্রকাশের সুযোগ চাই আমরা। কিন্তু সাহসের অভাবে পারি না। এটা আসলে শুধু বাঙালির ক্ষেত্রে সত্য বলে মনে হয় না, সব জাতির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমাদের শ্রেষ্ঠ নেতারা হারিয়ে গেছেন। মূর্খ এবং বর্বরকূলশিরোমনিরাই এখন লিডার। তাদের কাজকর্ম মানবীয় নয়, তাই জাতিও ঠিক মানবিক ভূমিকায় নেই!
ধন্যবাদ আপনাকে। খুবই ভালো একটি কাজ করেছেন।

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

আনাম এর ছবি

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগই জাগিয়ে রাখে আশা। আপনাকে ধন্যবাদ।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সাধারণ মানুষরা কেউ একা একা জামেলায় জড়াতে চায় না। তবে মানবীয় গুনাবলী প্রকাশ করার সুযোগ সবাই চায়, সবাই খুঁজে। চায় একজন নেতা এবং তার নি:স্বার্থ নেতৃত্ব।

আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণেও এসেছে এমনটা।

আপনাকে সাধুবাদ।


_____________________
Give Her Freedom!

পথিক পরাণ এর ছবি

আমরা সবাই পাহাড় ঠেলতে পারব না। সমুদ্র সাঁতরাতে পারবনা।

তবে চাইলে হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখার দূরত্বে অল্প হলেও পরিবর্তনের চিহ্ন রেখে যেতে পারি বোধহয়।

ভালো লাগলো আপনার উদ্যোগটি।

সাদিক  এর ছবি

ভালো লেগেচে অনেক।চালিয়ে যান

guest_writer এর ছবি

মডারেটর সাহেব, আমার লেখা মন্তব্যগুলো প্রকাশ করে হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

মডারেটর সাহেব, আমার লেখা মন্তব্যগুলো প্রকাশ করে হবে?

শাশ্বত স্বপন

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ হয়ে আবার আশায় বুক বাঁধতে পারলাম, মিশ্র প্রতিক্রিয়া- আর লেখায় ব্যবহৃত ইংরেজি গুলো বাংলা ফন্টে লিখলে বেশ হতো। (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট )

আলতাইর এর ছবি

ভাই, লেখাটা পড়ে নিজেকে নিজের সামনে দাঁড় করালাম। আমিও সুবিধাবাদী কাপুরুষদের ১জন।আপনার মত সাহস আমার নাই। আমি হলে পারতাম না। তবে হ্যাঁ, এরপর এই রকম কোনো দায়িত্ব সামনে আসলে আপনার কথাগুলো আমার মনে থাকবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।